লাইলাতুল কদর মানবজাতির অত্যন্ত বরকত ও পুণ্যময় রজনী : রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মহিমান্বিত রজনী পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়েছেন। আগামীকাল (৬ এপ্রিল) পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি একথা বলেন। সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘পবিত্র লাইলাতুল কদর মানবজাতির জন্য অত্যন্ত বরকত ও পুণ্যময় রজনি। অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ এ রাতকে হাজার মাসের চেয়েও উত্তম হিসেবে ঘোষণা করেছেন। মানুষের ক্ষণস্থায়ী জীবনে হাজার মাসের চেয়েও বেশি ইবাদতের পুণ্য লাভের সুযোগ এনে দেয় এ রাত।’ মহিমান্বিত এই রজনীতে মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মার জন্য মাগফেরাত ও কল্যাণ কামনা করে  মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের অপার সুযোগ নিয়ে বরকতময় পবিত্র শবেকদর আমাদের মাঝে সমাগত।’ তিনি বলেন, ‘পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ আল-কুরআন লাইলাতুল কদরে নাযিল হয়। এ বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন, নিশ্চয়ই আমি তা (কুরআন) অবতীর্ণ করেছি কদরের রাতে। তাই মুসলিম উম্মার নিকট শবে কদরের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফজিলত অত্যধিক। এই মহিমান্বিত রজনি সকলের জন্য ক্ষমা, বরকত, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ বয়ে আনুক-মহান আল্লাহর দরবারে এ প্রার্থনা করি।’       রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামের সুমহান আদর্শ আমাদের পাথেয়। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে করোনা মহামারি, সংঘাত, যুদ্ধবিগ্রহ, অভাব-অনটনসহ নানা কারণে হাজার হাজার মানুষ অসহায় অবস্থায় দিনাতিপাত করছে।’ তিনি বলেন, ‘আসুন শবে কদরের এই পবিত্র রজনিতে আমরা এ সকল সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করি। আমি পরম করুণাময় আল্লাহর নিকট অশেষ রহমত ও বরকত কামনার পাশাপাশি দেশের অব্যাহত অগ্রগতি ও কল্যাণের জন্য প্রার্থনা জানাই। সমগ্র বিশ্ব মানবজাতির জন্য শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ হয়ে উঠুক। মহান আল্লাহ আমাদের প্রার্থনা কবুল করুন, আমিন।’
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

আগামীকাল পবিত্র লাইলাতুল কদর
যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে আগামীকাল শনিবার রাতে সারা দেশে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর পালিত হবে। বিশ্বজুড়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ রাতে মহান রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে পবিত্র লাইলাতুল কদর পালন করবেন। মহান আল্লাহতায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। লাইলাতুল কদর বা শবে কদর হচ্ছে বছরের শ্রেষ্ঠ রাত। এ রাতের ইবাদত হাজার বছরের চেয়ে উত্তম। এ রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র রমজান মাসের লাইলাতুল কদরে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। লাইলাতুল কদরে ইবাদত বন্দেগিতে মুমিন মুসলমানের জন্য করণীয় : * কোরআন তেলাওয়াত করা পবিত্র কোরআন এ রাতেই নাজিল হয় । তাই কোরআন তেলাওয়াত ও এর বিধান পালনের মাধ্যমেই এ রাত অতিবাহিত করা। কোরআন-সুন্নাহর অনুসরণে ইবাদত-বন্দেগিতে শেষ দশক অতিবাহত করা। * গোনাহ থেকে মাফ চাওয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহুকে আল্লাহর কাছে গোনাহ মাফের দোয়া শিখিয়েছিলেন। তাই মুমিন মুসলমান রমজানের শেষ দশকে এ দোয়া বেশি বেশি পড়বে- উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আ`ফুওয়ুন; তুহিব্বুল আ`ফওয়া; ফা`ফু আন্নি।’ অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালো বাসেন; অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন। (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত) * কল্যাণের দোয়া করা লাইলাতুল কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম একটি রাত। এ রাতের হক হলো আল্লাহর নৈকট্য লাভের পাশাপাশি মানুষের দুনিয়ার জীবনে সুখ-শান্তির আবেদন-নিবেদন আল্লাহর দরবারে পেশ করা। যাতে এ রাতে আল্লাহ তাআলা বান্দার জন্য সর্বোত্তম ভাগ্য নির্ধারণ করেন। দুনিয়ার যাবতীয় কল্যাণ দান করেন। * জ্ঞানার্জন করা রমজান এবং কদর ছাড়াও জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব অত্যাধিক। তাই লাইলাতুল কদরের রাতে জ্ঞানার্জনের জন্য কোরআন ও হাদিসের পেছনে কিছু সময় ব্যয় করা। যে সামান্য সময়ের মর্যাদা অনেক বেশি। * কাযা নামাজ পড়া বিভিন্ন কারণে বছরজুড়ে মানুষের অনেক নামাজ কাজা হয়ে যায়। অনেকে আবার সফরে থাকার কারণে নামাজ আদায় করতে পারে না। তাই রমজানের শেষ ১০ দিন কদর তালাশে প্রতিদিন ১৭ রাকাআত ফরজ নামাজের কাযা আদায় করা উত্তম। * অতিরিক্ত না ঘুমানো রমজানের শেষ দশকের ইবাদাত-বন্দেগি ও ই’তিকাফের জন্য বিশ্বনবি কোমরে কাপড় বেঁধে লেগে যেতেন। কারণ একটাই- লাইলাতুল কদর তালাশ করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন। কারণ শেষ দশকের যে কোনো বিজোড় রাতেই লাইলাতুল কদর নিহিত থাকে। * অধিক খাবার গ্রহণ না করা রাত জেগে ইবাদাত-বন্দেগি করতে সুস্থ সবল দেহ ও মন প্রয়োজন। মাত্রাতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করলে লাইলাতুল কদরের ফজিলত ও তাৎপর্য থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বেশি খাওয়ার ফলে ঘুম ও ক্লান্তিতে ইবাদতে বিঘ্ন ঘটতে পারে। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শবে কদরের ফজিলত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

লাইলাতুল কদর এর করণীয় কি?
লাইলাতুল কদরে আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিম নাজিল করেছেন। এ কারণেই এ রাতের মর্যাদা অনেক বেশি। শবে কদরের ফজিলত ঘোষণায় আল্লাহ তাআলা পুরো একটি সুরা নাজিল করেছেন। আর তাতে বলেছেন, ‘লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ।’ মুমিন মুসলমান এ রাতটি পেতে উদগ্রীব থাকে। রাত জেগে নামাজ, জিকির-আজকার, ইবাদত-বন্দেগি ও কুরআন তেলাওয়াতে নিয়োজিত থাকে। লাইলাতুল কদর তালাশ ও ইবাদত বন্দেগিতে মুমিন মুসলমানের জন্য রয়েছে বেশ কিছু করণীয়। আর তাহলো- * সবে কদর তালাশ করা রমজানের শেষ দশকের প্রত্যেক রাতেই কদর তালাশ করা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর তালাশ কর।’ * কুরআন তেলাওয়াত করা পবিত্র কুরআন এ রাতেই নাজিল হয় । তাই কুরআন তেলাওয়াত ও এর বিধান পালনের মাধ্যমেই এ রাত অতিবাহিত করা। কুরআন-সুন্নাহর অনুসরণে ইবাদত-বন্দেগিতে শেষ দশক অতিবাহত করা। * গোনাহ  থেকে মাফ চাওয়া  রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহুকে আল্লাহর কাছে গোনাহ মাফের দোয়া শিখিয়েছিলেন। তাই মুমিন মুসলমান রমজানের শেষ দশকে এ দোয়া বেশি বেশি পড়বে- উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আ`ফুওয়ুন; তুহিব্বুল আ`ফওয়া; ফা`ফু আন্নি।’ অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালো বাসেন; অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন। (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত) * কল্যাণের দোয়া করা লাইলাতুল কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম একটি রাত। এ রাতের হক হলো আল্লাহর নৈকট্য লাভের পাশাপাশি মানুষের দুনিয়ার জীবনে সুখ-শান্তির আবেদন-নিবেদন আল্লাহর দরবারে পেশ করা। যাতে এ রাতে আল্লাহ তাআলা বান্দার জন্য সর্বোত্তম ভাগ্য নির্ধারণ করেন। দুনিয়ার যাবতীয় কল্যাণ দান করেন। * জ্ঞানার্জন করা রমজান এবং কদর ছাড়াও জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব অত্যাধিক। তাই লাইলাতুল কদরের রাতে জ্ঞানার্জনের জন্য কুরআন ও হাদিসের পেছনে কিছু সময় ব্যয় করা। যে সামান্য সময়ের মর্যাদা অনেক বেশি। * কাযা নামাজ পড়া বিভিন্ন কারণে বছরজুড়ে মানুষের অনেক নামাজ কাজা হয়ে যায়। অনেকে আবার সফরে থাকার কারণে নামাজ আদায় করতে পরেনা। তাই রমজানের শেষ ১০ দিন কদর তালাশে প্রতিদিন ১৭ রাকাআত ফরজ নামাজের কাযা আদায় করা উত্তম। যদি কেউ কদরের রাত পেয়ে যায়, আর সে রাতে প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজের কাযা নামাজ আদায় করে তবে তার জীবনের হাজার মাসের ছেড়ে দেয়া নামাজগুলোর কাযা আদায় হয়ে যাবে। * অতিরিক্ত না ঘুমানো রমজানের শেষ দশকের ইবাদাত-বন্দেগি ও ই’তিকাফের জন্য বিশ্বনবি কোমরে কাপড় বেধে লেগে যেতেন। কারণ একটাই- লাইলাতুল কদর তালাশ করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন। কারণ শেষ দশকের যে কোনো বিজোড় রাতেই লাইলাতুল কদর নিহিত থাকে। * অধিক খাবার গ্রহণ না করা রাত জেগে ইবাদাত-বন্দেগি করতে সুস্থ সবল দেহ ও মন প্রয়োজন। মাত্রাতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করলে লাইলাতুল কদরের ফজিলত ও তাৎপর্য থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বেশি খাওয়ার ফলে ঘুম ও ক্লান্তিতে ইবাদতে বিঘ্ন ঘটতে পারে। * রসুম-রেওয়াজ ত্যাগ করা ২৬ রমজান দিবাগত রাতকে ‘লাইলাতুল কদর’ ভেবে রাতভর ইবাদত বন্দেগির রসুম-রেওয়াজ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। কুরআনের ভাষায়, ‘হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ এ রাত’ রমজানের শেষ দশকের যে কোনো বেজোড় রাতে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজানের শেষ দশকে নামাজ, জিকির-আজকার, কুরআন তেলাওয়াত, হাদিস অধ্যয়ন, দান-খয়রাত, মা-বাবার খেদমতসহ ভালো কাজের মাধ্যমে পবিত্র লাইলাতুল কদর তালাশ করার তাওফিক দান করুন। শবে কদরের ফজিলত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।  
৩১ মার্চ, ২০২৪

লাইলাতুল কদর চেনার আলামত
লাইলাতুল কদর বা শবে কদর হচ্ছে বছরের শ্রেষ্ঠ রাত। এ রাত হাজার বছরের চেয়ে উত্তম। লাইলাতুল কদর বা শবে কদর কবে, তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। তবে বিভিন্ন হাদিসে এ রাতটি চেনার কিছু আলামতের কথা পাওয়া যায়। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমাকে লাইলাতুল কদর দেখানো হয়েছে। অতঃপর আমাকে তা ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। অতএব তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে তা তালাশ করো।’ লাইলাতুল কদর বা শবে বরাতের রাত যদি নির্দিষ্ট থাকতো, তাহলে সবাই এ রাতের অপেক্ষায় থাকত, যা শরিয়তসম্মত নয়। তবে অধিকাংশ আলেমদের মতে ২৬ রমজানের দিবাগত রাত অর্থাৎ ২৭ রমজানের রাতই লাইলাতুল কদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। নিশ্চিতভাবে শবে কদরের রাত লাভ করা সৌভাগ্যের বিষয়। কারণ একমাত্র আল্লাহতায়ালাই জানেন, সেই কাঙ্ক্ষিত রাত কবে আসবে। রাসুল (সা.) রমজানের প্রথম ১০ দিন এবং মাঝের ১০ দিন ইতিকাফ করে বললেন, জিব্রাইল (আ.) এসে বলে গেলেন, লাইলাতুল কদর শেষের ১০ দিনে। আমার সঙ্গে যে ইতিকাফ করতে চায়, সে যেন শেষের ১০ দিনে ইতিকাফ করে। এ হাদিস দ্বারা আমরা নিশ্চিত বুঝতে পারি–রমজানের শেষ ১০ দিনের মধ্যে শবে কদর। মনিমান্বিত এ রাত চেনার আলামত বিভিন্ন হাদিসগ্রন্থে কদরের রাত চেনার কিছু আলামতের কথা পাওয়া গেছে। ১. সে রাতে গভীর অন্ধকার থাকবে না। ২. মৃদুমন্দ বাতাস প্রবাহিত হবে। সে রাত হবে নাতিশীতোষ্ণ।  ৩. মানুষ সে রাতে ইবাদত-বন্দেগিতে তৃপ্তি পাবে।  ৪. এ রাতে কোনো ঈমানদার ব্যক্তিকে আল্লাহ পাক রাত সম্পর্কে জানাতে পারেন।  ৫. এ রাতে আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি হতে পারে।  ৬. সকালে হালকা আলোকরশ্মিসহ সূর্যোদয় হবে। যা হবে পূর্ণিমার চাঁদের মত। শবে কদরের আলামত সম্পর্কে নবীজীর (সা.) বয়ান হজরত আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘...ওই রাতের আলামত বা লক্ষণ হলো, রাত শেষে সকালে সূর্য উদিত হবে তা উজ্জ্বল হবে। কিন্তু সে সময় (উদয়ের সময়) তার কোনো তীব্র আলোকরশ্মি থাকবে না। (মুসলিম : ১৬৭০) নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘লাইলাতুল কদরের রাতটি হবে প্রফুল্লময়। না গরম, না ঠাণ্ডা। সেদিন সূর্য উঠবে লালবর্ণে, তবে দুর্বল থাকবে।’ (ইবনে খুযাইমা : ২১৯২) হজরত উবাদা ইবনে সামেত (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘লাইলাতুল কদর শেষ ১০ রজনীতে রয়েছে। যে এই রাতে নিজের (আমলের) হিসাব নিতে দাঁড়াবে, আল্লাহ তায়ালা তার পূর্বের এবং পরের পাপরাশি ক্ষমা করে দেবেন। আর কদরের রাত্রি আছে বেজোড় রাত্রিগুলোতে : নবম, সপ্তম, পঞ্চম, তৃতীয় এবং শেষ রাত।’ নবীজি আরও বলেন, ‘লাইলাতুল কদরের আলামত হচ্ছে, স্বচ্ছ রাত, যে রাতে চাঁদ উজ্জ্বল হবে, আবহাওয়ায় প্রশান্তি (সাকিনা) থাকবে। না ঠাণ্ডা, না গরম। সকাল পর্যন্ত (আকাশে) কোনো উল্কাপিণ্ড দেখা যাবে না। সে রাতে চাঁদের মতোই সূর্য উঠবে (তীব্র) আলোকরশ্মি ছাড়া। শয়তান সে সময় বের হয় না।’ (মুসনাদ আহমাদ : ২২৭৬৫) নবীজি (সা) আরও বলেছেন, ‘লাইলাতুল কদর উজ্জ্বল একটি রাত। না গরম, না ঠাণ্ডা। সে রাতে কোনো উল্কাপিণ্ড দেখা যাবে না।’ (মাজমাউজ জাওয়ায়িদ : ৩/১৭৯) এ রাতে করণীয় আমল ১. মহিমান্বিত এ রজনীর সব নেয়ামত হাসিলের জন্য প্রথমেই শিরকমুক্ত ঈমান পরিশুদ্ধ নিয়ত ও বিদায়াতমুক্ত আমলের মাধ্যমে রাত যাপন করতে হবে।  ২. কদর লাভের আশায় শেষ দশ দিনে ইতিকাফ করা।  ৩. বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া।  ৪. কোরআন তেলাওয়াত করা। দোয়া-দরুদ, দান-সদকা ও তাওবা-ইসতিগফার করা।
২৯ মার্চ, ২০২৪
X