ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার করা নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা। তিনি বিচার থেকে দায়মুক্তি পাবেন কি না এবং এমন সুযোগ থাকলে তার অর্থ কী দাঁড়ায়, তা নিয়ে বৃহস্পতিবার তিন ঘণ্টা ধরে পর্যালোচনা করেন বিচারকরা। এর জবাবই নির্ধারণ করবে যে, ২০২০ সালের নির্বাচনকে নস্যাৎ করার চেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিচারের মুখোমুখি হবেন কি না। তবে সিদ্ধান্ত যাই হোক, প্রত্যেক বিচারক ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, এটিই যুক্তরাষ্ট্রের আগামী দিনের গণতন্ত্রের নতুন রূপ দেবে। বিচারক নেইল গরশুচ বলেছেন, ‘আমরা একটি যুগের জন্য রায় লিখছি।’ খবর বিবিসির। এ বিষয়ে আদালতের নির্ধারিত যুক্তিতর্কের এক দিন পর বিশেষ সেশনে মামলাটির শুনানি হয়। এর ভিত্তি ছিল মূলত ট্রাম্পের এই দাবি যে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্তব্যরত থাকার সময় তিনি যে কোনো ফৌজদারি অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি পাওয়ার যোগ্য। ট্রাম্পের মতে এই দায়মুক্তিই হবে স্পেশাল কাউন্সেল জ্যাক স্মিথের আনা অভিযোগ থেকে তার রক্ষাকবচ। এই দায়মুক্তির বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত তার বিচার স্থগিত থাকবে। জুনে বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে বিচারকদের বিভক্ত হওয়ার ফলে একটি বিভক্ত সিদ্ধান্তই আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের বিভক্তির জেরে আরও জটিল সিদ্ধান্তও আসতে পারে, যা ফের বিচার শুরুর প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করতে পারে। তাদের প্রশ্নগুলো এটিও প্রকাশ করছে যে, রক্ষণশীল সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং উদারপন্থি সংখ্যালঘু উভয়েই ইতিহাসের দিকে চোখ রেখেই সিদ্ধান্ত নিতে চান। একটি পূর্ণ দায়মুক্তির অর্থ কি এই দাঁড়াবে যে, ভবিষ্যতে প্রেসিডেন্ট সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করে তার প্রতিদ্বন্দ্বীকেও মেরে ফেলতে পারেন? কিংবা এই দায়মুক্তি না থাকলে প্রেসিডেন্ট মেয়াদ শেষে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বিচারের মুখোমুখি হবেন বা জেলে যাবেন? ষাটের দশকে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের ওয়াটারগেট ঘটনা এবং জন এফ কেনেডির অপারেশন মনগুজের (ফিডেল কাস্ত্রোর বিরুদ্ধে গোয়েন্দা অভিযান) ঘটনার বিষয়টিও তুলে আনছেন তারা। রক্ষণশীলরা মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টদের কিছুটা দায়মুক্তি থাকা উচিত। তবুও বিচারকরা এ মামলায় ট্রাম্পের আইনজীবী ডিন জন সাউয়ের যুক্তিতর্ক নিয়ে সতর্ক, যেখানে তিনি বলেন একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিচার প্রক্রিয়া থেকে ‘প্রায় সুরক্ষিত’। সাউয়েরকে এই সুরক্ষার বিষয়টি ধরে ৯ জন বিচারক জেরা করেন। তিন উদারপন্থি বিচারকের একজন এলেনা কাগান প্রশ্ন করেন—প্রেসিডেন্ট যদি সামরিক বাহিনীকে অভ্যুত্থান ঘটাতে বলে তাহলে কী হবে? এর উত্তর দিতে গিয়ে সাউয়েরকে বেশ দ্বিধান্বিত দেখা গেছে। তিনি বলেন ‘পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। বিচারপতি কাগান প্রত্যুত্তরে বলেন, ‘এটি খুব একটা ভালো শোনাচ্ছে না, তাই নয় কি?’ পরে আরেকজন উদারপন্থি হিসেবে পরিচিত বিচারপতি কেতানজি ব্রাউন জ্যাকসনও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন যে, সাবেক প্রেসিডেন্টরা পুরো ফৌজদারি বিচার প্রক্রিয়ার বাইরে থাকলে তারা তো আইন নাও মানতে পারেন। তিনি বলেন, আমি বোঝার চেষ্টা করছি যে, ওভাল অফিসকে (প্রেসিডেন্টের অফিস) অপরাধের আসনে পরিণত করাকে কীভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়। রক্ষণশীল বিচারকরাও সাউয়েরকে চাপ দেন যে, প্রেসিডেন্টের কাজ এবং ব্যক্তিগত কাজের অংশ হিসেবে করা ‘অফিসিয়াল অ্যাক্ট বা সরকারি কাজ’ বলতে কী বোঝায়। আদালতের অন্যতম রক্ষণশীল বিচারক স্যামুয়েল আলিতো জানতে চান—আমার প্রশ্ন হলো দায়মুক্তির যে বিশাল আওতার কথা আপনি বলছেন সেটি প্রয়োজনীয় কি না? বিচারপতি এমি কোনে ব্যারেটকে নিয়োগ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তাকে কিছুটা সন্দেহগ্রস্ত মনে হয়েছে যে, প্রেসিডেন্ট পূর্ণ দায়মুক্তি পাওয়ার অধিকারী কি না তা নিয়ে। তাদের পর্যালোচনা শেষে এটিই মনে হচ্ছে যে, এই আইনি লড়াই নিশ্চিতভাবেই বিলম্বিত হবে এবং আপিলে যাবে, যার অর্থ হলো এই আইনি লড়াই কয়েক বছর না হলেও কয়েক মাস ধরে চলবে।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

মাদ্রাসা বন্ধের রায় স্থগিত করলেন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট
ভারতের উত্তরপ্রদেশে মাদ্রাসা বন্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে এই প্রদেশের ১৭ লাখ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী হাফ ছেড়ে বাঁচলেন। এ ছাড়া প্রদেশের ১৬ হাজার মাদ্রাসা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে। খবর এনডিটিভির। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) এই রায় দিয়েছেন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ বলেছেন, এলাহাবাদ হাইকোর্টের দেওয়া রায় প্রাথমিকভাবে সঠিক নয়। উত্তরপ্রদেশ ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং মাদ্রাসা বোর্ডকে এই বিষয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসাগুলো ২০০৪ সালের মাদ্রাসা শিক্ষা অনুযায়ী পরিচালিত হয়ে আসছিল। তবে গত মাসে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি লঙ্ঘন করছে এই কথা বলে এই আইনটিকে ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের স্কুলে স্থানান্তরিত করতে সরকারকে নির্দেশ দেন আদালত। তবে শুক্রবার হাইকোর্টের এই রায় স্থগিত করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, মাদ্রাসা বোর্ডের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ন্ত্রক। বোর্ডের প্রতিষ্ঠা ভারতীয় ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিকে প্রভাবিত করে না। রায়ে চন্দ্রচূড় বলেছেন, হাইকোর্ট মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন। এতে ১৭ লাখ শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আমরা মনে করি যে শিক্ষার্থীদের স্কুলে স্থানান্তরের নির্দেশনা ঠিক নয়। তিনি বলেন, পিআইএল-এর উদ্দেশ্য যদি হয় গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও ভাষার মতো মূল বিষয়ে মাদ্রাসাগুলো ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষা দেবে, তাহলে এর সমাধান মাদ্রাসা আইন, ২০০৪-এর বিধান বাতিল করে হবে না। এই মামলায় উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসার পক্ষে প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। তিনি বলেন, ধর্মীয় শিক্ষার অর্থ ধর্মীয় নির্দেশনা নয়। হাইকোর্টের রায়ে ১০ হাজার মাদ্রাসা-শিক্ষক ও ১৭ লাখ শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। যদিও রাজ্য সরকার বলেছে তারা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য অন্য ব্যবস্থা করেছে। তিনি বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষার গুণগত মান নেই, এটি সর্বজনীন ও বিস্তৃত নয়, এমন বলা ভুল হবে। মাদ্রাসার প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপ বৈষম্যমূলক হবে এমন ইঙ্গিত দিয়ে তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালে ‘অরুণা রায় বনাম ভারত’ মামলায় রায়ে এমনটাই বলেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে ফলাফল জালিয়াতি হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে ফলাফল জালিয়াতি করা হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আসলে আওয়ামী লীগ দুর্নীতি-অনাচার করেই ক্ষমতায় থাকতে চায়। তারা জনসমর্থন নয়, পেশিশক্তির দ্বারা ক্ষমতায় আছে। গতকাল রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জিয়া সাইবার ফোর্সের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এ সভায় আরও বক্তব্য দেন শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, হাসান জাফির তুহিন, শহীদুল ইসলাম বাবুল, ফজলে হুদা বাবুল প্রমুখ। রিজভী বলেন, অহঙ্কারের মাত্রা ও ক্ষমতার দম্ভ কতটা তীব্র হতে পারে সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে তা দেখা গেছে। সেখানে যুবলীগ যে তাণ্ডব চালিয়েছে তা দেশবাসী দেখেছে। মারামারি করল তারা নিজেরা। অথচ আটক করা হয়েছে বিএনপির লোককে নিয়ে। এভাবে সারা দেশে তাদের রাজত্ব চলছে। সুপ্রিম কোর্টের মতো জায়গায়ও তারা ভোটাধিকার ও ফলাফল কেড়ে নিল। ফলাফল জালিয়াতি করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে ভোট গণনা হলে বিএনপির ফুল প্যানেল বিজয়ী হতো।
১১ মার্চ, ২০২৪

যূথীকাণ্ডে আ.লীগের হাইকমান্ড ক্ষুব্ধ
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ পদে জয়ী হয়েছে সরকার সমর্থক আইনজীবীদের প্যানেল। এর আগে দুই দিনের ভোট গ্রহণ পর্ব ছিল সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ। আগের দুটি নির্বাচনের নানা সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে নির্বাচনের সার্বিক আয়োজনও ছিল নিরপেক্ষ। তার পরও বিতর্কমুক্ত থাকতে পারেনি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের সংগঠনের এই নির্বাচন। ভোট গণনা ও ফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা এই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। শুধু তাই নয়, অনেকের মতে—উচ্চ আদালতের ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত অধ্যায় সৃষ্টি হয়েছে এবার। এ নিয়ে দেশ-বিদেশে চলছে সমালোচনা। এসব কারণে শুধু আদালত অঙ্গন নয়, আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডও ব্রিবত ও চরম ক্ষুব্ধ বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সরকারের জন্য অস্বস্তিকর এই পরিস্থিতি তৈরির পেছনে যার নাম এসেছে, তিনি সরকার পক্ষেরই আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যূথী। পারিবারিক পরিচয়ে তিনি অন্য দশজন আইনজীবীর চেয়ে আলাদা। কারণ এই যূথী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী। সমিতির নির্বাচনে সরকার সমর্থকদের আনুষ্ঠানিক প্যানেলের বাইরে সম্পাদক পদে বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন তিনি। ভোট গণনা ও ফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে তার নির্দেশেই সেদিন গভীর রাতে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে। যূথীকে বিজয়ী ঘোষণা করাতে যুবলীগের কিছু নেতাকর্মী জোর করে কেন্দ্রে ঢুকে পড়েন। এ সময় হামলায় আহত হন একজন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলসহ অন্তত সাতজন আইনজীবী। শুধু তাই নয়, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধানকে চাপ দিয়ে ভোট গণনার আগেই নাহিদ সুলতানা যূথীকে সম্পাদক পদে বিজয়ী ঘোষণা করতে বাধ্য করা হয়। অ্যাডভোকেট যূথীর এসব কর্মকাণ্ডে বিএনপি-জমায়াত সমর্থক প্রার্থী ও তাদের এজেন্টরা উসকানি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। একজন দায়িত্বশীল নেতার স্ত্রীর এই ভূমিকায় চটেছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। নাম প্রকাশ না করে একাধিক নেতা কালবেলাকে জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় দলের শীর্ষ নেতারা ক্ষুব্ধ। আর এ কারণেই অ্যাডভোকেট যূথীকে গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গত শুক্রবার রাতে তার বাসায় অভিযান চালায়। কিন্তু তাকে না পেয়ে তার বাসা থেকে চারজন আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকেও গ্রেপ্তার করে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। একই মামলার যেসব আসামি এখনো পলাতক, তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন কালবেলাকে বলেন, ‘আদালত প্রাঙ্গণে এ ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত।’ দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম কালবেলাকে বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত। উচ্চ আদালতের মতো জায়গায় এমন ঘটনা হওয়া উচিত হয়নি। বিষয়টি এখন আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে গেছে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই এখন এটার সমাধান হওয়া উচিত।’ আওয়ামী লগের আইনবিষয়ক সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা একটি সুশৃঙ্খল নির্বাচন চেয়েছিলাম। কিন্তু যারা এই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করেছে তাদের অপরাধ অমার্জনীয়। এ ধরনের ঘটনার নিন্দা জানাই।’ আদালত প্রাঙ্গণে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে কার কী দায়, তা নিয়ে আমি কোনো ব্যক্তিবিশেষের কথা উল্লেখ করতে চাই না।’ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাবনার মেয়ে অ্যাডভোকেট যূথীর স্থানীয়ভাবে তেমন কোনো পরিচিতি নেই। তার বাবা অধ্যাপক আবু সাঈদেরও কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে যূথী রাজধানীতে বসবাস শুরু করেন। দ্বিতীয় বিয়ে করেন দেশের অন্যতম স্বনামধন্য শেখ পরিবারের সন্তান বর্তমানে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশকে। ‘ক্লিন ইমেজের’ পরশ ২০১৯ সালে যুবলীগের চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই আইন অঙ্গনসহ সর্বত্র যূথীর প্রভাব বেড়ে যায়। যুবলীগের কমিটি গঠন, সংগঠন নিয়ন্ত্রণসহ নানা বিষয়ে হস্তক্ষেপ শুরু করেন। ২০২১ সালে পাবনার স্থানীয় রাজনীতিতেও প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন। পাবনার পৌর নির্বাচনে নৌকার মেয়র প্রার্থী সনি বিশ্বাসের পক্ষে প্রচারণায় নামেন। তবে নির্বাচনে ওই প্রার্থী পরাজিত হন। ফলে এলাকার রাজনীতিতে শক্ত ভিত্তি স্থাপন করতে পারেননি যূথী। এরপর তিনি আর পাবনায় খুব একটা যান না বলে সূত্র জানায়। পরবর্তী সময়ে যূথী মনোযোগ দেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দিকে। ২০২২ সালে সমিতির সম্পাদক পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। কিন্তু সরকার সমর্থক প্যানেলে মনোনয়ন পাননি। এবারও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্যানেল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। ভোটের মাঠে তিনি জোট বাঁধেন বর্তমান সরকারের আমলে বহিষ্কৃত সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমানের সঙ্গে। এতে করে কিছুটা উচ্ছ্বসিত ছিলেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থক জোটের প্রার্থীরা। সরকার সমর্থকদের চাপে রাখেন বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রার্থীরা। এরই মধ্যে গত ৬ ও ৭ মার্চ সমিতির দুই দিনব্যাপী ভোট নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভোটের দিন থেকেই সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে সাদা শার্টধারী অনেক বহিরাগত ব্যক্তিকে দেখা যায়। তাদের বেশিরভাগই যুবলীগ কর্মী এবং অ্যাডভোকেট যূথীর পক্ষে সমর্থন দিতে তারা সমিতির প্রাঙ্গণে জড়ো হন বলে জানা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য মতে, বৃহস্পতিবার রাত ২টার পর ভোট বাছাই প্রক্রিয়া শেষ হয়। এর আগে বিএনপি সমর্থক একাধিক প্রার্থী ব্যালটের সঙ্গে মুড়ির সংখ্যার মিল না থাকার অভিযোগ তোলেন। পরে ভোট গণনা শুরু নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দেয়। এর আগে থেকে অর্থাৎ সন্ধ্যার পরপরই সমিতি ভবনের বিভিন্ন স্থানে বহিরাগতদের অবস্থান করতে দেখা যায়। সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী যূথী ও বিএনপি সমর্থিত সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুসসহ কয়েকজন রাতেই ভোট গণনার পক্ষে মত দেন। তবে এত রাতে প্রার্থীদের এজেন্ট না থাকার কথা উল্লেখ করে সরকার সমর্থিত সাদা প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী শাহ মনজুরুল হকসহ কয়েকজন প্রার্থী শুক্রবার দিনের বেলা ভোট গণনার পক্ষে মত দেন। এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে বাদানুবাদ ও হট্টগোল হয়। একপর্যায়ে যুবলীগের নেতাকর্মীসহ একদল বহিরাগত সমিতি মিলনায়তনে ঢুকে পড়েন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দেওয়া তথ্য ও ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঘটনার সময় সমিতি মিলনায়তনের ভেতরে ও বাইরে যুবলীগের অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী বশির আহম্মেদ, যুবলীগ নেতা সাইদুর রহমান জুয়েল, জয়দেব নন্দী, মশিউর রহমান সুমন, আসলাম রাইয়ান, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনউদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, সহসভাপতি সোহরাব হোসেন স্বপন, কামাল উদ্দিন খান, নাজমুল হোসেন টুটুল, মুরসালিন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাফর আহমেদ রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বকুল, মাকসুদুর রহমান, প্রচার সম্পাদক আরমান হক বাবু, অর্থবিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ উদ্দিন আহমেদ সাইমন, উপশিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগারবিষয়ক সম্পাদক আলতাফ হোসেন, ২০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের আহ্বায়ক শেখ সাইদুর রহমান বাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হোসেন প্রমুখ। তারা ভোটকেন্দ্রের ভেতর ঢুকে পড়লে নির্বাচন পরিচালনা-সংক্রান্ত উপকমিটির সদস্য ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এস আর সিদ্দিকী সাইফ পুরো পরিস্থিতির ভিডিও ধারণ করতে থাকেন। এ সময় যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাইদুর রহমান জুয়েল, যুবলীগ নেতা মশিউর রহমান সুমনসহ বেশ কয়েকজন ওই সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের ওপর চড়াও হন। হামরায় তিনিসহ অন্তত সাত আইনজীবী আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সরকার সমর্থক প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী শাহ মনজুরুল হক বলেন, ‘ভোট গণনার সময় উনি (যূথী), উনার বাহিনী এনে দাঁড় করিয়ে রাখেন। এ খবর আসার পর আমরা বলি, গণনার পরিবেশ নেই। দিনের বেলা গণনা হবে। এটা উনি সহ্য করতে পারেননি। ভোর ৬টার দিকে উনি নিজেই অনেকের সঙ্গে মারামারি করেছেন, অনেক নারী আইনজীবীর গলা ধাক্কা দিয়েছেন, উনি দেখিয়ে দিচ্ছেন একে মারো, উনাকে মারো, তাকে ধরো। তখন কমিশন বলল, এই পরিবেশে গণনা করা যাবে না। বিকেল ৩টায় গণনা করতে চাই। তখন অ্যাডভোকেট যূথী যুবলীগের লোকজন ডেকে ভেতরে এনে অনেককে মারধর করিয়েছেন। আর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধানকে জিম্মি করে ভোট গণনা ছাড়াই তাকে বিজয়ী ঘোষণা করার জন্য চাপ দিতে থাকেন।’ চাপ প্রয়োগ করে ফল ঘোষণায় বাধ্য করা সম্পর্কে নির্বাচন পরিচালনা সাবকমিটির প্রধান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে সম্পাদক পদে ফল বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমার নামে প্রচারিত ঘোষণাটি সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন। একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ভোট গণনার আগেই দুঃখজনকভাবে বহিরাগত মাস্তান শ্রেণি দিয়ে আমার ওপর চাপ সৃষ্টি করে লিখিত দিতে বাধ্য করা হয়।’ ওই রাতে আক্রমণের শিকার হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান (এস আর) চৌধুরী সাইফ তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গত শুক্রবার রাতে মামলা করেন। মামলায় নাহিদ সুলতানা যূথী ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলার পাঁচ আসামি আইনজীবী কাজী বশির আহমেদ, তুষার, তরিকুল, এনামুল হক সুমন ও ওসমান চৌধুরীকে শনিবার তিন দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ। এরপর গতকাল ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকেও রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। এখন যূথীসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোট গণনা কেন্দ্রে এমন পরিস্থিতির জন্য নাহিদ সুলতানা যূথীকে দায়ী করে আহত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ বলেন, ‘যেহেতু বারের নির্বাচন নিয়ে কিছুটা বিতর্ক তৈরি করেছিল বিএনপি-জামায়াত। সেই বিতর্ক থেকে বের হয়ে আসতে এবং একটা সুন্দর, স্বচ্ছ নির্বাচন করার জন্য টানা দুদিন ধরে আমরা পরিশ্রম করে যাচ্ছি। কিন্তু আমার ওপর নাহিদা সুলতানা যূথী এবং যুবলীগের লোকদের দিয়ে সরাসরি আঘাত করেছেন। তিনি বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে জোট করে এই নির্বাচনটা বানচাল করার চেষ্টা করেছেন।’ আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা জানান, দলীয় শৃঙ্খলার ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো ছাড় দেন না। অতীতে তার অনেক নজির রয়েছে। অনেককেই দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যূথীর ক্ষেত্রেও কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে সূত্র জানায়। আইনজীবীদের মতে, যূথী শুধু সরকার বা আওয়ামী লীগকেই বিব্রত করেনি, আইনজীবী হিসেবেও অপেশাদার আচরণ করেছেন। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি চাইলে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে পারে। জানতে চাওয়া হলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটির প্রধান অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের বলেন, ‘সেদিন যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে কেউ অভিযোগ দিলে অথবা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বার কাউন্সিল ও সমিতি পদক্ষেপ নিতে পারে। শৃঙ্খলার বাইরে কাজ করলে বার কাউন্সিল সনদ বাতিল করতে পারে। সমিতি পেশাগত দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে পারে।’ এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যূথীকে ফোন করেও পাওয়া যায়নি। ‘ভোটের ফল’ ভোট গণনার আগে সংঘর্ষের কারণে ফল ঘোষণায়ও দেরি হয়। শনিবার দুপুর থেকে ভোট গণনা শুরু হয়। শনিবার রাত দেড়টার দিকে ফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা সাবকমিটির প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের। ঘোষিত ফলে বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের মাহবুব উদ্দিন খোকন ২ হাজার ৬২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের আবু সাঈদ সাগর ২ হাজার ৫৩৯ ভোট পেয়েছেন। সভাপতি অন্য দুই প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. ইউনুছ আলী আকন্দ ৪৬ ভোট এবং সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. খলিলুর রহমান বাবলু (এম কে রহমান) ২২৯ ভোট পেয়েছেন। সম্পাদক পদে সাদা প্যানেলের শাহ মঞ্জুরুল হক ৩ হাজার ৩১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এই পদে বিএনপি প্যানেলের মো. রুহুল কুদ্দুস (কাজল) ১ হাজার ৭০২ ভোট পেয়েছেন। আর বহুল আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যূথী পেয়েছেন ২৬৯ ভোট। এই পদে অন্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া পেয়েছেন ৬০ ভোট। অন্য পদগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্যানেল থেকে সহসভাপতি পদে রমজান আলী শিকদার, সহসভাপতি পদে ড. দেওয়ান মো. আবু ওবায়েদ হোসেন, ট্রেজারার পদে মোহাম্মদ নুরুল হুদা আনছারী, সহসম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির ও মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির (পল্লব) এবং সদস্যপদে রাশেদুল হক খোকন, মো. রায়হান রনী, মো. বেল্লাল হোসেন (শাহীন) ও খালেদ মোশাররফ (রিপন) বিজয়ী হয়েছেন। আর কার্যনির্বাহী সদস্যপদে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেলের সৈয়দ ফজলে এলাহী অভি, ফাতিমা আক্তার ও মো. শফিকুল ইসলাম জয়ী হন।
১১ মার্চ, ২০২৪

ব্যারিস্টার কাজলের চার দিনের রিমান্ড 
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় হত্যাচেষ্টা মামলার গ্রেপ্তার বিএনপি-জামায়াতপন্থি নীল প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (১০ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ তার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে, একই ঘটনায় করা মামলায় শনিবার (৯ মার্চ) আরও পাঁচ আইনজীবীর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার রাতে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ (এস আর সিদ্দিকী সাইফ) তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথীসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। নাহিদ সুলতানা যুথী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী।
১০ মার্চ, ২০২৪

সুপ্রিম কোর্ট কলঙ্ক থেকে মুক্ত হতে পারল না : ব্যারিস্টার কাজল
সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে গত দুই বছর ধরে যে কলঙ্কজনক অধ্যায় চলে আসছিল, আজকে তৃতীয় বছরের মতো ২০২৪ সালে সেই কলঙ্ক থেকে মুক্ত হতে পারল না।  রোববার (১০ মার্চ) আদালতে তোলার সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল এসব কথা বলেন।  রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করা হয়েছে। আমি তিনবারের সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচিত সম্পাদক। বারের সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত। আমি আইনজীবীদের জনপ্রিয় নেতা। নির্বাচন থেকে সরিয়ে ফলাফল ছিনিয়ে নিতে আমাকে আটক করে তথাকথিত ফলাফল ঘোষণা করেছে। শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় হত্যাচেষ্টা মামলার গ্রেপ্তার ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ তার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে একই ঘটনায় করা মামলায় গতকাল শনিবার আরও পাঁচ আইনজীবীর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার রাতে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ (এস আর সিদ্দিকী সাইফ) তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথীসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। নাহিদ সুলতানা যুথী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী।
১০ মার্চ, ২০২৪

সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে ফল জালিয়াতি করা হয়েছে : রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশে এখন একটি পরিবারের জমিদারি চলছে, শেখ পরিবারের রাজতন্ত্রে পরিণত হয়েছে দেশ। গতকাল আপনারা দেখেছেন সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচন। অহংকারের মাত্রা ও ক্ষমতার দম্ভ কতটা তীব্র হতে পারে, সেখানে তা দেখা গেছে। সেখানে যুবলীগ যে তাণ্ডব চালিয়েছে তা দেশবাসী দেখেছেন। অথচ গ্রেপ্তার করা হয়েছে সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে। কিন্তু যুথিকে কেন আটক করা হলো না? মারামারি করল তারা নিজেরা নিজেরা। আটক করা হয়েছে বিএনপির লোক। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের মতো জায়গায় সেখানেও তারা ভোটের অধিকার কেড়ে নিল, ফল কেড়ে নিল। ফল জালিয়াতি করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। যদি সুষ্ঠুভাবে ভোট গণনা হতো বিএনপির ফুল প্যানেল বিজয়ী হতো। রোববার (১০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জিয়া সাইবার ফোর্স আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই সভার আয়োজন করা হয়। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ডামি সরকার মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে। জনগণ যে রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী বানাবে রাষ্ট্রপতি বানাবে সে অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আজকে পাঁচ কোটি শিক্ষিত যুবক বেকার সেদিকে খেয়াল নেই। তাদের কাজের সুযোগ করে দেওয়ার কোনো উদ্যোগ নেই। তারা থোড়াই কেয়ার করছে না। এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, শহীদুল ইসলাম বাবুল, ফজলে হুদা বাবুল প্রমুখ।
১০ মার্চ, ২০২৪

সুপ্রিম কোর্ট বারে খোকন-মঞ্জুরুল এগিয়ে
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনের ভোট গণনা শেষের দিকে। ভোট গণনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন জানিয়েছেন, সভাপতি পদে বিএনপির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী শাহ মঞ্জুরুল হক এগিয়ে রয়েছেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারা উভয়ে এগিয়ে ছিলেন। এ ছাড়া সহসভাপতি পদে সরকার সমর্থক প্যানেলের প্রার্থী ড. দেওয়ান মো. আবু ওবায়েদ হোসাইন সেতু ও রমজান আলী এবং কোষাধ্যক্ষ পদে সরকার সমর্থক প্যানেলের প্রার্থী মোহাম্মদ নুরুল হুদা আনসারী এবং একই প্যানেল থেকে সহ-সম্পাদক পদে হুমায়ুন কবির ও ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লবসহ সদস্যপদে সরকার সমর্থিত প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন বলে জানা যায়। এদিকে জাল ভোট ও কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে ফের নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। এর আগে শুক্রবার রাতে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ (এসআর সিদ্দিকী সাইফ) তাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। এতে আসামি করা হয় আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যূথীসহ ২০ জনকে। এই মামলায় গতকাল সন্ধ্যায় পল্টন চেম্বার থেকে অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজলকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এর আগে শুক্রবার রাতে আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল তাদের তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। তারা হলেন ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী, কাজী বশীর আহম্মেদ, হাসানুজ্জামান, তরিকুল ইসলাম ও এনামুল হক। এদিকে অনেক নাটকীয়তার পর গতকাল বিকেল ৩টার পর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়। ভোট গণনা ও ফল ঘোষণা উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে প্রচুর পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যে ভবনে ভোট গণনা করা হচ্ছে সেখানে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। এদিকে ভোট গণনা ছাড়াই সম্পাদক পদে এক প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণার বিষয়টি প্রত্যাহার করা হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক সিনিয়র আইনজীবী আবুল খায়ের স্বাক্ষরিত এক পত্রে বলা হয়, একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ভোট গণনার আগেই দুঃখজনকভাবে বহিরাগত মাস্তান শ্রেণি কর্তৃক আমার ওপর চাপ সৃষ্টি করে লিখিত দিতে বাধ্য করা হয়। যদিও ইহা অর্থহীন ঘোষণা, তবু কূটতর্ক নিরসনের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সকলকে তাহা ‘ইগনোর’ করার অনুরোধ করা হলো। ভোট গণনা করেই ফল ঘোষণা করা হবে।’ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের দুই দিনব্যাপী নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ কারণে এদিন ভোট গণনা কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। গ্রেপ্তারের আগে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ভোটের পর আমরা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ফলের অপেক্ষায় ছিলাম। এখনো আছি। আমরা এখন ব্যালট বাক্সও খুঁজে পাচ্ছি না, নির্বাচন কমিশনকেও খুঁজে পাচ্ছি না। শুক্রবার সকালে দেখা যায়, ভোটের ব্যালট বাক্স সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অডিটোরিয়ামে পুলিশের পাহারায় রয়েছে। এই প্রাঙ্গণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য ছাড়া কোনো দলের প্রার্থী ও সমর্থকদের দেখা যায়নি। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকা কাউকে ফোন করে পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, এর আগে সমিতির পরপর দুটি নির্বাচন নিয়েও বিতর্ক ও কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ২০২৩ সালে একতরফা নির্বাচন করে সরকার সমর্থক আইনজীবীরা সমিতির সবগুলো পদে বিজয়ী হন। ২০২২ সালেও ভোটগণনা শেষে ফল ঘোষণার মুহূর্তে আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীরা সম্পাদক পদে ভোট পুনঃগণনার দাবি জানান। এ নিয়ে হৈচৈ-হট্টগোলের মধ্যে নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক এ ওয়াই মসিউজ্জামান পদত্যাগ করেন। ফল ঘোষণা নিয়ে সৃষ্টি হয় জটিলতা। দেড় মাসেও এর নিরসন না হওয়ায় একই বছরের ২৮ এপ্রিল আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা ব্যালট রাখা কক্ষ ভেঙে পুলিশ পাহারায় তা গণনা করে নিজেদের প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করেন।
১০ মার্চ, ২০২৪

সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি খোকন, সম্পাদক মঞ্জুরুল
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী শাহ মঞ্জুরুল হক। এছাড়া ৩ পদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ও ৯ পদে আ.লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাচনের ৪৪ ঘণ্টা পর শনিবার (৯ মার্চ) বিকেল ৩টার পর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়। এর আগে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনায় শুক্রবার (৮ মার্চ) রাজধানীর শাহবাগ থানায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা ওই মামলায় আরও ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী (সাইফ) বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। এতে ১ নম্বর আসামি করা হয় অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীকে। এছাড়া ২ নম্বর আসামি করা হয় ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে। শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় পল্টন চেম্বার থেকে সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারির ঘটনার জেরে বিএনপি সমর্থিত সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  এর আগে শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথীর গুলশানের বাসায় অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে এবং শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে এজাহারভুক্ত ৬ নম্বর আসামি ব্যারিস্টার উসমানকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার (৯ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। উল্লেখ্য, গত বুধবার সকাল ১০টা থেকে প্রথম দিনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে ৫টায় শেষ হয়। 
০৯ মার্চ, ২০২৪

সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারি / বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী কাজল গ্রেপ্তার
সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারির ঘটনার জেরে বিএনপি সমর্থিত সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজলকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।  শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় পল্টন চেম্বার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  রুহুল কুদ্দুস কাজলের জুনিয়র অ্যাডভোকেট মারুফ ফাহিম বলেন, সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটের দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল কাজলকে তার পল্টনের চেম্বার থেকে নিয়ে যায়। পরে তিনি জানতে পারেন, কাজলকে গতকালের মামলায় শাহবাগ থানায় নেওয়া হচ্ছে। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনার মামলার এজাহারভুক্ত আসামি পাঁচ আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। পরে তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার (৯ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  
০৯ মার্চ, ২০২৪
X