সরকারের ইচ্ছাতে জনপ্রতিনিধি হচ্ছে : রিজভী
উপজেলা নির্বাচন সম্পূর্ণ ভুয়া ও জালিয়াতি উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এই নির্বাচনে জনগণের কোনো ভূমিকা নেই। এ নির্বাচন জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করার নির্বাচন। এখন প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছামতো উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সমর্থনে রাজধানীর শান্তিনগর বাজার এলাকায় সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন। আজকে যারা ক্ষমতায় আছেন তারা দখলদার সরকার—এমন অভিযোগ করে রিজভী বলেন, এদের জনগণের কোনো ম্যান্ডেট নেই, এরা জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি নয়। তাই এদের জনগণের ভোটের কোনো প্রয়োজন পড়ে না।  রিজভী বলেন, এখানে নির্বাচনের নামে শুধু আনুষ্ঠানিকতা, শুধু একটা প্রহসন। সরকার বাংলাদেশকে একটি লুটপাটের দেশ বানাতে চাচ্ছে। দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছেন আওয়ামী লীগের লোক, ক্ষমতাসীন দলের আত্মীয়স্বজন। আজকে দুবাইয়ে ৩৯৪টি বাড়ির খবর পাওয়া গেছে। প্রকল্প ব্যাংক পদ্মা সেতু লুটের টাকা দিয়েই তারা আজ বিদেশে বাড়ি করছে।  বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতরে কী হচ্ছে জানতে দেওয়া হচ্ছে না এমন অভিযোগ তুলে রিজভী বলেন, ব্যাংকে ঢুকতে সাংবাদিকদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সাংবাদিকরা ঢুকে যাতে কোনো তথ্য জানতে না পারে সেই ব্যবস্থা করেছে ব্যাংক। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সহসম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, সদস্য আমিনুল ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাদরেজ জামান, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সাবেক সহসভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, তারেক উজ জামান তারেক, হুমায়ুন কবির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সাদেক আহসান, ঢাবি ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ, ঢাকা উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব সজীব রায়হান, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক শাহ পরান, যুবদল নেতা মন্জুর রহমান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা মিরাজ হোসেন, আশরাফুল আসাদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা এসএম. আল মাহমুদ দিপু, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা মুরাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইব্রাহীম চৌধুরীসহ নেতারা।
১৬ মে, ২০২৪

বাংলাদেশ ব্যাংকের থলের বিড়াল বের হতে শুরু করছে : রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সাংবাদিকরা যেন জানতে না পারে, সেজন্য তাদেরকে ঢুকতে বিধিনিষেধ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন বোঝা যাচ্ছে কি ধরনের সর্বনাশ হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকে। থলের বিড়াল এখন আস্তে আস্তে বের হতে শুরু করছে। বুধবার (১৫ মে) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সমর্থনে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন। জনগণের প্রতি বিএনপির পক্ষ থেকে আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, আমরা একটি কঠিন সংকটের মধ্যে দিন যাপন করছি। আমাদের কথা বলার স্বাধীনতা নেই, চলাচলের স্বাধীনতা নেই। সভা সমাবেশ করতে পারি না। এক কঠিন ভয়াবহ মধ্যে দেশ নিপতিত হয়েছে। আর্থিক অবস্থা চরম সংকটাপন্ন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকের রিজার্ভ এসে দাঁড়িয়েছে ১৩ বিলিয়ন ডলার। আমদানি করার জন্য যে টাকা দরকার সে টাকা আমাদের নেই। এমন এক পরিস্থিতির মধ্যে সবাইকে দিনযাপন করতে হচ্ছে। ইসরায়েলের সাথে বিএনপির তলেতলে সম্পর্ক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, আমরা তো যুগ যুগ ধরে ফিলিস্তিনের নির্যাতিতের পক্ষে কথা বলে আসছি। আর ইজরায়েলের প্লেন বাংলাদেশে নেমে কি দিয়ে গেছে সরকারকে? এটা তো মানুষের প্রশ্ন। আপনি এই ধরনের কথা বলেন জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্নদিকে সরানোর জন্য। আজ বাংলাদেশ ব্যাংকে কী হচ্ছে সেটা কি আপনি বলতে পারবেন? আপনারা সবই জানেন সবই বোঝেন। আপনাদের মধ্যে যে অনাচার, লুটপাট, ষড়যন্ত্র চলছে, তা থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরানোর জন্য বিভ্রান্তিমূলক কথা বলে যাচ্ছেন। কীভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা হ্যাক করে অন্য দেশে চলে গেছে এমন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছিলেন ‌‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ভিতরে কোনো ঘটনা ঘটেছে’। সেইটা আস্তে আস্তে প্রতিদিন ফুটে উঠছে। ভয়ংকর পরিস্থিতি বাংলাদেশ ব্যাংকে। যে ব্যাংকে দেশের মানুষের আমানত সঞ্চয় নিরাপত্তায় থাকে আজ সেই ব্যাংকে কি ঘটনা ঘটেছে। সেগুলো যাতে সাংবাদিকরা না জানতে পারে, সেজন্য তাদেরকে ঢুকতে বিধিনিষেধ দিয়েছে ব্যাংক। এখন বোঝা যাচ্ছে কী ধরনের সর্বনাশ হয়েছে ব্যাংক থেকে। থলের বিড়াল এখন আস্তে আস্তে বের হতে শুরু করছে। এগুলো ঢাকানোর জন্যই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ওবায়দুল কাদের সাহেবরা বিভিন্ন ধরনের কথা বলে যাচ্ছেন। বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি করছেন।  আওয়ামী লীগ ভিতরে ভিতরে এক কাজ করেন আর জনগণকে অন্য কথা শোনান এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ডোনাল্ড লু দেখলাম সরকারের এক উপদেষ্টার বাসায় ডিনার করলেন। অথচ ওবায়দুল কাদের সাহেবরা কত কথাই না বলেন। জানতে পারলাম মার্কিন কোম্পানিগুলোর ঋণ পরিশোধ করার জন্যই ডোনাল্ড লু চাপ দিয়েছেন। সুতরাং ডোনাল্ড লুর হাত পা ধরা, অনুনয় বিনয় করছেন সরকারের লোকজন। এ ধরনের দ্বিচারিতা আর ভণ্ডামি ধরেই সরকার জোর করে ক্ষমতায় আছে। বর্তমান সরকারকে লুটেরা সরকার মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই লুটেরা যতদিন ক্ষমতায় আছে ততদিন দেশের মানুষের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। ক্ষমতাচ্যুত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের করে জনগণ যাকে ভোট দেবে সেই জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবে। এর ফলে দেশের শক্তি ও নিরাপত্তা পারবে। মামু আর খালুদের নির্বাচন হচ্ছে উপজেলা নির্বাচন এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যাবে না। প্রথম দফায় কেউ ভোট দিতে যায়নি এবারও যাবে না। যে সরকার জনগণের অধিকার, ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সেই সরকারের অধীনে যে উপজেলা নির্বাচন, সে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যাবে না। জনগণ ভোট বর্জন করবে এমন আশাবাদী রিজভী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, অর্থনৈতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও মিডিয়া সেলের সদস্য শাম্মী আক্তার, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুর রহমান, সাদরেজ জামান, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক পাটোয়ারি, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তারেক উজ জামান তারেক, ওমর ফারুক কাওসার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেক হাসান, ঢাবি ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন, ঢাকা উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব সজীব রায়হান, তিতুমীরের যুগ্ম সম্পাদক মো. রাকিবুল ইসলাম, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক শাহ পরানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
১৫ মে, ২০২৪

ডোনাল্ড লু’র সফরে সরকার অস্থিরতায় ভুগছে : রিজভী
মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র সফরে সরকার নার্ভাস হয়ে অস্থিরতায় ভুগছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।  মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহ্বানে লিফলেট বিতরণ শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় দ্বিতীয় দফা উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানান তিনি। রুহুল কবির রিজভী বলেন, সবদিক থেকে বাংলাদেশ ধ্বংসের কিনারায় এসে পৌঁছেছে। কারণ বর্তমান সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে আছে। সুষ্ঠু ভোটে তারা বিশ্বাস করে না। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ধ্বংস করে জোর করে ক্ষমতায় আছে তারা। মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র সফরকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতারা কিছু না বললেও ওবায়দুল কাদের সাহেবরা খুব উত্তেজনার ভেতরে আছেন। তাদের উত্তেজনা কোনোভাবেই প্রশমিত হচ্ছে না। ওবায়দুল কাদের সাহেবরা নার্ভাস হয়ে মানসিক অস্থিরতায় ভুগছেন। ভয়ে তারা প্রলাপ বকছেন। তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির নেতারা মনে করেন ডোনাল্ড লু এসে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে যাবেন সেই আশায় আছে। কিন্তু বিএনপির নেতারা কোথাও এ বিষয়ে কিছু বলেননি। ওবায়দুল কাদের সাহেবরা ভয় থেকে প্রলাপ বকছেন। তিনি জ্বরে ভুগছেন কি না। মনে হয় তিনি বড় ধরনের অস্থিরতায় আছেন।  রিজভী বলেন, সরকার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেন, অথচ ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ ২৫/২৬ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে তারা গ্রেপ্তার করেছিল। সে নির্বাচনে অন্যকোনো দল অংশ নেয়নি। জনগণও তাদের ভোট দিতে যায়নি। গোটা বাংলাদেশকে কারাগারে পরিণত করে এখন জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য নানা কথা বলছেন। তিনি বলেন, সবদিক থেকে বাংলাদেশ ধ্বংসের কিনারায় এসে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন, ‘আমার কর্মজীবনে অর্থনীতির এমন খারাপ অবস্থা দেখিনি।’ জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক ইলাহী বলেছেন, ‘বর্তমান অর্থনীতি ধ্বংসের জন্য পশ্চিমারা ষড়যন্ত্র করছে।’ তাদের এরকম বক্তব্যে বোঝা যায় দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। সুতরাং জনগণকে মিথ্যা বলে বিভ্রান্ত করা যাবে না। তাদের প্রত্যেকটি কাজ হচ্ছে অবৈধ। এতে জনগণের রায় নেই।  এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, রংপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, অর্থনৈতিকবিষয়ক সহসম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, কাজী রফিক, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব মো. আব্দুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসভাপতি অধ্যাপক ইমতিয়াজ বকুল, সহসভাপতি ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাদরাজ জামান, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি তারেক উজ জামান তারেক, ওমর ফারুক কাওসার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, ঢাবি ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোমিনুল হক জিসান, যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেনসহ নেতারা। 
১৪ মে, ২০২৪

আবারও সংঘাতের নাটক করছে সরকার : রিজভী
আবারও সরকার সংঘাতের নাটক করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রোববার (১২ মে) বিকেলে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি। রুহুল কবির রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশ পরিচালনায় সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ ও জনবিচ্ছিন্ন। ভোটারবিহীন সরকার দিনে দিনে অস্থির বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গত বছরের ২৮ অক্টোবর জনগণের মহাসমাবেশ লন্ডভন্ডের মাধ্যমে যেভাবে পরিকল্পিতভাবে সংঘাত সৃষ্টি করে বিরোধীদলের ওপর দমনাভিযান চালিয়েছে, একই কায়দায় শনিবার যুবদলের সমাবেশের দিনে গোয়েন্দা সংস্থা ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় পলিথিন ব্যাগের মধ্যে ককটেল বিস্ফোরণের নাটক সাজানো হয়েছে।  তিনি বলেন, গত বুধবার ‘আওয়ামী লীগ ভার্সেস আওয়ামী লীগ’ উপজেলা নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র বর্জনের মাধ্যমে জনগণ শেষ পেরেক ঠুকে দেওয়ার পর সরকার আরও উদ্ভ্রান্ত হয়ে গেছে। উপজেলার মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে একেবারেই জনপ্রিয়তা শূন্য হয়ে গেছে আওয়ামী লীগ। একটি দল নিজের কর্মদোষে ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন হওয়ার এটা বড় লক্ষণ।  রিজভী বলেন, গত শুক্রবার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের হুংকার দিয়ে বলেছিলেন, ‘বিএনপি আবার নৈরাজ্য করলে আগে তো একটা শিক্ষা দিয়েছি, এবার ডাবল শিক্ষা দেব। আমরা বসে নেই।’ ওবায়দুল কাদের সাহেবের ডাবল শিক্ষা দেওয়ার ঘোষণার পরই আওয়ামী নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও অরাজকতা করার এজেন্টরা মাঠে নেমেছে। তারাই নয়াপল্টনে পলিথিনের ভেতর ককটেল রেখে এক ভবঘুরে কিশোরকে আহত করেছে। তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় পুলিশ। তারা পরিকল্পিতভাবে আরও নৈরাজ্য সহিংসতা করতে পারে বলে জনগণ সন্দেহ করছে। তিনি বলেন, নিপীড়ন-নির্যাতনের মাধ্যমে বিরোধী দলকে নির্মমভাবে দমন করবার জন্য, নিজেরাই নৈরাজ্য-সন্ত্রাসের মাধ্যমে একটি পরিকল্পিত অরাজকতা সৃষ্টি করছে জনবিচ্ছিন্ন সরকার। উদ্দেশ্য হলো- বিদ্যমান পরিস্থিতির ফায়দা লুটে, বিএনপি তথা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তির ওপর হামলা-মামলা ও গণগ্রেপ্তার অব্যাহত রাখা।  বেগম খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ জানিয়ে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানান রিজভী। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দীন, চাঁদপুর জেলা বিএনপির সহসভাপতি হুমায়ুন কবির প্রধানের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে তাদের মুক্তির আহ্বান জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মামুন হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল ইসলাম নয়ন, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, কামরুজ্জামান দুলাল, গোলাম মাওলা শাহিন প্রমুখ। 
১২ মে, ২০২৪

সাবেক মন্ত্রী হাইয়ের শয্যাপাশে রিজভী
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের অন্যতম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মুন্সীগন্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল হাই স্ট্রোকজনিত জটিলতায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বুধবার(৮ মে) সন্ধ্যায় তাকে দেখতে হাসপাতালে যান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। এ সময় বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ ও স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নেতারা অসুস্থ আবদুল হাইয়ের শয্যাপাশে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন ও তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।
০৮ মে, ২০২৪

ডামি সরকারকে যেন কেউ সমর্থন না করে: রিজভী
উপজেলা নির্বাচনে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এই উপজেলা নির্বাচনের ভোট হচ্ছে ডামি ভোট, প্রহসনের ভোট, জালিয়াতির ভোট। আমরা সবার প্রতি আহ্বান জানাই, সারা দেশে আপনাদের যারা আত্মীয়স্বজন, ভাইবোন আছেন সবাইকে বলবেন, কেউ যেন ভোটকেন্দ্রে না যায়। এই ডামি সরকারকে যেন কেউ সমর্থন না করে। গতকাল বনানীতে ভোটবর্জনের আহ্বান সংবলিত লিফলেট বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দলের সহ-অর্থনৈতিকবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন ও মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, ছাত্রদলের সাবেক নেতা ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, মহিলা দলের রেহানা সুলতানা আরজু, পান্না ইয়াসমীন প্রমুখ। রিজভী বলেন, একেকজন উপজেলা চেয়ারম্যান একশ বিঘা জমি ও কোটি কোটি টাকা অর্জন করেছেন বলে খবরে কাগজে এসেছে। এই কারণে জনগণ ও বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই ফের ডামি নির্বাচন করতে যাচ্ছে তারা।
০৮ মে, ২০২৪

বিএনপির আরও ৩ নেতা বহিষ্কার
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় আরও তিন নেতাকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। সোমবার (৬ মে) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের এ তথ্য জানানো হয়েছে। জানা গেছে, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় গঠনতন্ত্র মোতাবেক তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন- জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. নুর সালাম সরকার (ভাইস চেয়ারম্যান), নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সদস্য এম জাহাঙ্গীর হোসেন ভূইয়া (ভাইস চেয়ারম্যান) এবং গাইবান্ধা জেলা যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. তহিদুল আলম মন্ডল সুমন (চেয়ারম্যান)। এর আগে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা ও পুরুষ) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ৫ মে দল ও অঙ্গ সংগঠনের ৬১ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি।
০৬ মে, ২০২৪

আওয়ামী লীগ এখন শূন্য মুড়ির টিন : রিজভী
আওয়ামী লীগ এখন শূন্য মুড়ির টিন বলে মন্তব্য করেছেন বিএন‌পির সি‌নিয়র যুগ্ম মহাস‌চিব রুহুল ক‌বির রিজভী। তিনি বলেন, টিনের বাক্সে যদি মুড়ি না থাকে তাহলে সেই টিন ঝনঝন করে বেশি। তেমনি আওয়ামী লীগ এখন শূন্য মুড়ির টিন। এ কারণে আওয়ামী লীগের নেতারা ঝমঝম করে কথা বলছে। সোমবার (৬ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লা‌বের সাম‌নে হাবীব উন নবী খান সো‌হেল মু‌ক্তি প‌রিষ‌দের উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খা‌লেদা জিয়া, বিএন‌পির যুগ্ম মহাস‌চিব হাবিব উন নবী খান সো‌হেল, সেচ্ছা‌সেবক বিষয়ক সহ-সম্পাদক আব্দুল কা‌দির ভূইয়া জ‌ুয়েলসহ সব রাজবন্দির মিথ‌্যা মামলা প্রত‌্যাহার ও মু‌ক্তির দা‌বি‌তে অনুষ্ঠিত মানববন্ধ‌নে তি‌নি এসব কথা ব‌লেন। রিজভী ব‌লেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেশি কথা বলছেন, মনে হচ্ছে বিএনপির জন্য উনার খুব মায়া কান্না। বিএনপির ভাবনায় উনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। মুরগির বাচ্চার জন্য চিল যেমন মায়া কান্না করে ওবায়দুল কাদেরের কান্নাও সে রকম। তিনি (ওবায়দুল কাদের) মাঝে মাঝে আওয়াজ দেন বিএনপি নাকি দুর্বল হয়ে গেছে, বিএনপি ক্লান্ত, হতাশ, বিদেশ চলে যাচ্ছেন। তারা যে ভিতর থেকে ধসে গেছে, ভেঙে গেছে এটা চাপা দেওয়ার জন্যই তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রতিদিনই জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। মানুষ তিন বেলা খেতে পায় না। আজ মায়ের গর্ভ থেকে যে শিশুটা জন্মগ্রহণ করছে তার ঋণ হচ্ছে এক লক্ষ টাকারও বেশি। তারপরও তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ঋণ নিতে চাচ্ছেন। উপজেলা নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, সরকার আবার একটি ডামি নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজন যাতে না দাঁড়ায় সে জন্য কেন্দ্র থেকে নিষেধ করেছে। তারপরও মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনরা দাঁড়িয়েছে এবং তারা বলছে প্রধানমন্ত্রীরও তো ২০/২৫ জন আত্মীয়-স্বজন আছে। তারা যদি দাঁড়াতে পারে, তাহলে আমরা বাদ যাব কেন। এ নির্বাচনে জনগণ তো যাবেই না এবং অন্য কেউও চান্স পাবে না। কারণ অধিকাংশই আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীর আত্মীয়স্বজন এবং ব্যবসায়ীরা নমিনেশন কিনছে। দলের সংকট হলে তারা তো থাকবে না।  তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের আপনার দল যে শূন্য মুড়ির টিন হয়ে গেছে ওইটা আগে পূর্ণ করেন, তারপর বিএনপির কথা বলুন। বিএনপি দুর্বল নাকি হতাশ, এটা তো টের পান প্রতি মুহূর্তে। বিএনপিকে মোকাবিলা করার সাহস আওয়ামী লীগের নাই। এজন্য পুলিশ দিয়ে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় জনগণকে দমন করে জনগণের গলায় রশি দিয়ে আজ কথা বলছেন। ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভাঙা কলসি বাজে বেশি। আপনাদের আওয়ামী লীগ ভাঙা কলসি। তাই আপনারা বাজছেন বেশি করে। জনগণকে যা দেখিয়েছেন, যা বলেছেন সব মিথ্যা। ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু দেখান। এইবার বাজেটে লক্ষ কোটি টাকার ঋণ চাচ্ছেন কেন? যৌবনকে আরামে থাকতে দিচ্ছেন না কেনো? জনগণের গলায় পাড়া দিয়ে বিদ্যুতের বিল, গ্যাসের বিল, পানির বিল বাড়াচ্ছেন কেন? আজ দেশে গণতন্ত্রের শাসন নাই বলে, বৈধ সংসদ নাই বলে সরকার জনগণের টুঁটি চেপে ধরে বিদ্যুৎ গ্যাস পানি থেকে বেশি বিল নিচ্ছে, ট্যাক্স নিচ্ছে। তিনি বলেন, এ সরকার প্রকৃত পক্ষেই ব্যর্থ সরকার। ষড়যন্ত্রকারী সরকার। এ সরকার দেশের মানুষকে স্বস্তি দিতে আসেনি। তারা সাগর-রুনি হত্যার বিচার করতে পারেনি অথচ বিএনপি নেতা যদি কবরেও থাকে তার নামে মামলা দেয়। এ পরিস্থিতি চলতে দেওয়া যায় না। বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের অসুস্থ নেত্রী গণতন্ত্রের প্রতীক, গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে একেবারে সাজানো মামলায়। এমনকি তার উন্নত চিকিৎসার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিদেশে রাখা হয়েছে। তারপরও তিনি এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায়, জনগণকে তার মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেছেন আমার ক্ষমতার দরকার নাই জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরে আসুক। রিজভী আরও বলেন, যারা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ও অস্ত্র ধরছেন ইতিহাসে পাতায় তাদের নাম মীর জাফর হিসেবে লেখা থাকবে। আর যারা গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করছেন, জেলে যাচ্ছে, নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তাদের সিরাজউদ্দৌলার মতো দেশপ্রেমিক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখা থাকবে। ঢাকা মহানগর দ‌ক্ষি‌ণ স্বেচ্ছা‌সেবক দ‌লের সা‌বেক সধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম নো‌মা‌নের সভাপ‌তি‌ত্বে মানববন্ধ‌নে আরও বক্তব‌্য রা‌খেন- বিএন‌পির স্বেচ্ছা‌সেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহঅর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, ছাত্রদ‌লের সাধারণ সম্পাদক না‌ছির উদ্দিন না‌ছির, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা সাদরাজ্জামান, বর্তমান সহ-সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির জাহিদ প্রমুখ।
০৬ মে, ২০২৪

এই সরকারের আমলে জনগণ ভোট দিতে পারে না : রিজভী
বর্তমান সরকারের আমলে জনগণ ভোট দিতে পারে না মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচন করার পরে আবার উপজেলা নির্বাচন করছেন। এ নির্বাচনও ডামি। রোববার (৫ মে) রাজধানীর বেইলি রোডে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহবানে লিফলেট বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।  রিজভী বলেন, বর্তমানে দেশের জনগণ ভোট দিতে পারে না। তাদের পছন্দের প্রতিনিধি বানাতে পারে না। দেশের এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বর্তমান ডামি নির্বাচনের সরকার শেখ হাসিনা। তিনি এই পরিস্থিতি কেন করেছেন কারণ তিনি এদেশের সম্রাজ্ঞী হয়ে থাকতে চায়।  তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচন করার পরে শেখ হাসিনা আবার উপজেলা নির্বাচন করছেন। এ নির্বাচনও ডামি কারণ দেশের গণতান্ত্রিকামী কোনো দল এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। এ সময় তিনি দেশের সব জনগণকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা এই ডামি সরকারের অধীনে ডামি নির্বাচনে কেউ অংশগ্রহণ করবেন না এবং এখানে যারা উপস্থিত আছেন সবাই কোনো না কোনো উপজেলার বাসিন্দা আপনারাও কেউ এই ডামি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ডাক্তার জাহেদুল ক‌বির জাহিদ, যুবদলের সহসভাপতি জাকির সিদ্দিকী, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহেবুব মাসুম শান্ত, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা ফারুক কাওসার, ছাত্রদলের সাবেক নেতা ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়ালসহ বিএন‌পির অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
০৫ মে, ২০২৪

এ জে মোহাম্মদ আলীর শূন্যতা পূরণ হবার নয়: রিজভী
বরেণ্য আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে দেশের চলমান সংকটকালে আইনাঙ্গনে যে শূন্যতা তৈরি হলো তা সহজে পূরণ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শনিবার (৪ মে) বাদ জোহর ধানমন্ডিতে তাকওয়া মসজিদে সাবেক এটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলীর জানাজা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। পরে বিএনপির পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান প্রমুখ। রিজভী বলেন, মরহুম এ জে মোহাম্মদ আলী ছিলেন দেশের একজন খ্যাতিমান আইনজীবী। দীর্ঘদিন ধরে আইন অঙ্গনে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। আইনের শাসন, গণতন্ত্রের পক্ষে এবং ন্যায় বিচারের আন্দোলনের একজন স্বপক্ষের আইনজীবী ছিলেন তিনি। বর্তমান এ দুঃসময়ে তার মতো একজন প্রতিভাবান আইনজীবীর বড় প্রয়োজন ছিল। তার মতো একজন বরেণ্য ও বিজ্ঞ আইনজীবীকে হারিয়ে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। প্রসঙ্গত, গত ২ মে বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এ জে মোহাম্মদ আলী। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় তার লাশ দেশে আনা হয়। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান, অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (এ্যাব) সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু ও মহাসচিব আলমগীর হাছিন আহমেদসহ অনেকেই। নেতারা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। এদিকে কয়েক দফা জানাজা শেষে মরহুম এ জে মোহাম্মদ আলীকে শনিবার ৭টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে বলে জানান বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
০৪ মে, ২০২৪
X