কুমিল্লা ব্যুরো
প্রকাশ : ০১ মে ২০২৪, ০৬:৫৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিশ্ববিদ্যালয় ও হল বন্ধের সিদ্ধান্তের নির্দেশ প্রত্যাখ্যান কুবি শিক্ষার্থীদের

কুবি প্রশাসনের ক্যাম্পাস ও হল বন্ধের সিন্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
কুবি প্রশাসনের ক্যাম্পাস ও হল বন্ধের সিন্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘উদ্ভূত পরিস্থিতি’ নিরসনের জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদিকে প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের সামনে ও গোলচত্বরে মানববন্ধন করেন তারা।

সকাল ১১টায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে গোল চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নেওয়া সিদ্ধান্তের বিপক্ষে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। এ সময় শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, তারা দ্রুত ক্লাসে ফিরতে চান। বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়ে যেন হলগুলোতে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়।

এরপর দুপুর ১২টায় গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী অর্নব সিংহ রায়ের সঞ্চালনায় প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী মানববন্ধন করেন। শিক্ষার্থীদের বলেন, যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তা যেন অতিদ্রুত সমাধান করা হয়।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহমিদা সুলতানা বলেন, ‘শিক্ষক সমিতি আর ভিসিপন্থির ঝামেলার বলিরপাঁঠা হচ্ছি আমরা। আপনারা কথায় কথায় ক্লাস বর্জন করছেন, মগের মুল্লুক পেয়ে গেছেন না কি আপনারা? আমরা শিগগিরই ক্লাসে ফিরতে চাই।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪তম আবর্তনের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলাম পড়াশোনা করার জন্য, তবে গত কয়েক মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি চলছে। কখনো শিক্ষক সমিতি ক্লাস বর্জন করছে, এখন আবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিচ্ছে, হল বন্ধ করার নির্দেশ দিচ্ছে। একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমার প্রশ্ন শিক্ষকদের এই দ্বন্দ্বে আমরা শিক্ষার্থীরা কীভাবে দোষী? আমরা কেন ভুক্তভোগী? এখানে অনেক শিক্ষার্থী অর্থাভাবে হলে থাকে, টিউশন করিয়ে নিজের আর পরিবারের ভরণপোষণ সামলায়। তারা কোথায় যাবে?’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্দোলনরত শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি অধ্যাপক কাজী কামাল বলেন, প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত একটি স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত। বিভিন্ন হল প্রভোস্টদের সঙ্গে কথা বলেছি তারা বলেছে হল খুব সুন্দরভাবেই চলছে। আর একাডেমিক কার্যক্রম চলুক সেটাও আমি চাই। আমি মনে করি এ উপাচার্য একজন অদক্ষ প্রশাসক। তার পদত্যাগই সবকিছুর সমাধান।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের পক্ষেই আছি। যখন কোনো একটা ছুটি হয়, তখন কিন্তু প্রতিবার একই নোটিশ যায় যে হল ছাড়তে হবে। অনেক সময় হল সিলগালা করে দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে সবাইকে সেটা মানতে হবে। যেহেতু এই নোটিশে সিলগালার কথা বলা নেই, সেক্ষেত্রে কেউ যদি বিকেল ৪টার মধ্যে হল ত্যাগ না করে তাহলে নিশ্চয়ই হল প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত নেবে।’

এর আগে মঙ্গলবার ৯৩তম সিন্ডিকেট সভায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও হলগুলো বন্ধের সিদ্ধান্তসহ মোট ৪টি সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফাইনালে মেসি-রোনালদোর রেকর্ড কেমন?

কক্সবাজারে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

অক্টোবরের মধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফ্লাইট চালুর আশা

পদ্মা ব্যাংকের ১২৯তম পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত

নতুন ভূমিকায় এবার দেখা মিলবে সৌরভ গাঙ্গুলির

কেমন থাকবে আজকের ঢাকার আবহাওয়া

বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করল যুক্তরাষ্ট্র

খুলনায় পিকআপ-ইজিবাইক সংঘর্ষে নিহত ২ 

বিপাকে পড়েছেন শ্রদ্ধা কাপুর

বিয়ের আগে মা হওয়া নিয়ে গর্ববোধ করেন নেহা ধুপিয়া

১০

পেনাল্টি মিসের দোষ রেফারির ঘাড়ে চাপালেন ম্যানইউ অধিনায়ক

১১

৪ ইভেন্টে ৩ রেকর্ডে যে বার্তা দিলেন রিংকি

১২

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন অন্যতম প্রতিভাবান ক্রিকেটার

১৩

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ নাহিদের

১৪

গ্রেপ্তারের পর পুলিশকে যে ভয়ের কথা জানালেন তৌহিদ আফ্রিদি

১৫

সুনামগঞ্জে বালু-পাথর লুট ঠেকাতে বিজিবির অভিযান

১৬

টি-টোয়েন্টিতে অবিশ্বাস্য রেকর্ড গড়ে যা বললেন সাকিব

১৭

ইসির শুনানিতে হট্টগোল / রুমিন ফারহানার সমর্থকদের মহাসড়ক অবরোধ, এনসিপির বিক্ষোভ 

১৮

কারাগারে বিক্রমাসিংহে, মুখ খুললেন সাবেক তিন প্রেসিডেন্ট

১৯

গোল্ডেন হারভেস্টে বড় নিয়োগ

২০
X