প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ মুছে ফেলা হয়েছিল। শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক ও লেখকরা তাদের লেখনীতে এটি ধরে রেখেছেন। এর ফলে আমরা রাজনীতিবিদরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ গড়তে পেরেছি। আর যেন কখনো কেউ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়গাথা বিকৃত করতে না পারে, এজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। গতকাল শুক্রবার জাতীয় জাদুঘরে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের আঁকা শিল্পকর্ম নিয়ে ‘শাহাবুদ্দিন: এ রেট্রোস্পেক্টিভ (১৯৭৩-২০২৩)’ শিরোনামের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, শিল্পীর আঁকা ছবি হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করা যায়। একই সঙ্গে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়া যায়। একটা চেতনা জাগ্রত হয়। আমাদের জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই চেতনায় আমাদের বাংলাদেশের জনগণ জাগ্রত হবে এবং দেশকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে ভবিষ্যতেও গড়ে তুলবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিল্পীদের তুলির আঁচড় থেকেই ফুটে ওঠে আমাদের দেশের প্রকৃতি ও নানা চিত্র। দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের চিত্রও ফুটে ওঠে। আমি এগুলো আমার সঙ্গে রাখি। আমি দেখি, আর সহকর্মীদের বলি—এই চিত্র আমি বদলাতে চাই বাংলাদেশ থেকে। তিনি বলেন, শিল্পীর তুলির আঁচড় অনেক শক্তিশালী। আমাদের যেসব শিল্পী আছেন, বিশেষ করে আমাদের শাহাবুদ্দিন—আমার ছোট ভাইয়ের মতো, সে তো সবার মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ। এখন পর্যন্ত তার তুলির আঁচড়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অনুভব করি। মনে হয় যেন এখনই আবার সে মুক্তিযুদ্ধ করবে। আসলে আমরা এখনো মুক্তিযুদ্ধ করেই যাচ্ছি।
এর আগে চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের আঁকা শিল্পকর্ম নিয়ে ‘শাহাবুদ্দিন: এ রেট্রোস্পেক্টিভ (১৯৭৩-২০২৩)’ শীর্ষক বিশেষ প্রদর্শনী উদ্বোধন ও পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে আয়োজিত মাসব্যাপী একক শিল্প প্রদর্শনীতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের প্রায় ১৪০টি নির্বাচিত শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকসহ সরকারি-বেসরকারি পদস্থ কর্মকর্তারা অংশ নেন। সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান।
মন্তব্য করুন