মোটরসাইকেল চালক হত‍্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে মোটরসাইকেল চালক মঞ্জু শেখ হত‍্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত‍্যককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।  বুধবার (১৫ মে) বিকেলে রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভিন এ রায় দেন। হত্যা মামলায় আরেক আসামি রুবেল ব‍্যাপারীকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তিন হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার সোহরাব মন্ডল পাড়ার মো. শাহাদাত মৃধা লাভলু, আব্দুল আজিজ মৃধা পাড়ার মো. মনোয়ার হোসেন মনু, মো. রিপন সরদার ও মিনাজ উদ্দিন শেখ পাড়ার মো. কোবাদ শেখ। রায়ের সময় মো. শাহাদাৎ মৃধা ছাড়া সবাই উপস্থিত ছিলেন। পলাতক আসামি শাহাদাত মৃধা লাভলুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর দুপুরে একটি ফোন পেয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন মঞ্জু শেখ। ওইদিন রাতে বাড়ি না ফেরায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে। পরের দিন ২৭ অক্টোবর সকালে চরদৌলতদিয়া আইনদ্দিন বেপারিপাড়ার খালের পানিতে একটি লাশ পাওয়ার খবর পায় মঞ্জুর পরিবার। পরে সেখানে গিয়ে মঞ্জুর লাশ শনাক্ত করেন। পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওইদিন নিহত মঞ্জু শেখের বাবা মো. বাবলু শেখ অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে মামলা করেন। রাজবাড়ীর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) উজির আলী শেখ বলেন, আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে এ মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একজনের তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। বিচারপ্রার্থী ন্যায়বিচার পেয়েছেন। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছি।
১৭ ঘণ্টা আগে

জয়পুরহাটে কৃষক হত্যায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটের আলোচিত কৃষক বুলু মিয়া হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া অনাদায়ে আরও ২ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৫ মে) দুপুরে জয়পুরহাট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন। রায়ের যাবজ্জীবন সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের নিয়োজিত আইনজীবী সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) উদয় চন্দ্র সিংহ। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল ইঊনিয়নের দস্তপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়া, একই গ্রামের এমরান আলী ওরফে নুহ ও আউসগাড় গ্রামের বাবু মিয়া। রায় ঘোষণার পর পুলিশ পাহারায় তাদের জয়পুরহাট কারাগারে নেওয়া হয়। আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ৩ এপ্রিল বুলু মিয়া সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে না ফেরায় বুলু মিয়ার স্ত্রী ও ছেলে তাহেরুল তাকে খোঁজাখুজি করতে থাকেন। পরে দস্তপুর গ্রামের জনৈক আমজাদ হোসেনের বাড়ির ২০০ গজ দূরে বায়োগ্যাসের ট্যাংকির ভেতর থেকে বুলু মিয়ার গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  এ ঘটনায় নিহত বুলু মিয়ার ছোট ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে সদর থানার এসআই আমজাদ হোসেন ২০০৫ সালের ৯ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ সময় ধরে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এ রায় দেন।
২৩ ঘণ্টা আগে

২৮ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
বরিশালের বাকেরগঞ্জে প্রায় ২৮ বছর পর হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। সোমবার (১৪ মে) রাতে পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালি উপজেলার বড়বাসদিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আনোয়ার হোসেন খান বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কৃষ্ণ কাঠি গ্রামের মৃত গিয়াস খানের ছেলে। বাকেরগঞ্জে থানার ওসি আফজাল হোসেন  জানান, ১৯৯৬ সালে উপজেলার এক‌ই গ্রামের বাসিন্দা আসমান খান নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। আসমান খানের ছেলে হানিফ খান বাদী হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই হত্যা মামলার প্রধান আসামি আনোয়ার হোসেন ছিলেন। ২০০১ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বরিশাল অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। হত্যার ঘটনার পর থেকেই আসামি আনোয়ার হোসেন পলাতক ছিলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 
১৪ মে, ২০২৪

হত্যা মামলায় বৃদ্ধের যাবজ্জীবন
লালমনিরহাটে আলোচিত মজনু হত্যা মামলার আসামা পঞ্চাশোর্ধ বৃদ্ধ শাহাজ উদ্দিনের যাবজ্জীবন ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।  দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শাহাজ উদ্দিন (৫৪) জেলার পাটগ্রাম উপজেলার ধবল সূতি গ্রামের বাসিন্দা। একই রায়ে মামলায় অপর আসামী রহিমা বেগমকে খালাস দিয়েছে আদালত।   সোমবার (১৩ মে) বিকালে লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান এ রায় দেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১ আগস্ট পাটগ্রাম উপজেলার ধরলা নদী থেকে পাথর তোলাকে কেন্দ্র করে উপজেলার ধবলসূতি গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে মজনু ইসলামের মাথায় লোহার রড দিয়ে পেছন থেকে আঘাত করে আসামি বয়োবৃদ্ধ শাহাজ উদ্দিন। পরে গুরুতর আহত মজনুকে প্রথমে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য মজনুকে রংপুর মেডিকেল কলেজ নেওয়ার পথে সে মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করলে আদালত মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামি শাহাজ উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাস কারাদণ্ডের আদেশ দেয়। মামলার অপর আসামি রহিমা বেগমকে খালাস দেন আদালত। নিহতের ভাই মজিদুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালে নদী থেকে পাথর তোলাকে কেন্দ্র করে রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে আমার ভাই মজনুকে হত্যা করেছে শাহাজ উদ্দিন। দীর্ঘদিন পর আদালত রায় দিয়েছে। আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি।
১৪ মে, ২০২৪

নাটোরে শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন
নাটোরের লালপুরে শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে ধর্ষণের দায়ে সাব্বির আলী নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।  একই মামলায় অপর আরেকটি ধারায় ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড সেই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত।  সোমবার বেলা ১১ টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামিদের উপস্থিতে এ রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত সাব্বির আলী লালপুর উপজেলার অমরপুর এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে। আর খালাস প্রাপ্ত দুজন হলেন- একই এলাকার আব্দুল মান্নান ও মুক্তার হোসেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, লালপুর উপজেলার অমরপুর এলাকায় ২০২০ সালের ২০ নভেম্বর রাতে দুড়দুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে নিজ বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল করে অপহরণ করে সাব্বির আলী ও তার সহযোগিরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা সাব্বিরের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সাব্বিরের বাবা ওই মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে রাজি হয়ে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে। পরে ডিসেম্বর মাসের ৭ তারিখে ভুক্তভোগীর বাবা সাদেকুল ইসলাম টেনু লালপুর থানায় বাদী হয়ে সাব্বির আলী ও তার বাবা আব্দুল মান্নানের নাম উল্লেখ করে আরও ২/৩জন অজ্ঞাত করে একটি মামলা দায়ের করেন। তারপুর পুলিশ অভিযান চালিয়ে অমরপুর নিজ বাড়ি থেকে সাব্বিরের বাবা আব্দুল মান্নানকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্য ও গোয়েন্দা তথ্যর ভিত্তিতে ২০২১ সালের ১৬ মার্চ রাতে সাব্বিরকে রাজশাহী শহরের রাজপাড়া থানার বহরমপুর থেকে গ্রেপ্তারসহ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
১৪ মে, ২০২৪

সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা / আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন
২৫ বছর আগে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আবদুল আজিজসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। দণ্ডিত অন্য দুজন হলেন আদনান সিদ্দিকী ও ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম। এ ছাড়া ছয়জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, যারা পুলিশের কাছে সাক্ষ্য দিয়েছেন, তাদের অনেকেই মারা গেছেন। তাই তাদের পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। জবানবন্দি গ্রহণ করা ম্যাজিস্ট্রেটরাও আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসেননি। যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন, তারাও পক্ষপাতদুষ্ট ও সত্য গোপনের চেষ্টা করেছেন। এদিন সকালে আসামি তারিক সাইফ মামুন আদালতে হাজিরা দেন। তবে অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় তিনি চলে যান। পরে আইনজীবী মেহেদী হাসান তার পক্ষে সময়ের আবেদন করেন। তবে বিচারক তার আবেদন নামঞ্জুর করেন। জামিনে থাকা আসামি আশীষ রায় চৌধুরী আদালতে হাজিরা দেন। এ ছাড়া কারাগারে থাকা আসামি সানজিদুল ইসলাম ইমনকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের উপস্থিতিতে আদালতে রায় ঘোষণা করা হয়। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পান তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, ফারুক আব্বাসী ও আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী। রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, এ মামলার সিডি (কেইস ডকেট) পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হয়, সিডি গায়েব করা হয়েছে। আদনান সিদ্দিকী ঘটনাস্থল থেকে ধরা পড়েন। তিনি সাক্ষ্য দিয়েছেন, তবে তা অনেকটা গা বাঁচিয়ে দেওয়ার মতো। তিনি আরও বলেন, এত বছর ধরে ফেলে রেখে মামলার বিচার না হওয়ায় মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ে। প্রতিটি মৃতের আত্মা বিচার চায়। আদনান সিদ্দিকী কয়েকজনের নাম বলেছেন নিজের গা বাঁচিয়ে। যিনি নিজের গা বাঁচিয়ে সাক্ষ্য দিতে পারেন, তিনি অন্যের নামও সত্য বলতে পারেন। তবে যাদের নাম বলছেন তাদের কাছ থেকে কোনো রিকভারি হয়নি। সার্বিক বিবেচনায় আসামি আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আবদুল আজিজ ও আদনান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে সন্দেহাতীতভাবে দোষী প্রমাণিত হয়। বান্টির বক্তব্যে ইমন ও আশীষ রায় চৌধুরীর নাম এলেও ঘটনাস্থলে তাদের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়নি বিধায় তাদের খালাস দেওয়া হয়। ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম গুলশান থানায় মামলা করেন। ঘটনার পরপরই এ হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেলের কথাকাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেলকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালায়। আসামিদের মধ্যে আদনান খুনের পরপরই ধরা পড়েছিল। মামলাটি তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ওই বছরই আসামিদের মধ্যে একজন হাইকোর্টে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সাল থেকে দীর্ঘ ১৯ বছর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটি স্থগিত ছিল। এ মামলার বিচার চলাকালে ট্রাইব্যুনাল ৩৮ জনের মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। গত ২৯ এপ্রিল ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
১০ মে, ২০২৪

একশো গ্রাম হেরোইন রাখায় দুই যুবকের যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জে একশো গ্রাম হেরোইন রাখার দায়ে দুই যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরের দিকে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. আবুল বাশার মিঞা আসামিদের উপস্থিতিতে এ দণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন রাজশাহীর গোদাগাড়ি পৌর এলাকার বুজরুক শ্রীমান্তপুর মহল্লার জামাল হোসেনের ছেলে রমজান আলী (২৭) ও একই মহল্লার ইউনুস আলীর ছেলে বনী ইসরায়েল (৩২)। ওই আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. জেবুন্নেছা (জেবা রহমান) এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২১ মে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানাধীন হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি অভিযান চালায় র‌্যাব-১২ সদস্যরা। ওইদিন দুপুরের দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী একতা পরিবহনে অভিযান চালিয়ে রমজান আলী ও বনী ইসরায়েলকে ১শ গ্রাম হেরোইনসহ আটক করে।  র‌্যাবের ডিএডি (নায়েব সুবেদার) ইউসুফ আলী বাদী হয়ে সলঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার শুনানি শেষে আদাল আজ আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
০৯ মে, ২০২৪

সোহেল চৌধুরী হত্যা / আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন
দীর্ঘ ২৫ বছর আগে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আবদুল আজিজসহ তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্ত্তী এ রায় ঘোষণা করেন। তবে শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনসহ ৬ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। দণ্ডিত অপর দুজন হলেন-আদনান সিদ্দিকী, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম। খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, ফারুক আব্বাসী, ও আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য এদিন ধার্য করেন।  ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এই হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথাকাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান। আসামিদের মধ্যে আদনান খুনের পরপরই ধরা পড়েছিলেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।  ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ওই বছরই আসামিদের মধ্যে একজন হাইকোর্টে আবেদন করেন।  আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সাল থেকে দীর্ঘ ১৯ বছর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটি স্থগিত ছিল। এ মামলার বিচার চলাকালীন ট্রাইব্যুনাল ৩৮ জনের মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। 
০৯ মে, ২০২৪

জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে পরকীয়ার জেরে হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীসহ পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রোববার (৫ মে) দুপুরে জয়পুরহাট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার পর পুলিশ পাহারায় তাদের জয়পুরহাট কারাগারে নেওয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল (পিপি) ও এপিপি গকুল চন্দ্র মন্ডল রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল শেখপাড়া গ্রামের মরিয়ম বেগম ওরফে রেখা ও তার স্বামী সাহাদুল ইসলাম, মৃত ইনারী সর্দারের পুত্র আ. রাজ্জাক, মৃত রইচ উদ্দীনের পুত্র মোজাহার আলী এবং মৃত সামছুদ্দীনের পুত্র রেজাউল ইসলাম। আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল গ্রামের আলতাব মন্ডলের ছেলে নুরুন্নবী ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে নুরুন্নবীর শ্বশুরবাড়িসহ বিভিন্ন জায়গার খোঁজখবর নিয়েও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ওই বছরের ২০ নভেম্বর ক্ষেতলাল উপজেলার দক্ষিণ হাটশহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের কবরস্থানের পুরাতন একটি কবরে নুরুন্নবীর মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য নুরুন্নবীর লাশ জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায়  নুরুন্নবীর পিতা আলতাব মন্ডল অজ্ঞাত আসামি করে ক্ষেতলাল থানায় হত্যা মামলা করেন। থানা পুলিশের পর তদন্তে নামে জয়পুরহাট গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান তদন্ত করে ২০০৭ সালের ৩০ জুন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে ৫ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামি মরিয়ম বেগম ওরফে রেখার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন নুরুন্নবী। এ কারণে আসামিরা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ পুরাতন কবরে লুকিয়ে রাখে।
০৫ মে, ২০২৪

নারায়ণগঞ্জে গণধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গৃহবধূ গণধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি মোক্তারকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শনিবার (৪ মে) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি সনদ বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে শুক্রবার (৩ মে) রাতে খাগড়াছাড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১১ ও র‌্যাব-৭ এর আভিযানিক দল। গ্রেপ্তার প্রধান আসামি মো. মোক্তার (২৫) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ছোনার গ্রামের শুক্কুর আলীর ছেলে। মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, রূপগঞ্জ উপজেলার ভিকটিম ও তার স্বামী উভয়ই পেশায় শ্রমিক। ভিকটিমের স্বামী ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ভাড়া বাসায় তার স্ত্রীকে রেখে কাজে চলে যান। বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে ভিকটিমকে একা পেয়ে সন্ধ্যায় আসামি মোক্তার (২৫) ও তার সহযোগীরা মিলে ভিকটিমের ঘরে প্রবেশ করে এবং পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে আসামিরা ভিকটিমকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।  র‌্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি সনদ বড়ুয়া জানান, গত ১৫ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ জেলার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল আসামি মোক্তার (২৫), ও খোকা (৩০) কে রূপগঞ্জ থানায় দায়ের করা একটি গণধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন। উভয় আসামি দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি বলেন, আদালতের রায় ঘোষণার পর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি খোকাকে র‌্যাব-১১ এর আভিযানিক দল গ্রেপ্তার করলেও প্রধান আসামি মোক্তার পলাতক ছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১১ ও র‌্যাব-৭ এর যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
০৫ মে, ২০২৪
X