বাংলাদেশের সিইসি বললেন, ‘পাকিস্তানে সাড়া জাগানো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে’
পাকিস্তানে সাড়া জাগানো-অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।  মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে আরএফইডির নবনির্বাচিত কমিটির দায়িত্বগ্রহণ ও বিদায়ী কমিটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।  তিনি বলেন, গণমাধ্যমকে আমরা পছন্দ করি না বা ঘৃণা করি। যখন আমার প্রশংসা করা হয় তখন ভালো লাগে। কিন্তু আমাকে জানতে হবে প্রশংসা নয়, সমালোচনার জায়গায় সমালোচনা করতে হবে। সমালোচনার জায়গায় ছাড় দেওয়া যাবে না। এই সাহসী ভূমিকা গণমাধ্যমের পালন করতে হবে। এটাই গণমাধ্যমের ভূমিকা। দেশের গণমাধ্যমের প্রতি আমি যথেষ্ট আস্থাশীল। স্ট্যাগারিং পদ্ধতিতে নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন পরীক্ষামূলকভাবে স্ট্যাগারিং পদ্ধতিতে করা হচ্ছে। একটা জেলার মধ্যে আমি যদি তিনটি পর্বে নির্বাচন করি, যেটাকে ভারতে স্ট্যাগার্ড বলে, জাতীয় নির্বাচনটা স্ট্যাগারিং করে হয়- তিন মাস ধরে হয়। ভবিষ্যতে পুরো দেশে স্ট্যাগারিং পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে পারে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, সামনে আরও অনেক নির্বাচন আছে, উপনির্বাচন, সেগুলোকেও খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। তৃণমূল পর্যায়ে নেতৃত্ব গড়ে তোলার যে দায়িত্ব, সেখানে যদি নেতৃত্ব শক্তিশালী না হয়, তাহলে জাতীয় পর্যায়েও নেতৃত্ব শক্তিশালী হবে না। তৃণমূলের সংস্থাগুলোয় নেতৃত্ব গড়ে তোলার প্রয়োজন আছে। সেখানেও গণমাধ্যমের ভূমিকা আছে। সেখানে গণতন্ত্র কতটা কাজ করছে, কতটা কাজ করছে না, এগুলো তুলে আনতে হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমি জেনেছি এবার নির্বাচনে কোনো দলীয় প্রতীক থাকবে না। এটার ভালো দিক আছে। এটা রাষ্ট্রীয় নির্বাচন নয়। এলাকাভিত্তিক নির্বাচন। এখানে মানুষ এলাকার লোককে নির্বাচিত করবেন, পুরো জাতির জন্য নয়। স্থানীয় সরকার তার নির্ধারিত এলাকা জনশাসন পরিচালনা করে থাকে। তার সীমিত ক্ষমতা থাকে। সেখানে বিভিন্ন দল, আমার মনে হয়, এখানে সুযোগটা থাকবে। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে আমার যে অভিজ্ঞতা, আমারটা ভুল হতে পারে-সেখানে আমি সব সময় লক্ষ করেছি, উপস্থিতি অনেক বেশি হয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মানুষের সঙ্গে মানুষের বা ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির যে সম্পৃক্ততা, সেটা অনেক বেশি নিবিড় ও গভীর।
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সরকার জোর করে অংশগ্রহণমূলক ভোট দেখাতে চায়
আওয়ামী লীগ সরকার জনগণকে জোর করে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখাতে চায় বলে অভিযোগ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জনের আহ্বানে গণসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটে সমাবেশে মঞ্চের নেতারা এ অভিযোগ করেন। পরে গণতন্ত্র মঞ্চ মিছিলসহযোগে গ্রিন রোড, সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় হয়ে নীলক্ষেত মোড়ে গণসংযোগ করে কর্মসূচি শেষ করে। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে এবং রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খানের সঞ্চালনায় গণসংযোগ-পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ইমরান ইমন। সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, মানুষ এই সরকারের নির্বাচনী তামাশা প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই ভোটকেন্দ্রে লোক আনার জন্য তারা মরিয়া। এ কারণে তারা হাইকোর্টে রিট করেছে ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য। যারা সরকারি সুবিধা ভোগ করেন, তাদের ভোট দিতে বাধ্য করার জন্য আদালতে এ রিট আবেদন করা হয়েছে। তারা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখানোর জন্য নিজেদের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী নামিয়েছে। এই স্বতন্ত্ররা আধিপত্য নিশ্চিত করার জন্য নিজেরা খুনোখুনি করেছে এবং এর দায় বিরোধীদের ওপর চাপানোর ষড়যন্ত্র চলছে। এ ছাড়া ১২ দলীয় জোট, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণফোরাম-পিপলস পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, লেবার পার্টি প্রভৃতি দল পল্টন মোড়, তোপখানা রোড ও বিজয়নগর সড়কে গণসংযোগ এবং পথচারীদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করে।
০৪ জানুয়ারি, ২০২৪

জোর করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখাতে চায় সরকার : গণতন্ত্র মঞ্চ
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, জাতীয় পার্টিকে রাজনৈতিকভাবে ভিক্ষুকে পরিণত করে তাদের সহযোগী দলে ঢুকিয়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের দাসে পরিণত হওয়া জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা টাকা পয়সার ভাগ-বাটোয়ারা না পেয়ে গণহারে সরে যাচ্ছে সাজানো নির্বাচন থেকে। অন্যদিকে জোর করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখাতে চায় সরকার। বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকালে ‘একতরফা ভোট বয়কট করুন’ শিরোনামে ফার্মগেট আনন্দ সিনেমা হলের মোড়ে গণতন্ত্র মঞ্চের এক সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। সমাবেশের পরে গণতন্ত্র মঞ্চ একটি মিছিলসহযোগে গ্রিন রোড, সায়েন্সল্যাব রোটারি মোড় হয়ে নীলক্ষেত মোড়ে গণসংযোগ করে শেষ হয়।  নেতৃবৃন্দ বলেন, নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবীদ ড. ইউনূসকে আইনি ব্যবস্থার দোহাই দিয়ে তড়িঘড়ি করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে তাকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য। সরকার আইনি ব্যবস্থাকে বোবা-কালা-অন্ধ বানিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের তড়িঘড়ি করে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে শাস্তি ঘোষণা করছে। এ ফাঁদে একসময় আওয়ামী লীগকেও পড়তে হবে বলে স্মরণ করিয়ে দেন নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, সমাবেশ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই আওয়ামী লীগ শব্দসন্ত্রাস দিয়ে সমাবেশ পন্ড করার পাঁয়তারা শুরু করে। সমাবেশের ঠিক পাশেই নির্বাচনী প্রচার মাইকের উচ্চ শব্দ সৃষ্টি করে সমাবেশের কাজ বাধাগ্রস্ত করে এবং আশপাশে সন্ত্রাসী বাহিনী জমায়েত করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়। শুধু তাই নয়, প্রচার মিছিল শুরু হলে ট্রাকের উপরে রাখা লাউড স্পিকারে উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে প্রচার মিছিলের পিছু নেয় এবং বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী লীগের শব্দসন্ত্রাস দিয়ে কাজ হবে না। মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাবে না। ভোটকেন্দ্রে লোক আনার জন্য সরকার এতটাই মরিয়া যে, তারা হাইকোর্টে রিট করেছে ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য। যারা সরকারি সুবিধা ভোগ করেন তাদের ভোট দিতে বাধ্য করার জন্য আদালতে এ রিট আবেদন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখানোর জন্য নিজেদের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী নামিয়েছে। এ স্বতন্ত্ররা নিজেদের আধিপত্য নিশ্চিত করার জন্য নিজেরা খুনোখুনি করেছে এবং এর দায় বিরোধীদের ওপর চাপানোর ষড়যন্ত্র চলছে। গণসংযোগপূর্ব এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমম্বয়ক ইমরান ইমন। সভা পরিচালনা করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান । 
০৩ জানুয়ারি, ২০২৪

ইইউ প্রতিনিধি দলকে বিএনপি / নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক দেখাতে ডামি প্রার্থী দিয়েছে আ.লীগ
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বয়কট করে আন্দোলনে থাকা বিএনপির সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেছে ঢাকায় সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দল। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে সোয়া ৪টা পর্যন্ত এই বৈঠক হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের নেতৃত্বে বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানসহ ছয় সদস্য উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে ইইউ প্রতিনিধি দলে ছিলেন রেবেকা কক্স ও শার্লোট সুয়েবেস। তবে বৈঠকের বিষয়ে কোনো পক্ষই গণমাধ্যমকে কিছু বলেনি। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে ইইউ প্রতিনিধি দলকে নির্বাচন বয়কটের কারণ জানিয়েছে বিএনপি। প্রতিনিধি দলকে দলটির নেতারা বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে কখনো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে সেটা প্রমাণিত হয়েছে। সে কারণে তারা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তারা আরও বলেন, সরকার যে বিরোধী দলবিহীন একতরফা নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে, সেটা কোনো নির্বাচন নয়, নির্বাচনের নামে একটা নাটক মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে তাদের কিছু তথ্য-প্রমাণও দেওয়া হয়। ইইউ প্রতিনিধি দলকে বিএনপি নেতারা বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো এবারও আরেকটি সাজানো, পাতানো ও আসন ভাগাভাগির নির্বাচন হতে যাচ্ছে। যাকেই ভোট দেওয়া হবে, তিনি হয় নৌকার প্রার্থী, না হয় ডামি প্রার্থী, না হয় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো একতরফা ভোট বর্জন করায় মূলত বিদেশিদের চাপে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখাতে প্রায় প্রতিটি আসনে নৌকার পাশাপাশি দলের লোকদের এই ডামি, স্বতন্ত্র প্রার্থী করেছে আওয়ামী লীগ। আগামী সংসদে বিরোধী দল নির্ধারণ করতেই একতরফা, ভাগ-বাটোয়ারার এই নির্বাচন করছে সরকার। কিন্তু জনগণ এই একতরফা নির্বাচন ইতোমধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছে। সে কারণে ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলেও ইইউ প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছে বিএনপি। বৈঠকে আসন্ন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টরা কে কী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন, সেটিও তুলে ধরা হয়েছে বলে জানা গেছে। বৈঠক প্রসঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের প্রধান স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা যতটুকু বুঝেছি, উনারা নির্বাচন পরিস্থিতির বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দেবেন। সেটার তথ্য সংগ্রহ করছেন তারা। আমরা বাস্তবতাটা তুলে ধরেছি, এটা কোনো নির্বাচন নয়, নাটক হচ্ছে।’ এর আগে দুপুর ১২টায় সিলেট বিভাগীয় বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে ইইউ প্রতিনিধি দল। সিলেটের স্থানীয় একটি হোটেলে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সিলেট বিএনপির পক্ষে অংশ নেন- চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মোক্তাদির, আরিফুল হক চৌধুরী ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি কাইয়ুম চৌধুরী। এ ছাড়াও গত ১৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করে ইইউ প্রতিনিধি দল। ওই বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম আকবর খন্দকার, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

বিএনপি অংশ নিলে নির্বাচন অনেক বেশি অংশগ্রহণমূলক হতো : সিইসি
বিএনপি অংশ নিলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনেক বেশি অংশগ্রহণমূলক হতো বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।  সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন সিইসি। সিইসি বলেন, ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ দল তারা অংশ নিলে ভালো হতো। আমরা প্রথম থেকে তাদের আহ্বান জানিয়েছি, আমন্ত্রণ জানিয়েছি, তারা সাড়া দেয়নি। যেটা আগেও বলেছি, তারা অংশ নিলে নির্বাচনটা অনেক বেশি অংশগ্রহণমূলক হতো। এটা সবাই ফিল করে।’ বিএনপি অংশগ্রহণ না করায় নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে সমস্যা হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, সে বিষয়ে আমি কোনো কথা বলব না। সেটা নির্বাচনের পরে দেখা যাবে।’ ভোট বর্জনকারীরা নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে, এ নিয়ে আপনাদের অবস্থান কী, এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘প্রতিহত যদি উনারা করতে চান এটা উনাদের রাজনৈতিক পলিসি। সেটা নিয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। আমরা কেবল নির্বাচনটা পিসফুললি করতে চাই।’ তিনি বলেন, আমাদের তরফ থেকেও আমরা বলেছি নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু হবে। বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটিতে একটা মেম্বার এবং কমিটি অব নেশনসে আমরা সদস্য। আন্তর্জাতিকভাবেও নির্বাচনটা সুন্দর হোক, স্বচ্ছ হোক, সবার কাছে বহির্বিশ্বের কাছেও নির্বাচনটা একটা ভালো গ্রহণযোগ্যতা পাক সেই প্রত্যাশা সবার মধ্যে, আমাদেরও আছে। আমাদের দিক থেকে ফ্রি ফেয়ার এবং পিসফুল নিশ্চিত করার জন্য আমরা জোর দিচ্ছি। এর আগে জাপানের পর্যবেক্ষক পাঠানো নিয়ে দেশটির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেন সিইসি।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

‘এবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে’
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমি ১৫ বছর ধরে আমার এলাকার জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। যেহেতু আমার আসনে অনেক প্রার্থী আছেন, আশা করি এবার ভালো ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। গতকাল সোমবার দুপুরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। দীপু মনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ আবারও আমাকে সেবা করার সুযোগ দেবে, এটিই প্রত্যাশা। সবচেয়ে বড় বিষয় একটি ভালো নির্বাচন হবে। এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুরের পাঁচ আসন থেকে ৪৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে মনোনয়নপত্র বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়। মনোনয়নপত্র বাছাই ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে : শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ও চাঁদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ সবকিছু ঠিকঠাক আছে। আমি গত ১৫ বছর ধরে আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। যেহেতু আমার আসনে অনেক প্রার্থী আছে, আশা করি ভালো ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে।’ সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। দীপু মনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ আবারও আমাকে সেবা করার সুযোগ দেবেন এটিই আমার প্রত্যাশা। সবচেয়ে বড় বিষয় একটি ভালো নির্বাচন হবে। এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুরের ৫টি আসন থেকে ৪৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম দাখিল করেছিলেন। এর মধ্যে ৩২ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ এবং ১১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে মনোনয়নপত্র বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল ৪টায়। মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই করে তালিকা ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা বিএনপি নেতারা স্বতন্ত্র হওয়ায় ভোট অংশগ্রহণমূলক
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়া ২ হাজার ৭১১ প্রার্থীর মধ্যে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সাবেক ৩৩ এমপিসহ দলটির ৭৪৭ নেতা রয়েছেন। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও দলটির নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়াকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বৈশিষ্ট্য বলছে সরকার। গতকাল শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ফেসবুকে পোস্টে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাখ্যায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, আসন্ন নির্বাচনে বিপুলসংখ্যক প্রার্থী ধুমধাম ও উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। সারা দেশে ৩০০ আসনের বিপরীতে ২ হাজার ৭১১টি মনোনয়নপত্র পেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে নির্ধারিত সময়ে ৩০টি রাজনৈতিক দল থেকে ১ হাজার ৯৬৪ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ৩০৩ জন, জাতীয় পার্টির ৩০৪, জাকের পার্টির ২১৮, তৃণমূল বিএনপির ১৫১, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১৪২, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ১১৬ জনসহ বাকি দলগুলোর প্রার্থীরা রয়েছেন। ইসি আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন যাচাই-বাছাই করবে। কেউ চাইলে আগামী ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবে। এ ছাড়া ৩৩ জন বিএনপির সাবেক এমপি, নেতাসহ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ৭৪৭ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এসব অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বৈশিষ্ট্য হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ের বার্তায় আরও বলা হয়, আগ্রহ, উদ্দীপনাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে প্রার্থীদের অংশগ্রহণ এখন পর্যন্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়ার একটি বৈশিষ্ট্য, যা নির্বাচন কমিশন এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এদিকে বিএনপির একটি অংশ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে ব্যক্তিগত ও সরকারি সম্পত্তি পুড়িয়ে, অবরোধ, হরতাল করছে।
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

এবারও সত্যিকার অংশগ্রহণমূলক ভোট হচ্ছে না
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, সত্যিকার অর্থে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে যা বোঝায়, তা এবারও হচ্ছে না। এটি উদ্বেগের। নির্বাচন হবে, ক্ষমতায় কারা থাকবে, সেটাও নির্ধারণ হবে; কিন্তু জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে না। জনগণের আস্থা নিশ্চিত করাও অসম্ভব হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজস্ব কার্যালয়ে ‘গণতন্ত্র, সুশাসন ও শুদ্ধাচার চর্চার রাজনৈতিক অঙ্গীকার: টিআইবির সুপারিশমালা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সংস্থার গবেষক কাওসার আহমেদ সুপারিশমালা তুলে ধরেন। এতে ৯টি বিষয়ের ওপর ৭৬টি সুপারিশ করা হয়। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, আগেও বিভিন্ন সময়ে সুপারিশগুলো করা হয়েছে। এবারও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে সুপারিশগুলো পাঠানো হবে। সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- ‘না’ ভোটের পুনঃপ্রচলন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সংসদীয় আসনের পূর্ণাঙ্গ ফল বাতিলের ক্ষমতা রহিত করার মাধ্যমে ইসির ক্ষমতা সংকুচিত করার এ ধারা পরিবর্তন, বিচার বিভাগের নিয়োগ, পদায়ন, বদলিসহ বিচারক প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা, সৎ সরকারি কর্মচারীদের হয়রানি বন্ধ করা ইত্যাদি। স্বার্থের দ্বন্দ্বমুক্ত পরিবেশ তৈরি প্রসঙ্গে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যখন কোনো দল ক্ষমতায় যায়, সেই সরকারের প্রধান যদি স্বপ্রণোদিতভাবে দলীয় প্রধানের পদ ত্যাগ করেন, তাহলে তিনি সবার সরকার হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারেন। স্পিকারের ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রযোজ্য। এ ভূমিকা নিশ্চিত করতে পারলে স্বার্থের দ্বন্দ্বমুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়। তিনি আরও বলেন, আসনভিত্তিক সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চা হয়েছে। এখন সময় আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক সংসদ প্রতিষ্ঠার। এটি নিয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন দরকার। সংসদে প্রান্তিক মানুষের প্রতিনিধি নিশ্চিত করতে হবে। গণতন্ত্র, সুশাসন, শুদ্ধাচারের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে রাজনৈতিক দল। এখানে তারা কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেন, তাদের হাতে ক্ষমতা। এখানেও সংস্কার প্রয়োজন। ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দলে মনোনয়নের ক্ষেত্রে দলের প্রতি আনুগত্যকে প্রাধান্য দিতে হবে। চট করে কেউ এলো, অর্থকড়ি, পেশিশক্তি আছে বা অন্য পরিচয়ের কারণে মনোনয়ন দিয়ে দেওয়া হলো। এতে যারা সত্যিকারের মূল ধারার রাজনীতির ধারক-বাহক, তারা নিজেদের বিলুপ্তপ্রায় ভাবতে থাকে। দলগুলোকে এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন, ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন সবার মতামত বিবেচনায় নিয়ে সংস্কার করতে হবে। এ ছাড়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা নিশ্চিতে আইনগুলোয় প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে।
০১ ডিসেম্বর, ২০২৩

এবারও নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে না : টিআইবি
এবারও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।  ‘গণতন্ত্র, সুশাসন ও শুদ্ধাচার চর্চার রাজনৈতিক অঙ্গীকার : টিআইবির সুপারিশমালা’ তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। টিআইবির গবেষক কাওসার আহমেদ সুপারিশমালা তুলে ধরেন। এতে ৯টি বিষয়ের ওপর ৭৬টি সুপারিশ করা হয়। এ সময় ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে যা বোঝায়, তা এবারও হচ্ছে না; এটি উদ্বেগের। সে ক্ষেত্রে নির্বাচন হবে; ক্ষমতায় কারা থাকবে- সেটাও নির্ধারণ হবে। কিন্তু জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে না। জনগণের আস্থা নিশ্চিত করাও অসম্ভব হবে।’  তিনি বলেন, ‘আসনভিত্তিক সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চা হয়েছে। এখন সময় এসেছে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক সংসদ প্রতিষ্ঠা করার। এটি নিয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। এর জন্য প্রয়োজন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন। এর জন্য অনেকগুলো উপাদান আছে। তার মধ্যে অন্যতম, নির্বাচনকালীন সরকারে দলীয় প্রভাবমুক্ত ও স্বার্থের প্রভাবমুক্ত ভূমিকা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন দরকার। সংসদে প্রান্তিক মানুষের প্রতিনিধি নিশ্চিত করতে হবে। গণতন্ত্র, সুশাসন, শুদ্ধাচারের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে রাজনৈতিক দল। এখানে তারা কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে, তাদের হাতে ক্ষমতা। এখানেও সংস্কারের প্রয়োজন আছে।’ ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দলে মনোনয়নের ক্ষেত্রে দলের প্রতি আনুগত্যকে প্রাধান্য দিতে হবে। চট করে কেউ এলো, অর্থকড়ি, পেশিশক্তি আছে বা অন্য পরিচয়ের কারণে মনোনয়ন দিয়ে দেওয়া হলো। এতে যারা সত্যিকারের মূল ধারার রাজনীতির ধারকবাহক, তারা কিন্তু নিজেদের বিলুপ্তপ্রায় ভাবতে থাকে। দলগুলোকে এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে।’ টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, নির্বাচন কমিশন, দুনীতি দমন কমিশন, মানবাধিকার কমিশনসহ রাষ্ট্রীয় যেসব প্রতিষ্ঠান আছে, তাদের সাময়িক রাজনৈতিক সুবিধার হাতিয়ার হিসেবে যেভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে, তাতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা খাদের কিনারে পৌঁছেছে। এই সংস্কৃতি থেকে বের হতে হবে। যখন কোনো দল ক্ষমতায় যায়, তখন সেই সরকারের প্রধান যদি স্বপ্রণোদিতভাবে দলীয় প্রধানের পদ ত্যাগ করেন, তাহলে তিনি সবার সরকার হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারেন। স্পিকারের ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রযোজ্য। এই ভূমিকা নিশ্চিত করতে পারলে স্বার্থের দ্বন্দ্বমুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়।’ ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন, ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন সবার মতামত বিবেচনায় নিয়ে সংস্কার করতে হবে। এ ছাড়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা নিশ্চিতে আইনগুলোয় প্রয়োজনীয় সংস্কারের কথাও বলেন তিনি।
৩০ নভেম্বর, ২০২৩
X