ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, যারা এমন দুর্ধর্ষ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিচার হবে, শাস্তি হবে, তাদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করব আমরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকে ডাকাতি ছোট ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কুকি-চিনকে কঠোরভাবে দমনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা আলোচনার মধ্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, কেন হঠাৎ করে তারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, তা আমাদের জানা ছিল না। তবে যে উদ্দেশ্যেই তারা এসব করুক না কেন; আমরা তাদের ছাড় দেব না। আর এমন কিছু ঘটেনি, যাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে হবে। আমরা দেখছি, ব্যবস্থা নিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পেছনে কারা আছেন, অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না? কোনো ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা রয়েছে কি না, সেগুলো দেখে ব্যবস্থা নেব।  আসাদুজ্জামান খান বলেন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যেভাবে তথ্য দিচ্ছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেভাবেই কাজ করছে। এর আগে, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে রুমায় সোনালী ব্যাংকে লুটের অভিযোগ উঠেছে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে। এ সময় ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করা হয়। রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত ইউএনও) মো. দিদারুল আলম বলেন, রুমায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাণ্ডব চালিয়েছে। সোনালী ব্যাংক লুট, ব্যাংক ও ইউএনও অফিসের স্টাফদের মারধর করেছে। ঘটনার পরপরই এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশের নিরাপত্তাকর্মীরা টহল কার্যক্রম জোরদার করে ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে। তবে দেড় থেকে দুই কোটি টাকা লুটের অনুমান করা হলেও, ঠিক কী পরিমাণ টাকা লুট হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অন্যদিকে একটি সূত্র জানায়, ব্যাংকে টাকা সংরক্ষণ করা লোহার বাক্সের তালা খুলতে পারেনি। মূলত এ কারণে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. নেজাম উদ্দিনকে নিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে বুধবার বেলা ১১টার দিকে বান্দরবানের থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তারা গ্রাহকদের কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। তবে ব্যাংকের ভল্ট এখনো অক্ষত আছে বলে জানিয়েছেন থানচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মামুন। তিনি বলেন, দুই ব্যাংক থেকে মোট ১৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা লুট করা হয়েছে। ডাকাতরা ভল্ট খুলতে পারেনি। কাউন্টারে রাখা টাকা নিয়ে গেছে তারা।
০৪ এপ্রিল, ২০২৪

ব্যাংক ডাকাতিতে কুকি চিনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বান্দরবানের রুমায় ভল্ট থেকে ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা লুটের পর এবার থানচিতে সোনালী এবং কৃষি ব্যাংকের শাখায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। যা নিয়ে রীতিমতো হইচই শুরু হয়েছে জেলাটিতে।  এমন ঘটনা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, এসব ডাকাতির ঘটনায় জঙ্গিগোষ্ঠী কুকি চিনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে থানচি বাজারে এসব ডাকাতির ঘটনা ঘটে। মন্ত্রী বলেন, ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় কুকি চিং নামে একটি সংগঠন জড়িত বলে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। পুলিশ মহাপরিদর্শকের নেতৃত্বে একটি টিম সেখানে রয়েছে। তারা সার্বিক দিক খতিয়ে দেখছে। আসাদুজ্জামান খান বলেন, ব্যাংক লুট করে চলে যাওয়ার পরপরই পুলিশ ও বিজিবি সেখানে অভিযান চালাচ্ছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরাও যোগ দেবেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুটি গাড়িতে করে মোট ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি সশস্ত্র দল এ ডাকাতিতে অংশ নেয়। থানচি থানার ওসি জসিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে আছি। ডাকাতির সময় গ্রাহকদের কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয় ডাকাত দলের সদস্যরা। তবে ব্যাংকের ভল্ট এখনো অক্ষত আছে বলে জানা গেছে। সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার ওমর ফারুক বলেন, ডাকাতরা ব্যাংক থেকে টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। আমাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে অফিসিয়ালি ঠিক কত টাকা লুট হয়েছে তা তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না।
০৩ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ধাপে ধাপে ছুটি দেওয়ার নির্দেশ
আসন্ন ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ধাপে ধাপে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ছুটি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।  সোমবার (১ এপ্রিল) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী। এ ছাড়াও ঈদের ছুটির সময় মহাসড়কে নির্দিষ্ট এলাকায় যানজট নিরসনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা থেকে বের হওয়ার প্রতিটি পয়েন্টসহ দেশের যানজটপ্রবণ সব জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে থাকবে। দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।   এদিকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি ছুটি (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে) আছে আগামী ১০ থেকে ১২ এপ্রিল। সেখানে এই ছুটি আরও এক দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। তবে তা নাকচ করে দেওয়া হয়। মন্ত্রিসভা জানায়, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ঈদের ছুটি আরও এক দিন বাড়ানোর যে আবেদন করেছিল তা গ্রহণ করা হয়নি। অর্থাৎ ৯ এপ্রিল ঈদের অতিরিক্ত ছুটি পাচ্ছে না সরকারি চাকরিজীবীরা। এর আগে ঈদযাত্রায় যানজট, যাত্রী হয়রানি ও সড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি কমাতে ৮ ও ৯ এপ্রিল ২ দিন ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবি জানায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর ডাকে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন পুলিশ সদস্যরা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১৯৭১ সালের আজকের দিনের কথা স্মরণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে উদ্বুদ্ধ হয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন রাজারবাগের পুলিশ সদস্যরা। বাঙালি জাতি তাদের আত্মোৎসর্গ কখনো ভুলবে না। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স স্মৃতিসৌধে শহীদ পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে এ কথা বলেছেন তিনি। এদিন সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান পুলিশ স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান । পরে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম এবং র‍্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন। এরপর বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও এসবি প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক (বিপিডব্লিউএন) নেতারা পৃথক পৃথকভাবে রাজারবাগ পুলিশ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর আগে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে গার্ড অব অনার প্রদান করেন ডিএমপির একদল চৌকস পুলিশ সদস্য। এসময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।
২৬ মার্চ, ২০২৪

রাজবন্দি নেই, কারাগারে বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট রয়েছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি বলছে, কারাগারে হাজার হাজার রাজবন্দি রয়েছে। তাদের কথা ঠিক নয়, কারাগারে কোনো রাজবন্দি নেই বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৪ উপলক্ষে পুলিশ স্টাফ কলেজে কনভেনশন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজবন্দি বলতে আমাদের এখানে কেউ নেই। যারা প্রধান বিচারপতির বাসায় ভাঙচুর করেছে, যারা আমার পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, যারা আমার আনসারকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, যারা আমাদের মেয়েদের গায়ে হাত দিয়েছে। আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী যেভাবে বাংলাদেশ একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তার পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করেছেন। আর নির্বাচনকালে নিরাপত্তা বাহিনী অত্যন্ত নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।  আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, গত নির্বাচনে অনেক মন্ত্রী, বড় বড় নেতা ধরাশায়ী হয়েছেন। কাজেই আমরা সুনিশ্চিত করে বলতে পারি এই নির্বাচনে কোনো ধরনের কারচুপি হয়নি বা কোনো ধরনের সাপোর্ট কেউ পেয়েছে বলে আমরা মনে করি না, দেখিওনি। 
০৯ মার্চ, ২০২৪

জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের ফুলেল শ্রদ্ধা
কর্তব্যরত অবস্থায় মারা যাওয়া পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।  শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে পুলিশ স্টাফ কলেজে স্থাপিত ‘পুলিশ মেমোরিয়াল’ বেদিতে ফুল দিয়ে এ শ্রদ্ধা জানান তারা। এ সময় র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) খুরশীদ হোসেন ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) কামরুল আহসান, অতিরিক্ত আইজিপি (অর্থ) আবু হাসান মুহাম্মদ তারিক, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নূরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, বিভিন্ন দেশে কর্তব্যরত অবস্থায় মারা যাওয়া পুলিশ সদস্যদের স্মরণে পুলিশ স্টাফ কলেজে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল’ তৈরি করা হয়েছে। 
০৯ মার্চ, ২০২৪

পিলখানা হত্যার বিচারকার্য কত দূর, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পিলখানায় ঘটে যাওয়া নারকীয় হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষ হয়েছে, শিগগিরই চূড়ান্ত বিচার শেষ হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।  রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যা কিছুই হোক আমরা দ্রুত বিচারকাজ শেষ করার চেষ্টা করছি। আদালত স্বাধীন, তাই তাদের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে। বিচারে কারও গাফিলতি নেই, সঠিকভাবে তদন্ত শেষ করতেই এই দীর্ঘসূত্রিতা।   এর আগে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১৫ বছর পূর্ণ উপলক্ষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শাহাদতবরণকারী সেনা কর্মকর্তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। প্রথমে রাষ্ট্রপতির পক্ষে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি দুদিনে তৎকালীন বিডিআর বর্তমানে বিজিবি সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের নামে হত্যা করা হয় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে। ওই ঘটনায় একটি হত্যা ও একটি বিস্ফোরক মামলা দায়ের করা হয়। হত্যা মামলায় ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। এর মধ্যে হাইকোর্টে এসে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৪৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল থাকে।
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তির সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক নেই : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ২৮ অক্টোবর বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ নানা ধরনের হামলার প্রেক্ষিতে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছিল। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের অনেককেই মুক্তি দিয়েছেন আদালত। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ ইসা আলদুহাইলানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এসব কথা বলেন তিনি । স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বন্দি প্রত্যাবর্তন চুক্তি করতে আগ্রহী সৌদি সরকার। এক্ষেত্রে বাংলাদেশেরও আপত্তি নেই। প্রস্তাব পাওয়ার পর সরকার বিষয়টি ভেবে দেখবে। চুক্তি হলে দুদেশে থাকা অপরাধীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো সহজ হবে। তিনি বলেন, সে দেশে বাংলাদেশি কেউ অপরাধ করলে তারা তাদের ফিরিয়ে দিবে এবং সে দেশের কেউ আমাদের দেশে অপরাধ করলে তাদের আমরা ফিরিয়ে দিব। আসাদুজ্জামান খান বলেন, মিয়ানমার সীমান্তের অস্থিরতা নিয়ে আমরা শঙ্কিত না। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করি খুব শিগগিরই মিয়ানমারের অবস্থা ভালো হবে এবং রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিবে। বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে আর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলেও উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

২-১ দিনের মধ্যে মিয়ানমারের আশ্রিতদের ফেরত পাঠানো হবে
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, মিয়ানমারে সামরিক জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষের জেরে দেশটি থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসাদের দুয়েকদিনের মধ্যে ফেরত পাঠানো হবে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে হাইওয়ে পুলিশের ‘সেবা সপ্তাহ-২০২৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। তিনি বলেন, মিয়ানমারের চতুর্দিকেই যুদ্ধ লেগে আছে। বাংলাদেশ সীমানায় আরাকান আর্মির সঙ্গে তাদের বাহিনীর যুদ্ধ চলছে। আমরা দেখছি তাদের এই যুদ্ধ এতটাই তীব্র হয়েছে যে, মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), সরকারি কর্মকর্তা, দুয়েকজন সেনা সদস্য আমাদের এখানে ঢুকে পড়েছে। এদের মধ্যে কেউ অস্ত্র নিয়ে এসেছে, কেউ অস্ত্র ছাড়া ঢুকেছে। তারা এসেছে জীবন রক্ষার জন্য, যুদ্ধের জন্য আসেনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের অস্ত্রগুলো রেখে আটক অবস্থায় আমাদের এখানে রেখেছে আমাদের বিজিবি সদস্যরা। এদের মধ্যে যারা আহত, তাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা তাদের ফেরত নেওয়ার কথা জানিয়েছি। তারা (মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ) অতি শিগগিরই জাহাজযোগে তাদের নিয়ে যাবে বলে বার্তা পাঠিয়েছে। আশা করছি ২-১ দিনের মধ্যেই তাদের সদস্যদের তারা ফেরত নিয়ে যাবে। আমাদের সঙ্গে তাদের কোনো কনফ্লিক্ট নেই, কোনোরকম যুদ্ধ নেই, তারা আত্মরক্ষার্থে আমাদের এখানে এসেছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছি, এমনিতেই ১২ লাখ রোহিঙ্গা আমাদের দেশে রয়েছে। রোহিঙ্গা বা অন্য কেউ যেই আসুক, মিয়ানমার থেকে আমরা কাউকে আর এখানে সেটেল হতে দেব না। যারা আত্মরক্ষার্থে এখানে আসছে তাদের সরকারকে বলেছি নিয়ে যেতে। তারা নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ড সবাই অতন্দ্রপ্রহরীর মতো কাজ করছে। সেখানে যুদ্ধ হচ্ছে, এ সীমানায় তাদের কেউ আসবে বলে মনে হচ্ছে না। তারপরও যদি আসে, আমাদের এখানে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। বিজিপি সদস্যদের যারা আশ্রয় নিয়েছে, রোহিঙ্গাদের ওপর আক্রমণে তাদের কেউ জড়িত ছিল কি-না, জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের জানান, আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো লিস্ট নেই। তবে আমরা সে সময় দেখেছি মাইলের পর মাইল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, নদীতে লাশ ভেসে আসতে দেখেছি। আসাদুজ্জামান খান বলেন, মিয়ানমারে যে গণহত্যা চালাতে আমরা দেখেছি, সে সময় তাদের আর্মি দাঁড়ানো ছিল। তারাই গণহত্যা করেছে কি না জানি না। এটার বিচার চলছে আন্তর্জাতিক আদালতে।
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নগরবাসীর নিরাপত্তায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে ডিএমপি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ৫০টি থানার ৩৪ হাজার জনবল নিয়ে ঢাকায় বসবাস করা নগরবাসীর নিরাপত্তার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পুলিশের মোট জনবল দুই লাখ ১০ হাজারের বেশি। সেই হিসাবে একজন পুলিশ  ৮২৫ জন মানুষকে নিরাপত্তা দিচ্ছে। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল, সে জন্য আমরা কাউন্টার টেররিজম ইউনিট গঠন করেছিলাম। আমরা সাইবার ইউনিট তৈরি করেছিলাম, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার গড়ে তুলেছিলাম, আমরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রের জন্য ট্রাফিক ইউনিট করেছি যা ডিএমপির কমিশনারের অধীনে কাজ করে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ডিএমপির ৪৯তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সুধী সমাবেশ ও আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, রাজারবাগ এসে মনে পড়ে যায় সেই ২৫ মার্চের কথা। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ যে ডাক দিয়েছিলেন সেই ডাকে পুলিশ বাহিনী নিজের জীবনবাজি রেখে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। অনেক পুলিশ সদস্য সেদিন শহীদ হয়েছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন পুলিশ জনগণের পুলিশ হবে। আজকে কিন্তু পুলিশ জনগণের পুলিশ হয়েছে। জনগণের জন্য তারা সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। আরও বিশ বছর আগে পুলিশের কথা যদি চিন্তা করি, সে সময় মানুষ পুলিশকে ভয় পেত। আজকে কিন্তু পুলিশের ওপর আস্থা, বিশ্বাস রাখছে, কোনো প্রয়োজন হলে মানুষ পুলিশের কাছে যাচ্ছে। কোভিডের সময় আপনারা দেখেছেন মায়ের মরদেহ সন্তান ফেলে রেখে গেছে। পুলিশই তাদের শেষ কার্যটি করেছে।  ঢাকার মেয়রদের কাছে দাবি জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের কাছে (দুই মেয়র) জোর দাবি জানাব,আমাদের ট্রাফিক সার্জেন্টরা ভয়ানক অসুবিধায় থাকেন। তাদের জন্য যদি মাঝে মাঝে বিশ্রামের জন্য ব্যবস্থা করে দেন। এই আহ্বানটি রাখছি। তিনি বলেন, ডিএমপি আরও এগিয়ে যাবে, তাদের সেবার পরিধি বাড়াবে। আরও দক্ষতায় সব কিছু মোকাবিলা করবে এই আস্থা ও বিশ্বাস রাখি।
০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X