ড. মতিউর রহমান
প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ভালোবাসার অর্থনীতি

প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।

এক যুগেরও বেশি আগে (২০০৮ সালে) প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতের একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধ পড়েছিলাম। প্রবন্ধটির শিরোনাম ছিল ‘‘নারীর ক্ষমতায়ন ও ‘ভালোবাসার অর্থনীতি’’। প্রবন্ধটি প্রথম চোখে পড়ার পর ভেবেছিলাম ভালোবাসার মধ্যে থাকে প্রেমপ্রীতি; এর মধ্যে অর্থনীতি ঢুকে গেলে তো বিপত্তি। প্রচণ্ড কৌতূহল নিয়ে দীর্ঘ আট পৃষ্ঠার প্রবন্ধটি পড়া শুরু করি এবং এক বসাতেই পড়ে শেষ করি। পড়া শেষে কিছু সময় ঝিম ধরে বসে চিন্তা করতে থাকি। আমি অর্থনীতির ছাত্র নই। তারপরও প্রবন্ধটিতে জটিল একটি বিষয় প্রবন্ধকার যেভাবে উপস্থাপন করেছেন তা যে কারও কাছে সহজেই বোধগম্য।

গত বছর এক একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী যে বিষয়ে অনুশাসন (নির্দেশনা) দিয়েছেন সে সম্পর্কে তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গণমাধ্যমকে অবহিত করেন। একনেক সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘অর্থনীতিতে ঘরের কাজ বা গৃহস্থালি কাজের অবদান স্বীকার করতে হবে। এটা করা গেলে আমাদের জিডিপি আরও বাড়বে। ঘরের কাজের আর্থিক মূল্যায়ন আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছর থেকে জিডিপিতে কীভাবে যুক্ত করা যায়, তার উপায় খুঁজে বের করতে বিআইডিএসকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে’।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তার ভাষায় বলেছেন, এটা এমন এক চাকরি, যার কোনো কর্মঘণ্টা নেই। বিশ্রাম নেই, ছুটি নেই, বেতন নেই, পেনশন নেই। এগুলো মূল্যায়ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ খুব বেশি। আমরাও তার সঙ্গে শতভাগ একমত।’ মন্ত্রী জানান, একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, নারীদের অবদান আন্ডার রিপোর্টেড। এটা জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য গত সভায়ও তিনি নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ‘অর্থনীতিতে ঘরের কাজ বা গৃহস্থালি কাজের অবদান স্বীকার করতে হবে। এটা করা গেলে আমাদের জিডিপি আরও বাড়বে। আগামী অর্থবছরে হবে না। কিন্তু তার পরের অর্থবছর থেকে নারীদের অবদান যুক্ত করে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হিসাব ধরা হবে। আমাদের জিডিপি যা দেখাচ্ছি বাস্তবে তার চেয়ে অনেক বেশি। কারণ আমাদের অর্ধেক জনশক্তির কাজ জিডিপিতে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না।’

নারীর শ্রম জিডিপিতে অন্তর্ভুক্তির পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে মন্ত্রী মান্নান বলেন, ‘সম্প্রতি পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে প্রকাশিত শ্রম জরিপে কৃষিতে পুরুষের তুলনায় নারীর অবদান বেশি বলে তথ্য উঠে এসেছে। নারীদের শুধু মাঠে গিয়ে কাজ নয়; ঘরে হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল পালন, বিভিন্ন জাতের সবজি উৎপাদনসহ নানা হিসাব করে দেখা গেছে, কৃষিতে পুরুষের তুলনায় নারীদের অবদান বেশি। অদূর ভবিষ্যতে দুটি একত্র হবে এবং একটি সুষম অর্থনীতিতে যা হওয়ার কথা তা যথাযথভাবে এই খাতে প্রতিফলিত হবে।’ তিনি বলেন, ‘মায়ের ভালোবাসার মূল্যায়ন করা তো সম্ভব নয়। কিন্তু মায়ের রান্না, ধান ভানা, পানি গরম করা, কাপড় ধোয়ার মতো কাজগুলোর তো মূল্যায়ন করা সম্ভব।’

একই অনুষ্ঠানে তৎকালীন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, ‘আমরা যে জিডিপি তৈরি করি, তাতে আমাদের দেশীয় কোনো পদ্ধতি বা মডেল অনুসরণ করা হয় না। সিস্টেম অব ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে জিডিপির হিসাব করা হয়। সারা বিশ্বেই এ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। সব দেশ একরকমই করে থাকে।’

গৃহস্থালিতে শ্রমের আর্থিক মূল্যমানের পরিমাপ সম্পর্কে একটি ধারণা দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণত বাজারে কোনো পণ্যের মূল্য বিনিময় না হলে তা জিডিপিতে আসে না। এজন্য আমাদের অনেক বুদ্ধিজীবী বলেছেন যে, একটি স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্ট করা যায়। যেমন ঘরে একজন নারী যতক্ষণ কাজে সময় দিচ্ছেন, সেই সময়টা যদি বাইরে দিতেন, সেই কাজের মূল্য কত পেতে পারতেন। এ রকম একটি ছায়া অ্যাকাউন্ট করে নারীদের কাজের শ্যাডো প্রাইসিং বা মূল্যায়ন করা যায়।’

এবার দেখি এক যুগেরও আগে প্রকাশিত অধ্যাপক আবুল বারকাতের গবেষণা কী বলে। নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত দীর্ঘদিন যাবৎ গবেষণা করে আসছেন। “বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন: জাতীয় মানব উন্নয়ন পরিকল্পনায় যা ভাবতে হবে” শিরোনামের একটি প্রবন্ধ প্রবন্ধকার ২৮ এপ্রিল ২০০৮ তারিখে প্রিপ ট্রাস্ট এবং অক্সফাম জিবি আয়োজিত “দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্র এবং নারীর ক্ষমতায়ন” শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় উত্থাপন করেছিলেন। তবে নারীর ক্ষমতায়ন ও ভালোবাসার অর্থনীতি নিয়ে তাঁর সুসংবদ্ধ ও সুস্পষ্ট গবেষণা প্রবন্ধ আমরা দেখতে পাই ওই একই বছরে; যার শিরোনাম ছিল ‘‘নারীর ক্ষমতায়ন ও ‘ভালোবাসার অর্থনীতি”’। প্রবন্ধটি বর্ধিত আকারে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি কর্তৃক ২০১১ সালে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ জার্নাল অব পলিটিক্যাল ইকোনমির ২৭তম সংখ্যায় “বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন: মানব উন্নয়ন পরিকল্পনায় যা ভাবতে হবে” শিরোনামে প্রকাশিত হয় যেখানে তিনি “ভালোবাসা”র অর্থনীতির বিষয়টি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করেন। ভালোবাসার অর্থনীতি সম্পর্কিত সর্বশেষ তথ্য সমৃদ্ধ বিস্তৃত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ আমরা আবারও দেখতে পাই, ২০২০ সালে প্রকাশিত, দেশে-বিদেশে সাড়া জাগানো “বড়পর্দায় সমাজ-অর্থনীতি-রাষ্ট্র: ভাইরাসের মহাবিপর্যয় থেকে শোভন বাংলাদেশের সন্ধানে” শীর্ষক ড. বারকাত এর বৃহদাকারের গবেষণা গ্রন্থে।

আবুল বারকাত তার গ্রন্থে বলছেন, ১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশে মোট নারী জনসংখ্যা আট কোটি ৫০ লাখ, যারা চার কোটি ১৮ লাখ ৭২ হাজার খানায় বাস করেন। কৃষিপ্রধান দেশে কৃষি উৎপাদনে নারীর অবদান ৫০ শতাংশ। ফসল চাষ, ধান ঝাড়াই, তুষ ছাড়ানো-শুকানো, ধান সেদ্ধ করা, ধানের বীজ সংরক্ষণ, খাবার পানি সংগ্রহ করা, হাঁস-মুরগি-গরু-ছাগল পালন, দুধ দোয়ানো, জ্বালানি সংগ্রহ, রান্নাবান্না প্রভৃতি কাজ নারী অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ও সৃজনশীলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেন।

এই সুবিশাল গবেষণা গ্রন্থে তিনি উল্লেখ করেছেন, আমাদের পরিবারের মা, যিনি সবার আগে ঘুম থেকে ওঠেন এবং সবার পরে ঘুমাতে যান, অর্থাৎ পরিবারের জন্য সারা বছর দৈনিক গড়ে কমপক্ষে ১৮ ঘণ্টা শ্রম দেন; যে জননী উচ্ছিষ্ট খেয়ে অপুষ্টি-পুষ্টিহীনতার দুষ্টচক্রে জীবন চালিয়ে দিতে বাধ্য হন, তার এ প্রক্রিয়ার শুরু নারী হিসেবে জন্মগ্রহণের দিন থেকে নয়, জন্মগ্রহণের আগেই মাতৃগর্ভে। প্রয়োজনীয় খাদ্য-পুষ্টির অভাব নিয়েই তার জন্ম; আর এভাবেই পেরিয়ে যায় তার শৈশব, কৈশোর, যৌবন; অর্থাৎ পুরো জীবনচক্র।

আবুল বারকাত তার গবেষণা গ্রন্থে বলছেন, আমাদের গার্মেন্ট শিল্পের মেয়েরা কর্মস্থলে যাওয়া-আসা মিলে বছরে ২৪০ কোটি কিলোমিটার হেঁটে কয়েক লাখ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা দেশে-বিদেশে অন্যের হাতে তুলে দেন। ওই মেয়েরা তো অর্ধভুক্ত থাকেন। আমাদের মায়েরা ৩০-৪০ বছর ধরে বসা অবস্থায় রান্নাবান্নার কাজে ব্যয় করার কারণে বাতজ্বর থেকে শুরু করে বদ্ধ রান্নাঘরের ধোঁয়া-উদ্ভূত বিভিন্ন অসুস্থতায় ভোগেন। ফলে তাদের জীবনে একদিকে যেমন সংশ্লিষ্ট অসুস্থতা ক্রনিক রূপ নেয়, তেমনি তাদের জীবনের সুস্থ আয়ুষ্কাল হ্রাস পায়। কিন্তু প্রাকৃতিক গ্যাসে সমৃদ্ধ এই দেশে যদি রান্নার কাজে গ্যাস সরবরাহ করে হেঁশেল ঘরে নারীকে বসা অবস্থা থেকে দাঁড়ানো অবস্থায় নেওয়া যায়, তাহলে তো নারীর গড় সুস্থ আয়ু কমপক্ষে পাঁচ বছর বাড়তে পারে। আর সেইসঙ্গে হেঁশেল-উদ্ভূত বাতজ্বরসহ ধোঁয়া-উদ্ভূত জটিল অসুখ-বিসুখও কমে যেতে পারে। এজন্য ‘হেঁশেলের অর্থনীতি’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

নারী শত ধরনের গৃহস্থালি কর্মকাণ্ডে শ্রম দেন, নারী গ্রামে বাড়ির উঠানে ধান শুকানোসহ বীজ সংরক্ষণ পর্যন্ত কৃষিকাজে শ্রম দেন, যে নারী খানার শিশু ও প্রবীণদের যত্ন-আত্তি করেন এসব সময়ের অর্থমূল্য জিডিপিতে যোগ করার বিষয়ে আবুল বারকাত ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। বলা হয়, নারীরা তো এসব কাজ করবেনই; বলা হয়, নারীরা এসব করেন ‘ভালোবেসে’ এই হলো ‘ভালোবাসার অর্থনীতি’; আর ‘ভালোবাসার অর্থনীতির’ অর্থমূল্য নিরূপণ করা ঠিক নয়। কিন্তু ২০০৮ সালেই ড. বারকাত এই প্রচলিত ধারণার বিরোধিতা করেন এবং নারীর গৃহস্থালী কাজের মূল্য নিরূপণ করা ও জাতীয় জিডিপিতে তা অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত বলে তাঁর বলিষ্ঠ মতামত তুলে ধরেন।

অধ্যাপক আবুল বারকাত হিসাব করে দেখিয়েছেন, ‘ভালোবেসে’ বাংলাদেশের ১০ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী নারীরা গৃহস্থালি কর্মকাণ্ডে বছরে ব্যয় করেন ১৬ হাজার ৬৪১ কোটি শ্রমঘণ্টা, যার বার্ষিক অর্থমূল্য হবে আনুমানিক দুই লাখ ৪৯ হাজার ৬১৫ কোটি টাকা (২০০৮ সালের অর্থমূল্যে) । ‘ভালোবাসার অর্থনীতির’ আর্থিক মূল্য যোগ করলে হিসাবকৃত যে জিডিপি হবে, তার প্রায় ৪৮ শতাংশই হবে নারীর অবদান। কিন্তু তা সত্ত্বেও অর্থনীতিতে নারীর অবদান অস্বীকৃত থেকে যায়।

প্রায় এক যুগ আগে অধ্যাপক বারকাত বলেছিলেন, “আমার বিশ্বাস এ দেশে দরিদ্র-বিত্তহীন-প্রান্তিক ৬ কোটি ২০ লাখ নারীর অর্থনৈতিকসহ সামগ্রিক ক্ষমতায়ন প্রক্রিয়া শুরু করা এবং তা ত্বরান্বিত করা সম্ভব। এ সম্ভাবনা বাস্তবায়নে একমাত্র পথ হলো ১৯৭২-এর মূল সংবিধানের প্রতি বিশ্বস্ত থেকে জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করা- যে প্রক্রিয়ায় প্রথমেই ঐ ৬ কোটি ২০ লাখ দরিদ্র-বিত্তহীন-প্রান্তিক নারীর সাংবিধানিক অধিকার ও ন্যায়-অধিকার সংশ্লিষ্ট সচেতনায়ন (conscientization) বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। কাজটি যার তার কাজ নয়। এ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে শুধু এ দেশের মুক্তিসংগ্রামের চেতনা ধারণকারী সুদূর অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব- অন্য কেউ নয়, অন্য কোনোভাবে নয়।”

বহু বছরের প্রতীক্ষা, বহু দিনের পরিশ্রমের ফল আজ বাস্তবায়িত হতে চলেছে। নারীরা তাদের অমূল্য গৃহকর্মের স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে। একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনের মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। জাতীয় জিডিপিতে নারীদের অবমূল্যায়িত ও অস্বীকৃত গৃহকর্মকে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। সুদূর অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন দেশপ্রেমিক প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, নারীরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘরের সব কাজ করে, কিন্তু সে কাজ কারও নজরে আসে না, সে কাজের কোনো স্বীকৃতি নেই। এ যেন অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতের কথারই প্রতিধ্বনি। আর এজন্য কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

গণমানুষের অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত জাতীয় স্বার্থে ইতিপূর্বে যত মৌলিক গবেষণা করেছেন তার প্রত্যেকটিরই বাস্তব প্রতিফলন আমরা দেখেছি। বাংলাদেশের উন্নয়ন ভাবনা ও মৌলিক গবেষণায় ড. বারকাত অব্যাহতভাবে যে অবদান রেখে যাচ্ছেন তার গুরুত্ব অপরিসীম। এ পর্যন্ত তিনি যত গবেষণাকর্ম করেছেন সেসবের কয়েকটি মাইলফলক বা দিকনির্দেশক হিসেবে যেমন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃত হয়েছে তেমনি এদেশের উন্নয়ন-নীতি প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। মানবপ্রেমী, দেশপ্রেমী ও সুগভীর অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন এই অর্থনীতিবিদের কাছে জাতি কৃতজ্ঞ।

ড. মতিউর রহমান: গবেষক ও উন্নয়নকর্মী

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মালয়েশিয়ায় বাংলা নববর্ষ ১৪৩১-এর বর্ণিল উদযাপন

তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে এলে ঢাবিতে ক্লাসের ব্যাপারে নতুন সিদ্ধান্ত 

অ্যাকাউন্টস অফিসার নেবে আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশন

কাটা মাথাটি কেন ২০০ বছর ধরে সংরক্ষিত?

গণতন্ত্রের জন্য লড়াইকারীদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে : রিজভী

গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা / স্টেশন মাস্টারসহ বরখাস্ত ৩, তদন্তে ২ কমিটি

এবার স্কুলেও সামরিক প্রশিক্ষণ শুরু করবে চীন

২৫ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে নতুন ঘোষণা

গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা, উদ্ধারকাজে বিজিবি

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন ওদের

১০

স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসে চাকরি, থাকছে না বয়সসীমা

১১

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপি : কাদের

১২

খুবিতে ‘বি’ ইউনিটে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ৯৪.৯৩ শতাংশ

১৩

এবার আমেরিকা-ব্রিটেনের বিরুদ্ধে ইরানের নিষেধাজ্ঞা

১৪

অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার নেবে যমুনা ইলেকট্রনিকস, পদসংখ্যা ১০

১৫

গ্রেপ্তার-হামলার পরও যে দাবিতে অনড় মার্কিন শিক্ষার্থীরা

১৬

রেলের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ

১৭

আজ মুক্তি পেল দুই সিনেমা

১৮

মে মাসেই আঘান হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়

১৯

৪০ ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীকে বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ দেবে আহ্ছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

২০
*/ ?>
X