ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর শিল্পকর্ম সংরক্ষণের দাবি
স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর শিল্পকর্মসহ তার স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজন। পাশাপাশি তার শিল্পকর্মের চৌর্যবৃত্তি রোধেরও দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাগরণ সাংস্কৃতিক স্কোয়াড আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এ সময় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, আমরা সরকারের কাছে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্ম যেন কেউ ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠানের নামে কপিরাইট করতে না পারে, সে দাবি করলেও যেন সরকার নিজে কপিরাইট করে সংরক্ষণ করে সেই দাবি জানিয়ে আসছি। সরকার নিজের আওতায় রেখে প্রয়োজনে লেখক, গবেষকদের ব্যবহার করতে দিক। এ সময় তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী সম্পর্কে বলেন, ১৯৯৯ সালে আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় প্রথমবারের মতো পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নির্যাতনের ইতিহাস তুলে ধরেন তিনি। পাঁচ লাখ নির্যাতিত নারীর প্রতিনিধি হয়ে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীই প্রথম পাকিস্তানি বাহিনীর নির্যাতনের ইতিহাস তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর মেয়ে চারুশিল্পী ফুলেশ্বরী প্রিয়নন্দিনী বলেন, সম্প্রতি নিউইয়র্ক প্রবাসী আখতার আহমেদ রাশা নিউইয়র্ক, ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর বিভিন্ন ভাস্কর্য নকল করে মৌলিক শিল্পকর্ম হিসেবে প্রদর্শনীতে উপস্থাপন করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছি আরও কেউ কেউ ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর শিল্পকর্ম সামান্য পরিবর্তন বা বিকৃত করে নিজেদের নামে চালিয়ে দিচ্ছেন। ফুলেশ্বরী প্রিয়নন্দিনী বলেন, মূলত, কুড়িয়ে পাওয়া ও পরিত্যক্ত গাছের গুঁড়ি, শুকনো ডাল, বাঁশ, পানিতে ভেসে আসা কাঠের খণ্ড, গাছে জন্ম নেওয়া ছত্রাক ইত্যাদি ছিল প্রিয়ভাষিণীর ভাস্কর্য তৈরির উপকরণ ও মাধ্যম। দেশে-বিদেশে শিল্পানুরাগীদের কাছে সমাদৃত এ ভাস্কর্যগুলো কেবল দৃষ্টিনন্দনই নয়, এই শিল্পকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার এবং যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে পরিবার ও সমাজে নিগৃহীত একজন বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা নারীর আগুনপাখি ফিনিক্স হয়ে ওঠার গল্প। সরকারি-বেসরকারি সব জাদুঘর, সংগ্রহশালা—সর্বোপরি রাষ্ট্রের দায়িত্ব তাদের ভাস্কর্য সংরক্ষণে এগিয়ে আসা। বক্তব্য দেন অভিনয়শিল্পী শম্পা রেজা, লেখক অ্যাকটিভিস্ট শারমিন শামস, অ্যাকটিভিস্ট শাশ্বতী বিপ্লব, চলচ্চিত্র নির্মাতা শাহাদাত রাসেলসহ অনেকে।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

আমাদের কণ্ঠ আমাদের ভবিষ্যৎ শিল্পকর্ম প্রদর্শনী
রাজধানীর দৃক গ্যালারিতে সম্প্রতি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী ‘আমাদের কণ্ঠ, আমাদের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী হয়েছে। ভারতের সিআরইএর সহযোগিতায় এবং নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে আমাদের কণ্ঠ, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রকল্পের অংশ হিসেবে অবদমিত নারীদের অধিকার নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করছে ব্র্যাক জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ। এর অংশ হিসেবে এ প্রদর্শনী আয়োজিত হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রকল্পের সমন্বয়কারী ফারহানা আলম, ব্র্যাক জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের ডিন অধ্যাপক সাবিনা ফায়েজ রশীদ, বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন থিজস ওয়াউডস্ট্রা ও অরোধ্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অন্তরা ফারনাজ খান।
০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X