রেলে নতুন নিয়োগের কথা জানালেন রেলপথমন্ত্রী
রেলপথমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, রেল কারখানায় দক্ষ লোকবল নেই। কারখানা চালানোর জন্য নতুন লোক নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে রেল কারখানাকে উন্নত করা হবে। বিএনপি সরকার গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে দক্ষ জনবলকে বিদায় করে রেলের ক্ষতি করেছে। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় রেলপথমন্ত্রী সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, রেলওয়ের প্রত্যেকটি কারখানার ক্যাপাসিটি অনেক। কিন্তু আমাদের সমস্যা হলো দক্ষ লোকবলের অভাব। দক্ষ জনবল তৈরি করা গেলে অনেক কিছু করতে পারব। আগে রেলে ব্রিজের গার্ডার তৈরি করা হতো। দক্ষ লোকবলের অভাবে তা তৈরি করতে পারছি না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চান রেলকে স্বাবলম্বী করতে। তাই রেল কারখানার যত মেশিনপত্র আছে, তা শতভাগ ব্যবহার করে রেলকে উন্নত করে গড়ে তোলা হবে। রেলে যে সমস্যা আছে তা রেলওয়ে কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সমাধান করা হবে। রেলওয়ের বেদখল জমি প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও বলেন, রেলের সম্পদ রাষ্ট্রের। কিছু দুর্বৃত্ত আছে তারা জমি দখলের মতো অবৈধ কাজ করছে। রেলওয়ের জমি যতটুকু প্রয়োজন তা উদ্ধার করা হবে। ইতোমধ্যে বেহাত জমির তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করা হয়েছে। আমরা ক্যাটাগরি করব। যারা বৈধভাবে লিজ নিতে চাইছে, তাদের লিজ দেওয়া হবে। আর অবৈধ দখলদারদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। মন্ত্রী রেলকে আধুনিক করার প্রশ্নে বলেন, প্রথমে মানুষগুলোকে স্মার্ট ও ভালো হতে হবে। মানুষ ভালো না হলে চেষ্টা করে কোনো কিছু করা যাবে না। রেলকে পরিবার ভেবে সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল ইসলাম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস) পার্থ সরকার, পশ্চিম রেলের জেনারেল ম্যানেজার অসীম কুমার তালুকদার, পশ্চিম রেলের প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী কুদরত-ই-খুদা, পশ্চিম রেলের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক প্রকৌশলী রাশেদ ইবনে আকবর, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ডিএস সাদেকুর রহমান, সৈয়দপুর উপজেলা আ. লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিন ও সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন প্রমুখ। মতবিনিময় শেষে মন্ত্রী রেলওয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে রেল কারখানার সমস্যা সমাধানে রেলওয়ের সব ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এর আগে মন্ত্রী পার্বতীপুর থেকে সড়কপথে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় আসেন। এ সময় তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। এরপর মন্ত্রী রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ, পেইন্ট, ফাউন্ডারি ও মেশিন শপ পরিদর্শন করেন।
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিনা কারণে ট্রেন থামালে ২০০০ টাকা জরিমানা : সংসদে রেলমন্ত্রী
বিনা কারণে শিকল টেনে ট্রেন থামানোর জরিমানা ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন সংশোধন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বুধবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এ তথ‌্য জানান। সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে রেলপথমন্ত্রী বলেন, রানিং ট্রেনে হোস পাইপ বিচ্ছিন্ন এবং শিকল টেনে ট্রেন থামানো প্রতিরোধকল্পে বিভিন্ন ট্রেনে টাস্কফোর্সের মাধ্যমে চেকিং কার্যক্রম অব্যাহত আছে। ট্রেনে চেইন টানার শাস্তি হিসেবে বর্তমানে ২০০ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। এ ধারা সংশোধনী এনে ইচ্ছাকৃতভাবে বা আইনগত কারণ ছাড়া চেইন টেনে সুবিধাজনক স্থানে ট্রেন থামালে অনূর্ধ্ব এক মাসের কারাদণ্ড বা অনধিক দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে রেলপথমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালের জানুয়ারি হতে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ রেলওয়েতে ১৪৩টি দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। রেলপথে লেভেল ক্রসিং গেটে অবৈধভাবে সড়কযানের অনুপ্রবেশের কারণে ২৬ জন এবং অন্যান্য দুর্ঘটনায় ১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা এগারসিন্দুর গোধূলি ট্রেনের সঙ্গে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। এতে ১৮ জনের প্রাণহানি হয়।  
২৫ অক্টোবর, ২০২৩
X