রাবি শিক্ষার্থীকে মারধর করে হল থেকে বের করে দিল ছাত্রলীগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি হিন্দু ধর্মাবলম্বী ওই শিক্ষার্থীকে শিবির আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে হল প্রাধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হলেন হল শাখার সহসভাপতি আতিকুর রহমান আতিক। মারধরের সময় ছাত্রলীগের আরও ৮-১০ জন ছিলেন। তবে তাদের পরিচয় জানাতে পারেননি ওই শিক্ষার্থী। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম সবুজ বিশ্বাস। তিনি বাংলা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বুধবার রাতে তিনি নির্যাতনের শিকার হন। লিখিত অভিযোগ সবুজ উল্লেখ করেন, বুধবার রাত ২টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের নেতৃত্বে ৮-১০ জন আমাকে কক্ষ থেকে বের করে হলের ছাদে নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন এবং শিবির আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকি দেন। আমি প্রাণ রক্ষায় হল ত্যাগ করি। ছাত্রলীগ নেতা আতিকুর রহমান বলেন, আমি গত কয়েকদিন সাংগঠনিক কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে হলেই যেতে পারি না। এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি। সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমাদের যে তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে তারা বিষয়টি দেখবে। কমিটির রিপোর্টে এটি না এলে তখন আমরা আলাদা করে দেখব। আপাতত এর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না। কারণ ওই শিক্ষার্থী রাজনৈতিকভাবে হলে উঠেছিলেন। এ ছাড়া তিনি এ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী না।
১৬ ঘণ্টা আগে

হল ত্যাগে বাধ্য করতে ছাত্রলীগের হামলা
পাবনা মেডিকেল কলেজের হল ত্যাগে বাধ্য করতে শিক্ষার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। হামলার সময় ওই শিক্ষার্থীর রুমে থাকা বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিঁড়ে ফেলারও অভিযোগ রয়েছে।  বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত দেড়টার দিকে কলেজের ছাত্রদের জন্য প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু হলের গ্রাউন্ড ফ্লোরের একটি কক্ষে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের একটি সূত্র জানায়, ২০২৩-২৪ সেশনের নতুন শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট কাটাতে গত ৮ মে শিক্ষার্থীদের একটি নোটিশ দেয় হল কর্তৃপক্ষ। এতে পাবনার স্থানীয় শিক্ষার্থীদের সাময়িকভাবে হল ছেড়ে নিজ বাসা থেকে কলেজে যাতায়াত করতে বলা হয়। একই সঙ্গে হল সুপারদের জন্য বরাদ্দকৃত রুমগুলোতে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের রুম ছেড়ে নির্দেশিত অন্যান্য রুমে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। হল সুপারদের জন্য নির্ধারিত ৩টি রুমের একটিতে থাকেন ৫ম বর্ষের ছাত্র কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল কুমার দাশ। অন্য দুটি রুমে থাকেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের দুজন অনুসারী। রাহুল কুমার দাশের অভিযোগ, গত ৯ মে রাত দেড়টার দিকে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্মসম্পাদক অভিতোষ চক্রবর্তী ও সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিন্নবীর নেতৃত্বে ৩০-৪০ জনের একটি দল রাহুল কুমার দাশের রুমে এসে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে এবং রাহুলকে রুম থেকে বের করে দিতে চায়। এরপর রুমে হামলা চালিয়ে বেড ছুঁড়ে ফেলে, টেবিল ও রুমে থাকা অন্যান্য সরঞ্জাম ভাঙচুর করে এবং বই-খাতার পাশাপাশি রুমে টাঙানো বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিঁড়ে ফেলে। এ সময় ভাঙচুরের শব্দে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এসে তাদের বাধা দিতে গেলে রাহুলসহ তাদের মারধর করে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রাহুল কুমার দাশ বলেন, পরীক্ষা থাকায় আমি সেদিন রুম পরিবর্তন করতে পারিনি। বিষয়টি হল কর্তৃপক্ষের ব্যাপার। অথচ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদ আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আল আমিন আল তামিমের নির্দোষে অভিতোষ ও তার নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়েছে। ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিলেও এ সময় বঙ্গবন্ধুর ছবি ছেঁড়ার মতো ঘৃণিত কাজ করেছে তারা। ছাত্রলীগের নেতা হয়ে আমার যদি নিরাপত্তা না থাকে, তবে এদের কাছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কীভাবে নিরাপদ? তিনি বলেন, শুক্রবার কলেজ বন্ধ থাকায় লিখিত অভিযোগ দিতে পারিনি। কলেজ খুললে কলেজ প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেব। তবে হল সুপার ও প্রিন্সিপাল স্যারকে মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছি। আমি এর বিচার চাই, একই সঙ্গে হল ও ক্যাম্পাসে সব শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা চাই। প্রত্যক্ষদর্শী ৫ম বর্ষের শিক্ষার্থী হামিম, তানভীর ও তনিম বলেন- মধ্যরাতে ভাঙচুরের শব্দ শুনে এগিয়ে গেলে দেখি অভিতোষ ও নাহিন্নবী তাহাসহ ৩০-৪০ জন রাহুলের রুমে ভাঙচুর করছে এবং টেনে রাহুলকে রুম থেকে বের করে দিচ্ছে। বের না হতে চাইলে ওকে মারধর করছে। আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদের কয়েকজনের গায়েও হাত তুলেছে তারা। মধ্যরাতে ছাত্র হলে এমন হামলার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। কলেজ প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি এ হামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে পাবনা মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্মসম্পাদক অভিতোষ চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সরাসরি দেখা না করে কথা বলতে চান না বলে ফোন রেখে দেন। এ ব্যাপারে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদ আহমেদ বলেন, এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ওরা ব্যাচমেট (অভিতোষ ও রাহুল), যতটুকু জেনেছি একে অপরের সঙ্গে জাস্ট কথাকাটাকাটি হয়েছে। হামলা, ভাঙচুর বা মারধরের মতো কিছু ঘটেনি। এ ঘটনায় আমাদের সংশ্লিষ্টতাও নেই। তবে উভয়পক্ষই যেহেতু আমাদের সংগঠনের তাই কলেজ প্রশাসন ও সিনিয়র নেতাদের মাধ্যমে বিষয়টির সুরাহা করা হবে। পাবনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. উবায়দুল্লাহ ইবনে আলী জানান, নতুন শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনে আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কাউকে হল বা রুম থেকে বের করে দিতে কোনো শিক্ষার্থী বা ছাত্রনেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। হল সংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধানে হল সুপাররা রয়েছেন। এখানে অন্য কারোর হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজে এক শিক্ষার্থী বিষয়টি জানিয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১১ মে, ২০২৪

রাবির হল ক্যান্টিন মালিকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল ক্যান্টিন মালিক হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন এক নারী কর্মচারী। শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে হলের প্রাধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর হোসাইনের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন ওই নারী। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্যান্টিন মালিক। অভিযোগকারী ওই নারী বলেন, হাফিজুরের সঙ্গে আমার তিন বছরের সম্পর্ক। আমায় বিভিন্ন কথা বলে, আশ্বাস দিয়ে ব্যবহার করত। আজকে দুপুরবেলা আমি কাজ করছিলাম ক্যান্টিনে ওই লোক ছাড়া আর কেউ ছিল না। তখন সে আবার আমার শ্লীলতাহানি করে। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিবেন কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার এলাকায় মানসম্মান আছে। একটা বড় ছেলে আছে। সবকিছু বিবেচনা করে আমি অভিযোগ করতে চাচ্ছি না। ক্যান্টিন মালিক হাফিজুর রহমান ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। ওই মহিলা ক্যান্টিন থেকে চাল চুরি করে পেছনের দরজা দিয়ে পালাচ্ছিল। আমি দেখতে পেয়ে ওকে আটক করি। কয়েকটা চড় মেরেছি। তখন সে নিজেই কাপড় ছিঁড়ে বলে আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দিবে। তারপর হলো গেটে এসে চেঁচামেচি শুরু করে। আরিফুল ইসলাম নামের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, ক্যান্টিন সিলগালা করায় ভোগান্তি হবে। এরপর ক্যান্টিনের দায়িত্ব যাকেই দেওয়া হোক না কেন, সেখানে ক্যান্টিনের বৈশিষ্ট যেন থাকে সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত। তবে আজ এ ঘটনায় ক্যান্টিন বন্ধ থাকায় আমরা কিছুটা ভোগান্তির মুখোমুখি হলেও বৃহৎ স্বার্থে এটা হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। এ বিষয়ে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন কালবেলাকে বলেন, দুপক্ষের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ক্যান্টিন সিলগালা করা হয়েছে। শিগগির একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে ক্যান্টিন খোলা হবে।
০৩ মে, ২০২৪

শাবিপ্রবির হল প্রভোস্টের বিরুদ্ধে ভর্তি পরীক্ষার্থীকে হয়রানির অভিযোগ
গুচ্ছের ২০২৩-২৪ সেশনের ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসে পরীক্ষার আগের দিন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে একজন আবাসিক ছাত্রীর কাছে থাকার জায়গার সমস্যার কথা জানান এক গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার্থী। ওই হল কর্তৃপক্ষ আবাসিক ছাত্রীকে সহযোগিতা না করে বরং হয়রানি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আফসারা তাসনিম ঈশিতা বলেন, গতকাল হবিগঞ্জ থেকে আমার একজন গেস্ট এসেছিল ‘খ’ ইউনিটে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা দিতে। সে অনেক জার্নি করে আসায় ক্লান্ত ছিল। তাকে নিয়ে ভেতরে যেতে চাইলে গার্ড মামারা বাধা দেয়। আপাতত তাকে ভেতরে নিয়ে যায়, পরে হল প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে নিব বলি। কিন্তু উনারা বলেন, ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না, এমন নিয়ম নেই। পরে বিষয়টি নিয়ে হল সুপারের সঙ্গে কথা বললে তিনিও একই কথা বলেন। ঈশিতা আরও বলেন, সে জার্নি করতে অভ্যস্ত না থাকায় সমস্যা হয়েছিল। তার জন্য এটা অনেক পেইনফুল, সে তো মানসিকভাবে চাপ পেয়েছে। একজন সিনিয়র হিসেবে আমার দায়িত্ব কোনোভাবে তার থাকার ব্যবস্থা করা। এ বিষয়ে আমি আমার সিনিয়র ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজিব ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলি, পরে অন্য হল থেকে একজন সিনিয়র এসে তাকে সেখানে নিয়ে যান। ‘পরীক্ষার্থীর সমস্যা বিবেচনায় আবাসিক হলে তাকে নিয়ে আসছিলাম। এটা এক ধরনের অসহযোগিতামূলক আচরণ করেছে। একইসঙ্গে দেড় ঘণ্টার মতো হল গেটে দাঁড়িয়েছিলাম। যেটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটা আমাদের মতো আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য হয়রানি।’ গত ২৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বাইরের একজনকে হলে থাকতে দেখেছেন বলেও অভিযোগে করেন ঈশিতা। এ বিষয়ে শাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজীবুর রহমান বলেন, একজন শিক্ষার্থী আমাকে বিষয়টি জানালে আমি হল প্রভোস্টের সঙ্গে কথা বলি। কিন্তু হল প্রভোস্ট সমস্যার কথা বিবেচনা না করে বরং নিয়মের দোহাই দিয়ে পরীক্ষার্থীকে দেড় ঘণ্টার মতো দাঁড় করিয়ে রেখেছে। দীর্ঘ জার্নি করে আসা ওই ভর্তিচ্ছু ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, আমি শিক্ষার্থীর সমস্যার কথা জানার পর একজন ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে সেই বিষয়টি সমাধানের জন্য একাধিক মাধ্যমকে অবহিত করেছি। তবে হল প্রভোস্ট বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে বরং প্রতিবারই প্রত্যাখ্যান করে গেছেন। সমস্যা যে কারও (ভর্তিচ্ছু) থাকতে পারে; তাই বলে হলে কেন থাকতে দিবে না, সেটাই আমার প্রশ্ন। এ বিষয়ে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. চন্দ্রানী নাগ বলেন,  আবাসিক ছাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমাকে কাজটি করতে হয়েছে। ওখানে একটি মেয়ে বাড়তি থাকলে আমার সমস্যা কি। আমি কি ওখানে থাকি না। কিন্তু তাদের জন্য যে কোনো পরিস্থিতিতেই তাদের নিরাপত্তা যেন হ্যাম্পার না হয়। তিনি বলেন, আমাদের হলে আবাসিক ছাত্রী ছাড়া কাউকে থাকতে দিই না। এটা আমাদের রেগুলার রুটিন। এটা সবসময় করা হয়। আবাসিক ছাত্রী ছাড়া কেউ হলে প্রবেশ করতে পারে না। যেহেতু এখানে ফিঙ্গার প্রিন্ট ডিভাইস আছে। ফিঙ্গার প্রিন্টে যাদের ম্যাচ করে তারাই হলে থাকে। কোনো গেস্টই অ্যালাউ নয়। তবে কোনো ছাত্রী অসুস্থ হলে তার মা সেবা শুশ্রূষা করার জন্য আসলে নির্ধারিত রুমে থাকতে হয়, সেই রুমে নয়। তবে ওই পরীক্ষার্থীকে বেগম সিরাজুন্নেসা হলের প্রভোস্ট কনক ম্যাডামের সঙ্গে কথা বলে ওখানে থাকার ব্যবস্থা করেছি।
০৩ মে, ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয় ও হল বন্ধের সিদ্ধান্তের নির্দেশ প্রত্যাখ্যান কুবি শিক্ষার্থীদের
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘উদ্ভূত পরিস্থিতি’ নিরসনের জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদিকে প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।  বুধবার (১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের সামনে ও গোলচত্বরে মানববন্ধন করেন তারা। সকাল ১১টায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে গোল চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নেওয়া সিদ্ধান্তের বিপক্ষে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। এ সময় শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, তারা দ্রুত ক্লাসে ফিরতে চান। বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়ে যেন হলগুলোতে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়। এরপর দুপুর ১২টায় গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী অর্নব সিংহ রায়ের সঞ্চালনায় প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী মানববন্ধন করেন। শিক্ষার্থীদের বলেন, যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তা যেন অতিদ্রুত সমাধান করা হয়। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহমিদা সুলতানা বলেন, ‘শিক্ষক সমিতি আর ভিসিপন্থির ঝামেলার বলিরপাঁঠা হচ্ছি আমরা। আপনারা কথায় কথায় ক্লাস বর্জন করছেন, মগের মুল্লুক পেয়ে গেছেন না কি আপনারা? আমরা শিগগিরই ক্লাসে ফিরতে চাই।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪তম আবর্তনের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলাম পড়াশোনা করার জন্য, তবে গত কয়েক মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি চলছে। কখনো শিক্ষক সমিতি ক্লাস বর্জন করছে, এখন আবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিচ্ছে, হল বন্ধ করার নির্দেশ দিচ্ছে। একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমার প্রশ্ন শিক্ষকদের এই দ্বন্দ্বে আমরা শিক্ষার্থীরা কীভাবে দোষী? আমরা কেন ভুক্তভোগী? এখানে অনেক শিক্ষার্থী অর্থাভাবে হলে থাকে, টিউশন করিয়ে নিজের আর পরিবারের ভরণপোষণ সামলায়। তারা কোথায় যাবে?’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্দোলনরত শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি অধ্যাপক কাজী কামাল বলেন, প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত একটি স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত। বিভিন্ন হল প্রভোস্টদের সঙ্গে কথা বলেছি তারা বলেছে হল খুব সুন্দরভাবেই চলছে। আর একাডেমিক কার্যক্রম চলুক সেটাও আমি চাই। আমি মনে করি এ উপাচার্য একজন অদক্ষ প্রশাসক। তার পদত্যাগই সবকিছুর সমাধান।’ এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের পক্ষেই আছি। যখন কোনো একটা ছুটি হয়, তখন কিন্তু প্রতিবার একই নোটিশ যায় যে হল ছাড়তে হবে। অনেক সময় হল সিলগালা করে দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে সবাইকে সেটা মানতে হবে। যেহেতু এই নোটিশে সিলগালার কথা বলা নেই, সেক্ষেত্রে কেউ যদি বিকেল ৪টার মধ্যে হল ত্যাগ না করে তাহলে নিশ্চয়ই হল প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত নেবে।’ এর আগে মঙ্গলবার ৯৩তম সিন্ডিকেট সভায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও হলগুলো বন্ধের সিদ্ধান্তসহ মোট ৪টি সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।
০১ মে, ২০২৪

সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙুলি হল প্রাধ্যক্ষদের
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) চলমান সংকট নিরসনের জন্য ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন হলের প্রাধ্যক্ষরা। বুধবার (১ মার্চ) সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গোল চত্বরে মানববন্ধন করেন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে এসে শিক্ষার্থীদের একাত্মতা পোষণ করেন কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ নাসির হোসাইন ও শেখ হাসিনা হলের হাউস টিউটর আল আমিন। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করেছেন। দাবিগুলো হলো ক্যাম্পাস খুলে সব কার্যক্রম চালু করা, অবিলম্বে ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, ২৭ তারিখের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত নেওয়া, প্রশাসনের অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিল ও হল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার। মানববন্ধনে কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ নাসির হোসাইন বলেন, গণমাধ্যমে যে বিষয়গুলো আসছে, হলে টাকা আর অস্ত্র ঢুকতেছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতেছি আমার হলের মধ্যে কোনো টাকা কিংবা অস্ত্র ঢুকেনি। সিন্ডিকেটে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা শিক্ষার্থীসুলভ না। আমি সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছি। আমি আমার হল খোলা রাখব। শেখ হাসিনা হলের হাউস টিউটর আল আমিন বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একমত। আমার হলও খোলা থাকবে। শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রাধ্যক্ষ জিয়া উদ্দিন বলেন, ক্যাম্পাসে এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় নাই, বিকাল ৪টার মধ্যে হল ত্যাগ করতে হবে। হলে শান্তিপূর্ণভাবে ছাত্ররা আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বন্ধের নোটিশ দিয়েছে। যদি ছাত্ররা মনে করে হলে থাকতে হবে তাহলে তারা থাকতে পারবে, আর যদি বন্ধের মধ্যে চলে যেতে চায় তাহলে চলে যেতে পারবে। বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ শামসুজ্জামান মিলকী বলেন, আমি প্রশাসনের পক্ষ থেকে হল খালি করতে যাব না। হলে শিক্ষার্থীরা থাকতে পারবে। নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলের প্রাধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করতে হবে না। তবে যারা চলে যেতে চায় তারা চলে যেতে পারবে।
০১ মে, ২০২৪

ক্যাম্পাস সংবাদ / প্রথম রাউন্ডে জয়ী জবির বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব হল
২৫তম জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২৪-এর প্রথম রাউন্ডে সরকারি বাঙলা কলেজের বিপক্ষে ৩-০ ব্যালটে বিজয় অর্জন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব হল। বাংলাদেশ টেলিভিশনের ঢাকা কেন্দ্রে আয়োজিত প্রথম রাউন্ডে সরকারি বাঙলা কলেজের বিতার্কিক দলকে হারায় জবির ‘বঙ্গমাতা তার্কিক পরিষদ’ দল। এ সময় উপাচার্য বিতার্কিক দলের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানান ও তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এ সময় হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রানী সরকার ও হলের ডিবেটিং ক্লাবের মডারেটর ড. বুশরা জামানসহ প্রতিযোগীরা উপস্থিত ছিলেন। বিতর্কের বিষয় ছিল ‘সাংস্কৃতিক সংকটই নারী নির্যাতনের প্রধান কারণ’। প্রতিযোগিতায় জবির বিতার্কিকদের মধ্যে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মুনিয়া আক্তার যূথী ও নাঈমা আক্তার রীতা এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শারমিন সুলতানা নিশি। শারমিন সুলতানা নিশি হয়েছেন শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক। সহযোগী বিতার্কিক হিসেবে ছিলেন শিউলি আক্তার, নাদিয়া ফারহানা তিতলি, রিপা বানু ও আফিয়া আক্তার। শারমিন সুলতানা নিশি বলেন, ‘বিতর্ক আমাদের ভালোবাসার জায়গা। এতে সফলতা পেলে আনন্দের সীমা থাকে না। আমাদের ছাত্রী হলের ডিবেটিং ক্লাব হলো ভালোবাসার কেন্দ্রস্থল।’ মুনিয়া আক্তার যূথী বলেন, ‘আমরা সেরাটা দিয়ে বিতর্ক করতে পেরেছি এবং ভাগ্য সহায় ছিল। সর্বোপরি ভিসি ম্যাম, হলের প্রভোস্ট ম্যামসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’ নাঈমা আক্তার রিতা বলেন, ‘হলটি প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথম হলের হয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিজয় নিয়ে ফিরেছি। এ অর্জন দারুণ আনন্দের।’ ড. বুশরা জামান বলেন, ‘আমাদের জয়ী হওয়াটা সবার জন্য নিঃসন্দেহে গর্বের। ছাত্রীদের অভিনন্দন। ভবিষ্যতেও তাদের সফলতা কামনা করছি।’ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রানী সরকার বলেন, ‘ছাত্রীদের এমন জয়ে আমি অনেক খুশি। তাদের অভিনন্দন। আশা করি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হবে বঙ্গমাতা তার্কিক পরিষদ।’
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

চুয়েটে উপাচার্য অবরুদ্ধ, হল না ছাড়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের
অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করার পর চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) প্রশাসনিক ভবনের মূল দরজায় তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ ভবনে উপাচার্য, সহউপাচার্য, রেজিস্ট্রারের কার্যালয় রয়েছে। তারা তিনজনই ভবনের ভেতরে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তালা দিয়ে আন্দোলনরত ছাত্রীরা ভবনের নিচে অবস্থান নিয়েছেন। অন্যদিকে এক সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা হল ছাড়বেন না। দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তারা ফের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যেই হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ১৫১তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে ছাত্রদের বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা এবং ছাত্রীদের শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৯টার মধ্যে হল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ডিন, ইনস্টিটিউট পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, প্রভোস্ট এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের সমন্বয়ে এক জরুরি সভার ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে সকাল থেকে চুয়েট ক্যাম্পাসের সামনে ‘আমাদের দাবি মানতে হবে’, ‘শাহ আমানত চলবে না’ এমন স্লোগান দিয়ে কাপ্তাই সড়কে আন্দোলন করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।  শিক্ষার্থীরা চতুর্থ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের পাশাপাশি  চুয়েটের কয়েকটি একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন। এ সময় তারা চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কটি চার লাইন সড়ক করার দাবি জানায়।  এসব দাবি লিখিতভাবে না মানা পর্যন্ত চুয়েটের সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত থাকবে বলে শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে আলোচনায় বসার দাবি জানান। সোমবার (২২ এপ্রিল) আনুমানিক বেলা সাড়ে ৩টায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার জিয়ানগরে বাসের ধাক্কায় মারা যান চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা এবং একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসাইন। এ ছাড়া আহত হন একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জাকারিয়া হিমু। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন সন্ধ্যা ৭টায় প্রথম দফায় সড়ক অবরোধ করা হয়। এরপর বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অবরোধ ও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন চলমান রয়েছে।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা চুয়েট, হল ছাড়ার নির্দেশ
সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ছাত্র নিহত ও এক শিক্ষার্থী আহত হওয়ার পর ক্লাস বর্জন করে শিক্ষার্থীদের অবরোধ ও বিক্ষোভের মধ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)। শিক্ষার্থীদের চতুর্থ দিনের মতো আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ আদেশ দেন। এ ছাড়া বিকেল পাঁচটার মধ্যেই হল ছাড়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ১৫১ তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত  অনুযায়ী চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে ছাত্রদের বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা এবং ছাত্রীদের শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৯টার মধ্যে হল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ডিন, ইন্সটিটিউট পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, প্রভোস্ট এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের সমন্বয়ে এক জরুরি সভার ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে এ সিদ্ধান্ত আসার পরপরই চুয়েট গোলচত্বরের সামনে শাহ আমানতের আরেকটি বাস জ্বালিয়ে এ প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২২ এপ্রিল) আনুমানিক বেলা সাড়ে তিনটায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার জিয়ানগরে বাসের ধাক্কায় মারা যান চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা এবং একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসাইন। এ ছাড়া আহত হন একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জাকারিয়া হিমু। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন সন্ধ্যা সাতটায় প্রথম দফায় সড়ক অবরোধ করা হয়। এরপর বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অবরোধ ও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন চলমান রয়েছে।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

চাঁদপুরে টাউন হল মার্কেটে আগুন
চাঁদপুর শহরের টাউন হল মার্কেটের দ্বিতীয় তলার স্বপ্ন ফ্যাশন হাউস বোরকার দোকানে আগুন লাগে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে কালীবাড়ি মোড়ের বোরকার দোকানের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নেভাতে চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি ইউনিট কাজ করে। এতে ১৫ মিনিটের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দোকানে আগুন লাগার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছেন দোকানের মালিক সোহেল। স্থানীয়রা জানান, মার্কেটের দ্বিতীয় তলার ওই বোরকার দোকানে আয়রন করা হতো। সেই আয়রনের প্লাগ কোনো কারণে চালু থাকায় সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। যদিও দমকল বাহিনী দ্রুত সময়ে পৌঁছাতে পারায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে পুরো কালীবাড়ি মার্কেট এলাকার লোকজন। ঘটনা প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী দোকান মালিক চাঁদপুর পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ সোহেল গাজী বলেন, আয়রন থেকে আগুন লাগার বিষয়টি ভুলভাবে মানুষ ছড়াচ্ছে। আমার কাছে ঘটনাটি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। তাই আমি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য থানা পুলিশের দারস্থ হবো। পরে তিনি জেলা যুবদল নেতা নুরুল আমিন আকাশসহ ২০-৩০ জনকে নিয়ে থানায় প্রবেশ করেন। এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ মুহসীন আলম বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত দমকল বাহিনীকে ঘটনাস্থলে আসতে বলেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ দমকল বাহিনীর সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছিলাম। এমনকি যানজট ও জনমনের আতঙ্ক এড়াতে মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে কালীবাড়ি প্লাটফর্ম স্টেশনে থামতে না দিয়ে দ্রুত বড়স্টেশনে চলে যেতে নির্দেশনা দিয়েছি। আগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা নকিব বলেন, আমাদের একটি ইউনিট মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। তবে আগুনের সূত্রপাত কী থেকে হয়েছে তা তদন্ত শেষ হওয়ার পূর্বে বলা যাচ্ছে না।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪
X