প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জনে শিক্ষার্থীদের সহায়তা দেবে ফ্রান্স
স্যাটেলাইট প্রযুক্তি বিষয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা অর্জনে ফ্রান্স সহযোগিতা প্রদানে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বাংলাদেশে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি ম্যাসদুপুইর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী। গতকাল সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে উভয়পক্ষের মধ্যে এ সাক্ষাৎ হয়। সাক্ষাৎকালে ফ্রান্সের স্যাটেলাইট প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস কর্তৃক বাংলাদেশি তরুণদের প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয়টি উঠে আসে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে, বিশেষ করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্প্রসারণ এবং অগ্রগতি সম্পর্কে মতবিনিময় করেন। এ সময় পলক বাংলাদেশ ও ফ্রান্স বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক তুলে ধরেন। চলতি মাসে ফ্রান্সের প্রযুক্তি উৎসব মেলায় বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। এ ছাড়াও এআই, রোবটিকস, ব্লকচেইন, সাইবার নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষ নাগরিক তৈরির লক্ষ্যে ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠিত ‘স্কুল ফোরটি টু’র সঙ্গে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
১৪ মে, ২০২৪

রো‌হিঙ্গাদের জন্য আরও ৩০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আরও ৩০ মিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্প‌তিবার (৯ মে) ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস থে‌কে পাঠা‌নো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনসংখ্যা, শরণার্থী এবং অভিবাসন বিভাগ এবং ইউএসএআইডি-এর মাধ্যমে কক্সবাজার, ভাসানচর এবং এই অঞ্চলে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য অতিরিক্ত সহায়তা হিসেবে ৩০.৫ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এই তহবিলের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি, বিশুদ্ধ পানি এবং আশ্রয়ের জন্য জীবন রক্ষাকারী সহায়তা এবং মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরতা কমাতে স্বনির্ভরতা গড়ে তোলার উদ্যোগ। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি অ্যাম্বাসেডর জেফরি প্রেসকট যুক্তরাষ্ট্র সরকারের খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রম দেখতে বাংলাদেশে সফরকালে নতুন এই সহায়তা তহবিলের ঘোষণা দেন। অ্যাম্বাসেডর প্রেসকট বলেন, আমরা রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং এই সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত আশ্রয়দানকারী বাংলাদেশিদের জন্য সমর্থন অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ সরকার এবং আমাদের সব অংশীদারের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।  মার্কিন দূতাবাস জানায়, মিয়ানমার, বাংলাদেশ এবং এই অঞ্চলে রোহিঙ্গা সংকটে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানবিক সহায়তার একক বৃহত্তম দাতা যুক্তরাষ্ট্র। এই সংকটের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মোট অর্থায়ন আগস্ট ২০১৭ থেকে প্রায় ২.৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যার মধ্যে ১.৯ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশে শরণার্থী এবং আশ্রয়দানকারী জনগোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য আরও তহবিল সংগ্রহের জন্য আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রধান অ্যামি পোপের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় সফররত আইওএমের মহাপরিচালক (ডিজি) অ্যামি পোপসহ সংস্থার প্রতিনিধিরা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। 
০৯ মে, ২০২৪

ইসরায়েলে রকেট হামলা, ৩ সেনা নিহত
ইসরায়েলের অভ্যন্তরে রকেট হামলায় তিন সেনা নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছেন। হামাস এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। এ নিয়ে চলমান গাজা যুদ্ধে ২৬৬ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হলেন। দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার (৫ মে) হঠাৎ গাজার সীমান্তবর্তী ইসরায়েলের কারাম আবু সালেমে একটি ফাঁড়িতে মুহুর্মুহু রকেট হামলা হয়।  ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ) বলছে, রাফা থেকে এ হামলা হয়েছে। এর পরই কারাম আবু সালেম সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে গাজায় ত্রাণসহায়তা বন্ধ করে দেয় তারা। আইডিএফ নিহত তিন সেনার ছবিসহ পরিচয় প্রকাশ করেছে। তারা হলেন, জিভাতি ব্রিগেডের রুবেন মার্ক মোর্দোশাই অ্যাসুলিন (১৯), আইদো তেস্তা (১৯) এবং নাহাল ব্রিগেডের তাল শাভিত (২১)। এ ছাড়া আহতদের মধ্যে ৯৩১তম ব্যাটালিয়নের দুজন ও সেকেদ ব্যাটালিয়নের একজনের অবস্থা গুরুতর। ইসরায়েলের দাবি, রাফা থেকে ১০টির বেশি রকেট ইসরায়েলে আঘাত হানে। বেশির ভাগ রকেট সীমান্ত ক্রসিংয়ের আশপাশে বিস্ফোরিত হয়। সেখানে সেনারা জড়ো হয়ে অবস্থান করছিলেন। যখন এ হামলা হয় তখন শত শত ট্রাক গাজায় ত্রাণসহায়তা নিয়ে প্রবেশের অপেক্ষায় ছিল। হামলার পর ত্রাণসরবরাহ কার্যক্রম আপাতত স্থগিত রয়েছে। হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। এতে স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এদিকে গাজায় ত্রাণসহায়তার কাজে মোতায়েন বিদেশি সেনাদের ওপরও হামলার হুমকি এসেছে। পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন (পিএফএলপি) এক বিবৃতিতে জানায়, গাজা উপত্যকার ভূমি অথবা উপকূলজুড়ে ব্রিটেন কিংবা যে কোনো দেশকে সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে সতর্ক করা হচ্ছে। জানা গেছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য উপকূলে ৩২০ মিলিয়ন ডলারের ভাসমান বন্দর নির্মাণ করছে মার্কিন সেনাবাহিনী। এ ছাড়া সেখানে ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তায় ব্রিটিশ সেনাও মোতায়েন হতে পারে।  আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, অস্থায়ী ওই বন্দর নির্মাণের পর সেখানে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে সহায়তা করার জন্য মোতায়েন করা হবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মার্কিন সেনাসদস্য। এর সঙ্গে যোগ দেবে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সদস্যরাও। এমন অবস্থায় এসব সেনারা যদি গাজার মাটিতে পা রাখে তাহলে তাদের বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার হুমকি দিয়েছে গাজার যোদ্ধারা।
০৬ মে, ২০২৪

বৈদেশিক সহায়তা এক লাখ কোটি টাকা
দেশের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) তৈরির সময় প্রতি অর্থবছরই বাড়িয়ে ধরা হয় বৈদেশিক সহায়তা লক্ষ্য। কিন্তু বাস্তবায়ন অদক্ষতার কারণে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী খরচ করতে না পারায় মাঝপথে এর একটি বড় অংশ কাটছাঁট করতে হয়। আগামী অর্থবছরেও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেটে রেকর্ড বৈদেশিক সহায়তার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হচ্ছে। জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেটে যেখানে ৯৪ হাজার কোটি টাকা ছাড়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তা আগামী অর্থবছরে বাড়িয়ে ১ লাখ কোটি টাকা করা হচ্ছে, যা চলতি অর্থবছরের মূল এডিপির তুলনায় ৬ হাজার কোটি টাকা এবং সংশোধিত এডিপির তুলনায় ১৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বেশি। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী খরচ করতে না পারায় চলতি অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ৮৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। বৈদেশিক অর্থ সহায়তার বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বৈদেশিক ঋণ ছাড়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানোর আগে অর্থ খরচের সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। যেসব প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণ আছে, সেগুলোতে গতি বাড়াতে বিশেষভাবে মনিটরিং করতে হবে। খরচ করতে না পারলে এত বরাদ্দ দিয়ে লাভ নেই। সরকার বর্তমানে ডলার সংকট কাটাতে বৈদেশিক ঋণ ছাড়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন করে অর্থছাড় না করতে পারলে সরকারের উদ্দেশ্য হাসিল হবে না। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর সঙ্গে অনুষ্ঠিত সিরিজ বৈঠকের মাধ্যমে এডিপিতে বৈদেশিক সহায়তার এ প্রাথমিক আকার নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেটের বর্ধিত প্রাথমিক খসড়া উত্থাপন করে এডিপির আকার চূড়ান্ত করা হবে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে জানা গেছে, আগামী অর্থবছরের এডিপিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা সংস্থার বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পের বরাদ্দ নির্ধারণের জন্য চার দিনের সিরিজ বৈঠক হয়েছে। এর আগে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের কাছে বরাদ্দের ধারণা চাওয়া হয়। বৈঠকগুলোতে বিস্তারিত আলোচনার পরই প্রকল্পভিত্তিক বরাদ্দের প্রাথমিক খসড়া তৈরি করা হয়। ইআরডির এক কর্মকর্তা জানান, এরই মধ্যে আগামী অর্থবছরের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বৈদেশিক সহায়তার লক্ষ্যমাত্রা প্রস্তুত করা হয়েছে, যা গত অর্থবছরের মূল এডিপির চেয়ে বেশি হবে। প্রাথমিক খসড়া চূড়ান্ত করার জন্য এরই মধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। আগের অর্থবছরগুলোর এডিপিতে বৈদেশিক সহায়তার বরাদ্দ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের এডিপিতে বৈদেশিক সহায়তার বরাদ্দ ধরা হয়েছিল ৯৪ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু সংশোধিত এডিপিতে কাটছাঁট করে বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয় ৮৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের এডিপিতে বৈদেশিক অংশের বরাদ্দ ছিল ৯২ হাজার ২০ কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপিতে তা কমিয়ে বরাদ্দ ধরা হয় ৭৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। তবে অর্থবছর শেষে খরচ হয়েছিল আরও কম, অর্থাৎ ৬৭ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। একই চিত্র অন্য বছরগুলোতেও। ২০২১-২২ অর্থবছরে মূল এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ৮৮ হাজার ২৪ কোটি টাকা, সংশোধিত এডিপিতে কমিয়ে ধরা হয় ৭২ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা। অর্থবছর শেষে খরচ হয়েছিল ৬৭ হাজার ৩৩৯ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরের এডিপিতে বৈদেশিক অংশে বরাদ্দ ছিল ৭০ হাজার ৫০২ কোটি টাকা; কিন্তু সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ কমিয়ে ধরা হয় ৬৩ হাজার ১ কোটি টাকা। শেষ পর্যন্ত খরচ হয়েছিল ৫২ হাজার ৫১৬ কোটি টাকা। একইভাবে ২০১৯-২০ অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ৭১ হাজার ৮০০ কোটি, সংশোধিত এডিপিতে কমিয়ে ধরা হয় ৬২ হাজার কোটি টাকা। অর্থবছর শেষে খরচ হয়েছিল ৪৭ হাজার ৪৪ কোটি টাকা।
০৬ মে, ২০২৪

রাবার খাতের উন্নয়নে সহায়তা দেবে ভারত
বাংলাদেশে রাবার খাতের উন্নয়নে আশ্বাস দিয়েছে ভারত। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের একটি হোটেলের রেসিডেন্স হলে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এ কথা জানানো হয়। ভারত সরকারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন রাবার বোর্ডের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম সফর করে। প্রতিনিধি দলের প্রধান ও ভারতীয় রাবার বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ভাসান তাগেসান এ সহায়তার কথা জানান। এর আগে ভারতের রাবার বোর্ডের প্রতিনিধি দল বিএফআইডিসি’র অধীন ফটিকছড়ির দাঁতমারা রাবার বাগান, নার্সারি ও রাবার প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশ রাবার বোর্ড, বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতিবিনিয় করেন তারা। বাংলাদেশ রাবার বোর্ড এ সভার আয়োজন করে। ইন্টারন্যাশনাল রাবার রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (আআরআরডিবি) সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে সম্পাদিত ক্লোন এক্সচেঞ্জ সমঝোতা স্মারক চুক্তি অনুযায়ী ভারত থেকে ক্লোন গ্রহণ সংক্রান্ত এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহান। সৈয়দা সারওয়ার জাহান বলেন, আমাদের দেশে রাবার উৎপাদনের জন্য উর্বর ভূমি ও পরিবেশ রয়েছে। তারা সেখানে আমাদের সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগ করতে পারে। তারা আমাদের আশ্বস্ত করে বলেছে, আমাদের বর্তমানে যেসব জাত রয়েছে সেগুলো যেন প্রোপারলি নার্সিং করি। একই সঙ্গে এখানের জন্য যেগুলো সুইটেবল হবে সেগুলো তারা আমাদের সরবরাহ করবে। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ দেবে। বাংলাদেশ থেকে গিয়ে প্রতিনিধি দল বিষয়টি ভারতের সরকারের কাছে জানাবে। সরকার অনুমোদন দিলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রক্রিয়া শুরু হবে। ভারতীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান ভাসান তাগেসান বলেন, বাংলাদেশের রাবার চাষ সম্পর্কে ধারণা নিতে এসেছি। দুই দেশের আবহাওয়াগত মিল থাকলেও রাবার চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে পার্থক্য রয়েছে। ফলে রাবারের মানের তারতম্য হচ্ছে। উন্নতজাতের গাছের চাষ হলে রাবার উৎপাদন বাড়বে এবং তা ভালোভাবে প্রক্রিয়াজাত করতে পারলে বিশ্ববাজারে রপ্তানি করা যাবে। রাবার গার্ডেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কামাল উদ্দিন বলেন, আমরা ১৯৬০ সালের পুরোনো কয়েকটি ক্লোন দিয়ে এখনো রাবার চাষ করছি। ফলে উৎপাদন ভালো হচ্ছে না। আমাদের দেশে প্রতি হেক্টর জমিতে যে পরিমাণ রাবার উৎপাদন হয় সে পরিমাণ জায়গায় মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশে তার পাঁচগুণ বেশি উৎপাদন হচ্ছে। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে আমরা পিছিয়ে পড়েছি। ভারতীয় রাবার বোর্ড প্রতিনিধি দলকে আমরা ত্রিপুরা রাজ্যের ক্লোন দিতে বলেছি। সেগুলো বাংলাদেশেও ভালো ফলন হবে। পাশাপাশি পরিচর্চার জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের কথা বলেছি। বাংলাদেশ রাবার গার্ডেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মঈনুল ইসলাম বলেন, রাবারের উচ্চ ফলনশীল জাত আমদানির দাবি আমাদের দীর্ঘ দিনের। রাবার খাতে ভারতের অনেক পুরোনো অভিজ্ঞতা। ভারতের রাবার বোর্ডের প্রতিনিধি দল আমাদের বাগান ও কারখানা পরিদর্শন করে আমাদের উন্নত জাতের ক্লোন দেবে বলেছে। এখন প্রয়োজন দ্রুত সেগুলো আনার ব্যবস্থা করা। কারণ ক্লোন দেশে আনার পর নার্সারি ও প্লান্টেশন করে উৎপাদনে যেতে অন্তত ৮ বছর লাগবে। উৎপাদন বাড়লে খরচ কমে আসবে। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা আন্তর্জাতিক রপ্তানি বাজার ধরতে পারবে। পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক মোহাম্মদ আলী হোসেন সোহাগ বলেন, বাংলাদেশে যখন ‘সাদা সোনা’ খ্যাত রাবার চাষ শুরু হয়েছে তখন পার্বত্য জেলার পরিস্থিতি বর্তমান সময়ের মতো ছিল না। অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে সেখানে রাবার চাষ শুরু হয়েছিল। আমরা এই খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাতে চাই। বাংলাদেশ এবং ভারত সরকার রিজিউনাল কো-অপারেশনে আন্তরিক। ভারতের রাবার বোর্ড অনেক পুরোনো; তাদের অভিজ্ঞতা আমরা কাজে লাগাতে পারি। প্রশিক্ষণ ও টেকনিক্যাল সহযোগিতা পেলে এখাতের উন্নয়ন ঘটবে। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ রাবার গার্ডেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ছলিমুল হক চৌধুরী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, ফজলুল কাদের, সহসভাপতি মোমিনুল হক চৌধুরী, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সালা উদ্দীন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক চৌধুরী, সাবেক মহাসচিব কাউছার জামাল, সাবেক সহসভাপতি নুরুল ইসলাম মিয়া, ভারতীয় রাবার বোর্ডের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এমজে রাজু, যুগ্ম রাবার কমিশনার সালি এন, পরিচালক (গবেষণা) ড. জেসি এমডি ও সহকারী পরিচালক সাজু কোরিয়ান।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

আইনগত সহায়তা পাওয়া নাগরিকের অধিকার
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আর্থিকভাবে অসচ্ছল যে কোনো নাগরিক আইনগত সহায়তা পাবেন, এটিই স্বাভাবিক। আইনগত সহায়তা পাওয়া তার প্রতি করুণা নয় বরং এটি তার অধিকার। কারণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মূল সংবিধানেই গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সামাজিক সুবিচার, সমতার বিধানাবলিসহ বিচার প্রক্রিয়ায় ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সব নাগরিকের প্রবেশাধিকারের বিধান সন্নিবেশ করে গেছেন। গতকাল রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ ২১টি বছর আর্থিকভাবে অসচ্ছল মানুষগুলোর আইনগত সহায়তা পাওয়ার অধিকারের প্রতি কেউ দৃষ্টি দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার সরকার গঠন করেই ২০০০ সালে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন’ প্রণয়ন করেন। ফলে বাংলাদেশে প্রথম রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় অসচ্ছল ও সহায়-সম্বলহীন নাগরিকদের আইনগত অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্থার পরিচালক মোহাম্মদ আল মামুন। অনুষ্ঠানে দুজনকে সেরা লিগ্যাল এইড অফিসার ও প্যানেল আইনজীবী হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়। ‘স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে আইন ও বিচার বিভাগ এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার উদ্যোগে সারা দেশের জেলা পর্যায়ে র্যালি, আলোচনাসভা, পথ প্রচার, লিগ্যাল এইড মেলা, ক্লায়েন্ট-আইনজীবী যৌথ সভা, সেরা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সেরা প্যানেল আইনজীবী পুরস্কার, ম্যাগাজিন- স্যুভেনির-দেয়ালিকা প্রকাশ, আলোকচিত্র প্রদর্শন, প্রচার ও প্রকাশনা সামগ্রী বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

আইনগত সহায়তা পাওয়া দরিদ্র-অসহায়দের অধিকার : আইনমন্ত্রী
সমাজের দরিদ্র-অসহায় নাগরিকদের আইনগত সহায়তা পাওয়ার সঙ্গে দেশের আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও সামাজিক সমতা জড়িত উল্লেখ করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আর্থিকভাবে অসচ্ছল যে কোনো নাগরিক আইনগত সহায়তা পাবেন, এটাই স্বাভাবিক। আইনগত সহায়তা পাওয়া তার প্রতি করুণা নয় বরং এটা তার অধিকার। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মূল সংবিধানেই গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সামাজিক সুবিচার ও সমতার বিধানাবলিসহ বিচার প্রক্রিয়ায় ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সকল নাগরিকের প্রবেশাধিকারের বিধান সন্নিবেশ করে গেছেন। রোববার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে দুজনকে সেরা লিগ্যাল এইড অফিসার ও প্যানেল আইনজীবী হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ একুশটি বছর আর্থিকভাবে অসচ্ছল মানুষগুলোর আইনগত সহায়তা পাবার অধিকারের প্রতি কেউ দৃষ্টি দেয়নি। ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তিনি প্রথমবার সরকার গঠন করেই ২০০০ সালে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন’ প্রণয়ন করেন। ফলে বাংলাদেশে প্রথম রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় অসচ্ছল ও সহায়-সম্বলহীন নাগরিকদের আইনগত অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের মূল উদ্দেশ্য- দরিদ্র অসহায় মানুষকে আইনগত সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রদান করা। তিনি বলেন, আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে আরও সফল ও বেগবান করে তুলতে হলে এটিকে অবশ্যই জনগণের দোরগোড়ায় অর্থাৎ যারা আইনি সহায়তা পাওয়ার যোগ্য তাদের কাছে নিয়ে যেতে হবে। আর তা করতে হলে উপজেলা ও ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটিকে অধিকতর কার্যকর করতে হবে। কারাগারগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। আইন সহায়তা প্রদানকালে পুঁথিগত আইন প্রয়োগের দৃষ্টির পাশাপাশি সামাজিক ও মানবিক দৃষ্টিকোণকেও স্থান দেওয়া উচিত। পাশাপাশি আইনগত সহায়তার বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ স্বঃপ্রণোদিত, দ্রুত ও কার্যকর আইনিসেবা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে অংশীদারত্ব বৃদ্ধির বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে প্রত্যেক লিগ্যাল এইড কমিটি, লিগ্যাল এইড অফিসার ও প্যানেল আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। আইনমন্ত্রী বলেন, মামলার সঠিক ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতি’ বা এডিআর মামলাজট নিরসনের সহায়ক একটি পন্থা হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। জার্মান সরকারের উন্নয়ন সংস্থা- জিআইজেডের এক সমীক্ষায় দেখা যায়, বাংলাদেশের ৮৭ ভাগ মানুষ স্থানীয় পর্যায়ে বিরোধ নিষ্পত্তিতে আগ্রহী এবং শতকরা ৩০ ভাগ নাগরিকের প্রাথমিক দ্বন্দ্বের কারণ প্রতিবেশির সঙ্গে ছোট-খাটো বিরোধ বা মারামারি যা স্থানীয়ভাবেই নিষ্পত্তিযোগ্য। এটি খুবই আশার কথা হলেও আমাদের স্থানীয় পর্যায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির হার অতি নগণ্য। এর মূল কারণ সামাজিক পরিবর্তন, সামাজিক উন্নয়ন, মানুষের ব্যস্ততা এবং মধ্যস্থতাকারীর প্রতি আস্থার অভাব। এমনি অবস্থার প্রেক্ষিত বিবেচনা করে আমরা ২০১৫ সালে ‘আইনি পরামর্শ ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি’ বিধিমালা প্রণয়ন করেছি এবং এতে লিগ্যাল এইড অফিসারদের মধ্যস্থতা করার পর্যাপ্ত ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। সুখবর হলো ওই ক্ষমতা প্রয়োগ করে লিগ্যাল এইড অফিসাররা জুলাই ২০১৫ থেকে মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ১ লাখ ১০ হাজার ৮৩৬টি বিরোধ নিষ্পত্তি করেছেন। তারা যেহেতু বিচারক এবং আইনি বিধি-বিধানের অধীনে মধ্যস্থতা করে থাকেন তাই লিগ্যাল এইড অফিসগুলো এখন বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে মানুষের আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। এ আস্থা আমাদের ধরে রাখতে হবে। এ আস্থা আমাদের আরও মজবুত করতে হবে, যোগ করেন আনিসুল হক। আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্থার সম্মানিত পরিচালক মোহাম্মদ আল মামুন। ‘স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’- এ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে আইন ও বিচার বিভাগ এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার উদ্যোগে সারা দেশের জেলা পর্যায়ে র‌্যালি, আলোচনাসভা, পথ প্রচার, লিগ্যাল এইড মেলা, ক্লায়েন্ট-আইনজীবী যৌথ সভা, সেরা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সেরা প্যানেল আইনজীবী পুরস্কার, ম্যাগাজিন/স্যুভেনির/দেয়ালিকা প্রকাশ, আলোকচিত্র প্রদর্শন, প্রচার ও প্রকাশনাসামগ্রী বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

আজ জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস
আজ রোববার জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য—স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে উদ্বোধন অনুষ্ঠান হবে। এতে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থাকবেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ ছাড়া সারা দেশে জেলায় শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, পথ প্রচার, লিগ্যাল এইড মেলা, ক্লায়েন্ট-আইনজীবী যৌথসভা, সেরা প্যানেল আইনজীবী পুরস্কার, ম্যাগাজিন/স্যুভেনির/দেয়ালিকা প্রকাশ, আলোকচিত্র প্রদর্শন, প্রচার ও প্রকাশনা সামগ্রী বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি করা হবে। সংবাদপত্রে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও সচিবের বাণীসহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ ছাড়াও রেডিও-টেলিভিশনে এ-সংক্রান্ত আলোচনা, সংবাদ ও অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে। এদিকে এ দিবস উপলক্ষে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা ২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত কর্মকাণ্ডের তথ্য-পরিসংখ্যান সংবলিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ সময় সংস্থাটি ১০ লাখ ২২ হাজার ৯৫৮ জনকে আইনি সেবা দিয়েছে।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে বাস সহায়তা দেবে ববি কর্তৃপক্ষ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীদের ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে বাস সহায়তা দেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যেসব শিক্ষার্থীরা বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নিতে বরিশাল শহরে বিভিন্ন কেন্দ্রে যাবেন, তাদের জন্য দুটি বাস দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া। বৃহস্পতিবারে (২৫ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেন পরিবহন পুলের ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্যই আমরা। শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি ভালো কিছু করতে। শিক্ষার্থীরা অনেক দূর এগিয়ে যাক এটাই প্রত্যাশা। এ সময় সবার জন্য শুভকামনা জানান তিনি। পরিবহন পুলের ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমান জানান, শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করেই এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ৮টা ১৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুটি বাস ছেড়ে যাবে। বরিশালের নতুল্লাবাদ ও সদর রোডের উদ্দেশ্যে দুটি বাস যাবে। পরীক্ষা শেষে অর্থাৎ সাড়ে ১২টায় শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে নিয়ে আসবে। লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী বোরহান উদ্দিন জানান, শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। আশাকরি শিক্ষার্থীদের সব যৌক্তিক দাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পূরণ করবে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পিএসসি এ বিষয়ে পরীক্ষার তারিখ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করে যথাসময়ে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন। ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

ইসরায়েল-ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিতে মার্কিন কংগ্রেসে বিল পাস
ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানকে সামরিক সহায়তা দিতে বহুল আলোচিত ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজের অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ। কট্টর রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা এই প্যাকেজের বিরোধিতা করলেও বড় ধরনের দ্বিদলীয় সমর্থন পেয়েই শনিবার বিলগুলো পাস হয়েছে। খবর রয়টার্সের। গতকাল শনিবার রাতে প্রতিনিধি পরিষদে এসব বিলের ওপর ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোটাভুটিতে ৩১১-১১২ ভোটে বিল দুটি পাস হয়েছে। এতে ১০১ জন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ভোট দিলেও ১১২ জন বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। সহায়তা বিলে ইউক্রেনের জন্য ৬০ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন, ইসরায়েলের জন্য ২৬ বিলিয়ন এবং তাইওয়ানসহ ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য ৮ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার রাখা হয়েছে। কংগ্রেসে সহায়তা বিল পাস হওয়ার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, মার্কিন আইনপ্রণেতারা ইতিহাসকে সঠিক পথে রাখতে অগ্রসর হয়েছেন। গত দুই মাস ধরে বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টি নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে এই সহায়তা বিল পাস করানোর চেষ্টা করে আসছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে বিভিন্ন ইস্যুতে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকানদের বিরোধের জেরে এই প্যাকেজ সামনে অগ্রসর হয়নি। বিশেষ করে ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়া নিয়ে প্রবল আপত্তি ছিল রিপাবলিকানদের। তবে এবার প্রতিনিধি পরিষদে প্যাকেজটি পাস হওয়ায় তা ডেমোক্রেট সংখ্যাগরিষ্ঠ মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে পাঠানো হবে। সেখানে এটি পাস হলে তা বাইডেনের কাছে পাঠানো হবে এবং তিনি সই করলে বিলগুলো আইনে পরিণত হবে। ফলে এই তিন দেশকে এই সহায়তা দিতে আর কোনো বাধার মুখে পড়বে না মার্কিন প্রশাসন।
২১ এপ্রিল, ২০২৪
X