মহাসড়কে দুর্ঘটনা সবচেয়ে বেশি
অক্টোবর মাসে সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বমোট ৪৬৪টি দুর্ঘটনায় ৫০২ জন নিহত এবং ৮৩৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এর মধ্যে ১৩১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪৪ জন নিহত হয়েছেন। জাতীয় মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল শুক্রবার মাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে যাত্রী অধিকার আদায়ে নিয়োজিত সংগঠনটি। যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, এর মধ্যে ৪২৯ সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৩৭ জন নিহত এবং ৬৮১ জন আহত হয়েছেন। রেলপথে ২৯ দুর্ঘটনায় ৫৩ জন নিহত এবং ১৫৫ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে ৬টি দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত, ২ জন আহত এবং ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। অক্টোবর মাসে ১৩১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪৪ জন নিহত, ৭৬ জন আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অক্টোবরে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ঢাকা বিভাগে। সেখানে ১৩৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪১ জন নিহত ও ১৩২ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে বরিশাল বিভাগে। সেখানে ২৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত ও ৮৪ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ মাসে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৩৬.১৩ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২২.১৪ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩০.৭৬ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৯.০৯ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১.৩৯ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০.৪৬ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়েছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে অক্টোবরে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হচ্ছে—ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ, দুর্বল প্রয়োগ, ট্রাফিক বিভাগের অনিয়ম দুর্নীতি ব্যাপক বৃদ্ধি, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি ও এসব যানবাহন সড়ক-মহাসড়কে অবাধে চলাচল ইত্যাদি। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বেশ কিছু সুপারিশও করেছেন তারা। এর মধ্যে রয়েছে—মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া, ডিজিটাল পদ্ধতিতে যানবাহনের ফিটনেস প্রদান, রাতের বেলায় বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চালকদের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক করা, সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা ইত্যাদি।
১১ নভেম্বর, ২০২৩
X