চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলারে ফাটল
আনুষ্ঠানিকভাবে গাড়ি চলাচল শুরুর আগেই চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একটি র‍্যাম্পের কয়েকটি পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। চট্টগ্রামে ৪ হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। নগরীর লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত নির্মাণাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের লালখানবাজার এলাকার সরকারি অফিসার্স কলোনির সামনে র‌্যাম্পের ৪টি পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে।  ফাটলগুলো জিওব্যাগ দিয়ে ঢেকে মেরামতের প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে। যদিও প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দাবি, এগুলো কোনো গভীর ফাটল নয়, হেয়ারলাইন ক্র্যাক। যে কোনো নির্মাণাধীন অবকাঠামোতে এমন ফাটল হওয়া স্বাভাবিক। এতে অবকাঠামোর ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।  এ প্রসঙ্গে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক ও সিড্এির নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাফুজুর রহমান বলেন, র‌্যাম্পের পিলারে ফাটলগুলো হেয়ারলাইন ক্র্যাক (ফাটল)। নানা কারণে নির্মাণাধীন অবকাঠামোতে এ রকম ফাটল হতে পারে। এটি বড় কিছু নয়। আমরা ঠিক করে ফেলব। এই ফাটল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রভাব পড়বে না।    গত বছরের ১৪ নভেম্বর লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ১৫ দশমিক ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উড়াল সড়কটির নাম প্রয়াত চসিক মেয়র আলহাজ এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরীর নামকরণের প্রস্তাব দেয় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। চট্টগ্রামে উড়াল সড়কের মধ্যে এটিই দীর্ঘতম। প্রায় সাড়ে চার মাস আগে নগরীর দীর্ঘ ফ্লাইওভারটি উদ্বোধন করা হলেও নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় এখনো যান চলাচলের জন্য তা খুলে দেওয়া হয়নি। বিমানবন্দরকেন্দ্রিক যানজট নিরসনে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের এ উদ্যোগ নেয় সিডিএ। 
২৬ মে, ২০২৪

কাজ শেষ না হতেই ৭০ কোটি টাকার সেতুতে ফাটল
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জে রাঙামাটি নদীর ওপর নির্মাণাধীন গোমা সেতুর পিলারের ওপরের অংশে বড় ধরনের ফাটল দেখা গেছে। প্রায় ৭০ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন সেতুর স্থায়িত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বরিশালের কাউয়ারচর, দিনারেরপুল-লক্ষীপাশা-পটুয়াখালী জেলা আঞ্চলিক সড়কে বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুধল ও চরাদী ইউনিয়নের গোমা পয়েন্টে রাঙ্গামাটি নদীর ওপর সেতুটি নির্মাণ হচ্ছে। উপজেলার মানুষের উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাঙামাটি নদীর ওপর এ সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেতু ও সড়ক বিভাগের অধীনে ঠিকাধারি প্রতিষ্ঠান এম খান গ্রুপ সেতুটির কাজ করছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল জেলা পটুয়াখালী জেলার সঙ্গে আঞ্চলিক সড়কের রাঙ্গামাটি নদীর ওপর নির্মিত সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ২৮৩ দশমিক ১৮৮ মিটার। সংশোধিত প্রস্তাবে প্রকল্প ব্যয় দেখানো হয়েছে ৭০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বরিশালের সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন বলেন, সেতুর পিলারের ফাটল ধরেছে এমন তথ্য আমার জানা ছিল না। আপনার মাধ্যমে এখন জেনেছি। সরজমিনে গিয়ে দেখে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয়দের দাবি, সেতুর নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। যে কারণে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই পিলারের উপরের অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
০৬ মে, ২০২৪

যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে জখম, নাক ফাটল কাউন্সিলরের
ময়মনসিংহ নগরীতে আধিপত্য নিয়ে বিরোধে দু’গ্রুপের বিবাদে নব নির্বাচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নাক ফাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। পিটিয়ে জখম করা হয়েছে স্থানীয় যুবলীগ নেতাকে। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।   ভুক্তভোগী কাউন্সিলর শামছুল হক লিটন ও যুবলীগ নেতা শরীফ হাসান। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে টানা দ্বিতীয়বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হন শামছুল হক লিটন। লিটনের ভাতিজা কোতোয়ালি থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম স্বপন গত সংসদ নির্বাচনের পর থেকে এলাকায় নিজের প্রভাব বাড়াতে চেষ্টা শুরু করেন।  স্বপনের সঙ্গে আকুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফ হাসানের আগে থেকে বিরোধ ছিল। সংসদ নির্বাচনের পর বিভিন্ন সময় শরীফকে ইঙ্গিত করে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলতে থাকে স্বপন। শুক্রবার রাতে আকুয়া মোড়লপাড়া এলাকায় যুবলীগ নেতা শরীফের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা ও সংঘর্ষে জড়ায় স্বপন ও তার সহযোগী আনোয়ার হোসেন আনু। এতে শরীফকে আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।   খবর পেয়ে মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান এলাকায় গিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর শামছুল হক লিটনকে নিয়ে এলাকার পরিবেশ শান্ত করেন। আহত শরীফকে দেখতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান যুবলীগ নেতা শাহীনুর ও কাউন্সিলর লিটন। ওই সময় শরীফের ভাই ইয়াসিন কাউন্সিলরকে ঘুষি দিয়ে নাক ফাঁটিয়ে দেন। পরে তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।   মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মো. শাহীনুর রহমান বলেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই এলাকায় উস্কানিমূলক কথা বলছিল স্বপন ও আনু। শরীফকে অহেতুক রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। কাউন্সিলরকে নিয়ে বিষয়টি মিটমাটের পর্যায়েও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হাসপাতালে শরীফকে দেখতে গেলে অনাকাঙিক্ষত ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় আমরা মর্মাহত। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।   এদিকে শরীফকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় তার ভাই ফরিদ আহমেদ বাদি হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। এতে স্বপনসহ দু’জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ফরিদ আহমেদ বলেন, আমার ভাই শহরের প্রতিষ্ঠিত রড সিমেন্ট ব্যবসায়ী। স্বপন চাঁদা চেয়ে না পাওয়ায় মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমার ভাইকে মারধর করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই।   ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৬ মার্চ, ২০২৪

ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, নাক ফাটল চালকের
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ সদরের দত্তপাড়া এলাকায় চলন্ত বিজয় এক্সপ্রেসে দুর্বৃত্তের ছোড়া পাথরের আঘাতে নাক ফেটে ট্রেনটির চালক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জামালপুর থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী ট্রেনটি বুধবার রাত সোয়া ১১টার দিকে গৌরীপুর থেকে ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশনের মাঝামাঝি বোকাইনগর এলাকায় পৌঁছালে এ ঘটনা ঘটে। আহত ট্রেন চালক মো. আতিকুল ইসলাম (৪২) ত্রিশাল উপজেলার বিরামপুর গ্রামের আব্দুল হেকিমের ছেলে। ময়মনসিংহ জংশনের স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট নাজমুল হক খান জানান, পাথরের আঘাতে আতিকুল ইসলাম আহত হওয়ার পর আরেকজন চালক ট্রেনটি নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ট্রেন চালক আতিকুল বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, অন্ধকারের মধ্যে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ জানালার কাচ ভেদ করে একটি পাথরের টুকরো এসে নাকে লাগে। এরপর ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। পরে অন্য সহকর্মীরা তাকে হাসপাতালে নেন।
১৫ মার্চ, ২০২৪

লালমনিরহাটে রেললাইনে ফাটল
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী এলাকায় রেললাইনে ফাটল দেখা দিয়েছে। শুক্রবার (৮ মার্চ) বেলা ২টার দিকে বুড়িমারী উফারমারা গ্রামের এক ব্যক্তি রেললাইনের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় হঠাৎ এই ফাটল দেখতে পান। পাটগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, পার্বতীপুরগামী ৬৬ নম্বর ডাউন ট্রোনটি পাটগ্রাম রেলস্টেশন অতিক্রম করার পর পাটগ্রাম-বুড়িমারী রেলপথের খারিজা উপেন চৌকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের রেললাইনে ফাটল দেখতে পান ওই ব্যক্তি। বিষয়টি রেলপথের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের জানান তিনি।  পাটগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার নুর আলম জানান, খবর পেয়ে রেললাইন মেরামতের কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
০৮ মার্চ, ২০২৪

বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র এলাকায় দুই শতাধিক বাড়িতে ফাটল
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে অবস্থিত দেশের অন্যতম বৃহৎ বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ড এলাকায় দুই শতাধিক বাড়িঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে। তবে কী কারণে হঠাৎ করে এই ফাটল দেখা দিল, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ডের দায়িত্বে থাকা শেভরন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ওই এলাকায় গতকাল ভূমিকম্প হয়েছে। সে কারণে ফাটল দেখা দিতে পারে। ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, যে ভূমিকম্প হয়েছে তা খুবই মৃদু। এতে করে ঘরবাড়ি ফাটল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এদিকে এ ঘটনায় পেট্রোবাংলা থেকে একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল পেট্রোবাংলার প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট (পিএসসি) পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তদন্ত কমিটি করার কথা উল্লেখ করা হয়। পরিচালকের (পিএসসি) সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। তবে একই বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (অনুসন্ধান) ফারহানা শাওন এ বিষয়ে কালবেলাকে বলেন, শেভরন এখন কোনো কূপ খননের কাজ করছে না। যতটুকু জেনেছি, সেখানে ভূমিকম্প হয়েছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত রুবাইয়া কবির কালবেলাকে বলেন, গতকাল (শনিবার) সকালে ও রাতে সিলেট এলাকায় ভূমিকম্প হয়েছে। এটি শুধু আমাদের সিলেট স্টেশনে ধরা পড়েছে। ভূমিকম্পটি খুবই মৃদু ছিল। মোট চারটি স্টেশনে ভূমিকম্পন ধরা না পড়লে মাত্রা বোঝা যায় না। মৃদু এই ভূমিকম্পে ঘরবাড়িতে ফাটল হতে পারে কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনোভাবেই ফাটল হওয়া সম্ভব নয়। কারণ এটা খুবই মৃদু ছিল। ফাটল অন্য কোনো কারণে হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে সিলেট গ্যাসফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান। কমিটির অন্যরা হলেন পেট্রোবাংলার ডেভেলপমেন্ট ও প্রোডাকশনের মহাব্যবস্থাপক মো. সালাহ উদ্দিন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) ভূতাত্ত্বিক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেন। কমিটিকে যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। শেভরন বাংলাদেশের কমিউনিকেশন ম্যানেজার শেখ জাহিদুর রহমান এ প্রসঙ্গে কালবেলাকে বলেন, আমরা কোনো কূপ খনন করতে গেলে আগে থেকে ওই এলাকায় মাইকিং করি। এই ফাটল আমাদের কোনো কাজের কারণে হয়নি। এলাকায় মৃদু ভূমিকম্প হয়েছে। ভূমিকম্পের কারণে হতে পারে। তিনি বলেন, আমাদের কাছে নিরাপত্তা প্রথম কাজ। হবিগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, গত শনিবার রাত ১০টার দিকে বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র অবরোধ করেন স্থানীয় কয়েকটি গ্রামের লোকজন। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্যের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে প্রতিদিন তিন থেকে চার বার বিকট শব্দ ও অতিরিক্ত কাঁপুনি হয়। এতে মাটি কেঁপে ফাটল ধরেছে ইনাতগঞ্জ ও দীঘলবাক ইউনিয়নের ২০ গ্রামের দুই শতাধিক ঘরবাড়িতে। বিষয়টি একাধিকবার কর্তৃপক্ষকে জানালেও ব্যবস্থা নেয়নি। যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কায় দিন কাটছে স্থানীয়দের। পরে শনিবার রাতে ক্ষুব্ধ হয়ে ইনাতগঞ্জ ও দীঘলবাক ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের কয়েক শতাধিক মানুষ বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ড ঘেরাও করে। এ সময় বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ডের কার্যক্রম বন্ধ করার দাবি জানান স্থানীয়রা। নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. মাসুক আলী, ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নোমান হোসেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়াকে অবগত করেন। পরে সংসদ সদস্য মোবাইল ফোনে বিষয়টি সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানালে সরে যান স্থানীয়রা। হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও অন্যান্য লোকজন বিষয়টি আমাকে জানালে আমি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আশ্বাস দিয়েছেন কেন অতিরিক্ত কাঁপুনি হয়েছে—বিষয়টি দ্রুত খতিয়ে দেখা হবে। এখানে উল্লেখ্য, শেভরন বাংলাদেশের হাতে বর্তমানে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। এগুলো হলো বিবিয়ানা, জালালাবাদ ও মৌলভীবাজার গ্যাসক্ষেত্র। শেভরন ও পেট্রোবাংলার মধ্যে সই হওয়া চুক্তি অনুযায়ী, জালালাবাদে ২০২৪ সাল, মৌলভীবাজারে ২০২৮ ও বিবিয়ানায় ২০৩৪ সাল পর্যন্ত উত্তোলন কার্যক্রম চালাবে শেভরন। এসব গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস ছাড়াও প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ব্যারেল জ্বালানি তেল, ৬৫৮ মিলিয়ন কিউবিক ফুট প্রাকৃতিক গ্যাস ও ৪ হাজার ব্যারেল কনডেনসেট উত্তোলন হচ্ছে। জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহে এ মুহূর্তে শেভরন প্রধান ভূমিকা পালন করছে। জাতীয় গ্রিডে স্থানীয় দৈনিক সরবরাহকৃত গ্যাসের প্রায় ৬০ শতাংশ আসছে শেভরনের পরিচালনাধীন গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে। স্থানীয় পর্যায়ে মোট সরবরাহের অর্ধেকই আসছে শেভরন পরিচালিত বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে। কোম্পানিটির পরিচালনাধীন গ্যাসক্ষেত্রগুলোর কূপ সংস্কারের কারণে এগুলোর সরবরাহও বাড়ছে।
০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র এলাকায় তীব্র ভূ-কম্পন, শতাধিক বাড়িতে ফাটল
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র এলাকায় অতিরিক্ত কাঁপুনিতে প্রায় দুই শতাধিক ঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে ক্ষুব্ধ হয়ে বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের কার্যক্রম বন্ধ করতে অবরোধ করেন স্থানীয়রা।  খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি, ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়াকে অবগত করেন। পরে সংসদ সদস্য মোবাইল ফোনে বিষয়টি সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার বিকট শব্দ ও তীব্র কাঁপুনি হয়। এতে মাটি কেঁপে ফাটল ধরে ইনাতগঞ্জ ও দীঘলবাঁক ইউনিয়নের ২০ গ্রামের দুই শতাধিক ঘরবাড়িতে। বিষয়টি একাধিকবার কর্তৃপক্ষকে জানালেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। চরম আতঙ্কে দিন কাটছে স্থানীয়দের। এ প্রসঙ্গে হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও অন্যান্য লোকজন বিষয়টি আমাকে অবগত করলে আমি জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আশ্বাস দিয়েছেন কেন বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড এলাকায় অতিরিক্ত ভূ-কম্পন হয়েছে- বিষয়টি দ্রুত খতিয়ে দেখা হবে। এদিকে এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড প্রোডাকশন বিভাগের পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তদন্ত কমিটির কথা উল্লেখ করা হয়। এতে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।  তদন্ত কমিটির অন্যরা হলেন- সদস্য সচিব বাংলাদেশ তেল গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন ডেভেলপমেন্ট ও প্রোডাকশনের মহাব্যবস্থাপক মো. সালাহ উদ্দিন, সদস্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের ভূতাত্ত্বিক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেন। এব্যাপারে শেভরন বাংলাদেশের মুখপাত্র শেখ জাহিদুর রহমান বলেন, আমাদের কোনো কারণে বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড এলাকায় অতিরিক্ত ভূ-কম্পন হয়েছে বলে আমি নিশ্চিত নই, এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

চরভদ্রাসন সরকারি কলেজের ভবনে ফাটল
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন সরকারি কলেজের ভবনের বিভিন্ন স্থানে পলেস্তারা খসে পড়ছে। কোথাও কোথাও বের হয়ে গেছে বিমের রড। এই ভয়াবহ অবস্থার মধ্যেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছেন শিক্ষার্থীরা। চরভদ্রাসন বাজার সংলগ্ন সোনালী ব্যাংকের মোড় থেকে চরভদ্রাসন পাইলট উচ্চবিদ্যালয় পর্যন্ত চলে গেছে একটি সড়ক। সোনালী ব্যাংকের মোড় থেকে ঈশান কোণ বরাবর সড়ক দিয়ে ৩০০ মিটার পথ এগোলেই চরভদ্রাসন সরকারি কলেজ। কলেজের উত্তর দিকে পাশাপাশি একটি তিনতলা ও একটি দোতলা ভবনে চলছে কলেজের কার্যক্রম। সামনে রয়েছে একটি বড় মাঠ। ভবন দুটির পূর্ব দিকে রয়েছে একটি বড় পুকুর। এ ভবন দুটি ছাড়াও ওই কলেজ ক্যাম্পাসে রয়েছে একটি টিনের ঘর। সেখানে রান্নার কাজ হয়। এ ছাড়া রয়েছে চারটি চৌচালা টিনের ঘর। তবে এখন এই টিনের ঘরগুলো পরিত্যক্ত। এক সময় এগুলোতে শিক্ষকরা থাকতেন। কলেজ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬৮ সালে ১০ একর ৪৮ শতক জমি নিয়ে কলেজটি চালু করা হয়। তখন এ কলেজের নাম ছিল ‘চরভদ্রাসন আইউব কলেজ’। মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে কলেজের নাম থেকে ‘আইউব’ শব্দটি বাদ দিয়ে ‘চরভদ্রাসন কলেজ’ নামকরণ করা হয়। ১৯৮৮ সালের ২ জানুয়ারি কলেজটি সরকারীকরণ করা হয়। বর্তমানে কলেজটিতে উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক মিলে ১ হাজার ৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। এখানে শিক্ষকের পদ ২৯টি। এর মধ্যে কর্মরত ২২ জন।  চরভদ্রাসন সরকারি কলেজে শিক্ষকের সাতটি পদ শূন্য রয়েছে। এগুলো হচ্ছে সমাজকল্যাণ বিভাগে দুটি এবং ইংরেজি, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, রসায়ন ও গণিতে একটি করে পদ। এ ছাড়া ২১ কর্মচারীর বিপরীতে রয়েছেন ৬ জন। কলেজে একটি তিনতলা ও একটি দোতলা ভবন রয়েছে। তিন তলাটি বিজ্ঞান ভবন এবং দোতলা ভবনটি মানবিক ভবন হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বিজ্ঞান ভবনটি নাজুক অবস্থায় রয়েছে। ১৯৯২ সালে তিনতলা বিশিষ্ট এ ভবন নির্মাণ করা হয়। এর নিচতলায় পাঁচটি কক্ষ রয়েছে এর একটি অধ্যক্ষের, একটি উপাধ্যক্ষের, একটি শিক্ষক মিলনায়তন, কর্মচারীদের জন্য একটি কক্ষ এবং একটি ভান্ডার কক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। দোতলায় ছয়টি কক্ষ রয়েছে এর মধ্যে দুটি শ্রেণিকক্ষ, একটি রোভার ডেন ও একটি সায়েন্সল্যাব। এ তলায় দুটি কক্ষ অব্যবহৃত রয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিম দিকের শ্রেণিকক্ষের বিমের ঢালাইকৃত বেশ কিছু অংশ ভেঙে রড বের হয়ে গেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে ফাটলও রয়েছে। ভবনটি উত্তর দিকে কিছুটা হেলে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল। কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় ২০২২ সালের ১৮ জানুয়ারি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর তিন তলায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। সেই থেকে তিনতলা পরিত্যক্ত হিসেবে রয়েছে। এখানে একটি সম্মেলন কক্ষ, একটি কম্পিউটার ল্যাব ও একটি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে।  মানবিক ভবন হিসেবে ব্যবহৃত কলেজ ক্যাম্পাসের দোতলা ভবনটির অবস্থা তুলনামূলক ভালো। এ ভবনও নির্মিত হয়েছে ১৯৯২ সালে। মানবিক ভবনের নিচতলায় কলেজের পাঠাগার অবস্থিত, যার নাম অধ্যক্ষ আজহারুল হক পাঠাগার। এ ছাড়া দুটি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। দোতলায় রয়েছে একটি বড় কক্ষ। কক্ষটি কলেজের শিক্ষকরা অবাসনস্থল হিসেবে ব্যবহার করেন। কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের জাবেদ হাসান (১৭) জানায়, এ কলেজে ক্লাস করতে এসে নিজেদের খুব অসহায় মনে হয়। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় মনে হয় এই বুঝি ছাদ ভেঙে পড়ল। ওই বিদ্যালয়ে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাগর মন্ডলের বাবা বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের শওকত মন্ডল বলেন, ছেলের কাছে ওদের ভবনের জীর্ণদশার কথা শুনেছি। ছেলেটা যখন কলেজে যায় চিন্তায় থাকি। কখন না জানি কী বিপদ ঘটে যায়। কলেজের ভবনগুলো সংস্কারের বিষয়ে অধ্যক্ষ নিখিল রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, আমি কলেজটিতে সম্প্রতি যোগ দিয়েছি। এসে দেখছি অবকাঠামোগত সমস্যা, শিক্ষকদের পদ শূন্য ও ছাত্রাবাস নেই। আমার আগে যারা কলেজটিতে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন, তারা এসব সমস্যা ঊর্ধ্বতনদের কাছে লিখেছেন, কিন্তু কাজ হয়নি।
২৬ জানুয়ারি, ২০২৪

নাটোরে ‘ঠান্ডায়’ রেললাইনে ফাটল
অতিরিক্ত ঠান্ডায় নাটোরের নলডাঙ্গায় রেললাইনে ফাটল দেখা দিয়েছে। সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে মাধনগর রেলস্টেশনের উত্তরে ২৪৪ নম্বর ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রেললাইন মেরামতের কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। রেলপথের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্য মিজানুর রহমান ও স্থানীয়রা জানান, আমরা রেলপথে টহল দেওয়ার সময় বিষয়টি দেখতে পাই। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানানো হয়। এ বিষয়ে মাধনগর রেলস্টেশনের কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার মো. শামিম হোসেন জানান, খবর পেয়ে রেললাইন মেরামতের কাজ শুরু করা হয়েছে। অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
২২ জানুয়ারি, ২০২৪

নাটোরে ‘ঠান্ডায়’ রেললাইনে ফাটল
অতিরিক্ত ঠান্ডায় নাটোরের নলডাঙ্গায় রেললাইনে ফাটল দেখা দিয়েছে। সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে মাধনগর রেলস্টেশনের উত্তরে ২৪৪ নম্বর ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রেললাইন মেরামতের কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। রেলপথের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্য মিজানুর রহমান ও স্থানীয়রা জানান, আমরা রেল পথে টহল দেওয়ার সময় বিষয়টি দেখতে পাই। পরে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ বিষয়টি জানানো হয়। এ বিষয়ে মাধনগর রেলস্টেশনের কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার মো. শামিম হোসেন জানান, খবর পেয়ে রেললাইন মেরামতের কাজ শুরু করা হয়েছে। অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
০১ জানুয়ারি, ১৯৭০
X