গাজায় যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান ঐক্য পরিষদের 
আন্তর্জাতিক শান্তি ও সৌহার্দ্যের বন্ধনকে অধিকতর দৃঢ় করার স্বার্থে গাজায় ইসরায়েলের পরিচালিত হামলা বন্ধে ও মানবিক বিপর্যয় রোধে অনতিবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে জাতিসংঘসহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সংগঠনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।  পরিষদের সভাপতিত্রয় সাবেক সাংসদ ঊষাতন তালুকদার, অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক ও নির্মল রোজারিও এবং সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. রাণা দাশগুপ্ত এক বিবৃতিতে বলেন, ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের ইসরায়েলে হামলার প্রতিক্রিয়ায় যে সর্বনাশা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল, তাতে ইতোমধ্যে মনুষ্যত্ব ও মানবিকতা বিপর্যস্ত হয়েছে।  এই যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের আরো কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়লে তাতে গোটা বিশ্বের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজ জীবন ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে। এহেন পরিস্থিতি রোধে অনতিবিলম্বে সামগ্রিক যুদ্ধের অবসানে এবং স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা পালন বিশ্ব নেতৃবৃন্দের দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি।
১৯ অক্টোবর, ২০২৩

ল্যাভরভের সৌজন্য সাক্ষাৎ / রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত বন্ধের উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যুদ্ধ বন্ধ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। গতকাল শুক্রবার সকালে গণভবনে সফররত রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার ৩ লাখ টন গম আমদানি চুক্তি ছাড়াও সার আমদানির বিষয়েও দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির উপায় খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জ্বালানি চাহিদা পূরণে রাশিয়ার সহযোগিতার আশ্বাস দেন। শেখ হাসিনা বলেন, কভিড মহামারি, যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞার ফলে সৃষ্ট খাদ্যশস্য, সার, জ্বালানি সংকটে আফ্রিকাসহ স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো যে অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে পড়েছে, তা বিশেষভাবে বিবেচনা করতে হবে। এ সময় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থানের প্রশংসা করে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান ভারসাম্যপূর্ণ এবং দায়িত্বশীল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’—পররাষ্ট্রনীতির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ নীতিকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে সার্বিক উন্নয়নে সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করছে বাংলাদেশ। সেইসঙ্গে মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানো এবং যুদ্ধপরবর্তী সময়ে চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে মাইন অপসারণে রাশিয়ার অবদানের কথা স্মরণ করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত এবং পরীক্ষিত বন্ধু। দুই দেশের সম্পর্ককে আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। প্রধানমন্ত্রী রাশিয়াকে বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানান। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদার। তৈরি পোশাকের পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে আর কোন কোন পণ্য আমদানি করা যায়, রাশিয়া সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে জানিয়ে তিনি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়ার অনুরোধ করেন। এ ছাড়া বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেক পার্কে সুনির্দিষ্ট বিনিয়োগ প্রস্তাব দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি। বৈঠকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সর্বশেষ অগ্রগতি ও প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রথম ধাপে পারমাণবিক জ্বালানি আসবে। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করার আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে আরও ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব জিয়াউল হাসান, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান ও রাশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান।
০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X