ইরানে শয়তান পূজারির দল গ্রেপ্তার
ইরানে শয়তানপূজার অভিযোগে অন্তত আড়াইশ’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এটি বলা হয়। শুক্রবার এক বিবৃতিতে দেশটির পুলিশ জানায়, রাজধানী তেহরানের পশ্চিমাঞ্চলে অভিযান চালিয়ে শয়তানের পূজা করার অভিযোগে অন্তত ২৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যার মধ্যে তিনজন ইউরোপিয়ানও আছেন। আরও বলা হয়, শয়তানবাদী নেটওয়ার্কের সদস্যদের শনাক্তকরণ, ভেঙে দেওয়া ও তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হয়েছে। পুলিশ ১৪৬ জন পুরুষ এবং ১১৫ নারীকে গ্রেপ্তার করেছে। যারা আপত্তিকর এবং অশ্লীল অবস্থায় ছিল। তাদের কাপড়, মুখমণ্ডল এবং চুলে শয়তানবাদের প্রতীক ও চিহ্ন ছিল। এ ছাড়া তেহরানের পশ্চিমাঞ্চলের শাহরিয়ার শহরে পুলিশের অভিযানে তিন ইউরোপীয়ানও গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।  ইরানে প্রায়ই শয়তান পূজারিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। ২০০৭ সালে তেহরানের একটি বাগান থেকে ২৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ২০০৯ সালের জুলাইয়ে উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ আর্দেবিলে অভিযান চালিয়ে তিন শয়তান পূজারিকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছিল ইরান। ওই বছরেরই মে মাসে দক্ষিণাঞ্চলের শহর সিরাজের একটি কনসার্টে অভিযান চালিয়ে ১০৪ শয়তান পূজারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা কনসার্টে মদপান এবং রক্ত চুষছিল।
১০ ঘণ্টা আগে

বিশ্বনবী (সা.) যে কারণে কবুতরকে শয়তান বলেছেন
কবুতর জনপ্রিয় গৃহপালিত পাখি। শান্তির পায়রা হিসেবে এর মর্যাদা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। কিন্তু বিশ্বনবী (সা.) এই পাখিকে শয়তান বলে উল্লেখ করেছেন। যদিও এই হাদিসের ব্যখ্যা অন্য। বর্তমানে মসজিদুল হারামের আঙিনায় প্রবেশ করলেই ঝাঁকে ঝাঁকে কবুতরের দেখা মেলে। ধূসর পালক, নীল বা সবুজ রঙের দীর্ঘ ঘাড় ও টানা চোখ এদের কিছুটা ভিন্নতা এনে দিয়েছে। আশপাশের খোলা জায়গায় রয়েছে এদের অবাধ বিচরণ। মসজিদুল হারামগামী মুসল্লিদের সঙ্গেও রয়েছে এদের বেশ সখ্যতা। কেউ তাদের নির্বিঘ্ন উড়াউড়িতে বাধ সাধে না; বরং গমের দানা ছিটিয়ে দিয়ে মুসল্লি ও কবুতরের মধ্যে তৈরি হয় ভালোবাসা। এসব কবুতরের কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সচরাচর অন্যান্য কবুতরের মধ্যে দেখা যায় না। কবুতরগুলো কাবাঘরের চারপাশে উড়াউড়ি করলেও তাওয়াফকারী বা মুসল্লিদের কষ্ট হয় এমন কিছু করে না। সারা দিন কাবা চত্বরে আনাগোনা থাকলেও তারা মসজিদের ভেতরে বসবাস করে না এবং রাতেও এখানে থাকে না। এমনকি বিভিন্ন সময় পশুপাখির মধ্যে নানা ধরনের রোগব্যাধি ছড়ালেও তাতে এসব কবুতর আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায় না। এসব কবুতরের উৎসমূল নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে বিভিন্ন মত রয়েছে। কারো মতে, এগুলো সাওর পাহাড়ের হেরা গুহায় বাসা বাঁধা কবুতরের বংশধর। হিজরতের সময় তারা সাওর পাহাড়ে মহানবী মুহাম্মদ (সা.) ও আবু বকর (রা.)-এর আশ্রয় নিলে তারা এসে গুহার মুখে বাসা বাঁধে। পুরস্কারস্বরূপ আল্লাহ তাদের বংশধরদের মক্কায় নিরাপদে বসবাসের সুযোগ দেন। কারো কারো মতে, বিশেষ নিরাপত্তা পাওয়া এসব কবুতর আবাবিল পাখির বংশধর। কাবাঘর ভাঙতে আসা আবরাহা ও তার বাহিনীকে ধ্বংস করতে আল্লাহর পক্ষ থেকে আবাবিল পাখি পাঠানো হয়েছিল। পবিত্র কোরআনের সুরা ফিল-এ এই ঘটনার বিবরণ রয়েছে। আবার কেউ কেউ বলেছেন, তা নুহ (আ.)-এর জাহাজে থাকা কবুতরের বংশধর।   হযরত নুহ (আ) এর প্লাবনের সময় জুদী পর্বতে নৌকা থামার পর হজরত নুহ (আ.) এবং তাঁর সাথিরা পৃথিবীতে নামার জন্য প্রস্তুত হলেন। আশপাশের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে আসার জন্য নুহ (আ.) তার নৌকা থেকে প্রথমে একটি কাককে পাঠালেন। কাকটা উড়ে গিয়ে মরা খেতে লেগে যায়। কাক আসতে দেরি হচ্ছে দেখে নুহ (আ.) একটি কবুতরকে পাঠালেন অবস্থা দেখে আসার জন্য।  কবুতরটা উড়ে গেল এবং কিছুক্ষণ পর একটি জলপাইয়ের ডাল ঠোঁটে নিয়ে ফিরে এলো। এবং কবুতরের পায়ে কাঁদা লেগে আছে দেখে হজরত নুহ (আ.) এবং নৌকার অন্যান্য আরোহীরা বুঝতে পারলেন পৃথিবী এখন বসবাসের উপযোগী। কবুতরের এই কাজের জন্য হযরত নুহ (আ.) কবুতরের জন্য দোয়া করেছিলেন ফলে কবুতর মানুষের সঙ্গে সহজে পোষ মানে।  এবার আসা যাক কবুতরকে শয়তান বলার বিষয়ে। আবূ হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক ব্যক্তিকে দেখলেন, সে কবুতরের পেছনে দৌড়াচ্ছে অর্থাৎ খেলা করছে। তখন রাসুল (সা.) বললেন, এক শয়তান আরেক শয়তানের পেছনে ছুটছে। এক শয়তান আরেক শয়তানের অনুসরণ করছে এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে- যে ব্যক্তি কবুতরের পেছনে দৌড়াচ্ছে সে সত্য পথ থেকে দূরে রয়েছে এবং এমন কাজে ব্যস্ত রয়েছে যাতে কোনো কল্যাণ নেই। আর এই কাজ ওই ব্যক্তিকে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল করছে এবং তিনি এমন কাজে ব্যস্ত রয়েছেন যা তাকে দীন ও দুনিয়া অন্বেষণ থেকে অন্যদিকে নিয়ে যাচ্ছে। কবুতর নিয়ে ব্যতিব্যস্ত থাকা এবং শিকারের পেছনে ছোটা মানুষকে মজিয়ে রাখে। এতে আল্লাহর আনুগত্য, ইবাদত-বন্দেগি ছুটে যায়।  এ জন্যই রাসুল (সা.) বলেছেন, এক শয়তান আরেক শয়তানের পিছে লেগেছে।
০৯ মে, ২০২৪

আমিরাতের আকাশে দেখা গেল শয়তান ধূমকেতু
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি মরুভূমির আকাশে বিশাল আকারের একটি ধূমকেতু দেখা গেছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে বিরল ও উজ্জ্বল এই ধূমকেতুর দেখা মিলেছে। জ্যোতির্বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু বিজ্ঞানী নয়, সূর্যাস্তের পরে ঠিক-ঠাক দিকে তাকাতে পারলে এখনো সাধারণ মানুষ এটি দেখতে পাবেন। খবর খালিজ টাইমসের। মাউন্ট এভারেস্টের সমান বিশাল এ ধূমকেতুটির নাম ১২পি/পনস-ব্রুকস। একে অনেক সময় শয়তান ধূমকেতু নামেও ডাকা হয়। দুটি শিং থাকায় এমন নাম দেওয়া হয়েছে। গত ২৭ মার্চ আল খাট অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অবজারভেটরির তোলা একটি ছবিতে এটি ধরা পড়েছে। আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র (আইএসি) জানিয়েছে, আগামী ২১ এপ্রিল সূর্যের সবচেয়ে কাছের বিন্দুতে পৌঁছাবে শয়তান ধূমকেতু। ২ জুন এটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি আসবে। আগামী ৮ এপ্রিল পূর্ণ সূর্যগ্রহণের সময় এটি সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান হবে বলে জানিয়েছে নাসা। সংস্থাটি বলছে, সূর্যের খুব কাছাকাছি যেতে থাকায় ধূমকেতুটিকে আরও উজ্জ্বল দেখাবে। তবে এটি দিগন্ত ও সূর্যের কাছাকাছি চলে এলে খালি চোখে দেখা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। তাই এখনই এটি দেখার সবচেয়ে ভালো সময়। ১২পি/পনস-ব্রুকস ধূমকেতুটি নির্দিষ্ট সময় পরপর সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে করতে সৌরজগতের মধ্যে চলে আসে। সাধারণত হ্যালির ধূমকেতুর মতো এটিও প্রতি ৭০ বছর পরপর সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে। ১৮১২ সালে প্রথম ধূমকেতুটি আবিষ্কার করেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী জ্যঁ-লুইস পনস। ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী উইলিয়াম রবার্ট ব্রুকস। তাদের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা পন্স-ব্রুকসের ঘূর্ণন হার সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানার জন্য পর্যবেক্ষণ করছেন। তাতে দেখা যায় শয়তান ধূমকেতুটির ঘূর্ণন সময়কাল ৫৭ ঘণ্টা, যা প্রত্যাশিত সময়ের চেয়ে বেশি। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এটি পরীক্ষা করতে চান যে ধূমকেতু থেকে নিঃসৃত বস্তুর জেটগুলো এটির গতি বাড়াচ্ছে নাকি কমিয়ে দিচ্ছে।
৩১ মার্চ, ২০২৪

৭০ বছর পর পৃথিবীর দিকে আসছে শয়তান ধূমকেতু
কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পৃথিবীর খুব কাছে দেখা যাবে বিশাল আকারের এক ধূমকেতু। বলা হচ্ছে প্রায় এক শতাব্দীর মধ্যে প্রথমবারের মতো পৃথিবীর এতটা কাছাকাছি আসবে এই ধূমকেতু যে খালি চোখেও তা দেখতে পারবে মানুষ। মাউন্ট এভারেস্টের সমান বিশাল এ ধূমকেতুটির নাম ১২পি/পনস–ব্রুকস। একে অনেক সময় শয়তান ধূমকেতু নামেও ডাকা হয়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে জানা যায়, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, শয়তান ধূমকেতু আগামী ৮ এপ্রিল পূর্ণ সূর্যগ্রহণের সময় একটি বিরল চেহারা দেখাবে। বলা হচ্ছে, আগামী ২১ এপ্রিল ধূমকেতুটি সূর্যের খুব কাছাকাছি পৌঁছাবে। এ সময় সূর্য থেকে এর দূরত্ব থাকবে ৭ কোটি ৪৪ লাখ মাইল। এ ছাড়া আগামী ২ জুন এটি পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসবে। এ সময় পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব হবে প্রায় ১৪ কোটি মাইল। ১২পি/পনস-ব্রুকস ধূমকেতুটি নির্দিষ্ট সময় পরপর সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে করতে সৌরজগতের মধ্যে চলে আসে। সাধারণত হ্যালির ধূমকেতুর মতো এটিও প্রতি ৭০ বছর পরপর সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে। ১৮১২ সালে প্রথম ধূমকেতুটি আবিষ্কার করেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী জ্যঁ-লুইস পনস। ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী উইলিয়াম রবার্ট ব্রুকস। তাদের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা পন্স-ব্রুকসের ঘূর্ণন হার সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানার জন্য পর্যবেক্ষণ করছেন। তাতে দেখা যায় শয়তান ধূমকেতুটির ঘূর্ণন সময়কাল ৫৭ ঘণ্টা, যা প্রত্যাশিত সময়ের চেয়ে বেশি। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এটি পরীক্ষা করতে চান যে ধূমকেতু থেকে নিঃসৃত বস্তুর জেটগুলো এটির গতি বাড়াচ্ছে নাকি কমিয়ে দিচ্ছে। বিজ্ঞানীরা জানান, এপ্রিল মাসজুড়ে সূর্যের খুব কাছাকাছি যেতে থাকায় ধূমকেতুটিকে আরও উজ্জ্বল দেখাবে। তবে যুক্তরাজ্যের রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির উপনির্বাহী পরিচালক রবার্ট ম্যাসি জানান, ছবিতে যত উজ্জ্বল দেখা যায়, বাস্তবে শয়তান ধূমকেতুটি ততটা উজ্জ্বল না-ও হতে পারে। আকাশে চাঁদ না থাকলে তবে এটি খালি চোখে দেখা যেতে পারে। আলোক দূষণ না থাকলে বা আবহাওয়া পরিষ্কার থাকলে তবে এটি দেখার সুযোগ মিলতে পারে। তবে দূরবীক্ষণ যন্ত্র থাকলে এটি দেখতে সুবিধা হবে।
২৪ মার্চ, ২০২৪

শয়তান থেকে রক্ষা পাওয়ার দোয়া
শয়তান আমাদের সব সময় বিভ্রান্ত করতে চায়। সব প্রকার ইবাদত থেকে আমাদের দূরে রাখতে চায়। আমাদের উচিত শয়তান থেকে আশ্রয় পেতে ইবাদত বাড়িয়ে দেওয়া। যদিও শয়তানের অনিষ্টতা ও কুমন্ত্রণা থেকে নিরাপদ থাকা কোনো ছোট বিষয় নয়। এ জন্য শয়তান থেকে নিরাপদ থাকতে দোয়া পড়তে হবে।  দোয়া ইবাদতের মূল। দোয়া ছাড়া ইবাদত অস্পূর্ণ থাকে। যেকোনো সময় যেকোনো দোয়া পড়া যায়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রসুল সা. আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন। এমনকি ছোট থেকে ছোট বিষয়েরও দোয়া শিখিয়েছেন। لا الهَ اِلَّا اللّهُ وَحْدَهُ لا شَرِيْكَ لَهْ، لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلى كُلِّ شَئ ٍ قَدِيْرٌ উচ্চারণ: লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুওয়া ’আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।   অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা কেবল তাঁর জন্যই। তিনি সকল বিষয়ে ক্ষমতাবান। অথবা আউজুবিল্লাহ পড়বে اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ উচ্চারণ: আ‘ঊযুবিল্লাাহি মিনাশ শাইতাানির রজীম।   অর্থ: আমি বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি।
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X