হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রসূতি মায়েদের সিজারিয়ান কার্যক্রম চালু
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিন বছর পর আবার প্রসূতি মায়েদের সিজারিয়ান কার্যক্রম চালু হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এনেসথেসিয়োলজিস্ট না থাকার কারণে সিজারিয়ান ব্যবস্থা বন্ধ ছিল। গত আগস্ট মাসের প্রথম দিকে পুনরায় বিনামূল্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রসূতি মায়েদের সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে নবজাতক প্রসব সুবিধা চালু হয়েছে। এতে সিজারিয়ানের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৪টি নবজাতকের প্রসব হয়। আগস্ট মাসে ৩ জন ও চলতি মাসে ১ জনসহ মোট ৪টি সিজারিয়ান সম্পন্ন হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্র জানা যায়, এনেসেথেসিয়োলজিস্ট না থাকায় প্রায় তিন বছর ধরে প্রসূতি মায়েদের জন্য অপারেশনের ব্যবস্থা বন্ধ ছিল। একাধিকবার এনেসথেসিওলজিস্টের জন্য চাহিদাপত্র দিয়েও স্থায়ীভাবে এনেসথেসিওলজিস্ট না পাওয়ায় পরবর্তীতে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বে থাকা এনেসথেসিওলজিস্ট ডা. রাজিবুল ইসলাম সপ্তাহে একদিন করে সময় দেওয়ার ফলে সিজারিয়ান কার্যক্রম চালু করা হয়েছে এবং সফলতার সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মেহেরুবা পান্না কালবেলাকে জানান, পদ্মা-অধুষ্যিত উপজেলা হরিরামপুর। এখানে অনেক অসহায় পরিবার রয়েছে, যাদের অতিরিক্ত টাকা খরচ করে সিজার হওয়া কষ্টকর। আমাদের এখানে অনেক দিন সিজারিয়ান কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর পুনরায় চালু করা হয়েছে। আপাতত সপ্তাহে একদিন প্রতি রোববারে সিজার করা হয়। এ পর্যন্ত ৪টি সিজার সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে। এখনও আমাদের পর্যাপ্ত জনবলের অভাব রয়েছে। আশা করছি, ভবিষ্যতে জনবলের চাহিদা পূরণ হলে নিয়মিত সিজারিয়ানের মাধ্যমে অসহায় মানুষজনের সেবার পরিমাণ এবং মান দুটোয় বৃদ্ধি করতে পারব।
০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X