পৃথিবীর কোনো স্বৈরাচার টিকে নাই, এরাও টিকবে না : নজরুল ইসলাম খান
সত্যিকারের বিজয় আসবে এবং এই স্বৈরাচার সরকারও টিকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ফেরাউন-নমরুদ টিকে নাই, হিটলার-মুসোলিনিও টিকে নাই, কোনো স্বৈরাচার, কোনো ফ্যাসিবাদ টিকে নাই, ইনশাআল্লাহ এরাও (স্বৈরাচার সরকার) টিকবে না। সোমবার (৮ এপ্রিল) ঈশ্বরদীতে বিকেলে দরিনারিচা পশ্চিমপাড়া সূর্য খোলার মাঠে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আটক ঈশ্বরদী বিএনপির ৪৭ নেতাকর্মীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। নজরুল ইসলাম খান বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য বদল করেছেন শহীদ জিয়া, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান করছেন। কারণ বাংলাদেশের সকল দল তারেক রহমানের নেতৃত্বে এই ফ্যাসিবাদী আন্দোলনে শরিক হয়েছেন। একদিকে এই সরকারের সমস্ত প্রশাসন আরেকদিকে সাধারণ নিড়িহ ও নিপীড়িত জনগণ। দেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে থেকে তার (তারেক রহমান) কথায় এ দেশের শতকরা ৯৫ শতাংশ মানুষ ডামি নির্বাচনের ভোট বর্জন করেছেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমি বলব- আওয়ামী লীগের হাতে কসাইয়ের চাকু আর তারেক রহমানের হাতে মানবতার পতাকা। এ কারণেই তিনি মানুষের খোঁজখবর নেন। ঈশ্বরদী ট্রেন বহরে হামলা এটা মিথ্যা ও জালিয়াতি, এটা শেখ হাসিনার নাটক। এটা জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী ও পাবনা জেলা বিএনপির সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামমুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এবং বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দনের সঞ্চালনায় ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে প্রধান  অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত  চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। আরও বক্তব্য দেন, সাবেক এমপি কেএম আনোয়ারুল হক, সেলিম রেজা হাবিব, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মান্নান, যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুল হক বাবু, আবু ওবায়দা শেখ, নুর মোহাম্মদ মাসুম বগা, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার, , সাবেক দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি একেএম মূসা, সাধারণ সম্পাদক রেহানুল ইসলাম বুলাল,পাবনা পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম লালু, ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক সন্টু সরদার প্রমুখ। ইফতার মাহফিলে শেখ হাসিনার ট্রেন বহরে হামলার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ৪৭ নেতাকর্মীদের মধ্যে ৩৩ নেতাকর্মীদের পরিবারের মাঝে অটোরিকশা বিতরণ করা হয়। এবং তাদের সুস্থতা ও মঙ্গল কামনায় দোয়া করা হয়।
০৮ এপ্রিল, ২০২৪

আজ আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিবস, জানে না অনেকেই
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি। আজ পয়লা ফাল্গুন। আজ ভালোবাসার দিন। কিন্তু অনেকে জানেন না আজ স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবসও। সামরিক স্বৈরাচারী এরশাদবিরোধী আন্দোলনের এক অগ্নিঝরা দিন। ১৯৮৩ সালের এই দিনে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে সূচিত হয়েছিল প্রথম বড় ধরনের আন্দোলন, যা মধ্য ফেব্রুয়ারির আন্দোলন হিসেবে পরিচিত। সেই থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত দিনটি স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। তবে ’৯২-এর পর থেকে ভ্যালেন্টাইন ডের প্রভাব নতুন প্রজন্মের চেতনায় দিবসটি নাড়া দিতে পারছে না। ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এরশাদের উপদেষ্টা মজিদ খানের শিক্ষানীতি বাতিল এবং সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হয়। ছাত্রদের একটি মিছিল সকালে শিক্ষা ভবনের সামনে পৌঁছলে পুলিশ বাধা দেয়। ফলে ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন জয়নাল, জাফর, দিপালী সাহাসহ কয়েকজন। নিহতদের কয়েকজনের লাশ গুম করে সরকার। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা এবং বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ও ঢাকা শহরে কারফিউ জারি করা হয়। একই সঙ্গে ওই সময় পুলিশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রাবাসে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের ওপর বেপরোয়া হামলা চালায় এবং ব্যাপক সংখ্যক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে। ছাত্র হত্যা এবং পুলিশি হামলার প্রতিবাদে পর দিন এ আন্দোলন জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। ফলে পর দিন সরকার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে।
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস আজ
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি। স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস। সামরিক স্বৈরাচারী এরশাদবিরোধী আন্দোলনের এক অগ্নিঝরা দিন। ১৯৮৩ সালের এই দিনে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে সূচিত হয়েছিল প্রথম বড় ধরনের আন্দোলন, যা মধ্য ফেব্রুয়ারির আন্দোলন হিসেবে পরিচিত। সেই থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত দিনটি স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। তবে ’৯২-এর পর থেকে ভ্যালেন্টাইন ডের প্রভাব নতুন প্রজন্মের চেতনায় দিবসটি নাড়া দিতে পারছে না। ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এরশাদের উপদেষ্টা মজিদ খানের শিক্ষানীতি বাতিল এবং সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হয়। ছাত্রদের একটি মিছিল সকালে শিক্ষা ভবনের সামনে পৌঁছলে পুলিশ বাধা দেয়। ফলে ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। এক পর্যায়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন জয়নাল, জাফর, দিপালী সাহাসহ কয়েকজন। নিহতদের কয়েকজনের লাশ গুম করে সরকার। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা এবং বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ও ঢাকা শহরে কারফিউ জারি করা হয়। একই সঙ্গে ওই সময় পুলিশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রাবাসে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের ওপর বেপরোয়া হামলা চালায় এবং ব্যাপক সংখ্যক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে। ছাত্র হত্যা এবং পুলিশি হামলার প্রতিবাদে পরদিন এ আন্দোলন জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। ফলে পরদিন সরকার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে।
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

জিয়াউর রহমান স্বৈরাচার ছিলেন, খুনি ছিলেন : সজীব ওয়াজেদ
‘জিয়াউর রহমানের আমল আমাদের দেশের বিরাট একটা কালো দাগ ছিল। আজকে যারা মানবাধিকারের কথা বলে, তারা এটা বলে না জিয়াউর রহমান এবং বিএনপি তখন কত হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে বিচার ছাড়া। তাদের লাশ পর্যন্ত পাওয়া যায় না আজ পর্যন্ত। এই হলো বিএনপি। এটা কী গণতান্ত্রিক দল? না, এটা একটা সন্ত্রাসী দল। এটা একটি খুনিদের দল। জিয়াউর রহমান স্বৈরাচার ছিলেন, জিয়াউর রহমান খুনি ছিলেন।’- বেশ দুঃখ ও ক্ষোভ নিয়ে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত লেটস টক এ কথাগুলো বলেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ। ১৯৭৭ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাতে বিনা বিচারে হত্যার শিকার এক তরুণ বিচারের দাবি করলে এ কথাগুলো বলেন তিনি। ১৯৭৫ সালে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হারিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ। তার মা ও খালা ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান এই হত্যাযজ্ঞ থেকে। এরপর দীর্ঘদিন দেশের বাইরে নির্বাসিত থাকতে হয়েছে তাকে পুরো পরিবার নিয়ে। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশে যেই হত্যার রাজনীতির সূচনা হয় তা বহুগুণে বেড়ে যায় জিয়াউর রহমানের শাসনামলে। প্রায় ১ হাজারের বেশি সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেন তিনি প্রহসনের বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে। অনেক সেনা কর্মকর্তা সামরিক অভ্যুত্থানের সময় নিজ বাড়িতে থাকার পরও তাদের ফাঁসি দেওয়া হয়।  লেটস টকে উপস্থিত জিয়াউর রহমানের হত্যার শিকার পরিবারের এক তরুণ কাঁপা গলায় জানতে চান, ১৯৭৭ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিনা বিচারে গণ ফাঁসি দিয়ে তার চাচা এক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এর বিচার কি কখনো পাওয়া যাবে না? বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে সজীব ওয়াজেদ বলেন, আমরা বিচার করার চেষ্টা করছি। এটা একটা কঠিন বিষয়। কারণ, তখন থেকে অনেক রেকর্ডস নাই, তথ্য নেই। তারা তো সব মুছে ফেলেছে। যেভাবেই হোক, তাদের আমরা বিচার করার চেষ্টা করেই যাচ্ছি। এ সময় আক্ষেপ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের জঙ্গিবাদ আর দুর্নীতির বিচার করতে গেলেও এখন বিদেশিরা বলছে মানবাধিকার লঙ্ঘন। তাদের বাঁচাতে ব্যস্ত বিদেশিরা। আমি তরুণদের বলব, যারা বিএনপি-জামায়াতকে বাঁচাতে চেষ্টা করছে, তাদের কথা যখনই শুনবেন প্রতিবাদ করবেন। বলবেন, জিয়াউর রহমান খুনি ও বিএনপি জঙ্গিদল, তাদের পক্ষে কেন কথা বলছ তোমরা? তোমরা বিদেশিরা মানবাধিকারের কথা বলছ, তোমরা বিদেশিরা তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার আগে করো। তখন তোমাদের কথায় বিশ্বাস করব। দেশের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে তরুণদের সেতুবন্ধন গড়ে দিতে ২০১৪ সাল থেকে ইয়াং বাংলা ‘লেটস টক’ শিরোনামে এ আয়োজন করছে। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়েও আয়োজন করা হয় লেটস টক যেখানে দেশ নিয়ে তরুণদের ভাবনার কথা শোনেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে তরুণদের নিয়ে তার ভাবনার কথাও জানান এই অনুষ্ঠানে। লেটস টক অনুষ্ঠানের ৫১তম পর্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণসহ তরুণদের দেশ ও দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে করা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন সজীব ওয়াজেদ।
০২ ডিসেম্বর, ২০২৩

বৈঠকের পরই শিকে স্বৈরাচার বললেন বাইডেন
এক বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে ঐতিহাসিক এ সাক্ষাতের মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চীনের প্রেসিডেন্ট  শি জিনপিংকে  ‘স্বৈরাচার’ সম্বোধন করেছেন।  মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপড়েন সমাধানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। উচ্চ-স্তরের সামরিক যোগাযোগ পুনঃস্থাপন, ফেন্টানাইলের বিরুদ্ধে লড়াই এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে সংলাপ বাস্তবায়নের চুক্তির কথা তুলে ধরেন তিনি।  তিনি বলেন ‘আমি বিশ্বাস করি এটি আমাদের মধ্যে সবচেয়ে গঠনমূলক এবং ফলপ্রসূ আলোচনা ছিল। বাইডেন বুধবার সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, তীব্র চাপের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে এ শীর্ষ সম্মেলন। এখানে আমরা গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধন করতে পেরেছি বলে আমার বিশ্বাস।’ চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীন এ আলোচনাকে গভীর মতবিনিময় বলে দেখছে। চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোনো একটি দেশের সাফল্য অন্য দেশের জন্য একটি সুযোগ। তবে শুধু একপক্ষের দ্বারা অন্য আরেকটি পক্ষকে পুনর্নির্মাণ অসম্ভব। চীন আরও জানায়, তাইওয়ানের প্রশ্নটি সবচেয়ে সংবেদনশীল এবং স্পর্শকাতর সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম।  বাইডেন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের সাথে প্রবলভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা পোষণ করেছে। তবে আমরা সেই প্রতিযোগিতাটি দায়িত্বের সাথে পরিচালনা করব। যাতে কোনো সংঘর্ষ বা দুর্ঘটনাজনিত সংঘাত না ঘটে।’ তবে সংবাদ সম্মেলনের শেষে বাইডেন শিকে ‘স্বৈরশাসক’ অভিহিত করেন। উল্লেখ্য, গতবছর চলতি বছরের শুরুতে বাইডেনের এমন মন্তব্য আলোচনার ঝড় তুলেছিল। বাইডেন বলেন, ‘দেখুন, এই অর্থে তিনি একজন স্বৈরশাসক যে একটি কমিউনিস্ট দেশ পরিচালনা করেন। এটা আমাদের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা ধরনের সরকারব্যবস্থা।’ এ সময় মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোতে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলা বন্ধে চীনের সহায়তা চান বাইডেন। আহ্বান করেন ইরানের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের প্রভাব ব্যবহার করার। মূলত গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে চলমান হামলা মোকাবিলায় চীনের দ্বারস্থ হতে একপ্রকার বাধ্য হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।    বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, পৃথিবী দুইটি রাষ্ট্রের সফলতা অর্জনের জন্য যথেষ্ট বড়। এ সময় তিনি জলবায়ু পরিবর্তন ও অর্থনীতি নিয়ে চীনের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। জানান, দুই দেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতা কখনোই সংঘাতে রূপ নেওয়া প্রত্যাশিত নয়। পাশাপাশি বিরোধপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়েও জিনপিংয়ের সঙ্গে সফল আলোচনা হয়েছে বলে জানান বাইডেন।   
১৬ নভেম্বর, ২০২৩

দেশে স্বৈরাচার ও মিথ্যাবাদী সরকার ক্ষমতায় আছে : চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, দেশে জালিম ও স্বৈরাচার সরকার জগদ্দল পাথরের মতো বসে আছে। এই জালিম ও মিথ্যাচারদের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ’৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ, ইসলাম ও ঈমান বাঁচানোর আন্দোলন করতে হবে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও মানুষকে ভোটের ও ভাতের অধিকারের জন্য আন্দোলন করতে হয়।  শুক্রবার (২১ জুলাই) রাজধানীর কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটের সোশ্যাল গার্ডেন মিলনায়তনে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চরমোনাই পীর বলেন, জীবনবাজি রেখে যারা দেশকে স্বাধীন করেছে, সেই মুক্তিযোদ্ধাদের চোখে পানি। দেশে একটি ফ্যাসিবাদ, জালিম ও মিথ্যাবাদী সরকার ক্ষমতায় বসে আছে। এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জনগণকে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ভোট চোর, ভোট ডাকাত সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ মাঠে নেমে এলে এরা পালাতে বাধ্য হবে।  তিনি বলেন, আজ মানুষের বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। অনুমতি নিয়ে কথা বলতে হয়, এটা কী  স্বাধীনতা? মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। অথচ আজ মানুষের কোনো অধিকার নেই। কথা বলার স্বাধীনতা নেই। তিনি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় মুক্তিযোদ্ধাসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা সম্মেলনে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব। আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, মনির হোসেন, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, ইসলামী আইনজীবী পরিষদের অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, ইসলামী যুব আন্দোলনের ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের শরীফুল ইসলাম রিয়াদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ খালেকজ্জুামান, আবুল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আইনুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির, মুহাম্মাদ নুরুজ্জামান সরকার প্রমুখ। সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেমকে সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াদুদকে সিনিয়র সহসভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ খালেকুজ্জামানকে সেক্রেটারি জেনারেল করে ২০২৩-২০২৫ সেশনের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন পীর সাহেব চরমোনাই। সম্মেলনে ১১ দফা প্রস্তাবনা উপস্থাপনা করেন ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ বাংলাদেশের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবুল কাশেম।   জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চুরি হয়েছে। যারা স্বাধীনতা চায়নি তারা আজ স্বাধীনতার কথা বলে। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণায় যা ছিল তা আজ নেই।  তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সরকারবিরোধী আন্দোলনে একসঙ্গে লড়াইয়ে নামবে বলে আমি আশাবাদী। এ লড়াই বাঁচার লড়াই। বরিশালে মুফতি ফয়জুল করীমকে অসম্মান করেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সেদিন যা বলেছেন তা ঘৃণ্য, আমি এই বক্তব্যের জন্য নিন্দা জানিয়েছি।
২১ জুলাই, ২০২৩
X