বৃষ্টি ও শীত নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের নতুন বার্তা
সারাদেশে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকায় ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বাংলাদেশে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যার ফলে আগামী তিন দিন বৃষ্টি হতে পারে।  শুক্রবার (৪ অক্টোবর) আবহাওয়া অধিদপ্তরের এ পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।  এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে জানা যায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশ ও তৎসংলগ্ন বঙ্গোপসাগর এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। ফলে আগামী তিন দিন পর্যন্ত বরিশাল ও খুলনা বিভাগের উপকূলীয় নদীসমূহে স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা অধিক উচ্চতায় জোয়ার হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম জানান, দেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায় নিচ্ছে। এ সময় মৌসুমি বায়ু প্রচুর বৃষ্টি ঝরায় এবং শক্তিশালী আচরণ করে থাকে। তিনি আরও জানান, এ পরিস্থিতিতে মৌসুমি বায়ু বিদায় নেয়ার পর চলতি সপ্তাহের মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে থাকবে। আর এই সময় কিছুটা শীত অনুভব হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে শুক্রবারের (৪ অক্টোবর) আবহাওয়ার আরেক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনাসহ বরিশাল বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সে সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া এদিন সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে।
০৪ অক্টোবর, ২০২৪

দরজায় কড়া নাড়ছে ফাল্গুন, শীত কি বিদায় নিচ্ছে?
বিদায়ের পথে মাঘ, অপেক্ষায় ফাল্গুন। মাত্র এক দিন বাদেই ঋতুরাজকে বরণ করবে সারা দেশ। আর এরই মধ্যে উত্তরের হাওয়ায় কমেছে শীতের তীব্রতা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহও প্রশমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দুই-এক দিনের মধ্যেই। আবহাওয়া অফিস বলছে, সারা দেশে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে এই সময়ে বৃষ্টিপাতের প্রবণতার কথাও উল্লেখ করেছে। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আবহাওয়া বার্তায় সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আবহাওয়ার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকার আভাস মিলেছে। তবে শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। শৈত্যপ্রবাহ সম্পর্কে বলা হয়েছে, পঞ্চগড় ও মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে। একইসঙ্গে সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামীকাল সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী সময়ের আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে, শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এ দিনও সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। আর মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে। তবে, এ দিনও শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। আর সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। এদিকে, আজ রোববার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সীতাকুণ্ডে ৩০.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ফের ৭ ডিগ্রির ঘরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, কুয়াশাবিহীন কনকনে শীত
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় কয়েক দিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ বইছে। ফের কনকনে শীতে জবুথবু এ অঞ্চলের মানুষ। এরই মধ্যে অঞ্চলটিতে তাপমাত্রা আরও কমলো। জেলার তেঁতুলিয়ায় এখন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি ধরনের কুয়াশাও পড়ছে। সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ্ কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  এদিকে দিনে রোদের দেখা মিললেও তাতে খুব একটা তাপ নেই। বিকেলের পর থেকে উত্তরের হিমেল বাতাসের তীব্রতা আরও বাড়ে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শীত উপেক্ষা করে সকালেই বিভিন্ন পেশার শ্রমজীবীরা কাজে যাচ্ছেন। নদীতে পাথর উত্তোলন, বোরো আবাদসহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তারা। তবে এতে তাদের কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, ফের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। রাতভর প্রচণ্ড ঠান্ডা অনুভব হয়েছে। এ অঞ্চলে দিনের তুলনায় রাতে শীত অনুভূত হয় বেশি।  এদিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ রোগী। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যেবক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ্ বলেন, গত কয়েক দিন ধরে সকালে ও সন্ধ্যায় কুয়াশা না থাকায় হিমেল হাওয়ায় কনকনে ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে, যা সামনের দিনে কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

তবে শীত কি আবারও বাড়বে?
রাতে কুয়াশা থাকলেও দিনের তাপমাত্রা বাড়ছে। এতে শীতের অনুভূতি কিছুটা কমে গেলেও এখনো কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এমন পরিস্থিতির মধ্যে নতুন তথ্য দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।  আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী কয়েকদিন শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে দেশের বেশকিছু জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আরও প্রশমিত হতে পারে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এতে রাতে বাড়তে পারে শীতের অনুভূতি। পাশাপাশি আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। পাশাপাশি মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে উত্তরের সীমান্তঘেঁষা জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশাপাশি রাজধানী ঢাকায় সর্বনিম্ন ১৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে শনিবার দেশের কোথাও বৃষ্টি হয়নি।
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

উত্তরের জেলায় ঝলমলে রোদেও কনকনে শীত
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দুই দিন ধরে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় আবহাওয়া অফিস জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ভোরেও তেমন কুয়াশা ছিল না। সকালেই দেখা মেলে সূর্যের। এ ঝলমলে রোদেও উত্তরের হিমেল বাতাসে কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।  জেলার তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ্ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  এদিকে সন্ধ্যার পর শীতের তীব্রতা আরও বাড়ে। ছিন্নমূল ও গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ।  পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ্ বলেন, আজ শনিবার সকাল ৯টায় এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ জেলায় । সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

শীত কমলেই দেখা দেয় বেলস পালসি
কখনো কখনো কোনো পেশেন্টের মুখের হাসি একদিকে বেঁকে যায়। এর কারণ কি স্ট্রোক না অন্য কিছু? এমনটা হলে কী করা উচিত? লিখেছেন ডা. রাহেমিন সিপতি যখন কোনো রোগীর মুখের হাসির একদিকে বেঁকে যায় কিন্তু শরীরের হাত, পা সব ঠিক থাকে, তখন বুঝতে হবে ওটা আসলে স্ট্রোক নয়। এ রোগের নাম বেলস পালসি। এখানে নিউরোলজিক্যাল কোনো সমস্যা হয় না। মুখের পেশিগুলোর অস্থায়ী দুর্বলতা বা পক্ষাঘাতে এমনটা হয়। মস্তিষ্ক থেকে আসা ক্রেনিয়াল নার্ভ মুখের পেশির কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি আংশিক বা সম্পূর্ণ প্যারালাইজড হয়ে গেলে তাকে ফেসিয়াল প্যারালাইসিস বা বেলস পালসি বলে। ধরন ফেসিয়াল পালসি দুই ধরনের— n মুখের একপাশ কপাল থেকে শুরু করে থুতনি পর্যন্ত প্যারালাইজড হলে লোয়ার মোটর নিউরন টাইপ অব ফেসিয়াল পালসি হয়। n কপালের অংশ বাদে চোখ থেকে নিচের অংশ প্যারালাইজড হলে সেটাকে বলে আপার মোটর নিউরন টাইপ অব ফেসিয়াল পালসি। কারণ ফেসিয়াল নার্ভে ইনফেকশন হলে সাধারণত এই রোগ হয়। কখনো হার্পিক্স সিম্পলেক্স নামে এক ধরনের ভাইরাসের কারণেও এ রোগ হতে পারে। এ ছাড়া সারকোডোসিস, লাইম ডিজিজের কারণেও বেলস পালসি হতে পারে। তবে এটি ছোঁয়াচে নয়। শীতের পর গরম অথবা গরমের পর ভাইরাসটি বংশবৃদ্ধি করার সুযোগ পায় বেশি। তখন আক্রমণও বেশি করে। তাই এ সময়গুলোতে বেলস পালসি বেশি হয়। কার হতে পারে n অন্তঃসত্ত্বা অথবা যাদের ডায়াবেটিস আছে n যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এবং n ইনফ্লুয়েঞ্জার সমস্যা থাকলেও এ রোগ হতে পারে। লক্ষণ n মুখের একদিক বেঁকে যাবে। n যে পাশ বেঁকে যাবে সেদিকের চোখ বন্ধ করতে পারবে না। ওই চোখ দিয়ে পানি পড়বে অনবরত। n মুখের হাসি অসমান থাকবে। n রোগী মুখ বন্ধ করতে পারবেন না পুরোপুরি। n বেঁকে যাওয়া পাশ থেকে লালা পড়বে। n ওই পাশের ভ্রু কোঁচকাতে পারবে না। n মুখের ভেতরটা শুকনো থাকবে। n ফেসিয়াল নার্ভ আক্রান্ত হলে কখনো রোগী কানে বেশি শুনতে পায়। যাকে মেডিকেলের ভাষায় বলা হয় হাইপার অ্যাকিউসিস। করণীয় n মুখের অবস্থা বিবেচনা করে ডাক্তার অ্যান্টিভাইরাল অথবা কর্টিকোস্টেরয়েড মেডিসিন দিতে পারেন। n কখনো এটি দুই সপ্তাহের মধ্যে কোনো চিকিৎসা ছাড়াই সেরে যায়। n তবে পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত চোখে চশমা পরতে হবে। n না সারা পর্যন্ত নরম খাবার খেতে হবে। n আপেল, পেঁপে, আঙুর, তরমুজ, স্ট্রবেরি, কলা এসব ফল খেতে পারেন। এসবে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, যা ক্ষতিগ্রস্ত স্নায়ুকে সুস্থ করতে সাহায্য করবে। n ফ্রোজেন অথবা ক্যানজাত খাবার বাদ দিতে হবে। n ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়। ১০ শতাংশের কিছু দুর্বলতা থেকে যায়। যেমন, মুখ কিছুটা বাঁকা থেকে যেতে পারে। তবে দীর্ঘ সময় ফিজিওথেরাপি দিলে তা ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে। লেখক: ওরাল অ্যান্ড ডেন্টাল সার্জন, চিফ কনসালট্যান্ট অব স্পার্ক অব টুথ।
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

শীত যায় যায়, কমে না সবজির দাম!
অনেক বছরের মধ্যে এবার ব্যতিক্রমী একটি শীত পার করছে দেশের মানুষ। কয়েক মাস আগে ভোক্তাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, নভেম্বর-ডিসেম্বরে বাজারে নতুন আলু-পেঁয়াজসহ শীতকালীন শাকসবজি সরবরাহ বাড়বে। এতে কমে যাবে দামও। ডিসেম্বরের পর এরই মধ্যে জানুয়ারি পেরিয়ে ফেব্রুয়ারিতে বইতে শুরু করেছে ফাল্গুনের হাওয়া। বাজারে শাকসবজির সরবরাহও পর্যাপ্ত। তবে দাম কমেনি একেবারেই। অবশ্য কিছু দিন আগে ৬০ টাকায় উঠে যাওয়া আলুর গত দুই সপ্তাহে ৩৫ টাকায় নেমেছে। কিন্তু গত বছর এই সময়ে আলু কেনা গেছে ২২ থেকে ২৮ টাকার মধ্যে। ভরা মৌসুমে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। গত বছর এ সময়ে ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। বাজারে অন্যান্য সবজি ৪০ থেকে ১০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছরের তুলনায় কমপক্ষে দ্বিগুণ। কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান কালবেলাকে বলেন, ‘ভরা মৌসুমে শাকসবজি ও চালের দাম না কমার কারণ হলো, যেসব কারণে মূল্যস্ফীতি হয় সেসব ক্ষেত্র সঠিকভাবে চিহ্নিত করা হয়নি। এবং যথাযথ সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে অতি মুনাফালোভী চক্র ভোক্তাদের কাছ থেকে বাড়তি দামের সুবিধা নিয়ে নিচ্ছে।’ এরই মধ্যে রোজাকেন্দ্রিক কয়েকটি পণ্য আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে সরকার। যদিও এর সুফল ভোক্তারা পাবে কি না তা নিয়ে আছে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তা ছাড়া ব্যবসায়ীরা এরই মধ্যে রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্যের বেশিরভাগ আমদানি শেষ করেছেন। ফলে এখন শুল্ক কমানোর প্রভাব বাজারে পড়বে কি না—তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর নিত্যপণ্য ও কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। লাউয়ের পিস ১০০ টাকা, জালি বা চাল কুমড়ার পিস আকারভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, মুলা ও পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, সালগমের কেজি ৩০ টাকা, লম্বা বেগুনের কেজি ৬০ টাকা, গোল বা তাল বেগুনের কেজি ৮০ টাকা, ছোট করলার কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বড় করলার কেজি ১২০ টাকা, শসার কেজি জাতভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, গাজরের কেজি ৪০ টাকা, বেন্ডির কেজি ১২০ টাকা, মটরশুঁটির বিচি ১৪০ টাকা, ছোলাসহ মটরশুঁটি ১০০ টাকা, কাঁচকলার হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচামরিচের কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা। তবে টমেটোর দাম কিছুটা কমে এখন ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারিতে চালের দাম প্রতি ৫০ কেজির বস্তায় ৫০ থেকে ১০০ টাকা কমেছে।
০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

উত্তরের জেলায় হঠাৎ শৈত্যপ্রবাহ, আবারও কনকনে শীত
কুড়িগ্রামে আবারও বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। হঠাৎ করেই তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় কষ্টে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। তবে সকালে সূর্যের দেখা মিলেছে। কুয়াশাও ছিল তুলনামূলক কম। তবু কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, হঠাৎ করেই তাপমাত্রা কমে গেছে। এমন তাপমাত্রা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা নেই। আগামীতে বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এদিকে বোরো ধান রোপণের ভরা মৌসুম চলছে । এ অবস্থায় তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করেই মাঠে কাজ করতে হচ্ছে।তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকার চরাঞ্চলের মানুষ। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাংগা ইউনিয়নের ভ্যানচালক মনতাজ আলী বলেন, ‘কিছু দিন থাকি ঠান্ডা কমে গেছে। হঠাৎ করে কেন জানি আজ খুব ঠান্ডা, রাস্তায় লোকজনও কম।’  একই এলাকার কৃষক জব্বার মিয়া বলেন, ‘বোরো ধান রোপণ করছি। কয়েক দিনের চাইতে আজ একটু ঠান্ডা বেশি মনে হচ্ছে।’
০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বৃষ্টির সঙ্গে বাড়বে শীত
সারা দেশে অনেকটাই কমেছে শীতের তীব্রতা। এরমধ্যে রাজধানীসহ জেলা শহরগুলোতে বেড়েছে তাপমাত্রা। যদিও আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। বাড়তে পারে শীতও। এ ছাড়াও দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।  বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এসব তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অফিস জানায়, সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি  হতে পারে। তবে দেশের অধিকাংশ স্থানে মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।  আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘনকুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এ সময় ঘনকুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহনে সাময়িক বিঘ্ন ঘটতে পারে। তাপমাত্রার তথ্যে বলা হয়েছে, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো রাঙ্গামাটিতে ২৯ ডিগ্রি। এ ছাড়া দেশের গোপালগঞ্জ ও সিলেটে সামান্য বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ ছাড়াও আগামীকাল বৃহস্পতিবারে কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। এদিনও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। এছাড়া মধ্যরাত থেকে কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

আজ থেকে ফের বাড়তে পারে শীত
দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে। এ কারণে আকাশ মেঘলা। মেঘ-বৃষ্টি কেটে যাওয়ার পর আজ বুধবার থেকে রাতের তাপমাত্রা কমে শীত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। কয়েকদিন ধরে রাতের তাপমাত্রা বেড়েছে। এতে সারা দেশে কমে আসে শীতের প্রকোপ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক দিন আগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল নীলফামারীর সৈয়দপুরে। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি থেকে বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে জানানো হয়, আজ বিকেল পর্যন্ত ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনে সাময়িক বিঘ্ন ঘটতে পারে। আজ সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও সামান্য কমতে পারে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। পরবর্তী পাঁচ দিনে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন কালবেলাকে বলেন, বুধবার রাতে তাপমাত্রা কমে যাবে। বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার ঢাকাসহ সারা দেশেই শীত কিছুটা বাড়তে পারে। দুই থেকে তিন দিন সেই পরিস্থিতি থাকবে। পরে তাপমাত্রা বাড়বে।
০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X