গণতন্ত্র-উন্নয়নে শেখ হাসিনা বিশ্বে রোল মডেল : রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেওয়া যুগান্তকারী কর্মসূচিতে বিশ্বে আজ তিনি রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। তিনি জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি তিনি। শুক্রবার (১৭ মে) আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে দেশে প্রত্যাবর্তন করে আমাদের সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখিয়েছেন, আর তারই সুযোগ্য উত্তরসূরি গণতন্ত্রের মানসকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে প্রত্যাবর্তনের পর বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করে তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।   তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এরই মধ্যে আমরা পেয়েছি ডিজিটাল বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতেও সক্ষম হব, ইনশাআল্লাহ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে সপরিবারে শাহাদতবরণ করেন। এ সময় তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু তারা দেশে ফিরতে পারেন নাই। পরিবারের সঙ্গে শেষ দেখাটাও তাদের ভাগ্যে জোটেনি। বাবা, মা ও ভাইসহ আপনজনদের হারানোর বেদনাকে বুকে ধারণ করে পরবর্তী ছয় বছর তাদের লন্ডন ও দিল্লিতে চরম প্রতিকূল পরিবেশে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয়েছে। মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ১৯৮১ সালে ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি, ইডেন হোটেলে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ত্রয়োদশ জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এটি ছিল আওয়ামী লীগের তৎকালীন নেতাদের এক দূরদর্শী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। রাষ্ট্রপতি বলেন, নানা উৎকণ্ঠা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও ১৯৮১ সালের ১৭ মে ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাতে লাখো মানুষের ঢল নামে। মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, সেদিন বাংলার জনগণের অকৃত্রিম ভালোবাসায় তিনি (শেখ হাসিনা) সিক্ত হন। আবেগাপ্লুত কণ্ঠে সেদিন তিনি বলেন, ‘সব হারিয়ে আজ আপনারাই আমার আপনজন। ...... বাংলার মানুষের পাশে থেকে মুক্তির সংগ্রামে অংশ নেওয়ার জন্য আমি এসেছি। আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসেবে, মেয়ে হিসেবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই।  তিনি বলেন, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি অনন্য মাইলফলক। তার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়। রাষ্ট্রপতি বলেন, শেখ হাসিনা দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ এর গণআন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন হয়, বিজয় হয় গণতন্ত্রের। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়।   বিভিন্ন ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা সরকারের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সময় পাহাড়ি-বাঙালি দীর্ঘমেয়াদি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বন্ধে পার্বত্য শান্তিচুক্তি এবং প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কুখ্যাত ইনডেমনিটি আইন বাতিলের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ সুগম হয়। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে তার নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসে এবং জনগণের কল্যাণে নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় কার্যকর হয়। গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, নারীর ক্ষমতায়ন, বিদ্যুৎ তথ্যপ্রযুক্তি, গ্রামীণ অবকাঠামো, বৈদেশিক কর্মসংস্থানসহ নানা কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতর হয়। রাষ্ট্রপতি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সাধারণ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জোট সরকার পুনরায় ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম শুরু ও রায়ের বাস্তবায়নসহ সমুদ্রে বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা, ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত স্থল সীমানা নির্ধারণ তথা ছিটমহল বিনিময় চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে গণমানুষের কল্যাণে নিরলস প্রয়াস চালান।   ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জোট সরকার টানা তিনবার ক্ষমতায় এসে ইতিহাস সৃষ্টি করে। সরকার গঠন করে শেখ হাসিনা দেশ ও জনগণের কল্যাণে বিভিন্ন মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেন। শেখ হাসিনা হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির মূর্তপ্রতীক। এ ছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শেখ হাসিনার বিভিন্ন উদ্যোগ বাংলাদেশের জন্য বয়ে আনে অনন্য গৌরব ও স্বীকৃতি। এরই ধারাবাহিকতায় জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থনে টানা চতুর্থবারের মতো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে, যা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত। শেখ হাসিনা সরকারের নানা উন্নয়ন কাজের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং জনকল্যাণমুখী কার্যক্রমে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। ক্রমাগত প্রবৃদ্ধি অর্জনসহ মাথাপিছু আয় বাড়ছে, কমছে দারিদ্র্যের হার। নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতু, ঢাকার স্বপ্ন মেট্রোরেল ও কর্ণফুলী টানেল জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। এছাড়া হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজও নিরবচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, মহামারি করোনা ও বিশ্বে চলমান যুদ্ধবিগ্রহের প্রভাবে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োচিত ও সাহসী পদক্ষেপে সরকার অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে সরকারের নানামুখী আর্থসামাজিক ও বিনিয়োগধর্মী প্রকল্প, কর্মসূচি এবং কার্যক্রম গ্রহণের ফলে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। টেকসই উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে, ইনশাআল্লাহ। এ সময় তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সরকারের অব্যাহত সাফল্যসহ তার নিজের ও পরিবারের সব সদস্যের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু, সুখ-সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন। 
১১ ঘণ্টা আগে

বর্তমান সরকার শ্রমিকের কল্যাণ সাধনে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে : রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, শিল্প ও শ্রমবান্ধব বর্তমান সরকার শ্রমিকের সার্বিক কল্যাণ সাধন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। আগামীকাল বুধবার ‘মহান মে দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে দেওয়া আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের শ্রমজীবী-কর্মজীবী মেহনতি মানুষের ঐক্য, সংহতি, সংগ্রাম ও বিজয়ের দিন মহান মে দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। ‘মহান মে দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শ্রমজীবী মানুষকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’ রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বব্যাপী আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শ্রমজীবী মানুষের কঠোর পরিশ্রম, ত্যাগ ও ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে শ্রমিকের অধিকার ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে শ্রমিকের পেশাগত নিরাপত্তা ও সুস্থতা, শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক, উন্নত কর্মপরিবেশসহ শ্রমিকের সার্বিক অধিকার নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই। মহান মে দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক মালিক গড়ব দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ যথাযথ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ে সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরেই মে দিবসকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে দিনটিতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতকল্পে তিনি মজুরি কমিশন গঠন করেন এবং শ্রমিকদের জন্য নতুন বেতন কাঠামোর ঘোষণা দেন। ১৯৭২ সালে জাতির পিতার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সদস্যপদ লাভ করে এবং আইএলও’র ৬টি কোর কনভেনশনসহ ২৯টি কনভেনশন অনুসমর্থন করে। শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও অধিকার রক্ষায় যা ছিল এক অনন্য মাইলফলক। মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখতেন। তার সেই স্বপ্নপূরণের অন্যতম অনুষঙ্গ শ্রমজীবী মানুষের উন্নয়নে দলমত নির্বিশেষে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। শ্রমিক-মালিক সম্প্রীতি ও যৌথ প্রয়াস দেশের উন্নয়নকে আরও বেগবান করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’ তিনি বলেন, ‘টেকসই শিল্প ও বাণিজ্য খাত গড়তে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ, শ্রমিকের একাগ্রতা এবং শ্রমিক-মালিকের পারস্পরিক সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক নিশ্চিত করতে হবে। আমি আশা করি, শ্রমিক ও মালিকের ইতিবাচক ও অগ্রসরমান অংশগ্রহণের মাধ্যমে শ্রমক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা ও উৎপাদনশীলতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, স্বার্থ ও কল্যাণের সঙ্গে মহান মে দিবসের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাদের জীবনমান উন্নয়ন এবং ন্যায্য অধিকার রক্ষায় সকলে স্ব স্ব ক্ষেত্রে ঐকান্তিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন এ প্রত্যাশা করি।’ রাষ্ট্রপতি মহান মে দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশে পহেলা বৈশাখ এক অবিনাশী শক্তি : রাষ্ট্রপতি
বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও মুক্তিসাধনায় পহেলা বৈশাখ এক অবিনাশী শক্তি বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে শনিবার (১৩ এপ্রিল) দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি। রাষ্ট্রপতি বলেন, শুভ নববর্ষ-১৪৩১। পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির জীবনে একটি পরম আনন্দের দিন। আনন্দঘন এ দিনে আমি দেশে ও দেশের বাইরে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে জানাই বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা। রাষ্ট্রপতি বলেন, বৈশাখের আগমনে বেজে ওঠে নতুনের জয়গান। দুঃখ, জরা, ব্যর্থতা ও মলিনতাকে ভুলে সবাই জেগে ওঠে নব আনন্দে, নব উদ্যমে। ফসলি সন হিসেবে মুঘল আমলে যে বর্ষগণনার সূচনা হয়েছিল, সময়ের পরিক্রমায় তা আজ সমগ্র বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে। পহেলা বৈশাখের মাঝে বাঙালি খুঁজে পায় নিজস্ব ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও চেতনার স্বরূপ।  তিনি বলেন, বৈশাখ শুধু উৎসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের আত্মবিকাশ ও বেড়ে ওঠার প্রেরণা। বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও মুক্তিসাধনায় পহেলা বৈশাখ এক অবিনাশী শক্তি। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও গণতান্ত্রিক বিকাশে সংস্কৃতির এই শক্তি রাজনৈতিকতন্ত্রের চেতনাকে দৃঢ় ও বেগবান করে। মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবাই মিলে নাচ-গান, শোভাযাত্রা, আনন্দ-উৎসব, হরেক রকম খাবার ও বাহারি সাজে বৈশাখকে বরণ করে নেয় উৎসবপ্রেমী বাঙালি জাতি। নতুন বছরে যাত্রাপালা, পুতুলনাচ, লোকসংগীত, গ্রামীণ খেলাধুলা, মেলাসহ নানাবিধ বর্ণিল আয়োজন মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয় আনন্দ ও সম্প্রীতির নতুন বার্তা।  তিনি বলেন, ২০১৬ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। জাতীয় সংস্কৃতির এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জাতি হিসেবে বাঙালির জন্য পরম গৌরব ও মর্যাদার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্রদর্শন ও আদর্শের অন্যতম ভিত্তি ছিল দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশ ও জাতীয় চেতনার উন্মেষ। সেই চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কারারুদ্ধ জীবনে সহবন্দিদের নিয়ে নববর্ষ উদযাপন করেছিলেন।  রাষ্ট্রপতি বলেন, পহেলা বৈশাখ আমাদের উদার হতে শিক্ষা দেয় এবং জাতীয়তাবাদে অনুপ্রাণিত হয়ে বিশ্বমানবের সঙ্গে মিশে যাওয়ার শক্তি জোগায়। এই উদারনৈতিক চেতনাকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রদর্শন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আদর্শ এবং রাষ্ট্রভাষা চেতনার বহ্নিশিখা অন্তরে ধারণ করে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ হোক আজকের দিনে সবার অঙ্গীকার। তিনি আরও বলেন, সব অশুভ ও অসুন্দরের ওপর সত্য ও সুন্দরের জয় হোক। ফেলে আসা বছরের সব শোক-দুঃখ-জরা দূর হোক, নতুন বছর জাতীয় ও ব্যক্তিজীবনে নিয়ে আসুক অনাবিল সুখ ও সমৃদ্ধি- এ প্রত্যাশা করি।
১৩ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি
মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশে ও প্রবাসে বসবাসকারী সকল বাংলাদেশিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। আগামীকাল ১১ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ শুভেচ্ছা জানান। মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা ও সংযম পালনের পর অপার খুশি আর আনন্দের বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে সমাগত হয় পবিত্র ঈদুল ফিতর।’ ঈদুল ফিতরের শিক্ষা সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ- এ প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, ঈদের এ আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে সবার মাঝে, গ্রামগঞ্জে, সারা বাংলায়, সারা বিশ্বে। এ দিন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এক কাতারে শামিল হন এবং ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেন। ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি আর ঐক্যের বন্ধন। মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। এখানে হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি, কূপমণ্ডূকতার কোনো স্থান নেই। মানবিক মূল্যবোধ, সাম্য ও পারস্পরিক সহাবস্থান এবং পরমতসহিষ্ণুতাসহ বিশ্বজনীন কল্যাণকে ইসলাম ধারণ করে। ইসলামের এই সুমহান বার্তা ও আদর্শ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী নানাবিধ সংকটের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দাভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। বাংলাদেশেও এ মন্দার প্রভাব দৃশ্যমান। ফলে সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠী স্বাভাবিক জীবনধারণে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এ অবস্থায়, আমি সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিবর্গের প্রতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবাই ঈদের আনন্দ সমানভাবে উপভোগ করতে পারে। বাণীতে রাষ্ট্রপতি মানবতার মুক্তির দিশারি হিসেবে ইসলামের মর্মার্থ ও শাশ্বত বাণী ছড়িয়ে পড়ুক সর্বত্র, বিশ্ব ভরে উঠুক শান্তি আর সৌহার্দ্যে-পবিত্র ঈদুল ফিতরে এমন প্রত্যাশা করেন।
১০ এপ্রিল, ২০২৪

জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করবেন রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল সকালে হাইকোর্ট মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে প্রধান ঈদের জামাতে সর্বস্তরের মুসল্লিদের সাথে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। রাষ্ট্রপতি, তার পরিবারের সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সকাল সাড়ে ৮টায় মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের প্রধান ঈদের নামাজে অংশ নেবেন। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন । তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করা সম্ভব না হলে রাষ্ট্রপতি সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। সকাল ৮টা ২০ মিনিটে জাতীয় ঈদগাহে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাবেন প্রধান বিচারপতি, ধর্মমন্ত্রী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র এবং সংশ্লিষ্ট পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। নামাজ শেষে রাষ্ট্রপ্রধান ঈদগাহে মুসল্লিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদগাহে প্রতি বছরের মতো এবারও মহিলাদের জন্য নামাজের বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। নামাজ শেষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা পবিত্র ঈদ উপলক্ষে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বঙ্গভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে গণমাধ্যমের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছাও জানাবেন।
১০ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদের দিন শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বঙ্গভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, রাষ্ট্রপ্রধান সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর হাইকোর্টের সামনে জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করবেন। তিনি পরে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বঙ্গভবনে সব শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। এ উপলক্ষে বঙ্গভবনের ক্রেডেন্সিয়াল হলে গণমাধ্যমের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহ তথা সমগ্র দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাবেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন। প্রেস সচিব আরও জানান, বঙ্গভবনে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১৫০০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সিনিয়র রাজনীতিবিদ, বিচারক, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। দেশের আকাশে মঙ্গলবার কোথাও পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন হতে যাচ্ছে।
১০ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদের দিন বঙ্গভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বঙ্গভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা। মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর আগামী বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) পালিত হবে। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বলেন, রাষ্ট্রপ্রধান সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর হাইকোর্টের সামনে জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করবেন। তিনি পরে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বঙ্গভবনে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। তিনি বলেন, এ উপলক্ষে বঙ্গভবনের ক্রেডেন্সিয়াল হলে গণমাধ্যমের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহ তথা সমগ্র দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাবেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন। প্রেস সচিব বলেন, বঙ্গভবনে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১৫০০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সিনিয়র রাজনীতিবিদ, বিচারক, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
০৯ এপ্রিল, ২০২৪

শিক্ষামূলক কার্যক্রম হচ্ছে স্কাউট আন্দোলন : রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বছেলেন, শিশু, কিশোর ও যুবকদের জন্য একটি স্বেচ্ছাসেবী, অরাজনৈতিক ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম হচ্ছে স্কাউট আন্দোলন। স্কাউট আন্দোলনকে আরও সম্প্রসারিত ও বেগবান করার মাধ্যমে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ-স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্কাউট নেতৃবৃন্দকে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। সোমবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।   রাষ্ট্রপতি বলেন, ৫২তম বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস’ উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশ স্কাউটসের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বাংলাদেশ স্কাউটস দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট স্কাউটিং, স্মার্ট সিটিজেন’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে সময়োপযোগী হয়েছে বলে মনে করি। রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম হিসেবে স্কাউটের গুরুত্ব অপরিসীম। স্কাউটিং আনন্দের সঙ্গে শিক্ষাদানের মাধ্যমে শিশু কিশোরদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে দেশে স্কাউটিংয়ের সূচনা করেন এবং স্কাউটিংকে স্বীকৃতি দিয়ে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি করেন। রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রতিষ্ঠার ৫২ বছরে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্কাউটদের স্মার্ট, আত্মনির্ভরশীল ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে বাংলাদেশ স্কাউটস প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। স্কাউট আন্দোলনের এই ধারা অব্যাহত রাখতে নিরলস প্রচেষ্টা চালানোর জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি বলেন, স্কাউটিংয়ের মাধ্যমে আমাদের যুবসমাজকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশপ্রেমের মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত করতে হবে। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ-স্মার্ট স্কাউটিং দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘রূপকল্প ২০৪১’ ঘোষণা করেছেন। এ লক্ষ্য অর্জনে স্মার্ট স্কাউটিংয়ের মাধ্যমে যুবসমাজকে সৎ, আদর্শবান, স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে গড়ে তোলা এখন সময়ের প্রয়োজন। 
০৮ এপ্রিল, ২০২৪

স্বাস্থ্যসেবায় অভূতপূর্ব অর্জন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবায় অভূতপূর্ব অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘ থেকে ‘সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড’ এবং গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইম্যুনাইজেশন (গ্যাভি) থেকে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ খেতাব প্রাপ্তি দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করেছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিতে, কাজ করি একসাথে’ যথার্থ হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। সরকার মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার স্বাস্থ্য খাতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। এর ফলে জনগণের মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। মা ও শিশুদের টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ মডেল জাতিসংঘ কর্তৃক ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, সরকারের সময়োপযোগী ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে। মহামারি নিয়ন্ত্রণে দ্রুততম সময়ে মানুষকে টিকা প্রদান ও আক্রান্ত রোগীর ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রম নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। রাষ্ট্রপতি বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে সাফল্যের ধারাবাহিকতায় সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে বৈশ্বিক অঙ্গীকারের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। এ লক্ষ্য অর্জনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশে স্বাস্থ্য খাতে সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
০৭ এপ্রিল, ২০২৪

লাইলাতুল কদর মানবজাতির অত্যন্ত বরকত ও পুণ্যময় রজনী : রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মহিমান্বিত রজনী পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়েছেন। আগামীকাল (৬ এপ্রিল) পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি একথা বলেন। সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘পবিত্র লাইলাতুল কদর মানবজাতির জন্য অত্যন্ত বরকত ও পুণ্যময় রজনি। অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ এ রাতকে হাজার মাসের চেয়েও উত্তম হিসেবে ঘোষণা করেছেন। মানুষের ক্ষণস্থায়ী জীবনে হাজার মাসের চেয়েও বেশি ইবাদতের পুণ্য লাভের সুযোগ এনে দেয় এ রাত।’ মহিমান্বিত এই রজনীতে মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মার জন্য মাগফেরাত ও কল্যাণ কামনা করে  মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের অপার সুযোগ নিয়ে বরকতময় পবিত্র শবেকদর আমাদের মাঝে সমাগত।’ তিনি বলেন, ‘পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ আল-কুরআন লাইলাতুল কদরে নাযিল হয়। এ বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন, নিশ্চয়ই আমি তা (কুরআন) অবতীর্ণ করেছি কদরের রাতে। তাই মুসলিম উম্মার নিকট শবে কদরের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফজিলত অত্যধিক। এই মহিমান্বিত রজনি সকলের জন্য ক্ষমা, বরকত, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ বয়ে আনুক-মহান আল্লাহর দরবারে এ প্রার্থনা করি।’       রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামের সুমহান আদর্শ আমাদের পাথেয়। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে করোনা মহামারি, সংঘাত, যুদ্ধবিগ্রহ, অভাব-অনটনসহ নানা কারণে হাজার হাজার মানুষ অসহায় অবস্থায় দিনাতিপাত করছে।’ তিনি বলেন, ‘আসুন শবে কদরের এই পবিত্র রজনিতে আমরা এ সকল সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করি। আমি পরম করুণাময় আল্লাহর নিকট অশেষ রহমত ও বরকত কামনার পাশাপাশি দেশের অব্যাহত অগ্রগতি ও কল্যাণের জন্য প্রার্থনা জানাই। সমগ্র বিশ্ব মানবজাতির জন্য শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ হয়ে উঠুক। মহান আল্লাহ আমাদের প্রার্থনা কবুল করুন, আমিন।’
০৫ এপ্রিল, ২০২৪
X