Thu, 09 May, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
বাংলা কনভার্টার
আকর্ষণীয় বেতনে ইবনে সিনায় চাকরি, বয়স ২৫ হলেই আবেদন
২৪ মিনিট আগে
চার মাসে ১৭৬ শিশু হত্যার শিকার : আইন ও সালিশ কেন্দ্র
১ ঘণ্টা আগে
সিটি ব্যাংকে চাকরি, কর্মস্থল ঢাকা
২ ঘণ্টা আগে
‘মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া ব্যবসায় মানোন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার’
১৫ ঘণ্টা আগে
বিয়ের দাবিতে জুয়েলের বাড়িতে ২ সন্তানের জননীর অনশন
১৬ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ০৯ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
তরুণদের বিদেশে যাওয়া ‘বন্ধ’ করল মিয়ানমার জান্তা
তরুণদের দেশের বাইরে আর কাজ করার অনুমতি দেবে না মিয়ানমারের জান্তা সরকার। বৃহস্পতিবার এ নির্দেশনা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে মিয়ানমারের একটি বৃহৎ সংখ্যক প্রবাসী রয়েছেন। এর আগে চাকরির জন্য স্থানীয়দের বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হলেও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে চলমান সংঘাতে বহু সেনাসদস্য হারানোর পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশটির ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী তরুণদের সেনাবাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করেছে জান্তা সরকার। এর পরপরই দেশটি থেকে বহু মানুষ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। জানা গেছে, গত তিন মাসে প্রায় এক লাখ পুরুষ ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করেছিলেন।
০৪ মে, ২০২৪
মিয়ানমার থেকে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি
মিয়ানমার নৌবাহিনীর ‘চিন ডুইন’ জাহাজে দেশে ফিরেছেন ১৭৩ বাংলাদেশি। তারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের একটি কারাগারে বন্দি ছিলেন। গতকাল বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে তাদের বহন করা মিয়ানমারের জাহাজটি বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় এসে পৌঁছালে সেখান থেকে আরেকটি জাহাজে তাদের কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে নিয়ে আসা হয়। ফিরে আসা এসব বাংলাদেশির সিংহভাগই দালালের খপ্পরে পড়ে উন্নত জীবনের আশায় কেউ হেঁটে, আবার কেউ সাগরপথে মালয়েশিয়া যেতে চেয়েছিলেন; কিন্তু মিয়ানমার বাহিনীর হাতে আটক হয়ে তাদের অবস্থান হয় কারাগারে। এদিকে যে জাহাজে বাংলাদেশি বন্দিরা এসেছেন, সেই জাহাজেই আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ থেকে ফেরত যাওয়ার কথা রাখাইনে চলমান সংঘাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের ২৮৮ জন বিজিপি ও সেনা সদস্যের। তবে প্রয়োজন হলে আগামীকালও (শুক্রবার) তাদের প্রত্যাবাসন করা হতে পারে। গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের ২৮৮ সীমান্তরক্ষীকে মিয়ানমারের ওই জাহাজেই আজ অথবা আগামীকাল ফেরত পাঠানো হবে। কক্সবাজারে বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম আয়োজন করা হয়েছে। মিয়ানমার ও বাংলাদেশের নাগরিকদের ফেরতের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একাধিক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে দুদেশের নাগরিকদের প্রত্যাবাসন করা হচ্ছে। বাংলাদেশে অবস্থিত মিয়ানমারের দূতাবাস ও ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে মিয়ানমারের কাছে প্রত্যাবাসনের প্রস্তাব করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় ওই নাগরিকদের যাচাই কার্যক্রম শেষ করা হয়। ফিরে আসা ব্যক্তিরা জানান, মিয়ানমারের কারাগারে আরও অনেক বাংলাদেশি রয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর হাতে বন্দি হন। তারাও ফিরে আসার আকুতি জানিয়েছেন। ফিরে আসা উখিয়ার মনখালী গ্রামের বদিউল আলমের ছেলে সালাউদ্দিন ও একই গ্রামের শাহ আলমের ছেলে মো. ফারুখ জানান, মিয়ানমার কারাগারে তাদের ওপর নিয়মিত নির্যাতন চলত। দিনে একবেলা খাবার দেওয়া হতো, তা-ও আবার খাওয়ার অনুপযোগী। এসব নিয়ে কোনো কথা বলা যেত না। বললেই নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হতো। এভাবেই অন্ধকারে কেটেছে ১০ বছর। এর আগে গত মঙ্গলবার সকালে মিয়ানমারের সিটওয়ে বন্দর থেকে তাদের নিয়ে মিয়ানমারের একটি জাহাজ বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেয়। গতকাল ওই জাহাজ থেকে আরেকটি জাহাজে তাদের কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর মোহনায় নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে আনা হয়। দীর্ঘদিন পর প্রিয়জনকে ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন স্বজনরা। জেলা প্রশাসন সূত্রমতে, মিয়ানমার থেকে ফিরিয়ে আনা ১৭৩ জনের মধ্যে ১২৯ জনের বাড়িই কক্সবাজারে। এ ছাড়া ৩০ জন বান্দরবানের, ৭ জন রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির। এ ছাড়া নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার রয়েছেন একজন করে। এর মধ্যে ১৪৪ বাংলাদেশি বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বন্দি ছিলেন। তাদের সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে আগেই। বাকি ২৯ জনের সাজার মেয়াদ শেষ না হলেও এই ফেরত পাঠানোর উদ্যোগের সময় তাদের বিশেষ ক্ষমার আওতায় আনা হয়। গতকাল বিকেল ৪টা নাগাদ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। যাদের স্বজনরা আসেননি, তাদের জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের ঘরে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪
মিয়ানমার থেকে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি
মিয়ানমারের রাখাইনে কারাগারে বন্দি থাকা ১৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক মিয়ানমার থেকে নৌপথে বাংলাদেশে ফিরেছেন। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশি নাগরিকদের নিয়ে মিয়ানমারের জাহাজ চিন ডুইন বাংলাদেশে এসেছে। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের ২৮৮ সীমান্তরক্ষীকে মিয়ানমারের ওই জাহাজে করেই আগামীকাল ২৫ এপ্রিল ও প্রয়োজনে তার পরের দিন ফেরত পাঠানো হবে। কক্সবাজারে বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম আয়োজন করা হয়েছে। মিয়ানমার ও বাংলাদেশের নাগরিকদের ফেরতের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একাধিক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে দুই দেশের নাগরিকদের প্রত্যাবাসন করা হচ্ছে। বাংলাদেশে অবস্থিত মিয়ানমারের দূতাবাস ও ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে মিয়ানমারের নিকট প্রত্যাবাসনের প্রস্তাব করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় উক্ত নাগরিকগণের বাংলাদেশে যাচাই কার্যক্রম অতিদ্রুত শেষ করা হয়। প্রথমে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ কারাভোগ শেষ করেছেন অথবা সাধারণ ক্ষমা পেয়েছেন, এমন ১৪৪ জন যাচাইকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে সম্মত হয়। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ তৎপরতায় মিয়ানমারে কারাভোগ শেষ, কারাভোগরত এবং বিচারাধীন সকল নাগরিকত্ব যাচাইকৃত বাংলাদেশিদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ সম্মত হয়। ফলে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ আরও ২৯ বাংলাদেশি নাগরিককে মুক্তি প্রদান করে। ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসের যোগাযোগ এবং সিট্যুয়েতে বাংলাদেশ কন্স্যুলেটের প্রতিনিধি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সাথে এ বিষয়ে সমন্বয় সাধন করেন। কক্সবাজার সদরের স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল জেটিঘাটে উপস্থিত থেকে আগত বাংলাদেশি নাগরিকদের অভ্যর্থনা জানান। মিয়ানমারের জাহাজযোগে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের ইমিগ্রেশন, স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যক্রম এবং মিয়ানমারের সেনা ও অন্যান্য সদস্যদের প্রেরণের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা সিভিল সার্জন ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সহায়তায় সম্পন্ন করা হয়েছে । প্রয়োজনীয় কার্যাদি সম্পাদনের পর বাংলাদেশি নাগরিকদের তাদের স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হবে। জাহাজযোগে আগত মিয়ানমারের প্রতিনিধিবৃন্দ আজ বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ক্যাম্পে অবস্থানরত বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের বিজিপি ও অন্য সদস্যদের দ্রুত শনাক্তকরণ ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন সম্পন্ন করবে। সেখানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাহাজযোগে আগত বিজিপি সদস্যদের নিকট আশ্রয়প্রাপ্তদের হস্তান্তর করা হবে। উল্লেখ্য, চলতি বছরে এ পর্যন্ত ছয় শতাধিক আশ্রয়প্রার্থী মিয়ানমারের বিজিপি ও সামরিক বাহিনীর সদস্যকে মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় প্রদান ও প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিজিবি কর্তৃপক্ষ আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার বিজিপি, সেনা সদস্য ও অন্যদের মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগে তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪
বাংলাদেশি জেলেদের ওপর গুলি মিয়ানমার নৌবাহিনীর, আহত ২
কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নাফ নদের মোহনায় নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। টেকনাফ মডেল থানার ওসি ওসমান গনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আহতরা হলেন টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়া এলাকার মোহাম্মদ ছিদ্দিকের ছেলে মোহাম্মদ ফারুক এবং মাঝের ডেইল এলাকার আলী আহমদের ছেলে মোহাম্মদ ইসমাইল। তাদের মধ্যে ফারুকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। ট্রলারের মাঝি মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, সেন্টমার্টিন সংলগ্ন সাগরে মাছ ধরা শেষে শাহপরীর দ্বীপ ঘাটে ফিরছিলাম। এ সময় মিয়ানমার নৌবাহিনীর একটি জাহাজ হঠাৎ আমাদের ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে দুজন আহত হন। তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশের জলসীমায় ছিলাম; হাত উঁচু করে পতাকা দেখিয়ে তাদের গুলি না করতে ইশারা করছিলাম। এর পরও তারা মানেনি। বিজিবি টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ওপারে মাছ শিকারে গিয়ে জেলেরা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সীমান্তের পরিস্থিতি আপাতত শান্ত আছে বলে জানান তিনি। টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. সুরাইয়া ইয়াছমিন জানান, দুজনের মধ্যে ইসমাইল সামান্য আহত হয়েছেন। তাকে এখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর ফারুকের হাত-পায়ে তিনটি গুলি লেগেছে। গুরুতর হওয়ায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোস্টগার্ড সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী। গতকাল সকালে টেকনাফের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।
২২ এপ্রিল, ২০২৪
বিজিপি ও সেনাদের নৌপথে ফেরত নেবে মিয়ানমার
পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনা সদস্যদের তারা নৌপথে ফেরত নেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ রচিত ‘ভুবন জোড়া শেখ হাসিনার আসনখানি’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজ (গতকাল) সকাল পর্যন্ত মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনাবাহিনীর মোট ২৮৫ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আমরা আলাপ-আলোচনার মধ্যে আছি। এ মাসের ২২ তারিখ তাদের ফেরত নেওয়ার জন্য মিয়ানমারকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, তবে ২২ তারিখে ফেরত নিতে পারবে কি না, সেটি নির্ভর করছে সমুদ্রের পরিস্থিতি ও সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতির ওপর। তবে তাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে মিয়ানমার সম্মত হয়েছে। নৌপথেই তাদের ফেরত নিয়ে যাওয়া হবে। যে জাহাজ তাদের ফেরত নিতে আসবে সেই জাহাজেই মিয়ানমারে আটকে পড়া ১৫০ বাংলাদেশিকেও তারা নিয়ে আসবে। এ সময় এক প্রশ্নের উত্তরে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির রাজনৈতিক দুর্বলতা হলো তারা যে কোনো কিছুর জন্যই বিদেশিদের দুয়ারে দুয়ারে ঘোরে। গত কয়েকদিনে তারা বিভিন্ন দূতাবাসে বৈঠক করেছে। বাংলাদেশে ক্ষমতার মালিক জনগণ। জনগণের কাছে যদি বিএনপি না যায় কোনো বিদেশি দূতাবাস তাদের কোলে করে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না। জনগণই আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতাদের বক্তব্য সার্কাসে পরিণত হয়েছে। এই সার্কাস থেকে বের হয়ে আসতে না পারলে বিএনপি কখনো জনগণের দল হয়ে উঠতে পারবে না। বইয়ের মোড়ক উন্মোচনকালে হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব সারা বিশ্বে বিরল। শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, এখন বিশ্বনেতায় রূপান্তরিত হয়েছেন। বিদেশি নেতারাও তার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক শেখ হাসিনাকে বলেছেন—আপনি শুধু আমারই নয়, আমার পরিবারেরও অনুপ্রেরণা। ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে দেখা করে বলেছেন, আমরা যদি আরব বিশ্বে একজন শেখ হাসিনা পেতাম তাহলে আজ গাজায় যুদ্ধ হতো না।
২০ এপ্রিল, ২০২৪
বাংলাদেশে আশ্রয় নিল মিয়ানমার বিজিপির আরও ১৩ সদস্য
কক্সবাজারের টেকনাফে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১৩ সদস্য। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে টেকনাফের নাফ নদী দিয়ে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নতুন করে বিজিপির আরও এই ১৩ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। পরে বিজিপি সদস্যদেরকে বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন-১১ এর কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানে মিয়ানমারের সর্বমোট ২৭৪ জন আশ্রয় নিয়েছে। তিনি বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন ১১ বিজিবির অধীনে থাকা ২৭৪ জনের মধ্যে বিজিপি সদস্য ছাড়াও সেনা সদস্যও রয়েছে। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ৪৬ জন পালিয়ে এসেছে। মঙ্গলবারে প্রবেশ করেছিল ১৮ জন। তার আগের দিন সোমবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে দুই সেনা সদস্য পালিয়ে আসে। তিনি আরও বলেন, এর আগে রোববার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসে বিজিপির আরও ১৪ জন সদস্য। তারও আগে ওখানে মিয়ানমারের ১৮০ জন আশ্রয়রত ছিল। যাদের মধ্যে গত ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিনজন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এর আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনা সদস্য। গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন। যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪
মিয়ানমার বাহিনীর আরও ১৭ সদস্য বাংলাদেশে
মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধের মধ্যে এবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তিন সীমান্ত দিয়ে দেশটির সেনা এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১৭ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এ নিয়ে গত তিন দিনে মিয়ানমার থেকে মোট ৩৩ জন বাংলাদেশে এসেছেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও বিজিবি সূত্র জানায়, গতকাল সকাল ৭টায় প্রথম দফায় জান্তা বাহিনীর ১০ সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৪৫ নম্বর সীমান্ত দিয়ে জামছড়ি গ্রামে আসেন। সেখানে ১১ বিজিবির অধীন জামছড়ি বিওপি জওয়ানদের কাছে তারা আত্মসমর্পণ করেন। একই পয়েন্ট থেকে দুপুর আড়াইটায় আসেন আরও পাঁচজন। তারাও একই স্থান দিয়ে এসে একই বিওপি জওয়ানদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। একই দিন সকাল ১০টায় পৃথক স্থান ঘুমধুম সীমান্তের ৪০ নম্বর পিলারের ৩৪ বিজিবি এলাকা দিয়ে জান্তা বাহিনীর দুই সেনা কর্মকর্তা সীমান্তের রেজুপাড়া বিওপি জওয়ানদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা অস্ত্র-গোলাবারুদ রামু বিজিবি সেক্টর দপ্তরে জমা করা হয়েছে। তাদেরও নিরস্ত্র করে মোট ১৭ জনকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের বিজিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিচতলায় রাখা হয়েছে। এর আগে সোমবার দুপুরে বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে দুই সেনা সদস্য বাংলাদেশে আসেন। এ ছাড়া রোববার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে আসেন বিজিপির আরও ১৪ সদস্য। ১১ বিজিবি হেফাজতে আগে থেকেই ১৮০ জন আশ্রিত রয়েছে। এ নিয়ে আশ্রিতের সংখ্যা দাঁড়াল ২০৯ জনে। ওই ১৮০ জনের মধ্যে সেনাবাহিনীর ৩ সদস্য গত ৩০ মার্চ মিয়ানমার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে এ দেশে আসেন। তার আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪
গুরুত্বপূর্ণ শহরের নিয়ন্ত্রণ হারাল মিয়ানমার জান্তা
তিন বছর আগে ক্ষমতা দখল করা মিয়ানমারের সামরিক সরকার আরও একটি বড় পরাজয়ের মুখে পড়ল। এবার জান্তা বাহিনী দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী একটি শহরের নিয়ন্ত্রণ হারাতে যাচ্ছে। সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী অন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে মিলে কয়েক সপ্তাহ ধরে শহরটিতে হামলা চালিয়ে আসছিল জাতিগত কারেন বিদ্রোহীরা। শেষ পর্যন্ত সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ শহর মায়াওয়াদ্দির নিরাপত্তায় নিয়োজিত শত শত সেনা আত্মসমর্পণে রাজি হয়েছে। খবর বিবিসির। থাইল্যান্ডের সঙ্গে মিয়ানমারের স্থল বাণিজ্যের বেশিরভাগই হয়ে থাকে মায়াওয়াদ্দি শহরের মাধ্যমে। শুক্রবার কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন ঘোষণা দেয়, মায়াওয়াদ্দি শহরের ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে থাঙ্গানিনাংয়ে অবস্থিত সেনা ব্যাটালিয়নের আত্মসমর্পণের প্রস্তাব তারা গ্রহণ করেছে। কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন তাদের উজ্জীবিত যোদ্ধাদের একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। এতে ওই যোদ্ধাদের হস্তগত হওয়া উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অস্ত্র প্রদর্শন করতে দেখা গেছে। বেশ কিছুদিন ধরে কারেন বাহিনী মায়াওয়াদ্দির ভেতরে থাকা শেষ ব্যাটালিয়নটির সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছিল। দৃশ্যত এখন তারা আত্মসমর্পণ করতে রাজি হয়েছে। যে কোনো সময় তারা আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করবে বলে জানা গেছে। এটিকে সামরিক সরকারের জন্য একটি মারাত্মক ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে শান রাজ্যের চীন সীমান্তবর্তী বিশাল এলাকা এবং আরাকান রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকেও জান্তা বাহিনীকে হটিয়ে দেওয়া হয়েছে। চলমান এ সংঘাতে হাজারো সেনা হয় এরই মধ্যে নিহত হয়েছেন বা আত্মসমর্পণ করেছেন কিংবা বিরোধী পক্ষে ভিড়েছেন। এই ঘাটতি পূরণ করতে সাধারণ মানুষের ওপর বাধ্যতামূলক সামরিক সেবা চাপিয়ে দিয়েছে জান্তা সরকার। মিয়ানমার ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। এরপর থেকেই জাতিগত কারেন জনগোষ্ঠীর জন্য স্বশাসনের দাবিতে লড়াই করে আসছে কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক অভ্যুত্থানে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক বাহিনী। সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং ক্ষমতা দখল করেন। এরপর থেকে একাধিক ফ্রন্টে বিদ্রোহ দমনে হিমশিম খেতে হচ্ছে জান্তা সরকারকে। ১৯৬২ সালের পর জান্তাকে এই প্রথম বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
০৮ এপ্রিল, ২০২৪
নিরাপত্তা সংকটে বাতিল সাবিনাদের মিয়ানমার সফর
গত বছর মার্চে অলিম্পিক প্রাক-বাছাই খেলতে মিয়ানমার সফরে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে সে সফরে জেতে পারিনি সাবিনা-সানজিদারা। এবার ফিফা উইন্ডোতে মিয়ানমারে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। এ জন্য মিয়ানমার ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনাও করেছিলেন বাংলাদেশের ফুটবল কর্তারা। দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতি উত্তপ্ত হওয়ায় এ সফর নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুমতি চায় বাফুফে। নিরাপত্তাহীনতার কথা মাথায় রেখে সফরে না যাওয়ার নিরুৎসাহিত করে বাফুফেকে চিঠি দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সফরটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা্। এরই মধ্যে খেলতে না যাওয়ার বিষয়টি মিয়ানমারকে জানিয়েছে বাফুফে। ফলে টানা তিনটি ফিফা উইন্ডোতে খেলা হচ্ছে না সাবিনা খাতুনদের। ফলে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের ছুটি পেয়েছেন ক্যাম্পে থাকা ফুটবলাররা।
০১ এপ্রিল, ২০২৪
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সেনাদের ফেরত পাঠানো হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমার থেকে সেনাবাহিনী তিন কর্মকর্তা পালিয়ে এসেছেন। খুব সহসাই তাদের নৌপথে ফেরত পাঠানো হবে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পালিয়ে আসা মিয়ানমারের তিনজন সেনাবাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে আছে। তিনি বলেন, আগের থাকা বিজেপির ১৭৭ জনকে নৌপথে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মারমা ইতোমধ্যে প্রস্তাব করেছে। তাদের সঙ্গে এই তিনজনকেও ফেরত পাঠানো হবে। বাংলাদেশি জাহাজের নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সোমালিয়ার জলদস্যুরদের সঙ্গে ইতোমধ্যে যোগাযোগ হয়েছে, তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। আলাপ আলোচনা মাধ্যমে আমার আশা করছি সহসাই আমাদের নাগরিকদের মুক্ত করতে পারব, জাহাজটিও মুক্ত করতে পারব। তিনি আরও বলেন, আমাদের নাবিকরা সবাই ভালো আছে। তারা কেবিনে আছে। তাদের খাবারদাবারের কোনো সমস্যা নেই। নাবিকদের সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ এ পর্যন্ত করা হয় নাই। আজ ভোরে মিয়ানমারের রাখাইনে বিদ্রোহীদের হামলায় টিকতে না পেরে জান্তা বাহিনীর আরও তিন সেনাসদস্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। বিজিবির সদস্যরা তাদের নিরস্ত্র করে তুমব্রু বিওপিতে নিয়ে যান। বান্দরবান জেলা প্রশাসক মো. মুজাহিদ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
৩০ মার্চ, ২০২৪
আরও
X