খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় রিকশা শ্রমিক আন্দোলনের দোয়া মাহফিল
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল করেছে জাতীয়তাবাদী রিকশা শ্রমিক আন্দোলন।  সোমবার (১১ মার্চ) বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বাদশা ভাসানীর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি  ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।  আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, তাঁতীদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান, শ্রমিক দলের প্রচার সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, ঢাকা মহানগরের আহবায়ক সুমন ভূইয়া, সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজ প্রমুখ।  আব্দুস সালাম বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্র ও সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে সারা দেশে গণতন্ত্রকামী মানুষকে আজ জিম্মি করে রাখা হয়েছে। আজ দেশের কোথাও নিরাপত্তা নেই, বাকস্বাধীনতা নেই। এ জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রয়োজন ৭১ সালের মতো ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। আর এর জন্য সকলকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। যে কোনো সময় ডাক আসবে, তখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।  বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, যখন জাতীয় কোনো দুর্যোগ নেমে আসে তখন পুরো জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তেমনি দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের চক্রান্তে দেশ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এর আগেও জনগণের ওপর অনেক অত্যাচার ও বাকস্বাধীনতা নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল, পারেনি। এ সরকারও পারবে না ইনশাআল্লাহ।  রিকশা শ্রমিকরা তাদের বক্তব্যে বলেন, আজ আমরা অভাবে আছি, ঠিকমতো পেটভরে খেতে পারি না। কিন্তু এর চেয়েও বড় কষ্ট গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়া আজ বন্দি। প্রয়োজনে আমরা এক মাস রিকশা চালাব না, না খেয়ে থাকব। তবু বিএনপি নেতাদের বলব-কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন। খালেদা জিয়াকে মুক্ত না করে ঘরে ফিরে যাব না। 
১১ মার্চ, ২০২৪

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে বাংলাদেশের শ্রমিক আন্দোলন প্রসঙ্গ
বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলন ও সহিংসতা প্রসঙ্গ উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে। যেখানে আন্দোলনরত শ্রমিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়নের বিরুদ্ধে চলমান দমনপীড়নে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তারা।  সোমবার (২০ নভেম্বর, স্থানীয় সময়) ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে নিন্দা জানান  যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক জানতে চান যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শ্রম অধিকার নীতি প্রসঙ্গে। তিনি প্রশ্ন করেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সম্প্রতি উল্লেখ করেছেন যে, যারা শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘন করবেন, হুমকি দেওয়ায় জড়িত থাকবেন অথবা শ্রমিকদের ভীতি প্রদর্শন করবেন, প্রয়োজন হলে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে। বাংলাদেশের গার্মেন্ট শ্রমিক কল্পনা আক্তারের সংগ্রামের কথা উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সম্প্রতি বেতন বৃদ্ধির আন্দোলনে ৫ জন শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র কি কোনো ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে?  এ প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, গত সপ্তাহে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোরালোভাবে বলেছেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকার বিশ্বজুড়ে সুরক্ষিত ও অনুমোদনে আমরা কীভাবে সরকারসমূহ, শ্রমিক, শ্রম অধিকার বিষয়ক সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন, নাগরিক সমাজ এবং বেসরকারি খাতের সঙ্গে যুক্ত থাকি। বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্য যেকোনো স্থানে আমরা সেটাই অব্যাহতভাবে করে যাব। অপর এক প্রশ্নে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আমেরিকার অবস্থান জানতে চেয়ে সাংবাদিক বলেন, সংলাপে বসতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার আবারও একতরফা নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে। বিরোধী নেতাকর্মীদের আটক করছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে এক দলের কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে কী উদ্যোগ নিচ্ছে? জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিশেষ দলকে সমর্থন করে না। শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন- বাংলাদেশের জনগণ যা চায় যুক্তরাষ্ট্রও তা চায়। বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে ওই লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকার, বিরোধী দল, নাগরিক সমাজসহ সব অংশীদারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে। ওই ব্রিফিংয়ে মিলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের বড় তিন দলকে নিঃশর্ত সংলাপে বসার চিঠি দিয়েছেন। আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ৩০টিরও বেশি দল নির্বাচনে যাওয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছে। কেবল বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। বিএনপির বর্জন কি নির্বাচনের অংশগ্রহণমূলক ও বৈধতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলবে? জবাবে মিলার বলেন, আমেরিকার লক্ষ্য, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। এদিকে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে আবার আলোচনা হয়েছে জাতিসংঘের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে। যেখানে বাংলাদেশে বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটি। সোমবার (২০ নভেম্বর, স্থানীয় সময়) জাতিসংঘের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এ আহ্বান জানান জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক। ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান- বিরোধী দলের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন এবং একটি রাজনৈতিক সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা প্রত্যাখ্যানের মধ্য দিয়ে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য মহাসচিব কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন সেটা নিয়ে ভাবছি। সরকার কি আন্তর্জাতিক আহ্বানকে উপেক্ষা করেছে? জবাবে স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সব অংশীদার, সরকার, রাজনৈতিক দলগুলোকে যথাসম্ভব করার আহ্বান জানাই।
২১ নভেম্বর, ২০২৩
X