বুটেক্সে হবে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) হবে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ স্মরণে স্মৃতিফলক। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ হতে বুটেক্স সাংবাদিক সমিতি (বুটেক্সসাস) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামান বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের প্রেক্ষিতে স্মৃতিফলক স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ স্মরণে স্মৃতিফলক স্থাপনে সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে সুপারিশ পেশ করার জন্য চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিনকে। সদস্য সচিব করা হয়েছে ডাইজ অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেনকে। এ ছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন একাডেমিক শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার (এইচআর) মুহাম্মদ শরীফুর রহমান ও এক্রিডাইটেড ল্যাবের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. কবিরুল ইসলাম। স্মৃতিফলক স্থাপন নিয়ে কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন বলেন, স্মৃতিফলক কোথায় স্থাপন করা হবে, ডিজাইন কেমন হবে এসব ব্যাপারে খুব শিগগিরিই মিটিং করে আমরা সিদ্ধান্ত সেব। এরপর এটা সিন্ডিকেট সভায় যাবে। যেহেতু কমিটি গঠন করা হয়েছে এটা অবশ্যই হবে।
১৯ মার্চ, ২০২৪

বুটেক্সে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে স্মৃতিফলক স্থাপনে স্মারকলিপি প্রদান
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে স্মৃতিফলক স্থাপনের জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে বুটেক্স সাংবাদিক সমিতি। রোববার (১৪ জানুয়ারি) প্রদানকৃত স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার একযুগ পার হলেও এখনো মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে কোনো স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়নি। দেশের স্বাধীনতার জন্য অসামান্য ভূমিকা রাখা এসব বীরদের স্মরণে স্মৃতিফলক না থাকাটা একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মোটেও প্রশংসনীয় নয়। প্রতি বছর বুটেক্সে দেশের জাতীয় দিবসগুলো সাদামাটাভাবে পালন করতে দেখা যায়। এতে অনেক সময় শিক্ষার্থীদেরও অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হয় না। যার ফলে শিক্ষার্থীরা দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য পালনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাথীদের মনে লালনের জন্য স্মৃতিফলক স্থাপন করা অতীব জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ স্মারকলিপি প্রদানকালে বুটেক্স সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ফরমান হোসাইন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধ শহীদদের স্মৃতিফলক না থাকায় শিক্ষার্থী বিভিন্ন দিবসে ভাব গাম্ভীর্যের সাথে দিবসগুলো পালন করতে পারে না। ফলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শিক্ষার্থীদের মধ্যে কমে আসার শঙ্কা থেকে যায়। তাই আমরা মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিসত্বর শহীদদের স্মরণে স্মৃতিফলক নির্মাণ করা উচিত। পাশাপাশি বুটেক্স সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উল ইসলাম বলেন, বুটেক্স সাংবাদিক সমিতি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারন করে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্য কোনো না কোনো স্মৃতিচিহ্ন থাকে। এটি বাংলাদেশি হিসাবে আমাদের আত্মপরিচয়ের অংশ। দুঃখজনক যে বুটেক্সে এ ধরনের কোনো ম্যুরাল নেই।  আমরা বুটেক্স সাংবাদিক সমিতির পক্ষ থেকে তাই ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিষয়ক ম্যুরাল স্থাপনে ভিসি মহোদয়কে স্মারকলিপি দিয়েছি। স্মারকলিপি হস্তান্তর শেষে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামান বলেন, যেহেতু দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় এমন স্মৃতিফলক করেছে তাই এটি একটি যৌক্তিক দাবি। শিক্ষার্থীদের এ দাবি বিভাগীয় প্রধান এবং ডিনদের মিটিংয়ে তোলা হবে, তাদের মতামতের প্রেক্ষিতে পরবর্তী সিন্ডিকেট সভা এ নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
১৪ জানুয়ারি, ২০২৪
X