হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ানসহ অন্যদের এখনো খোঁজ মেলেনি। জানা যায়নি হেলিকপ্টারটির কী হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর সর্ব শক্তি প্রয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উদ্ধারকাজে সহযোগিতার জন্য রাশিয়া বিশেষজ্ঞ একটি দল পাঠাচ্ছে। রাশিয়ার জরুরি পরিস্থিতি মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। খবর আল জাজিরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, অনুসন্ধানে সহযোগিতা করার জন্য রাশিয়া ৪৭ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ উদ্ধারকারী দল এবং একটি হেলিকপ্টার পাঠাচ্ছে।
এর আগে এই দুর্ঘটনার পর থেকে ইরানের পাশে দাঁড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ। একই সঙ্গে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
সোমবার (২০ মে) ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানায়, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি ও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর, আজারবাইজান, আর্মেনিয়া এবং ইরাক উদ্ধার কাজে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতও সমর্থন দিয়েছে এবং বলেছে যে তারা ইরানের পাশে আছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উদ্ধারকাজে সহযোগিতার জন্য তুরস্ক বিশেষজ্ঞ একটি দল পাঠাচ্ছে। দেশটির সরকারের জরুরি সহায়তা সংস্থা এএফএডি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সন্ধানে ইরানকে সাহায্য করার জন্য তুরস্ক পাহাড়ে উদ্ধারকাজে বিশেষজ্ঞ ৩২ জনকে পাঠাচ্ছে।
হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ঘটনার বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস দুর্ঘটনার খোঁজ নিচ্ছেন।
রোববার (১৯ মে) ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা এ তথ্য জানায়। এরপর তাদের সন্ধানে নামে অনুসন্ধান দল।
হেলিকপ্টারটিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, তাবরিজ জুমার নামাজের খতিব হোজ্জাতোলেস্লাম আল হাশেম এবং আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তি রাইসির সঙ্গে ছিলেন।
মন্তব্য করুন