কোলের শিশুকে জিম্মি করে সোনাসহ নগদ টাকা লুট
প্রথমে ঘরের ভেতরে দুজনকে দেখতে পাই। তাদের একজন আমাকে বলে চুপ থাক! কথা বলবি না। আমি ওদের একজনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করি। একপর্যায়ে ওদের একজন পেছন থেকে শক্ত কিছু দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে। এতে আমি মেঝেতে পড়ে যাই। শুধু আমি নই আমার বোনকেও বেঁধে রেখেছিল। ওরা ৫-৭ জন আমাদের বাড়িতে দুই ঘণ্টার মতো অবস্থান করে। তারা আমার বাবার হালখাতার টাকাসহ প্রায় ৮ লাখ টাকা ও ৬ ভরি সোনা লুট করে নিয়ে যায়। মাথায় আঘাতের ব্যান্ডেজ নিয়ে কাতরাতে কাতরাতে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আবু হাসেম (২২)। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বুধবার রাতে ডাকাতির ঘটনায় উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের হজরত আলীর বাড়িতে এলোমেলো অবস্থায় সবকিছু পড়ে আছে। বিছানায় ব্যান্ডেজ অবস্থায় পড়ে আছে আবু হাসেম। মেঝেতে রক্তের ছিটেফোঁটা রয়েছে।  ভুক্তভোগী হজরতের আলীর মেয়ে খাদিজা খাতুন বলেন, আমার বাবা-মাকে অজ্ঞান অবস্থায় ঘরের ভেতরে রেখে ও ছোটভাই আবু হাসেমকে হাত-পা বেঁধে রেখে প্রচুর মারধর করেছে ডাকাতরা। ওরা আমাকেও বেঁধে রেখেছিল। সবার হাতে ছুড়ি, হাতুড়িসহ নানা ধরনের দেশীয় অস্ত্র ছিল। শেষের দিকে আমার বাচ্চা রাফসার গলায় ছুড়ি ধরে জিম্মি করে সোনা আরও আছে কি না জানতে চায়? পরে তারা নগদ প্রায় ৮ লাখ টাকা ও ৬ ভরি সোনা লুট করে। কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ভোরে অজ্ঞান অবস্থায় দুজনকে ভর্তি করা হয়।  তাদেরকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা না যাওয়ার পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে এই মুহূর্তে আশঙ্ক্ষামুক্ত বলে মনে হচ্ছে। কামারখন্দ থানার ওসি মোহা রেজাউল ইসলাম বলেন, অজ্ঞান করে বাড়ির জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। লিখিত অভিযোগ নিয়ে ব্যবস্থা নেব। সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল বলেন, ডাকাতির ঘটনায় ওসিকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। তদন্ত করে আমরা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য চলতি মাসেই শুধু রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের তাজুরপাড়া, বাড়াকান্দি ও শ্যামপুর এলাকায় ৪টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ডাকাতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুই একজনকে গ্রেপ্তার করলেও লুট হওয়া কোনো মালামাল এখন পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারেনি কামারখন্দ পুলিশ। এ নিয়ে জনমনে একধরনের চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে।
২৫ জুলাই, ২০২৪

সরকারের জিম্মি থেকে জনগণ মুক্তি চায় : রাশেদ প্রধান
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের জিম্মি থেকে দেশ ও জনগণ মুক্তি চায় বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটভুক্ত জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান। শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনের শফিউল আলম প্রধান মিলনায়তনে যুব জাগপা আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। রাশেদ প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বেপরোয়া দুর্নীতি, অর্থপাচার ও লাগামহীন মিথ্যাচার এবং অগণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার কারণে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের কাছে ৫০০ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছিলেন, না পেয়ে সফর সংক্ষিপ্ত করে তাকে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে। সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, কোটাপদ্ধতি সংস্কারের মাধ্যমে মেধাভিত্তিক চাকরি নিশ্চিত করতে হবে। কোটাপদ্ধতির কারণে শিক্ষার্থীদের ওপর যেন রাষ্ট্রীয় বৈষম্য সৃষ্টি করা না হয়, সেজন্য শিক্ষার্থীদের চলমান দাবি মেনে নিন। ৫৬ শতাংশ অগ্রাধিকার কোটার নামে আওয়ামী কোটাপদ্ধতির কারণেই এমপি-মন্ত্রীরা দুর্নীতিগ্রস্ত এবং মেধাবীরা চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়। তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে মানুষের আয়ের চেয়ে ব্যয় ৭ গুণ বেড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম এখন আকাশচুম্বী। এতে কর্মহীন মানুষের পরিবারে চলছে নীরব আর্তনাদ। জনজীবনে নাভিশ্বাস দেখা দিয়েছে। অথচ সেদিকে দৃষ্টি না দিয়ে ক্ষমতাসীনরা ব্যস্ত দুর্নীতি ও লুটপাটে। রাশেদ প্রধান দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য যুবক ও ছাত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশ রক্ষার প্রয়োজনে এ সরকারের বিরুদ্ধে সবাই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ুন। মনে রাখবেন, এ আন্দোলন আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ অর্জনের শামিল। যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. সিরাজুল ইসলামের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন জাগপার এ অংশের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবুল, জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রহমান ফারুকী, যুব জাগপার সহসভাপতি মাহিদুর রহমান বাবলা, মো. আলী ফকির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিপুল সরকার, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক জনি নন্দী প্রমুখ।
১২ জুলাই, ২০২৪

গাজায় কত জিম্মি বেঁচে আছে কেউ জানে না
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা ওসামা হামদান বলেছেন, এই মুহূর্তে গাজায় থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মধ্যে কতজন বেঁচে আছে তা কেউ জানে না। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ নেতা বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার কোনো ধারণা নেই। কারও এ ব্যাপারে কোনো ধারণা নেই।’ গত সপ্তাহে গাজার নুসেইরাত শরণার্থী ক্যাম্পে সামরিক অভিযান চালিয়ে চার জিম্মিকে মুক্ত করে দখলদার ইসরায়েলের সেনারা। ইসরায়েলে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর এসব জিম্মির আত্মীয়স্বজন ও চিকিৎসকরা দাবি করেন, গাজায় তাদের ওপর নিয়মিত মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। এ কারণে এখন তারা মানসিক সমস্যায় ভুগছে। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে হামাসের এ নেতা সিএনএনকে বলেন, ‘যদি তাদের মানসিক সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আমি মনে করি গাজায় ইসরায়েল যা করেছে সেটির জন্য হয়েছে।’ ওসামা হামদান দাবি করেন, গত বছর ৭ অক্টোবর এসব জিম্মির শারীরিক অবস্থা যা ছিল, গাজা থেকে যখন তাদের মুক্ত করা হয় তখন শারীরিক অবস্থা তার চেয়েও ভালো ছিল। এ ছাড়া দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত না হওয়ার পক্ষেও সাফাই গান তিনি। ওসামা হামদান বলেন, যদি ইসরায়েল হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে বাকি জিম্মিদের মুক্ত করতে চায় তাহলে এটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হতে হবে, সব সেনাকে গাজা থেকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে, ফিলিস্তিনিদের নিজেদের ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নিজেদের নিতে দিতে হবে, গাজার ওপর থেকে অবরোধ তুলে নিতে হবে এবং ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। এ ছাড়া, গত সপ্তাহে মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত হামাসের গাজা শাখার প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনাওয়ারের কথিত ফাঁসকৃত বার্তা নিয়েও কথা বলেন হামদান। তিনি জানান, এগুলো সব মিথ্যা। ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল তাদের প্রতিবেদনের পক্ষে জোরালো কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি।
১৫ জুন, ২০২৪

অবশেষে উদ্ধার লিবিয়ায় জিম্মি গুরুদাসপুরের ৪ যুবক
দশ দিন ধরে জিম্মি থাকা নাটোরের গুরুদাসপুরের চার যুবককে উদ্ধার করেছে লিবিয়ার সেনাবাহিনী। উদ্ধারকৃত যুবক সোহান তার মাকে ভিডিও কলে উদ্ধারের কথা জানালে খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়ে তার পরিবার। সোহান ভিডিও কলে তার মাকে বলেন, আমি মুক্ত হয়েছি, ভালো আছি। বর্তমানে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রয়েছি। উদ্ধারের খবর শুনে লিবিয়ায় জিম্মি গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের অন্য তিন পরিবারেও বইছে আনন্দের বন্যা। উদ্ধারকৃত সোহান মো. শাজাহানের ছেলে। অন্য তিন যুবক হলেন একই গ্রামের মো. তয়জাল শেখের ছেলে মো. সাগর হোসেন, মৃত শুকুর আলীর ছেলে নাজিম আলী ও এমদাদুলের ছেলে মো. বিদ্যুৎ হোসেন। গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. উজ্জ্বল হোসেন কালবেলাকে জানান, লিবিয়ায় জিম্মি থাকা চার যুবকের উদ্ধারের ঘটনা পুলিশ সুপার আমাকে অবহিত করেছেন। সেই খবর চার পরিবারকে জানানো হয়েছে।
১০ জুন, ২০২৪

অবশেষে উদ্ধার লিবিয়ায় জিম্মি গুরুদাসপুরের ৪ যুবক
লিবিয়ায় জিম্মি থাকা নাটোরের গুরুদাসপুরের চার যুবককে উদ্ধার করেছে সেই দেশের সেনাবাহিনী। চারজনকে উদ্ধারের খবর শুনে গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের চরপাড়া পাড়া গ্রামের চার যুবকের পরিবারে বইছে আনন্দের জোয়ার। রোববার (৯ জুন) দুপুর ১২টার দিকে চারজনকে উদ্ধার করে লিবিয়ার সেনাবাহিনী। গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. উজ্জল হোসেন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। উদ্ধার হওয়া চার যুবক হলেন- উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের চরপাড়া পাড়া গ্রামের সোহান প্রাং, মো. সাগর হোসেন, নাজিম আলী, মো. বিদ্যুৎ হোসেন।  জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়ায় থাকেন এমদাদুল হক। সেখানে তিনি ভালো চাকরি করেন। নিজ সন্তানসহ নিজ গ্রামের অপর তিনজনকে তিনিই নিয়ে যান। সংসারে ফিরবে সচ্ছলতা- এমন আশায় নিঃস্ব হয়ে ধার-দেনা করে তিন যুবককে বিদেশে পাঠান তাদের পরিবার। সেখানে ভালোও ছিলেন সবাই। কাজ করে প্রতি মাসে পরিবারে পাঠাতেন ১৫-২০ হাজার টাকা। সেই টাকা দিয়ে সংসারসহ ধার-দেনা পরিশোধ করতে থাকে তাদের পরিবার। গত (২ জুন) ৪ প্রবাসীর পরিবারে লিবিয়া থেকে ফোন আসে। অপহরণ করা হয়েছে তাদের সন্তানদের- এমন সংবাদ দেওয়া হয়। তাদের ছাড়াতে মুক্তিপণ চাওয়া হয় ৪০ লাখ টাকা। তবে যারা অপহরণ করেছেন তারাও বাঙালি। তাদের পরিচয় এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। পরে জিম্মি যুবকদের শারীরিক নির্যাতনের ভিডিও পাঠায় অপহরণকারীরা। টাকা দিতে দেরি হলে নির্যাতন আরও বাড়বে বলে হুমকি দেওয়া হয়। মুক্তিপণ না দিলে তাদের সন্তানদের মেরে ফেলা হবে এমন হুমকিও দেওয়া হয় পরিবারকে। উদ্ধার যুবক সোহান প্রাং তার মাকে ভিডিও কলে উদ্ধারের কথা জানালে খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েন মা ধুলি বেগম। ছেলে তার মাকে ভিডিও কলে বলেন, ‘মা তুমি আর কোঁদো না, আমি মুক্ত হয়েছি, ভালো আছি। বর্তমানে আমি সেখানকার সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রয়েছি। তুমি আর চিন্তা করো না।’   যুবকের পরিবার জানায়, লিবিয়ায় জিম্মিকৃত ৪ সন্তানদের উদ্ধারে অপহরণকারীদের সঙ্গে সমঝোতা করে তাদের পরিবার। চাওয়ার ৪০ লাখ টাকার পরিবর্তে দিতে হবে ২০ লাখ টাকা। তবেই তাদের সন্তানদের মুক্ত করে দিবে তারা। এমন সমঝোতায় রাজি হয়ে সেই ২০ লাখ টাকার জোগাড় করতে থাকেন যুবকদের পরিবার। সময় বেঁধে দেওয়া হয় সকাল ১১টা। দিতে হবে ইসলামি ব্যাংকের মাধ্যমে। কিন্তু সেই টাকা জোগাড় করতে দেরি হয় তাদের। পরে সকালে ফোন আসে লিবিয়া থেকে। সেই ফোনে জানানো হয়, অপহরণের শিকার ৪ যুবককে উদ্ধার করেছে সেখানকার সেনাবাহিনী। উদ্ধার হওয়া যুবক বিদ্যুৎ হোসেনের মা বিউটি বেগম বলেন, লিবিয়ায় কর্মরত আমার স্বামী এমদাদুল হক অপহরণকৃত নিজ সন্তানসহ চার যুবককে উদ্ধারে কাজ করতে থাকেন। অপহরণের বিষয়টি সেখানকার প্রশাসনকে জানানো হয়। উদ্ধারে তৎপর হয় সেখানকার সেনাবাহিনী। অবশেষে রোববার (৯ জুন) দুপুর ১২টার দিকে চারজনকে উদ্ধার করে লিবিয়ার সেনাবাহিনী। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  ওসি মো. উজ্জল হোসেন বলেন, লিবিয়ায় জিম্মি থাকা ৪ যুবকের উদ্ধারের ঘটনা পুলিশ সুপার আমাকে জানিয়েছেন। সেই খবর চার পরিবারকে জানানো হয়েছে। চার যুবকই সুস্থ ও ভালো রয়েছে। বর্তমানে তারা সেখানকার সেনাবাহিনীর হেফাজতে রয়েছে।
০৯ জুন, ২০২৪

জিম্মি লিবিয়ায়, মুক্তিপণ দাবি গুরুদাসপুরে
লিবিয়ায় জিম্মি নাটোরের গুরুদাসপুরের ৪ যুবক। মুক্তিপণ হিসেবে ৪০ লাখ টাকার জন্য চালানো হচ্ছে মারধর ও শারীরিক নির্যাতন। এমন ভিডিও দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন যুবক সোহান প্রাং (২০) এর মা ধুলি বেগম ও বাবা মো. শাজাহান প্রাং। জ্ঞান ফিরলে একমাত্র সন্তানকে ফিরে পেতে চিৎকার করে কান্নাকাটি করছেন। জান ভিক্ষা চান নিজ সন্তানের। নিজ সন্তানসহ জিম্মি সবাইকে নিরাপদে তাদের মায়ের কোলে ফিরে দেওয়ার অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রীকে। আকুতি জানিয়েছেন লিবিয়ায় জিম্মি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের অপর তিন যুবকেরও পরিবার। তারা একই গ্রামের মো. তয়জাল শেখের ছেলে মো. সাগর হোসেন (২৪), মৃত শুকুর আলীর ছেলে নাজিম আলী (৩২) ও এমদাদুলের ছেলে মো. বিদ্যুৎ হোসেন (২৬)। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়ায় থাকেন এমদাদুল হক। সেখানে তিনি করেন ভালো চাকরি। নিজ সন্তানসহ গ্রামের অপর তিনজনকে তিনিই নিয়ে যান। সংসারে ফিরবে সচ্ছলতা এমন আশায় নিঃস্ব হয়ে নিজ ভিটামাটি বন্ধক, ধার-দেনা, আর ঋণ করে তিন যুবককে বিদেশে পাঠায় তাদের পরিবার। সেখানে তারা সবাই ভালো ছিলেন। কাজ করে প্রতি মাসে পরিবারে পাঠাতেন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। সেই টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করতে থাকে তাদের পরিবার। গত ২ জুন পরিবারে নেমে আসে কালো মেঘ। ৪ প্রবাসীর পরিবারে ইমু নাম্বারে লিবিয়া থেকে আসে একটা ফোন। অপহরণ করা হয়েছে তাদের সন্তানকে। জিম্মিদের ফিরে পেতে মুক্তিপণ চাওয়া হয় চার পরিবারের কাছে ৪০ লাখ টাকা। তবে যারা অপহরণ করেছেন তারাও বাঙালি। তবে তাদের পরিচয় এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। পরিবারের ‘ইমু’ নম্বরে জিম্মি যুবকদের শারীরিক নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো হয়। টাকা দিতে দেরি হলে বাড়ানো হবে নির্যাতনের মাত্রা। মুক্তিপণ না দিলে তাদের সন্তানকে মেরে ফেলা হবে এমন হুমকিও দেওয়া হয়। প্রবাসী সোহানের বাবা শাজাহান কালবেলাকে জানান, কান্নাজড়িত কণ্ঠে অপহরণকৃত তার ছেলে সোহান বলছিল, মা বাঁচাও, বাবা বাঁচাও। ১০ লাখ টাকা দিতে হবে, না দিলে মেরে ফেলবে, এবারের মতো আমাকে বাঁচিয়ে আমার জীবন ভিক্ষা দাও মা। তারপর ছেলে সোহানকে একটি রুমের মধ্যে বেঁধে রেখে মারধরের ভিডিও পাঠায়। জিম্মি প্রবাসী যুবক সাগরের মা ছকেরা বেগম বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর একমাত্র সন্তানকে নিয়ে সরকারি অনুদানে কোনো রকমে চলতেন তিনি। তিনিও নিজের জমানো শেষ সম্বল ও এনজিও থেকে ঋণ করে ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছিলেন দুই বছর আগে। ঋণ এখনো পরিশোধ করতে পারেননি তিনি ও তার ছেলে। এখন আবার ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করছে ১০ লাখ টাকা। তিনি তার একমাত্র ছেলেকে উদ্ধারে নিজের কিডনি বিক্রি করতে চান। গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. উজ্জ্বল হোসেন জানান, এ-সংক্রান্ত কোনো ঘটনা তাকে কেউ এখন পর্যন্ত জানায়নি। তবে জানামাত্রই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। জিম্মি পরিবারকে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।
০৯ জুন, ২০২৪

লিবিয়ায় প্রবাসীকে জিম্মি করে টাকা আদায়, আটক ২
লিবিয়ায় অবস্থানরত পাবনার এক প্রবাসীকে জিম্মি করে নির্যাতনের ভিডিও দেখিয়ে বাংলাদেশে ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অপহরণ চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পাবনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরে এ তথ্য জানান, পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী। এর আগে বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণের দক্ষিণ পশ্চিম দিঘলদি এলাকার মৃত পণ্ডিত আলী বেপারীর ছেলে হাবিবুর রহমান সুমন (৩০) এবং একই এলাকার দেলয়ার হোসেন গাজীর ছেলে রবিউল আওয়াল রবি (২৮)। পুলিশ সুপার বলেন, মো. মাসুদ (৪০) নামে পাবনার এক ব্যক্তি গত ৪ বছর যাবত লিবিয়ার সিটি খলিফা নামক স্থানে দরজির দোকান নিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন। গত ১৪ মে সকাল ৮টায় অজ্ঞাত ইমো নম্বর থেকে ভুক্তভোগী মো. মাসুদের স্ত্রীর ইমো নম্বরে ফোন করে বলে তার স্বামীকে অপহরণ করা হয়েছে। জীবিত ফেরত চাইলে তাদের ১০ লাখ  টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। টাকা না দিলে মাসুদকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে অপহরণকারীরা বাংলাদেশি বিকাশ নম্বর দেয় এবং টাকা পাঠাতে বলে। মাসুদের অসহায় বাবা ধার-দেনা করে অপহরণকারীদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে ১০ লাখ টাকা প্রদান করেন। উক্ত টাকা পাওয়ার পর ২০ মে অপহরণকারীরা ইমো নম্বর হতে পুনরায় ফোন করে আরও ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন এবং মাসুদকে মারধরের ভিডিও পাঠান। তিনি আরও জানান, এক পর্যায়ে মাসুদের মা মলিনা খাতুন পাবনা সদর থানায় অভিযোগ দিলে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে কাজ শুরু করে পুলিশ। এক পর্যায়ে ডিবি টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও অনুসন্ধানী নানান কৌশল ব্যবহার করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে। পরে চাঁদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের সঙ্গে লিবিয়ায় থাকা অপহরণকারীদের পূর্বপরিচয় আছে। অপহরণকারীরা অপহৃতদের পরিবারের পাঠানো টাকা দেশে থাকা সুমন ও রবির মাধ্যমে লেনদেন করতো। লিবিয়ায় থাকা অপহরণকারীদেরও পরিচয় পাওয়া গেছে, তবে এ মুহূর্তে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করছি না। আমরা অপহৃতকে উদ্ধারে জোর চেষ্টা চালাচ্ছি।
০৭ জুন, ২০২৪

সিন্ডিকেটে জিম্মি বেপারীরা
সংকট কাটিয়ে নতুন ধানে জমজমাট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ মোকাম। দেশের অন্যতম বৃহৎ এই মোকামে বৃহত্তর সিলেট, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মাধবপুরসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন হাওরাঞ্চল থেকে হাজার হাজার মণ ধান নিয়ে আসছেন বেপারিরা। প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ হাজার মণ ধান, যা টাকার অঙ্কে ৭-৮ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে এখন মুখর আশুগঞ্জ মোকাম। তবে দূর-দূরান্ত থেকে ধান নিয়ে আসা বেপারিদের অভিযোগ সিন্ডিকেটসহ নানা কারণে কম দামে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের। আশুগঞ্জ মোকাম ঘুরে দেখা যায়, মেঘনা নদীর তীরবর্তী বিওসি ঘাটে অবস্থিত মোকামে এক মাস আগেও ছিল ধানের সংকট; কিন্তু বৈশাখে নতুন ধানের সরবরাহ বেড়েছে। জেলাসহ দেশের বিভিন্ন হাওরাঞ্চলের ধান নিয়ে মোকামে ভিড় করছেন বেপারিরা। মোকামজুড়ে থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে নানা জাতের হাজার হাজার মণ ধানের বস্তা। এতে নতুন ধানে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে বেচাকেনা। বৃহত্তর এই মোকামের ধান দিয়ে জেলার আড়াইশ চালকলের চাহিদা পূরণ করা হয়। প্রতিদিন ৬০-৭০ হাজার মণ ধান বিক্রি হচ্ছে, যা টাকার অঙ্কে ৭-৮ কোটি টাকা। এখানে বিআর-২৮ ধান শুকনা এবং ভেজা ভেদে মণপ্রতি ১ হাজার থেকে ১১২০ টাকা, বিআর-২৯ ধান ৯২০ থেকে ১ হাজার ২০ টাকা এবং মোটা ধান সাড়ে ৭শ থেকে ৯শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বেপারিদের অভিযোগ, মোকামে সিন্ডিকেটসহ নানা কারণে তারা ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত। যে দামে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে আনেন। মোকামে তার চেয়েও ৪০-৫০ টাকা কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে তাদের মোটা অঙ্কের টাকা লোকসান হচ্ছে। সুনামগঞ্জ থেকে ১ হাজার মণ ধান নিয়ে আসা বেপারি মিজানুর রহমান জানান, তিনি ৯৫০ টাকা দরে স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে এনেছেন। অথচ মোকামে ধানের দাম ধরা হয় ৯২০ টাকা; কিন্তু ১০-১৫ বস্তা মাপার পর দাম হয়ে যায় ৯শ টাকা। আর ৫০ বস্তা মাপার পর দাম ধরা হয় ৮৭০ টাকা। সিন্ডিকেটের কারণে ধানের দাম কম। আমাদের কিছুই করার নেই। ধান নিয়ে তো আর ফিরে যেতে পারব না। তাই বিক্রি করে দিচ্ছি। আমার ৫০ হাজার টাকা লোকসান হবে। অন্য বেপারি শামীম মিয়া জানান, এই মোকামে ধানের দাম কম। আমাদের অবস্থা খারাপ, অনেক লোকসান হবে। কৃষকের কাছ থেকে ১১শ টাকা দরে ধান কিনে এনে ১ হাজার ৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। আমাদের পরতা হচ্ছে না। ৬-৭ জন শ্রমিক খাটিয়ে লাভের মুখ দেখছি না। জেলা চাল কল মালিক সমিতির সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, বেপারিরা সিন্ডিকেটের যে অভিযোগ করেছে, তা সত্য নয়। আশুগঞ্জ মোকাম একটি মুক্ত মোকাম। এখানে প্রতিদিন ৭-৮ কোটি টাকার বেচাকেনা হয়। বেপারিরা মুক্তভাবে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। তবে ধানের মানভেদে দাম কিছুটা কমবেশী হয়। এখানে শুকনো ধানের তুলনায় ভেজা ধানের দাম স্বাভাবিকভাবেই কম থাকে। সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. কাউসার সজীব বলেন, দেশের অন্যতম বৃহৎ আশুগঞ্জ মোকাম এখন নতুন ধানে জমে উঠেছে। প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার ধানের বেচাকেনা চলছে। মোকামে বেশিরভাগ ধান স্থানীয় মিল মালিকরা কিনে থাকেন। তবে অতিরিক্ত মজুদের পাশাপাশি বেপারিদের হয়রানি মুক্ত রাখতে মোকামে মনিটরিং চলমান রয়েছে।
১৪ মে, ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাত্রলীগ দখল করে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করেছে : ছাত্রদল সভাপতি
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাত্রলীগ দখল করে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। তিনি বলেন, হলগুলোকে কুক্ষিগত করেছে। সেখানে ছাত্রদল বা অন্যদলের শিক্ষার্থীদের থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার ( ৯ মে) সকাল ১০টার দিকে রাজশাহী মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কর্মী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে ছাত্রদল সভাপতি বলেন, ছাত্রলীগ কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে হেলমেট বাহিনী হয়ে কীভাবে হাতুড়িপেটা করেছে তা সবাই দেখেছে। ক্যাম্পাসে আপনাদের তারা অবাধে ক্লাস করতে দেয় না, হলে থাকতে দেওয়া হয় না, পরীক্ষা থাকলে বাধা দেওয়া হয়। তারপরও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা থেমে থাকেনি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব বীর ছাত্রদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আপনাদের স্বার্থ একটি তা হলো আপনারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছেন। যখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে সেদিন আপনারা বীর পুরুষ হিসেবে সম্মান পাবেন। খুব দ্রুতই সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, হল শাখা ও অন্যান্য কমিটির অনুমোদন দিব এবং এর তদারকি করব। সম্মেলনের প্রধান বক্তা ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ভাষা আন্দোলনের পর থেকে এখন পর্যন্ত সব আন্দোলন ছাত্রদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। রাবিতে গত কয়েক বছর ধরে শাখা ছাত্রলীগ যেভাবে শিক্ষার্থীদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলছে তা আপনারা সবাই জানেন। তারা ২১ সালে এক হিন্দু শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে এমনকি  শিবির ট্যাগও দিয়েছে। তারা হলের খাবার চুরি করেছে। শিক্ষক আবু বকরকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, বুয়েটে আবরার হত্যা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এক হিন্দু শিক্ষার্থীকে হত্যা করেছে। সারা দেশে এমন ঘটনা ঘটে চলেছে তাদের দ্বারা। যেসব শিক্ষক শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের এই কাজকে সমর্থন করছে তাদের নাম ইতিহাসে ঘৃণাক্ষরে লেখা থাকবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময় ন্যায় এবং মানবিক মূল্যবোধের রাজনীতি ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে চায়‌। আমরা আশা করছি রাবি শাখা ছাত্রদল আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাবে। তিনি আরও বলেন, আপনারা আমাকে বীজ বপনের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি বপন করেছি। আমি জানি কোন গাছের ফল ভালো। সুতরাং প্রতিটি বিভাগ, হল, থেকে শুরু করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক পাতায়-পাতায় যেন ছাত্রদল স্থান পায় সে জন্য কারা কাজ করে যেতে পারবে তা আমি ভালো বলতে পারব। আমরা খুব শিগগিরই রাবি ক্যাম্পাসে স্লোগানে-স্লোগানে মুখরিত করতে চাই। আমরা একটি শক্তিশালী কমিটির অনুমোদন দিয়ে সাংগঠনিক গতিশীলতা ফিরিয়ে আনবো ইনশাআল্লাহ। রাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমদ রাহীর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ আলীর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালু প্রমুখ।
০৯ মে, ২০২৪

প্রবাসে স্বামীদের জিম্মি করে দেশে স্ত্রীদের ধর্ষণ (ভিডিও)
সুন্দরী স্ত্রীদের টার্গেট করে প্রথমে তাদের স্বামীকে বিদেশ নেওয়ার ব্যবস্থা করেন দেলোয়ার হোসেন আল মামুন। এরপর প্রবাসে স্বামীকে জিম্মি করে দেশে থাকা স্ত্রীকে ভিডিও কলে নগ্ন হতে বাধ্য করেন। এক পর্যায়ে দেশে এসে স্ত্রীদের ধর্ষণ করেন। এভাবে চলতে থাকে দিনের পর দিন। যখনই স্ত্রী বেঁকে বসে, তখনই বিদেশে স্বামীকে নির্যাতন করা হয়। এরপর স্ত্রীকে আবারও তার কাছে যেতে বাধ্য হয়। লোমহর্ষক এক ব্ল্যাকমেইলের ফাঁদ পেতেছেন বরগুনার পাথরঘাটার দক্ষিণ চরদুয়ানি এলাকার বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী দেলোয়ার হোসেন আল মামুন। এই ফাঁদ পেতে ওই এলাকার অনেক গৃহবধূকে বিছানায় নিতে বাধ্য করেন তিনি। কিন্তু মান সম্মানের ভয় এবং স্বামীকে বাঁচাতে মুখ খুলছেন না কোনো নারী। তবে মাসের পর মাস ধর্ষিত হওয়ার পর কালবেলার কাছে মুখ খুলেছেন এক নারী। জানিয়েছেন, ভয়ংঙ্কর সব অভিযোগ ও অভিজ্ঞতার কথা। জানা গেছে, প্রায় তিন দশক ধরে প্রবাসে থাকেন আল মামুন। সেখানে অর্থ-বিত্তের মালিক হওয়ার পর থেকেই এভাবে গৃহবধূদের টার্গেট করে আসছেন তিনি। গৃহবধূদের সঙ্গে তার অন্তত ডজন খানেক ভিডিও কালবেলার হাতে রয়েছে।  স্থানীয়রা জানান, নদীতে মাছ ধরে সংসার চালাত দেলোয়ার হোসেন আল মামুন। বিদেশে যাওয়ার পর এলাকার বেকার যুবকদের সেখানে নিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়েছেন এই প্রতারক। এভাবে হঠাৎ আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার পর টার্গেট করেন এলাকার গৃহবধূদের। এলাকাবাসী এসব ঘটনা জানলেও তারা কিছুই করতে পারছে না। শুধু প্রশাসনের কাছে মামুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।  স্বামীকে বাঁচাতে এবং মান-সম্মানের ভয়ে এসব ঘটনা মুখ বুজে সহ্য করছেন ভুক্তভোগীরা।  পাথরঘাটা থানা ওসি আল মামুন জানান, দ্রুতই তারা এসব ঘটনা তদন্ত করে দেখবেন। কোনো নারী অভিযোগ দায়ের করলে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সেই নারীকে সকল প্রকার আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।
০৩ মে, ২০২৪
X