কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৯ পিএম
আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশে পহেলা বৈশাখ এক অবিনাশী শক্তি : রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। পুরোনো ছবি
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। পুরোনো ছবি

বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও মুক্তিসাধনায় পহেলা বৈশাখ এক অবিনাশী শক্তি বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে শনিবার (১৩ এপ্রিল) দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, শুভ নববর্ষ-১৪৩১। পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির জীবনে একটি পরম আনন্দের দিন। আনন্দঘন এ দিনে আমি দেশে ও দেশের বাইরে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে জানাই বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বৈশাখের আগমনে বেজে ওঠে নতুনের জয়গান। দুঃখ, জরা, ব্যর্থতা ও মলিনতাকে ভুলে সবাই জেগে ওঠে নব আনন্দে, নব উদ্যমে। ফসলি সন হিসেবে মুঘল আমলে যে বর্ষগণনার সূচনা হয়েছিল, সময়ের পরিক্রমায় তা আজ সমগ্র বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে। পহেলা বৈশাখের মাঝে বাঙালি খুঁজে পায় নিজস্ব ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও চেতনার স্বরূপ।

তিনি বলেন, বৈশাখ শুধু উৎসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের আত্মবিকাশ ও বেড়ে ওঠার প্রেরণা। বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও মুক্তিসাধনায় পহেলা বৈশাখ এক অবিনাশী শক্তি। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও গণতান্ত্রিক বিকাশে সংস্কৃতির এই শক্তি রাজনৈতিকতন্ত্রের চেতনাকে দৃঢ় ও বেগবান করে।

মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবাই মিলে নাচ-গান, শোভাযাত্রা, আনন্দ-উৎসব, হরেক রকম খাবার ও বাহারি সাজে বৈশাখকে বরণ করে নেয় উৎসবপ্রেমী বাঙালি জাতি। নতুন বছরে যাত্রাপালা, পুতুলনাচ, লোকসংগীত, গ্রামীণ খেলাধুলা, মেলাসহ নানাবিধ বর্ণিল আয়োজন মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয় আনন্দ ও সম্প্রীতির নতুন বার্তা।

তিনি বলেন, ২০১৬ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। জাতীয় সংস্কৃতির এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জাতি হিসেবে বাঙালির জন্য পরম গৌরব ও মর্যাদার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্রদর্শন ও আদর্শের অন্যতম ভিত্তি ছিল দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশ ও জাতীয় চেতনার উন্মেষ। সেই চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কারারুদ্ধ জীবনে সহবন্দিদের নিয়ে নববর্ষ উদযাপন করেছিলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, পহেলা বৈশাখ আমাদের উদার হতে শিক্ষা দেয় এবং জাতীয়তাবাদে অনুপ্রাণিত হয়ে বিশ্বমানবের সঙ্গে মিশে যাওয়ার শক্তি জোগায়। এই উদারনৈতিক চেতনাকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রদর্শন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আদর্শ এবং রাষ্ট্রভাষা চেতনার বহ্নিশিখা অন্তরে ধারণ করে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ হোক আজকের দিনে সবার অঙ্গীকার।

তিনি আরও বলেন, সব অশুভ ও অসুন্দরের ওপর সত্য ও সুন্দরের জয় হোক। ফেলে আসা বছরের সব শোক-দুঃখ-জরা দূর হোক, নতুন বছর জাতীয় ও ব্যক্তিজীবনে নিয়ে আসুক অনাবিল সুখ ও সমৃদ্ধি- এ প্রত্যাশা করি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রদলের দুই নেতাসহ আটক ৪

আজ ঢাকার আবহাওয়া যেমন থাকবে

দুই ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার

আজ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন

হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে ব্যবসায়ী লিপি ভরসা

ফ্রিতেই চলাচল করা যাচ্ছে মেট্রোরেলে

ক্লাবে তখন কনসার্ট চলছিল, মুহূর্তেই ৫৯ জনের মৃত্যু

২৭ মার্চের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু

পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক আজ

বায়ুদূষণে শীর্ষে লাহোর, ঢাকার কী পরিস্থিতি

১০

যুক্তরাষ্ট্র-হুতি সংঘাত: কয়েক সপ্তাহ চলতে পারে হামলা

১১

স্বামীকে আটকে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫

১২

১৭ মার্চ : ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

১৩

২৭ মার্চের ট্রেনের টিকিট বিক্রি আজ

১৪

১৭ মার্চ : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৫

অবিশ্বাস্য কামব্যাকে অ্যাথলেটিকোর বিপক্ষে বার্সার দুর্দান্ত জয়

১৬

দৌলতদিয়া নিষিদ্ধ পল্লির নেত্রী স্বামীসহ গ্রেপ্তার

১৭

এমআরটি পুলিশ সদস্যদের দ্বারা লাঞ্ছিত, কর্মবিরতির ঘোষণা মেট্রোরেল কর্মীদের

১৮

লিভারপুলকে হারিয়ে ৭০ বছরের অপেক্ষার অবসান নিউক্যাসলের

১৯

ইনকিলাব মঞ্চের নামে ফাঁদ পেতে ধরা কর কর্মকর্তা রেজাউল

২০
X