‘ভুল তথ্য প্রতিরোধে যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ-তুরস্ক’
বিশ্বব্যাপী অপতথ্য ও ভুল তথ্য প্রতিরোধে বাংলাদেশ এবং তুরস্ক যৌথভাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ওআইসির সদস্য দেশগুলোর তথ্যমন্ত্রীদের এক সম্মেলনে তুরস্কের যোগাযোগ অধিদপ্তরের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ফাহরেতিন আলতুনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে অপতথ্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের প্রচার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেক সময় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এগুলো ছড়ানো হচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও এর নেতিবাচক শিকার। অপতথ্য ও ভ্রান্ত তথ্য প্রতিরোধ তাই এখন একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও তুরস্ক দুদেশের মধ্যে যৌথ সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে। তথ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময়, প্রযুক্তিগত সহায়তাসহ অপরাপর সহযোগিতার বিষয়ে দুই দেশ একসাথে কাজ করতে পারে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় যেভাবে ক্রমাগত বিভ্রান্তিকর অপতথ্য ছড়ানোর ঘটনা ঘটছে, তা বিশ্ব খুব কমই দেখেছে। এ ধরনের অপতথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য, প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।  দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অপতথ্য ও ভুল তথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ এবং তুরস্ক যৌথভাবে কাজ করার ব্যাপারে বাংলাদেশর তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন তুরস্কের যোগাযোগ অধিদপ্তরের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ফাহরেতিন আলতুন।
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ওআইসি সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকা ছেড়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)-এর সদস্য দেশগুলোর তথ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগ দিতে তুরস্কের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটযোগে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।  সফরকালে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)-এর সদস্য দেশগুলোর তথ্যমন্ত্রীদের ইসলামিক সম্মেলনের বিশেষ অধিবেশনে যোগ দেবেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। বিশেষ এ অধিবেশনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের সময় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল সরকারের অপতথ্য এবং শত্রুতা’। এ দিন কাতার ও তুরস্কের তথ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন মোহাম্মদ আলী আরাফাত। এ ছাড়া আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘তার্কিশ রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশন’ অফিস পরিদর্শনের কথা রয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর। তুরস্ক সফর শেষে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ফিরবেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

যোগ্যতা নির্ধারণে সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে সরকার একমত : তথ্য প্রতিমন্ত্রী 
সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণে সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে সরকার একমত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমি মিলনায়তনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালার প্যানেল আলোচনা পর্বে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। বিসিএস প্রশাসন একাডেমির সহযোগিতায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ কর্মশালার আয়োজন করে। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের শতাধিক সদস্য কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের দাবি অনুযায়ী সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণের কিছু একটা থাকা দরকার। সরকার যখনই এটা বলবে তখনই বলা হবে সরকার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। এজন্য এ বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদেরই আওয়াজ তুলতে হবে। দেশে-বিদেশের সব জায়গায় এ বিষয়ে লিখতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আপনাদের এ বক্তব্য তুলে ধরতে হবে যে এটা আপনারাই চান। তিনি বলেন, সরকার সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে একমত। সরকারের এ বিষয়ে কোনো অসুবিধা নেই। সরকার বিষয়টির সমাধান করবে। সব পেশাদার সাংবাদিকদের দাবি, সাংবাদিকদের একটা সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হোক, একটা পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকুক, একটা সংজ্ঞায়ন থাকুক কে সাংবাদিক, কে সাংবাদিক না। তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরাই বলছেন সাংবাদিকদের তালিকা থাকা উচিত। অনেক অপেশাদার ঢুকে পড়েছে এ কমিউনিটিতে। যার দ্বারা সাংবাদিকরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু যখনই সরকার বলবে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে, তখন আবার আরেক গোষ্ঠী বলে তালিকা কেন তৈরি হবে সাংবাদিকদের। প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপতথ্যের বিপক্ষে তথ্যের লড়াইটা খুব জরুরি। তথ্য এবং অপতথ্যের লড়াই এখনও চলছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অপতথ্য রোধে সাংবাদিকদের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের শক্তি বিভিন্ন সময়ে আক্রান্ত হয়েছে অপপ্রচার ও মিথ্যাচার দ্বারা। যেখানে সত্য থেমে যায়, সেখানে অসত্য ও মিথ্যাচার জায়গা করে নেয়। সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু সাইবার নিরাপত্তা আইনই নয়, যে কোনো আইনের অপব্যবহারের বিপক্ষে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের দাঁড়াতে হবে। সরকার মোটেও চায় না কোনো আইনের অপব্যবহারের মাধ্যমে নির্দোষ ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হোক। কর্মশালায় জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। প্যানেল আলোচনা পর্বে মডারেটর ছিলেন বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) ড. মো. ওমর ফারুক। 
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X