বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেয়নি পুলিশ রিজভী আটক
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা ও ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে গতকাল বাদ জুমা ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে যুগপৎভাবে ‘জাতীয় ঐক্য সমাবেশ ও মিছিল’ করার ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। তবে পুলিশের বাধায় ওই এলাকায় যেতেই পারেননি দলটির নেতাকর্মীরা; বরং দুপুর ১২টার দিকে প্রেস ক্লাবের ভেতর থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে আটক করে নিয়ে যান পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়া গণতন্ত্র মঞ্চ পুরানা পল্টন এলাকায় মিছিল শুরু করলে পুলিশ টিয়ার গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ এবং ব্যাপক লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ করেন মঞ্চের শীর্ষ নেতা ও বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তা ছাড়া মাঠে নামলেও পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধায় পিছু হটতে বাধ্য হয় ১২ দলীয় জোটের নেতারা। বিএনপি নেতা রিজভী গ্রেপ্তার, আহত কয়েকজন: গতকাল বাদ জুমা সারা দেশে যুগপৎভাবে ‘জাতীয় ঐক্য সমাবেশ ও মিছিল’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুরো এলাকায় কড়া নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে। এর মধ্যেও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সমাবেশে যোগ দিতে আসেন। তখনো কর্মসূচি শুরুর সময় না হওয়ায় তিনি প্রেস ক্লাবের ভেতরে অবস্থান নেন। কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে ডিবি ও পোশাধারী পুলিশ রিজভীকে আটক করে নিয়ে যান। প্রেস ক্লাবের ভেতর থেকে একজন সিনিয়র রাজনীতিককে আটকের ঘটনায় সেখানে উপস্থিত একাধিক সিনিয়র সাংবাদিক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এদিকে পূর্বঘোষিত সমাবেশে অংশ নিতে মিছিল সহকারে নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রেস ক্লাবের দিকে যাচ্ছিলেন ঢাকা মহানগর যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিন। এ সময় অন্যদের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সর্দার মো. নূরুজ্জামান, কাজী মোখতার হোসেন, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নাদিয়া পাঠান পাপনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। তবে মিছিলটি প্রেস ক্লাব পর্যন্ত যেতে পারেনি। তার আগেই পুলিশ টিয়ার গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। নাদিয়া পাঠান পাপন জানান, ‘আমরা প্রেস ক্লাবের দিকে শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে পূর্বঘোষিত সমাবেশে যাচ্ছিলাম; কিন্তু সেখানে আমাদের যেতে তো দেয়নি বরং পুলিশ অতর্কিতে রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে থাকে। সেগুনবাগিচায় জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের নেতা শাহাদাত পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন। ফলে বাধ্য হয়ে আমরা ফিরে এসেছি।’ গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিল ছত্রভঙ্গ: গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পুরানা পল্টন মোড়ে সমাবেশ শুরু করে গণতন্ত্র মঞ্চ। মঞ্চের শীর্ষ নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুমসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। গণসংহতি আন্দোলনে রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু কালবেলাকে জানান, মঞ্চের সমাবেশ শেষে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে প্রেস ক্লাবে ‘জাতীয় ঐক্য’ কর্মসূচিতে যোগ দানের উদ্দেশ্যে মিছিল শুরু হয়। পুলিশ প্রথমে মিছিলটি যেতে দিলেও মাঝপথে ব্যারিকেড দিয়ে অতর্কিতে লাঠিচার্জ শুরু করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই রাবার বুলেট ছোড়ে। বেধড়ক লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেটে গুরুতর আহত হন জোনায়েদ সাকী এবং মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুসহ ৫০ জনের বেশি নেতাকর্মী। তাদের মধ্যে বাবলুর অবস্থা গুরুতর। সেখানে পিএনপির যুগ্ম মহাসচিব টিএম কামরুল ইসলামও গুলিবিদ্ধ হন।’ পাপ্পু জানান, ‘গুরুতর আহত জোনায়েদ সাকী ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানেও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করে। ফলে তিনি চিকিৎসা না নিয়েই চলে যেতে বাধ্য হন। এ সময় সাকীর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। সেখানে আরও কয়েক নেতাকর্মী আহত হন। মাঠে নামার চেষ্টা ১২ দলীয় জোটের: গতকাল বাদ জুমা রাজধানীর পুরানা পল্টনে বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করেন ১২ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নূরুল আমিন বেপারী, জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিঙ্কন, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র সহসভাপতি শওকত আমিন, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান, প্রগতিশীল জাতীয়বাদী দলের চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মহাসচিব আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সহসভাপতি সারোয়ার আলম প্রমুখ। এহসানুল হুদা জানান, তারা মিছিল শুরু করলে পুলিশ টিয়ার গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে থাকে। তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
২৪ জুলাই, ২০২৪

এবার পাল্টা কর্মসূচি দিল ছাত্রলীগ
বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বাঙালির মহান স্বাধীনতাকে কটাক্ষ, একাত্তরের ঘৃণিত গণহত্যাকারী রাজাকারদের প্রতি সাফাই, আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতা তৈরি এবং সাধারণ শিক্ষার্থী ও নেতাকর্মীদের ওপর বর্বর হামলার প্রতিবাদে এ সমাবেশ করবে তারা। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর দেড়টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (১৫ জুলাই) রাতে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। বিবৃতিতে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, বাঙালির মহান স্বাধীনতাকে কটাক্ষ, একাত্তরের ঘৃণিত গণহত্যাকারী রাজাকারদের প্রতি সাফাই, আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতা তৈরি এবং সাধারণ শিক্ষার্থী ও নেতাকর্মীদের ওপর বর্বর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর দেড়টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় সারা দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বরে কোটাবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদুল ইসলাম এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তাদের এ ঘোষণার পরপরই ছাত্রলীগ বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়। সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দিনভর দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ৩০০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
১৬ জুলাই, ২০২৪

ঢাবিতে কোটা আন্দোলনকারীদের সমাবেশ
জাতীয় সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করে আইন প্রনয়ণের এক দফা দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।  সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাষ্কর্যের পাদদেশে এই সমাবেশ শুরু হয় এবং বিশ্ববিদ্যালযয়ের বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা যোগ দিতে থাকে। এ সময় শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। এর আগে গতকাল দিবাগত রাত ৪টার দিকে এক ভিডিও বার্তায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।  আসিফ মাহমুদ বলেন, রাত ১০টার পর থেকে ৩টা পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান, বিক্ষোভ ও মিছিল কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই প্রধানমন্ত্রী যদি তার বক্তব্যটি প্রত্যাহার না করেন তাহলে সারাদেশের সব শিক্ষার্থীকে সোমবার দুপুর ১২টায় দেশের সব স্থানে বিক্ষোভ মিছিল পালনের আহ্বান করছি। এর আগে চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া এক বক্তব্যের জেরে উত্তপ্ত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। রাত ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ২টার দিকে শাহবাগে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এরপর মিছিল নিয়ে টিএসসিতে এসে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে দেখা যায়।
১৫ জুলাই, ২০২৪

এবার মধ্যরাতে রাস্তায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পর এবার বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা৷ রোববার (১৪ ‍জুলাই) রাত সাড়ে ১২টার দিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে মিছিল নিয়ে রায়সাহেব বাজার হয়ে তাতী বাজার মোড়ে অবস্থান নেন। এর আগে রাত পৌনে ১১টার দিকে ছাত্রীরা হল থেকে এবং আশেপাশে মেসে থাকা ছেরে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে জড়ো হন।  এদিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। রোববার (১৪ জুলাই) রাত পৌনে ১১টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলসহ প্রত্যেকটি হলের শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়েছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল, শামসুন্নাহার হল, কবি জসিম উদ্দিন হল, বঙ্গবন্ধু হল, জিয়াউর রহমান হলসহ বিজ্ঞান অনুষদের হলগুলোর কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে বের হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছেন।
১৫ জুলাই, ২০২৪

মিরনজিল্লা পল্লিতে হামলার প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা
হরিজন সম্প্রদায়ের বসতি বংশালের মিরনজিল্লা পল্লীতে হামলার প্রতিবাদে আগামী ১৩ জুলাই দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও হরিজন ঐক্য পরিষদ। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের মানববন্ধনে অংশ নিয়ে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।  এর আগে গতকাল বুধবার মিরনজিল্লার বাসিন্দাদের ওপর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আউয়াল হামলা চালায়। এতে অর্ধশত মানুষ আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধনের ডাক দেওয়া হয়। এতে অংশ নিয়ে বক্তারা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস ও কমিশনার আউয়ালের বিচার দাবি করেন। তারা বলেন, জীবন দেব তবুও মিরনজিল্লার মাটি ছাড়ব না।  এ ছাড়াও মানববন্ধনে হামলায় আহতরা অংশ নিয়ে ঘটনার ভয়াবহতা তুলে ধরেন।
১১ জুলাই, ২০২৪

কোটার বিরুদ্ধে বুয়েট শিক্ষার্থীদের মৌন সমাবেশ
সরকারি চাকরিতে বেতন কাঠামোর ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডে (আগের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির) কোটা বহালের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের পক্ষ থেকে ঘোষিত ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো পালিত হয়েছে। বেশকিছু দিন ধরে চলা এই আন্দোলনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল না। তবে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মৌন সমাবেশ করেছেন।  মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ১০ মিনিটের মতো বুয়েট শহীদ মিনারের সামনে এই মৌন সমাবেশ করেন তারা। এ সময় শিক্ষার্থীদের কেউ কোনো বক্তব্য দেননি এবং সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। তবে তারা একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিজেদের দাবি জানিয়েছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৫ জুন ২০২৪ হাইকোর্ট ২০১৮ সালের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কোটা বাতিলের পরিপত্রটি অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। এর ফলে সারা দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভবিষ্যৎ সরকারি কর্মসংস্থান নিয়ে অনিশ্চয়তার উদ্রেক ঘটে। এতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের অবস্থান- ১. একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধপরবর্তী সময়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্ব নেন, তখন তিনি যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এবং নারীদের জন্য যথাক্রমে ৩০ শতাংশ এবং ১০ শতাংশ কোটার ব্যবস্থা করেন। কেন না, মুক্তিযুদ্ধে তখন আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা অনেকে শহীদ হওয়াতে তাদের পরিবার উপার্জনক্ষম ব্যক্তিদের হারায়। পাক হানাদার বাহিনী অনেকের বাড়িঘর পুড়িয়ে ফেলে। অনেকে পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে হারান, অনেকে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পঙ্গুত্ব বরণ করেন। এমতাবস্থায়, তখন বেঁচে থাকা মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য জাতির জনকের ৩০ শতাংশ কোটাব্যবস্থা প্রদান করা সময়োপযোগী সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। (গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে ‘অনগ্রসর’ অবস্থা বিবেচনায় কোটা দিয়ে সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ার কথা বলা আছে)। তাছাড়াও তৎকালীন নারী শিক্ষায় এই জনপদ অনগ্রসর ছিল। যেসব নারী পড়াশোনা করেছেন তারাও অনেক প্রতিকূলতা অতিক্রম করে পড়ালেখা করতে পেরেছেন। সেজন্য তাদের জন্যও কোটা থাকা জরুরি ছিল। পরে মাঝে কোটা সুবিধা বন্ধ থাকার পর আবার চালু হওয়াতে অনেক মুক্তিযোদ্ধার চাকরিতে প্রবেশের বয়স পেরিয়ে যায়। যার জন্য মুক্তিযোদ্ধা সন্তান পর্যন্ত কোটা সুবিধা প্রদান করা যৌক্তিক ছিল। তবে বর্তমান সময়ে এসে অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার স্বচ্ছল জীবনযাপন করছে। তাদের পরিবারের নাতি-নাতনিদের পূর্বের অনগ্রসর পরিস্থিতি মোকাবিলা করা লাগে নাই। এক্ষেত্রে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কথা বিবেচনা করে ওদের সুবিধার্থে এবং মেধার স্বার্থে পূর্বের কোটা পদ্ধতি সংস্কার করা বাধ্যতামূলক। ২. ২০০৪ সালের ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী নারীদের সাক্ষরতার হার ছিল ৩১ শতাংশ এবং ২০০৮ সালে ছিল ৫১ শতাংশ। সেখানে বর্তমানে মেয়েদের সাক্ষরতার হার বেড়ে হয়েছে ৭৩ শতাংশ। যেখানে দেশের সাক্ষরতার হার ৭৬.০৮ শতাংশ (সূত্র : প্রথম আলো)। এ থেকে এটা বলা যায় যে, দেশে নারী শিক্ষায় ও যোগ্যতায় অনেক দূর এগিয়ে গেছে। নারীরা তাদের আত্মমর্যাদা ও অধিকারের প্রতি যথেষ্ট সচেতন। এমতাবস্থায়, ১০ শতাংশ নারী কোটা বজায় রাখা আত্মমর্যাদাশীল নারীদের প্রতি অসম্মানজনক। এমনকি আমাদের মাঝে উপস্থিত নারীরা কেউই নারীদের জন্য এই বিশেষ কোটা সুবিধা চায় না। তাই নারী কোটাও সংস্কার করা উচিত। ৩. পূর্বে দেশের অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য বেশ কিছু প্রত্যন্ত জেলা ছিল যারা অনগ্রসর ছিল। যার জন্য ১০ শতাংশ জেলা কোটা রাখা হয়েছিল। বর্তমানে পদ্মা সেতু, যমুনা সেতুসহ বিভিন্ন মেগা প্রজেক্টের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভাবনীয় পরিবর্তনের ফলে সারা দেশ এখন একসঙ্গে কানেক্টেড। তাছাড়াও টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট ব্যবস্থা সারা বিশ্বকে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রত্যন্ত জেলা বলতে কার্যত কিছু থাকছে না। তাই এখানেও ১০ শতাংশ কোটা রাখা ভিত্তিহীন। ৪. কোটা সংস্কারের পর বিভিন্ন কোটায় উপযুক্ত/ন্যূনতম যোগ্যতা সম্পন্ন কাউকে না পাওয়া গেলে সে জায়গাগুলোতে মেধার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ বাস্তবায়ন করা আবশ্যক। ৫. একটি বিশেষ কোটাকে যাতে কোনো ব্যক্তি তার জীবনের ধাপে ধাপে সুবিধা ভোগের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য প্রশাসনের সঠিক অবকাঠামো গঠন করার আবশ্যক। ৬. কালের বিবর্তনে বাংলাদেশ এখন স্মার্ট আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ থেকে প্রতিনিয়ত মেধাবীরা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে আসছে। তার মানে মেধা ও মননের দিক দিয়ে দেশ অনেকাংশে এগিয়ে গেছে। যার ফলে আগামীর বাংলাদেশের কাণ্ডারি হবে দেশের মেধাবীরা। সেজন্য মেধার সর্বাত্মক সুযোগ বজায় রাখা কাম্য। তাই মেধাই হোক সবচেয়ে বড় কোটা। এতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে দেশ খুব দ্রুত এগিয়ে যাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। পরিশেষে আমরা বলতে চাই, দেশের সর্বস্তরে কোটা সংস্কারবিষয়ক যেসব আন্দোলন হচ্ছে তা অত্যন্ত যৌক্তিক। আমরা বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে সর্বাত্মকভাবে একাত্মতা ও সংহতি প্রকাশ করছি এবং মহামান্য আদালতের প্রতি মেধার মূল্যায়নকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে অতি দ্রুত রায় প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। 
০৯ জুলাই, ২০২৪

কোটা সংস্কারের পরিপত্র বহালের দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের ২০১৮ সালের পরিপত্র বহালের দাবিতে চট্টগ্রামে শিক্ষার্থী সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৬ জুলাই) বিকেলে নগরের ষোল শহরের ২ নম্বর গেটে এই সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্য ১ম ও ২য় শ্রেণির সরকারি চাকুরিতে সকল কোটা বাতিল হয়। সম্প্রতি এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সেই পরিপত্রটি বাতিল করেন উচ্চ আদালত। উচ্চ আদালতের এমন রায়ের পর সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবারও কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও চট্টগ্রামের সমন্বয়ক আবুল ফয়েজ মামুন বলেন, ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করেন। কিন্তু ২০২৪ সালে এসে উচ্চ আদালত সে পরিপত্র বাতিল করে ছাত্র সমাজের মধ্যে আবারও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। যে বৈষম্য থেকে মুক্তির জন্য দেশ স্বাধীন হয়েছিল, সেই বৈষম্য দূর করার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজ জেগে উঠেছে। তিনি আরও বলেন, তাদের দাবি মূলত চারটি- ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে সব গ্রেডে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কোটা রেখে কোটা পুনর্বণ্টন বা সংস্কার; চাকরির পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ করা; কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া। শিক্ষার্থী সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল থেকে আগামীকাল কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী সকল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলো ২ নম্বর গেটে সড়কে অবস্থান করছে।
০৭ জুলাই, ২০২৪

পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী সমাবেশ করবে সরকার
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়িত হওয়া পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মেয়াদ গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত হওয়া বাঙালি জাতির গর্বের এই সেতু প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার দিনটিকে এখন উদযাপন করতে চায় সরকার। এজন্য পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষের সমাপনী সমাবেশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আগামী শুক্রবার সেতুর মাওয়া প্রান্তে এই সমাপনী অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠিতব্য এই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের দেওয়া ব্রিফিংয়ে তিনি পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজনের তথ্য দেন। এ সময় তিনি জানান, গত ৩০ জুন পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে। শুক্রবার আয়োজিত সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন বলে সম্মতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, যেহেতু হাতে সময় কম, তাই এ অনুষ্ঠান উপলক্ষে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টসহ অন্য কাজগুলো সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে কেনার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান আরও জানান, দেশের দীর্ঘতম এই সেতুটি ২০২২ সালের ২৫ জুন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
০৪ জুলাই, ২০২৪

আলমগীর হোসেনের ওপর হামলার প্রতিবাদে উদীচীর সমাবেশ
বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী ঝিনাইদহ জেলা সংসদের সহসভাপতি এবং শৈলকুপা শাখা সংসদের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেনের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় সরাসরি জড়িত কয়েকজনের ছবিসহ নাম-পরিচয় জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।  এ বিষয়ে কালবিলম্ব না করে পুলিশ ও প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা। অবিলম্বে আলমগীর হোসেনের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন বক্তারা। বুধবার (৩ জুলাই) বিকাল ৫টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আলমগীর হোসেনের ওপর হামলার প্রতিবাদে উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদ সমাবেশ করেছে। উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি প্রবীর সরদার, সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, উদীচী ঝিনাইদহ জেলা সংসদের সাবেক সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন লস্কর, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক জীবনানন্দ জয়ন্ত, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মাহবুবুর রহমান শিপন, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সহসভাপতি কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, খেতমজুর সমিতির সহসাধারণ সম্পাদক অর্ণব সরকার প্রমুখ। প্রতিবাদী সমবেত গান পরিবেশন করেন উদীচীর শিল্পীরা। এ ছাড়া, একক গান পরিবেশন করেন মীর সাখাওয়াত হোসেন, সুস্মিতা কীর্তনিয়া এবং হৃদিক জাহান। একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন সৈয়দা রত্না ও মনীষা মজুমদার। সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আরিফ নূর। সমাবেশে বক্তারা জানান, গত ৩০ জুন বিকালে ঝিনাইদহের শৈলকুপা বাজারে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসেছিলেন উদীচী নেতা আলমগীর হোসেন। এসময় কয়েকজন সন্ত্রাসী তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন আলমগীর। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অপারেশন করা হলেও তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দীর্ঘদিন ধরেই নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলছে। এর প্রতিবাদে সবসময়ই সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছেন উদীচী নেতা আলমগীর হোসেন। তাই, তার ওপর সন্ত্রাসী হামলার পেছনে কোনো বড় ধরনের ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করে উদীচী। এ ঘটনায় আলমগীর হোসেনের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করেছেন।  আলমগীর হোসেনের ওপর হামলার প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে এরই মধ্যে শৈলকুপা এবং ঝিনাইদহে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে উদীচীসহ সমমনা সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।  
০৩ জুলাই, ২০২৪

বাম জোটের দুর্নীতিবিরোধী সমাবেশ কাল
বাম গণতান্ত্রিক জোট আগামীকাল মঙ্গলবার দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভ-সমাবেশ কর্মসূচি পালন করবে। এ ছাড়া দুর্নীতির প্রতিবাদে আগামী ৬ জুলাই দেশের থানা ও উপজেলাগুলোতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে সিপিবি। গতকাল রোববার কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহীন রহমান ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এক বিবৃতিতে সারা দেশে বাম জোটের দুর্নীতিবিরোধী সমাবেশ এবং পরে সব উপজেলা ও থানায় সিপিবি ঘোষিত একই কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান। বিবৃতিতে নেতারা বলেন, সরকারের লুটপাটের অর্থনৈতিক নীতি, দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতি আজ এই অবস্থা তৈরি করেছে। এসব অপশক্তিকে রুখে দাঁড়িয়ে চলমান দুঃশাসনের অবসান ও ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম এগিয়ে নিয়েই দুর্নীতিবিরোধী সংগ্রামে জয়ী হতে হবে। সারা দেশের বিবেকবান মানুষকে এ সংগ্রামে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান তারা।  
০১ জুলাই, ২০২৪
X