গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, জাতীয় পার্টিকে রাজনৈতিকভাবে ভিক্ষুকে পরিণত করে তাদের সহযোগী দলে ঢুকিয়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের দাসে পরিণত হওয়া জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা টাকা পয়সার ভাগ-বাটোয়ারা না পেয়ে গণহারে সরে যাচ্ছে সাজানো নির্বাচন থেকে। অন্যদিকে জোর করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখাতে চায় সরকার।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকালে ‘একতরফা ভোট বয়কট করুন’ শিরোনামে ফার্মগেট আনন্দ সিনেমা হলের মোড়ে গণতন্ত্র মঞ্চের এক সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। সমাবেশের পরে গণতন্ত্র মঞ্চ একটি মিছিলসহযোগে গ্রিন রোড, সায়েন্সল্যাব রোটারি মোড় হয়ে নীলক্ষেত মোড়ে গণসংযোগ করে শেষ হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবীদ ড. ইউনূসকে আইনি ব্যবস্থার দোহাই দিয়ে তড়িঘড়ি করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে তাকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য। সরকার আইনি ব্যবস্থাকে বোবা-কালা-অন্ধ বানিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের তড়িঘড়ি করে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে শাস্তি ঘোষণা করছে। এ ফাঁদে একসময় আওয়ামী লীগকেও পড়তে হবে বলে স্মরণ করিয়ে দেন নেতৃবৃন্দ।
তারা বলেন, সমাবেশ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই আওয়ামী লীগ শব্দসন্ত্রাস দিয়ে সমাবেশ পন্ড করার পাঁয়তারা শুরু করে। সমাবেশের ঠিক পাশেই নির্বাচনী প্রচার মাইকের উচ্চ শব্দ সৃষ্টি করে সমাবেশের কাজ বাধাগ্রস্ত করে এবং আশপাশে সন্ত্রাসী বাহিনী জমায়েত করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়। শুধু তাই নয়, প্রচার মিছিল শুরু হলে ট্রাকের উপরে রাখা লাউড স্পিকারে উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে প্রচার মিছিলের পিছু নেয় এবং বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী লীগের শব্দসন্ত্রাস দিয়ে কাজ হবে না। মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাবে না। ভোটকেন্দ্রে লোক আনার জন্য সরকার এতটাই মরিয়া যে, তারা হাইকোর্টে রিট করেছে ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য। যারা সরকারি সুবিধা ভোগ করেন তাদের ভোট দিতে বাধ্য করার জন্য আদালতে এ রিট আবেদন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখানোর জন্য নিজেদের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী নামিয়েছে। এ স্বতন্ত্ররা নিজেদের আধিপত্য নিশ্চিত করার জন্য নিজেরা খুনোখুনি করেছে এবং এর দায় বিরোধীদের ওপর চাপানোর ষড়যন্ত্র চলছে।
গণসংযোগপূর্ব এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমম্বয়ক ইমরান ইমন। সভা পরিচালনা করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান ।
মন্তব্য করুন