জিডিপি ৬ লাখ কোটি টাকা বাড়ানোর লক্ষ্য
আগামী এক বছরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রায় ৬ লাখ কোটি টাকা বাড়াতে চায় সরকার। আগামী (২০২৪-২৫) অর্থবছরের জন্য চলতি বাজারমূল্য জিডিপির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আগামী ৬ জুন জাতীয় সংসদে নতুন বাজেট উত্থাপনের পাশাপাশি জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করবেন। মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি হলো এক বছরে দেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে উৎপাদিত সব রকম পণ্য ও সেবার অর্থমূল্যের যোগফল। আর এক অর্থবছর তুলনায় পরের অর্থবছরে পণ্য ও সেবার উৎপাদন যতটুকু বাড়ে, সেটিই জিডিপি প্রবৃদ্ধি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছরে চলতি বাজারমূল্যে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ৫০ লাখ ৬ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে এর আকার ৫ লাখ ৯০ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা বাড়বে বলে ধরা হচ্ছে। অর্থাৎ চলতি বাজারমূল্যে ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হচ্ছে। জানা গেছে, দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির শক্তি বা সামর্থ্য মূল্যায়ন এবং সেই অনুযায়ী বছরভেদে অর্থনীতির কতটা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা জানতেই প্রতিবছর বাজেটের মাধ্যমে চলতি বাজারমূল্যে এবং স্থির মূল্যে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। বাজেট ব্যবস্থাপনা, রাজস্ব পরিকল্পনাসহ অর্থনৈতিক বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য জিডিপির আকার প্রাক্কলন খুব গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান বৈশ্বিক বাস্তবতায় জিডিপির বিশাল লক্ষ্য নির্ধারণের যৌক্তিকতা সম্পর্কে জানতে চাইলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সামষ্টিক অর্থনীতি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বাজেটীয় ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অনুকূল নীতি পদক্ষেপ কার্যকরের মাধ্যমে সরকার এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে চায়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আরও জানান, এই বর্ধিত প্রাক্কলনের মূল চালিকাশক্তি হবে দেশের শক্তিশালী ভৌত অবকাঠামো, প্রয়োজনীয় সংস্কার, তথ্যের অবাধ প্রবাহের নিশ্চয়তা, মানসম্পন্ন শিক্ষা, বিনিয়োগের জন্য অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে মাথায় রেখে দক্ষতা উন্নয়ন। এ লক্ষ্যে সরকার প্রস্তাবিত বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন নিশ্চিত করবে। সেখানে একটি বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠী, রপ্তানি বাজারের ক্রমাগত সম্প্রসারণ, প্রবাসী আয়ের স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি এবং সামষ্টিক ও সামাজিক খাতের অর্জনের ধারাবাহিকতা বাড়তি জিডিপির আকার প্রাক্কলনে উৎসাহ জুগিয়েছে। তবে জিডিপির এই লক্ষ্যমাত্রাকে অতিমাত্রায় উচ্চাভিলাষী বলে মনে করেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন। কালবেলাকে তিনি বলেন, ‘অর্থনীতির পরিমাপ বুঝতেই বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনের আকার নির্ধারণ করা প্রয়োজন। বর্তমানে অর্থনীতিতে যে ধরনের চাপ রয়েছে, সেই অবস্থায় এত বড় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ মোটেও সময়োচিত হয়নি। এই লক্ষ্যে পৌঁছানো খুবই কঠিন হবে। কারণ এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে ৬ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। এর জন্য যে ধরনের বিনিয়োগ প্রয়োজন, যে পরিমাণ রপ্তানি বৃদ্ধি দরকার এবং যে হারে ভোক্তার ব্যয় বৃদ্ধি দরকার, সেই পরিস্থিতি দেশের অর্থনীতিতে এখন নেই। উল্টো দেখছি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ভোক্তার ব্যয়ের সক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ফলে মানুষের ভোগব্যয় কমে গেছে। ডলারের অপর্যাপ্ততা এবং দাম অস্বাভাকি বৃদ্ধি ও আর্থিক খাতের দুরবস্থার কারণে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে ভাটা পড়েছে। অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ব্যয় বাড়ার কারণে রপ্তানিকারকদের ব্যয়ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বাস্তবতায় জিডিপির আকার এত বেশি কীভাবে বাড়বে, সেটি বোধগম্য নয়।’ দেশে জিডিপি নির্ধারণে ১৯টি খাতে উৎপাদিত সবরকম পণ্য ও সেবার বাজার মূল্যকে জিডিপির অন্তর্ভুক্ত করা হয়। খাতগুলো হলো কৃষি (কৃষি, বনজ ও মৎস্য); খনিজ ও খনন, শিল্প ম্যানুফ্যাকচারিং (বৃহৎ, ছোট, মাঝারি ও ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্প); বিদ্যুৎ, গ্যাস, বাষ্প ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ; পানি সরবরাহ পয়োনিষ্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পুনর্ব্যবহার; নির্মাণ; সেবা (পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা, যানবাহন ও মোটরসাইকেল মেরামত; পরিবহন ও সংরক্ষণ-স্থলপথ, পানিপথ, আকাশপথ, সংরক্ষণ ও সহায়ক সেবা, ডাক ও কুরিয়ার যোগাযোগ; আবাসন এবং খাদ্য পরিবেশন কার্যক্রম; তথ্য ও যোগাযোগ; আর্থিক এবং বীমা কার্যক্রম; রিয়েল এস্টেট কার্যক্রম; পেশাদার বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত কার্যক্রম; প্রশাসনিক ও সহায়তামূলক পরিষেবা কার্যক্রম; জনপ্রশাসন ও প্রতিরক্ষা এবং বাধ্যতামূলক সামাজিক নিরাপত্তা; শিক্ষা; মানব স্বাস্থ্য এবং সামাজিকসেবা কার্যক্রম; শিল্পকলা ও বিনোদন এবং অন্যান্য।
১০ ঘণ্টা আগে

৬ শতাংশের নিচে থাকবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি: আইএমএফ
চলতি বছর বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের নিচে নেমে যেতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আইএমএফ। গতকাল মঙ্গলবার আইএমএফ সবশেষ ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকে বাংলাদেশ বিষয়ে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে। আউটলুকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) চলতি বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে, গত অক্টোবরের আউটলুকে যা ছিল ৬ শতাংশ। উচ্চ মূল্যস্ফীতির এ সময়ে অর্থনীতির টানাপোড়েনের মধ্যে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) সরকারের প্রত্যাশা অনুযায়ী যেমন বাড়বে না, তেমনি আর্থিক হিসাব বছর শেষে জনজীবনে মূল্যস্ফীতির চাপও আগের চেয়ে বাড়বে বলে সবশেষ প্রতিবেদনে বলেছে সংস্থাটি। তবে আগামী বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আইএমএফ।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

অর্ধেকে নেমেছে জিডিপি প্রবৃদ্ধি
বেসরকারি ও বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় শিল্প ও সেবা খাতে উৎপাদন কমে যাওয়ায় অর্ধেকে নেমে এসেছে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর) জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ হারে। অথচ ২০২২-২৩ অর্থবছরে একই সময়ে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। তারও আগে ২০২১-২২ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে এই হার ছিল ৯.৩০ শতাংশ। এমনকি চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে প্রবৃদ্ধির হার কমেছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। আর তিন মাসে কমেছে ২ দশমিক ২৩ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) সরকার জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। বাস্তবে প্রবৃদ্ধির হার এর ধারেকাছেও নেই। এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘সরকার জিডিপি প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, তা কোনোভাবেই অর্জিত হবে না। কারণ একদিকে আমদানি ব্যয় কমছে, অন্যদিকে বেসরকারি খাতে ঋণের চাহিদা কমে যাচ্ছে। বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার মানেই হচ্ছে বিনিয়োগ কমে যাওয়া। আর বিনিয়োগ কমে গেলে উৎপাদন এবং কর্মসংস্থান কমে যাবে। ফলে জিডিপি প্রবৃদ্ধির কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না।’ বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর কালবেলাকে বলেন, ‘এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কারণ এই সময়ে অর্থনীতিতে এক ধরনের অস্থিরতা দেখা গেছে। এরই প্রভাব পড়েছে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে।’ তিনি বলেন, ‘শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি কমার মূল কারণ হচ্ছে ডলার সংকটের কারণে আমাদের আমদানি ব্যয় কমাতে হয়েছে। এর ফলে একদিকে উৎপাদন কমে গেছে, অন্যদিকে রপ্তানি আদেশও কমে গেছে। এ ছাড়া আমদানি কম হওয়ায় সেবা খাতও ব্যাহত হয়েছে। বর্তমান সামষ্টিক অর্থনীতিতে যে এক ধরনের অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে, সেখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এটা করতে না পারলে নানামুখী সমস্যা বাড়বে। তবে ডলার সংকট কেটে গেলে হয়তো আগামীতে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে।’ বিবিএসের প্রকাশিত জিডিপির হিসাবে দেখা যায়, দেশের কৃষিতে উৎপাদন বাড়লেও শিল্প ও সেবা খাতে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। একইভাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায়, দ্বিতীয় প্রান্তিকে শিল্প ও সেবার সব খাতে প্রবৃদ্ধি কমেছে। শুধু কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। কৃষিতে প্রবৃদ্ধি বাড়লেও হতাশার চিত্র শিল্প ও সেবায়। চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কৃষিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪.৬৫ শতাংশ, যা প্রথম প্রান্তিকে ছিল ১.০৪ শতাংশ। প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি ৯.৬৩ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৩.২৪ শতাংশ এবং সেবা খাতে ৩.৭৩ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৩.০৬ শতাংশ। এদিকে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় শিল্প ও সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি ব্যাপক হারে কমেছে, আর কৃষিতে বেড়েছে। বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪.৬৫ শতাংশ, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ছিল ৪.২২ শতাংশ, এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের একই প্রান্তিকে তা ছিল ২.২০ শতাংশ। অন্যদিকে, চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩.২৪ শতাংশ, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই প্রান্তিকে ছিল ১০ শতাংশ, এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ছিল ১৪.৫০ শতাংশ। সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩.০৬ শতাংশ, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬.৬২ শতাংশ, এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে হয়েছিল ৭.২৫ শতাংশ।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ধস
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধিতে ধস হয়েছে। এ সময়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০২৩) ত্রৈমাসিক প্রবৃদ্ধির এ তথ্য প্রকাশ করেছে। বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপি প্রাক্কলন মূল্যায়ন করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় প্রান্তিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার হয়েছে ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি হয় ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ৪ দশমিক ২২ শতাংশ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ২ দশমিক ২০ শতাংশ ছিল। শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। এটি ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ১০ শতাংশ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ ছিল। এছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ছিল। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবং এরপর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে ত্রৈমাসিক জিডিপি প্রাক্কলন করে থাকে বিবিএস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বিবিএসও উৎপাদন পদ্ধতিতে ত্রৈমাসিক জিডিপি প্রাক্কলন করে থাকে। সূত্র : ইউএনবি
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমার পূর্বাভাস বিশ্বব্যাংকের
চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমার পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৬ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের চেয়ে দশমিক ২ শতাংশ কম। ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছিল ৫.৮ শতাংশ। তবে, আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি সামান্য বাড়তে পারে বলেও জানায় সংস্থাটি। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংক কার্যালয়ে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। বিশ্বব্যাংকে বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক প্রতিবেদনের বিস্তারিত তুলে ধরেন। সেখানে বলা হয়, করোনার পর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শক্তিশালী পরিবর্তন এসেছে। যেখানে মহামারি-পরবর্তী ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, আর্থিক খাতের দুর্বলতা, বৈশ্বিক চাপ ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে ঝুঁকিতে পুরো দক্ষিণ এশিয়া। বিশ্বব্যাংকের হিসাব মতে, ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ৭ দশমিক ১ শতাংশ। অর্থাৎ এরপর টানা দুবার প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের নিচে নামতে যাচ্ছে। তবে আগামী অর্থবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৫ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হতে পারে। বাংলাদেশের টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে অর্থনৈতিক সংস্কার জরুরি বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির মতে, ব্যাংক একীভূতকরণের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক থাকা দরকার। সম্পদের মান ও সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে তা করা উচিত। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতির রাশ আরও টেনে ধরা দরকার। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে আর্থিক সংস্কার ও মুদ্রার একক বিনিময় হার ব্যবস্থা প্রবর্তন জরুরি। মুদ্রার বিনিময় হারে অধিকতর নমনীয়তা বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য পুনরুদ্ধারে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বিশ্বব্যাংক বলেছে, ধারাবাহিক উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। তারল্যের রাশ টেনে ধরা, ক্রমবর্ধমান সুদের হার, আমদানি বিধিনিষেধ ও জ্বালানির দাম বাড়ায় কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিনিয়োগ ব্যাহত হয়েছে। ফলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি আরও মন্থর ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের উচ্চ হারসহ দুর্বল নিয়ন্ত্রণের কারণে ব্যাংকিং খাত চাপের মুখে পড়েছে। আবদৌলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের শক্তিশালী সামষ্টিক অর্থনৈতিক মৌলিক বিষয়গুলো অতীতের অনেক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও তথ্য দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে, বছর শেষে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ৬ শতাংশে। এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে ভারত। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবে বাংলাদেশ, প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৬ শতাংশ। এরপর ভুটান ৪.৯ শতাংশ, মালদ্বীপ ৪.৭ শতাংশ, নেপাল ৩.৩ শতাংশ, শ্রীলঙ্কা ২.২ শতাংশ এবং পাকিস্তান ১.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। আর আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারতের প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসবে। তবে, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়াই একমাত্র অঞ্চল, যেখানে কর্মরত পুরুষের হার গত দুই দশকে কমেছে এবং কর্মজীবী নারী সবচেয়ে কম। বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান অর্থনীতিবিদ ফ্রানজিস্কা ওনসর্গ জানান, এ অঞ্চলটি জনশক্তিকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইসার জানান, দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা স্বল্পমেয়াদে উজ্জ্বল থাকবে। কিন্তু ভঙ্গুর আর্থিক অবস্থান এবং ক্রমবর্ধমান জলবায়ু ধাক্কায় কালো মেঘ থাকবে। এজন্য প্রবৃদ্ধি আরও বাড়াতে কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। এই অঞ্চলের দেশগুলোকে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর নীতি গ্রহণ করতে হবে।
০৩ এপ্রিল, ২০২৪

জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬% মূল্যস্ফীতি ৭.৯
চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতির সরকার নির্ধারিত কোনো লক্ষ্যমাত্রাই অর্জিত হবে না বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটির দাবি, অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ শতাংশ। আর মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়াতে পারে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। এ সময়ে চলতি হিসাবের ঘাটতিও কিছুটা বাড়তে পারে। এটি গত অর্থবছরের তুলনায় জিডিপির শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত আইএমএফের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পূর্বাভাস প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সরকার প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। ফলে সরকার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে আইএমএফসহ এরই মধ্যে প্রকাশিত অন্যান্য উন্নয়ন সংস্থার পূর্বাভাসের বড় ধরনের পার্থক্য তৈরি হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) জানিয়েছিল, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক বলেছে, জিডিপির প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। এদিকে আইএমএফের পূর্বাভাসে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০২৮ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে ৭ শতাংশে উন্নীত হবে এবং মূল্যস্ফীতির হার নেমে ৫ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়াতে পারে। প্রতিবেদনে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বলা হয়, মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিজনিত সংকট থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে বিশ্ব অর্থনীতি। যুদ্ধের কারণে খাদ্য ও জ্বালানি বাজার বিঘ্নিত হয়েছে; সেইসঙ্গে উচ্চ মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে নীতি সুদহার অভূতপূর্ব হারে বাড়ানো হয়েছে—এসব কারণে বিশ্ব অর্থনীতি গতি হারালেও থমকে যায়নি। আইএমএফের পূর্বাভাস, চলতি বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার ৩ শতাংশে নেমে আসবে; আগের বছরে যা ছিল ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। পরের বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে তা ২ দশমিক ৯ শতাংশে নামতে পারে। এটা ঐতিহাসিক গড় মানের চেয়ে কম। তবে চলতি বছর সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হার কমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। ২০২৩ সালে বৈশ্বিক গড় মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়াতে পারে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ; আগের বছরে যা ছিল ৯ দশমিক ২ শতাংশ। সেইসঙ্গে খাদ্য ও জ্বালানির মূল্য ছাড়া মূল্যস্ফীতির যে হিসাব, সেই মূল্যস্ফীতির হারও কমে আসবে। এ পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক মন্দা হওয়ার আশঙ্কা কম। অর্থনীতির বিশেষ ক্ষতি না করে মূল্যস্ফীতির হার কমিয়ে আনা সম্ভব হবে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটি উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রেকর্ড হারে নীতি সুদহার বাড়ালেও বেকারত্ব তেমন একটা বাড়বে না বলেই পূর্বাভাস। ২০২৫ সালে এই হার সামান্য বেড়ে ৩ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।
১১ অক্টোবর, ২০২৩

মূল্যস্ফীতি হবে ৬.৬% জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৫
চলতি অর্থবছর শেষে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি কমার পূর্বাভাস দিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। একই সঙ্গে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার তুলনায় সামান্য বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল ‘উন্নয়নশীল এশিয়ায় অর্থনৈতিক প্রবণতা ও সম্ভাবনা: দক্ষিণ এশিয়া’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব পূর্বাভাস দিয়েছে এডিবি। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছর মূল্যস্ফীতি কমে হবে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। আর জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়ে হবে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানিবহির্ভূত পণ্যের দাম কিছুটা কমে যাওয়া, প্রত্যাশিত উচ্চতর কৃষি উৎপাদন ও নতুন কাঠামোর অধীনে মুদ্রানীতির কঠোরতার কারণে মূল্যস্ফীতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৯ শতাংশ থেকে কমে এবার ৬ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক ২০২৩’ প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ। সেই তুলনায় আগামী অর্থবছরে তা সামান্য বাড়তে পারে। প্রবৃদ্ধির বিষয়ে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডমিন জিনটিং বলেন, বাহ্যিক আর্থিক অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও সরকার তুলনামূলকভাবে ভালো করছে। কেননা অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নতি করতে জরুরি সংস্কার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সংস্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে জনসাধারণের আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করা, অভ্যন্তরীণ সম্পদের সংহতি বৃদ্ধি করা, সরবরাহের উন্নতি করা। এক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের উন্নয়ন, রপ্তানি বহুমুখীকরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান তিনি।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বাংলাদেশের জিডিপি ৬.৫ শতাংশ হতে পারে : এডিবি
বাংলাদেশের জিডিপি চলতি অর্থবছরে প্রত্যাশার তুলনায় সামান্য বেড়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদন বলা হয়, গত অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের তুলনায় সামান্য বাড়তে পারে। এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং বলেন, আর্থিক অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও সরকার তুলনামূলকভাবে ভালো করছে। কেননা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নতি করতে জরুরি সংস্কার করা হচ্ছে। অপরদিকে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি কমে ৬ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসবে বলেও এডিবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X