নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের ব্যবস্থা না করে তড়িঘড়ি জাতীয় নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে সমমনা ছয়টি ইসলামী দল। গতকাল মঙ্গলবার এক বৈঠকে ইসলামী দলগুলোর নেতারা ওই দাবি জানান। তারা বলেন, রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া তপশিল ঘোষণা হবে জাতির সঙ্গে তামাশার শামিল। এ তামাশা বন্ধ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। তবেই একমাত্র চলমান সংঘাত ও সহিংসতার সমাধান করা যাবে। কিন্তু জনগণের দাবির তোয়াক্কা না করে একতরফা নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে সরকার। এতে পরিস্থিতি আরও অবনতি হবে।
তাদের অভিযোগ, সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। শক্তি প্রয়োগ, গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও জেল-জুলুমের মাধ্যমে বিরোধী কণ্ঠকে স্তব্ধ করতে চায়। এতে আলেম-ওলামাসহ সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে। নেতারা আরও বলেন, সরকারকে হামলা-মামলা আর পেশিশক্তির খেলা বন্ধ করতে হবে। রাজনৈতিক দল ও জনগণের মতামত উপেক্ষা করে একতরফা নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করলে জাতি তা মেনে নেবে না।
বৈঠকে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তার বন্ধ ও মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা
মুনির হোসাইন কাসেমীসহ আলেম-ওলামা ও কারাবন্দি বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করা হয়। নিরপেক্ষ সরকারের গণদাবি না মেনে তপশিল ঘোষণা করলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি ঘোষণা করা হয়।
গতকাল বিকেল ৩টায় পল্টনের খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনের আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের আবদুর রব ইউসুফী, মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, নাজমুল হাসান, বাংলাদেশে খেলাফত আন্দোলনের হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মুজিবুর রহমান হামিদী, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের কাজী আবুল খায়ের, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আতাউল্লাহ আমিন, মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আজিজুল হক ইসলামাবাদী, খেলাফত মজলিসের সাখাওয়াত হোসাইন, আহমদ আলী কাসেমী, খেলাফত মজলিসের জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অ্যধাপক আবদুল জলিল, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, যুববিষয়ক সম্পাদক তাওহিদুল ইসলাম তুহিন, অধ্যাপক আজিজুল হক, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মুফতি শরাফত হোসাইন, তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, খেলাফত আন্দোলনের সুলতান মহিউদ্দিন, সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, নেজামে ইসলাম পার্টির আবদুল্লাহ আল মাসুদ প্রমুখ।