ইতিহাস গড়ল ইতালির ক্রিকেট দল! প্রথমবারের মতো তারা জায়গা করে নিলো আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। নেদারল্যান্ডসের কাছে ৯ উইকেটে হারর পরে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়েছে ফুটবলের দ্বিতীয় সেরা ট্রফি জয়ী দলের।
শুক্রবার হেগে অনুষ্ঠিত ইউরোপিয়ান কোয়ালিফায়ারের শেষ রাউন্ডে এই নাটকীয় হিসাব-নিকাশের ম্যাচটি একদিকে যেমন ইতালিকে আনন্দ দিয়েছে, অন্যদিকে ভেঙে দিয়েছে জার্সির স্বপ্ন।
ইতালি প্রথমে ব্যাট করে তোলে ১৩৪/৭। জার্সির আশা ছিল, নেদারল্যান্ডস যেন এই রানটা ১৫ ওভারের মধ্যে তাড়া করে—তাহলেই তারা পয়েন্ট তালিকায় ইতালিকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে যেত এবং বিশ্বকাপের টিকিট পেয়ে যেত।
নেদারল্যান্ডস জয় পেলেও তা ১৫ ওভারের মধ্যে নয়—তারা ম্যাচ শেষ করে ২০ ওভারেই, তাও মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে। ফলে জার্সি ও ইতালির পয়েন্ট সমান (৫), তবে নেট রান রেটে (+০.৬১২) এগিয়ে থেকে ইতিহাস লিখে দিল ইতালি।
ব্যাট হাতে ইতালির হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন বেন মানেন্তি। বল হাতে তিন উইকেট পান ডাচ তারকা রুলোফ ভ্যান ডার মারভে।
চেজ করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় নেদারল্যান্ডস—মাইকেল লেভিট ও ম্যাক্স ও'ডাউড ৭১ রান তুলে ফেলে মাত্র ৭.৩ ওভারে। তখনই আশঙ্কার মেঘ ঘনিয়ে আসে ইতালির জন্য।
কিন্তু মাঝের ওভারে বোলিংয়ে ফিরে ম্যাচটা টেনে ধরে ইতালির স্পিনাররা—ক্রিশান কালুগামাগে ১ উইকেট ও ২৫ রান দিয়ে এবং মানেন্তি ৪ ওভারে উইকেট না পেলেও দেন মাত্র ২৫ রান।
শেষ পর্যন্ত ও'ডাউড (৪৭*) এবং অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসের ধীর গতির ব্যাটিং ম্যাচকে ২০ ওভার পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়—আর সেখানেই বিশ্বকাপের টিকিটটা চলে যায় ইতালির হাতে।
জার্সির খেলোয়াড়রা পুরো সময়টায় প্যাভিলিয়নে বসে ম্যাচটি দেখছিলেন। ও'ডাউডের ব্যাট থেকে প্রত্যাশা ছিল আরও দ্রুত রান—কিন্তু শেষ ওভারে গ্রান্ট স্টুয়ার্টের আঁটসাঁট লাইন-লেন্থ ভেঙে দিল সেই সম্ভাবনা।
এই হারের ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬ (ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিতব্য) খেলতে পারছে না জার্সি।
অন্যদিকে, ১৯৮৪ সাল থেকে আইসিসির সদস্য থাকা ইতালি—যারা একসময় ইউরোপের মাঝারি মানের দল হিসেবেই পরিচিত ছিল—আজ তাদের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সাফল্য উদযাপন করছে।
মন্তব্য করুন