১৫ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ মুছে ফেলা হয়- প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ মুছে ফেলা হয়েছিল। শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক ও লেখকরা তাদের লেখনীতে এটি ধরে রেখেছেন। এর ফলে আমরা রাজনীতিবিদরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ গড়তে পেরেছি। আর যেন কখনো কেউ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়গাথা বিকৃত করতে না পারে, এজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। গতকাল শুক্রবার জাতীয় জাদুঘরে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের আঁকা শিল্পকর্ম নিয়ে ‘শাহাবুদ্দিন: এ রেট্রোস্পেক্টিভ (১৯৭৩-২০২৩)’ শিরোনামের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, শিল্পীর আঁকা ছবি হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করা যায়। একই সঙ্গে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়া যায়। একটা চেতনা জাগ্রত হয়। আমাদের জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই চেতনায় আমাদের বাংলাদেশের জনগণ জাগ্রত হবে এবং দেশকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে ভবিষ্যতেও গড়ে তুলবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিল্পীদের তুলির আঁচড় থেকেই ফুটে ওঠে আমাদের দেশের প্রকৃতি ও নানা চিত্র। দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের চিত্রও ফুটে ওঠে। আমি এগুলো আমার সঙ্গে রাখি। আমি দেখি, আর সহকর্মীদের বলি—এই চিত্র আমি বদলাতে চাই বাংলাদেশ থেকে। তিনি বলেন, শিল্পীর তুলির আঁচড় অনেক শক্তিশালী। আমাদের যেসব শিল্পী আছেন, বিশেষ করে আমাদের শাহাবুদ্দিন—আমার ছোট ভাইয়ের মতো, সে তো সবার মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ। এখন পর্যন্ত তার তুলির আঁচড়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অনুভব করি। মনে হয় যেন এখনই আবার সে মুক্তিযুদ্ধ করবে। আসলে আমরা এখনো মুক্তিযুদ্ধ করেই যাচ্ছি। এর আগে চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের আঁকা শিল্পকর্ম নিয়ে ‘শাহাবুদ্দিন: এ রেট্রোস্পেক্টিভ (১৯৭৩-২০২৩)’ শীর্ষক বিশেষ প্রদর্শনী উদ্বোধন ও পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে আয়োজিত মাসব্যাপী একক শিল্প প্রদর্শনীতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের প্রায় ১৪০টি নির্বাচিত শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকসহ সরকারি-বেসরকারি পদস্থ কর্মকর্তারা অংশ নেন। সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান।
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে নেপথ্যের নায়ক জিয়াউর রহমান - হারুন-অর-রশিদ
১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে নেপথ্যের নায়ক জিয়াউর রহমান বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ড নিছক একটি হত্যাকাণ্ড ছিল না। এটি ছিল দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের নীলনকশার অংশ। এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের মূল নায়ক ছিলেন জিয়াউর রহমান। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ‘১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড: খুনি কারা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নাসির উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিস্টিংগুইশড ড. আখতার হোসাইন, ড. মাহবুবর রহমান, স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন ড. মোহাম্মদ বিন কাশেম, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মনিরুজ্জামান শাহীন, রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন প্রমুখ।
৩০ আগস্ট, ২০২৩

নেতৃত্ব ছিল না বলেই ১৫ আগস্ট প্রতিবাদ করতে পারেনি জনগণ - আইনমন্ত্রী
আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এমন কথাও বলা হয়, (১৫ আগস্ট) তখন তো কোনো মানুষ রাস্তায় প্রতিবাদ করতে বের হয়নি। এটি সঠিক নয়। রাস্তায় প্রতিবাদ করার জন্য মানুষ প্রস্তুত ছিল; কিন্তু নেতৃত্ব পায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘আগস্ট ট্র্যাজেডি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় সভায় ছিলেন বিচারপতি (অব.) শাসসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শকদার, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আফিজুর রহমান, জাতীয় গ্রন্থাগারের পরিচালক। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও জয়ী করাতে হবে। এই আমাদের আজকের শপথ হতে হবে। না হলে এই ভূমি বিরানভূমিতে পরিণত হবে। মানুষ থাকবে না। বিএনপি আর জামায়াত থাকবে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ’৭১ সালে আমরা অনন্য সংবিধান পেয়েছিলাম। যেখানে মূলনীতি ছিল অসাম্প্রদায়িকতা; কিন্তু ৫০ বছর পরও আমরা পক্ষ-বিপক্ষ খুঁজছি। বিচারপতি (অব.) শাসসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আগস্ট অভিশপ্ত মাস ছিল না। ছিল পবিত্র মাস। ১৯৪৭ সালে ভারত বৃটিশদের থেকে মুক্ত হয়েছিলাম এই মাসে। কিউবা বিপ্লব হয়েছে এই মাসে। এমন আরও অনেক ভালো ঘটনা এ মাসে ছিল; কিন্তু এ মাসে অভিশাপের বিষ ঢেলে দিয়েছিল—একটি ব্যক্তি। ব্যক্তিটির নাম জিয়াউর রহমান।’ এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিভিন্ন জবানবন্দি তুলে ধরেন।
২৫ আগস্ট, ২০২৩

১৫ আগস্ট জাতির জীবনে সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায় : প্রধানমন্ত্রী 
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেনে, ১৫ আগস্ট জাতির জীবনে সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়। স্বাধীন বাংলাদেশে সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড কারবালার ঘটনাকেও হার মানায়। বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকীতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির জীবনে সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়। স্বাধীন বাংলাদেশে সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা। সেদিন ঘাতকের বুলেটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের সবাইকে হত্যা করা হয়। ইতিহাসে এই ধরনের জঘন্য ঘটনা বাংলার মাটিতে ঘটে যায়। এটি সেই কারবালার ঘটনাকেও হার মানায়। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এতে সূচনা বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এতে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি বক্তব্য দেন। সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল আওয়াল শামীম।
১৬ আগস্ট, ২০২৩

১৫ আগস্ট ঘটায় জিয়া, ২১ আগস্ট তারেক -তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘটিয়েছিল জিয়াউর রহমান আর খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ঘটিয়েছিল তারেক রহমান। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় শোক দিবসের সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের কবরে দলীয় শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। এর আগে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনে অংশ নেন মন্ত্রী। হাছান মাহমুদ বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। জাতির ইতিহাসে এত বেদনাবিধুর দিন আর কখনো আসেনি। তিনি বলেন, কারবালার প্রান্তরে হজরত ইমাম হোসেনকে যখন গলা কেটে হত্যা করা হয়, তখনো নারী ও শিশুদের হত্যা করা হয়নি। কিন্তু ১৫ আগস্টে ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল, ৪ বছরের শিশু সুকান্ত বাবু, ৮ বছরের শিশু আরিফ সেরনিয়াবাত, ১২ বছরের শিশু বেবি সেরনিয়াবাত, অন্তঃসত্ত্বা আরজু মনিকে হত্যা করা হয়েছিল। শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ নাসেরসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের কাউকে ঘাতকরা রেহাই দেয়নি। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। হত্যার মাধ্যমে তিনি ক্ষমতা দখল করেন এবং খুনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে ছিলেন। দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপি এখনো সেই হত্যা-খুনের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। তারা ঘৃণা এবং হিংসার রাজনীতি করে, ১৫ আগস্ট মিথ্যা জন্মদিন পালন করে, কেক কাটে। দেশে যদি সুস্থ রাজনীতির ধারা চালু রাখতে হয়, তাহলে বিএনপির এই অপরাজনীতি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
১৬ আগস্ট, ২০২৩

১৫ আগস্ট ঘটিয়েছিল জিয়া, ২১ আগস্ট তারেক : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘটিয়েছিল জিয়াউর রহমান আর খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ঘটিয়েছিল তারেক রহমান এবং আজকে বিএনপি মানুষ পোড়ানোর রাজনীতি করে। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবসের সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের সমাধিতে দলীয় শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।  এর আগে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে দলীয় শ্রদ্ধা নিবেদনে অংশ নেন মন্ত্রী।  তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। জাতির ইতিহাসে এত বেদনাবিধূর দিন আর কখনো আসেনি। তিনি বলেন, কারবালার প্রান্তরে হজরত ইমাম হোসেনকে যখন জবাই করে হত্যা করা হয়, তখনও নারী এবং শিশুদের হত্যা করা হয়নি। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালোরাত্রিতে ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল, ৪ বছরের  শিশু সুকান্ত বাবু, ৮ বছরের শিশু আরিফ সেরনিয়াবাত, ১২ বছরের শিশু বেবি সেরনিয়াবাত, অন্তঃসত্ত্বা আরজু মনিকে হত্যা করা হয়েছিল। শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ নাসেরসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের কাউকে ঘাতকরা রেহাই দেয়নি।  মন্ত্রিঅ বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। হত্যার মাধ্যমে তিনি ক্ষমতা দখল করেন এবং খুনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে ছিলেন। দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপি এখনো সেই হত্যা-খুনের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান বলেন, তারা ঘৃণা এবং হিংসার রাজনীতি করে, ১৫ আগস্ট মিথ্যা জন্মদিন পালন করে, কেক কাটে। দেশে যদি সুস্থ রাজনীতির ধারা চালু রাখতে হয়, তাহলে বিএনপির এই অপরাজনীতি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
১৫ আগস্ট, ২০২৩

১৫ আগস্ট দেশে সাইবার হামলার হুমকি
আগামী ১৫ আগস্ট দেশে বড় ধরনের সাইবার হামলার হুমকি দিয়েছে একটি হ্যাকার গ্রুপ। গত ৩১ জুলাই নিজেদের ভারতের হ্যাকার দাবি করে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে সাইবার জগৎ ধ্বংসের হুমকি দেয় গ্রুপটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোসহ (সিআইআই) দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য খাত, বিদ্যুৎ, জ্বালানিসহ সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের (আইসিটি) বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) আওতাধীন সরকারের কম্পিউটার ইন্সিডেন্ট রেসপন্স টিম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, ধর্মীয় ও ভিন্ন মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ একটি হ্যাকার গ্রুপ আগামী ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের সাইবার জগতে বড় ধরনের হামলার হুমকি দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিআইআই, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবাবিষয়ক প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতি সতর্কতা জারি করা হচ্ছে। ১৫ আগস্ট ও এর মধ্যবর্তী সময়ে সব প্রতিষ্ঠানকে ছোট থেকে মাঝারি সাইবার হামলার জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হুমকি দেওয়া হ্যাকারদের সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে এমন বেশ কয়েকটি গ্রুপের সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে চালানো অন্তত ৬টি সাইবার হামলা শনাক্ত করেছে বিজিডি সার্ট। গত ২০ জুন থেকে ১ আগস্ট সময়ের মধ্যে এ হামলাগুলো করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্য ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয়ে বন্ধ করা (১ আগস্ট), পরিবহন সেবা সংক্রান্ত একটি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে ডিডস আক্রমণ ও বন্ধ রাখা (৩ জুলাই), একটি সরকারি কলেজের ওয়েবসাইটে হামলা করে তথ্য নেওয়া (২৭ জুন), স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত একটি সংস্থার ওয়েবসাইটে হামলা করে তথ্য নেওয়া (২৪ জুন), সামরিক সংস্থার ওয়েবসাইটে ডিডস আক্রমণ (২১ জুন) এবং রাষ্ট্রায়ত্ত একটি বিনিয়োগকারী কোম্পানির ওয়েবসাইটে আক্রমণ করে এক লাখ বিনিয়োগকারীর ও বিনিয়োগ পাওয়ার আবেদনকারীদের তথ্য নেওয়া (২০ জুন)। সার্ট জানায়, হ্যাকারদের টার্গেট করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সরকারি ও সামরিক সংস্থা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ফার্মাসিউটিক্যাল, খুচরা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং জ্বালানি ও শিক্ষা খাতের বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তারা এরই মধ্যে ডিডস, ওয়েবসাইট বিকল করে দেওয়া এবং অনধিকার প্রবেশ নিয়ে তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার মতো সাইবার হামলা করেছে। এসব হামলার বিষয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছে সার্ট। এর মধ্যে ২৪ ঘণ্টা আইটি মনিটরিং বিশেষ করে অফিস সময়সূচির পরে, কোনো সার্ভারে যেন বাড়তি চাপ না থাকে, ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ফায়ারওয়াল স্থাপনের মাধ্যমে সিস্টেমে আসা প্রতিটি ট্র্যাফিক মনিটর করা এবং পুরো সিস্টেমকে যথাসম্ভব নিরাপদ রাখা অন্যতম। এরপরও কেউ কোনো সাইবার হামলার শিকার হলে দ্রুত সেটি সার্টকে জানানোরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
০৫ আগস্ট, ২০২৩

কেন নির্ধারিত হয়েছিল ১৫ আগস্ট
একটু খতিয়ে দেখলেই বোঝা যায়, বঙ্গবন্ধুর হত্যার ব্লুপ্রিন্ট ছিল অত্যন্ত পাকা হাতের তৈরি। অতিশয় কূটকৌশল এবং ঘটনার আগে-পরে সবকিছু নিখুঁতভাবে পর্যালোচনা ও বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে এ হত্যা চক্রান্তের ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করা হয়। এটা যে শুধু খন্দকার মোশতাক, জেনারেল জিয়া, মেজর ফারুক, রশিদ, ডালিমদের মতো কতিপয়ের মস্তিষ্কপ্রসূত চিন্তার সমষ্টি বা ফল নয়, সেটা সহজেই অনুমান করা যায়। আর এটাও বোঝা যায় যে, এর পেছনে ছিল অনুরূপ রাজনৈতিক হত্যার অভিজ্ঞ পেশাদার আন্তর্জাতিক চক্রান্তকারী গোষ্ঠী, যারা কি না এর আগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের বহু পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের নীলনকশা তৈরি করে হাত পাকিয়েছে। সেইসঙ্গে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে এ ধরনের অনেক নীলনকশা অত্যন্ত সফলভাবে বাস্তবায়িত করেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রেও তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক রাজনীতির কৌশলগত দিকগুলো বিশেষভাবে মাথায় রেখেই হত্যাকাণ্ডের দিনক্ষণ নির্ধারণের মাধ্যমে ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করে এবং প্ল্যানিং সেল গঠন করে। ফারুকের গল্প ও আসল সত্য! বঙ্গবন্ধু হত্যার দিনটি ছিল শুক্রবার। এই শুক্রবার নিয়ে মেজর ফারুক বেশ একটা গল্প ফেঁদেছিল। এক সাক্ষাৎকারে সে বলেছিল, শুক্রবার ভোরের আজানের সময় তার জন্ম। আবার এই শুক্রবার তার শাদির দিন। এমনই একটি শুক্রবারেই সে পাকিস্তানি সৈন্যবাহিনী ছেড়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়। অন্যদিক দিয়ে এই শুক্রবার মুসলমানদের কাছে পরম পবিত্র দিন। তাই এই হত্যার কাজটি করার জন্য তারা শুক্রবারকেই বেছে নেয়! কিন্তু আসল ব্যাপার কি তাই? নিশ্চয়ই তা নয়। এর অন্য কারণ আছে। পঁচাত্তরে ১৫ আগস্ট পড়েছিল শুক্রবার। আর এই ১৫ আগস্ট হলো ভারতের স্বাধীনতা দিবস। চক্রান্তকারীদের আশঙ্কা ছিল, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলে, ২৫ বছরের ভারত-বাংলাদেশ শান্তি, মৈত্রী ও সহযোগিতা চুক্তি অনুযায়ী ভারত এ ব্যাপারে সামরিক অভিযান চালাতে পারে। ভারত সামরিক অভিযান চালালে তা সামাল দেওয়া তাদের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। কিন্তু ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভারতের সরকার, ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সামরিক বাহিনী ব্যস্ত থাকবে। এমন একটি দিনে তারা প্রতিবেশী একটি দেশে সামরিক অভিযান চালাবে না। তাই এ দিনটিকেই চক্রান্তকারীরা বঙ্গবন্ধু হত্যার দিন হিসেবে বেছে নেয়। লেখাটি সাংবাদিক আবেদ খান রচিত ‘ষড়যন্ত্রের জালে বিপন্ন রাজনীতি’ বইয়ের প্রথম খণ্ড থেকে উদ্ধৃত। (চলবে)
০৩ আগস্ট, ২০২৩
X