Fri, 31 May, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
আজ ঢাকার বাতাস কেমন?
৫৪ মিনিট আগে
জুমার দিনে সুরা কাহাফ পাঠের ফজিলত
১ ঘণ্টা আগে
দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস
২ ঘণ্টা আগে
ইমামকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি : জবি প্রশাসন
৩ ঘণ্টা আগে
শিবচরে ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলা, আহত ৩
৪ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ৩১ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
বাঁধনই প্রথম পূর্ণ অভিভাবক মা
মডেল, অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। অভিনয় দিয়ে বহু আগেই দেশ ও দেশের বাইরের দর্শকদের হৃদয় জয় করেছেন তিনি। এবার তিনি জয়ী হলেন। গড়লেন নতুন এক ইতিহাস। দেশে তিনিই একমাত্র মা, যিনি পেয়েছেন সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব। এর আগে কোনো নারী এককভাবে সন্তানের অভিভাবকত্ব পাননি। গত ২২ এপ্রিল হাইকোর্টের এক আদেশে সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব পান আজমেরী হক বাঁধন। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন। এদিন নাবালক সন্তানের অভিভাবকত্ব নির্ধারণে নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতেও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০-এর ১৯(খ) ধারা অনুসারে কোনো নাবালক সন্তানের বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় অন্য কারও পক্ষে সেই নাবালকের অভিভাবক হওয়ার সুযোগ নেই। আইনের এ ধারাটি সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় কেন তা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা এক রুলে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন তার সন্তানের অভিভাবকত্ব পেয়েছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোনো উদাহরণ নেই যে, নারীরা সন্তানের অভিভাবকত্ব পাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, এটা অনেক বড় একটা অর্জন। এই একটি ঘটনা ছাড়া আর কাউকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হচ্ছে না। উচ্চ আদালতের এই রুল জারির খবরে দারুণ খুশি এই অভিনেত্রী। কালবেলাকে তিনি বলেন, এই অর্জনটা শুধু আমারই থাকুক, তা চাই না। চাই বাংলাদেশের সব মেয়ের অধিকার থাকুক তার সন্তানের ওপর। ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল ঢাকার দ্বাদশ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান একমাত্র কন্যাসন্তান মিশেল আমানি সায়রার অভিভাবকত্ব দিয়েছিলেন বাঁধনকে। যদিও ছয় বছর আগে কন্যার অভিভাবকত্ব পেলেও এই রায়ের মাহাত্ম্য পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারেননি অভিনেত্রী। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গুরুত্বটা বুঝতে পেরেছেন তিনি।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪
লক্ষ্মীপুরে অভিভাবক সেজে স্কুল থেকে শিশু অপহরণ
লক্ষ্মীপুরে অভিভাবক সেজে স্কুলে ঢুকে মালিহা ইসলাম অহি নামের ৯ মাস বয়সী এক শিশু চুরির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই শিশুটি এখনো উদ্ধার হয়নি। এর আগে দুপুরে কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। শিশু অহি সদর উপজেলার তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের মো. সেলিম ও মরিয়ম বেগমের সন্তান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ জানায়, ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ ইভেন্ট চলছিল। ওই সময় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া ইসলাম মিহিরকে তার মা মরিয়ম বেগম প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করছিলেন। একপর্যায়ে কোলে থাকা অহিকে তিনি এক অভিভাবকের কাছে দেন। এ সুযোগে অপরিচিত ওই নারী তাকে নিয়ে সটকে পড়েন। ধারণা করা হচ্ছে, বোরকা পরিহিত ওই নারী পাচারকারী দলের সদস্য। কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শিশু চুরির ঘটনা শুনে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। শিশুটিকে উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।
০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
‘বাবা-মায়ের পর আমার অভিভাবক শেখ হাসিনা’
বাবা-মায়ের পর আমার অভিভাবক হলেন, আমার নেত্রী শেখ হাসিনা।আমি ওনার কাছ থেকেই মানুষকে ভালোবাসতে শিখেছি। আমার ব্যক্তিগত অভিপ্রায় আমি নির্বাচন করব না বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এবার মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং এবং ভূমিদস্যু বন্ধে কাজ করব। কারা জড়িত এর সঙ্গে? পলিটিশিয়ান জড়িত আছে। হয়তো আমার কাছের কেউ জড়িত আছে। আমি কাউকে কেয়ার করি না। তিনি আরও বলেন, সমাজের হোয়াইট কালার লোকেরা জড়িত আছে, পুলিশ জড়িত আছে- নয়তো বন্ধ হচ্ছে না কেন। এ কাজ করতে চাইছি শুধু আল্লাহকে খুশী করতে।
১৬ জানুয়ারি, ২০২৪
বগুড়ার চক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য নির্বাচন
পাইকগাছার বগুড়ার চক, আমিরপুর, কানাখালী, পাতড়াবুনিয়া, খড়িয়া, মাদার মোল্যা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিদ্যালয় ভবনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ১২৫ জন ভোটারদের মধ্যে ১১৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে দুটি প্যানেলে ৫ জন করে ১০জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী ডা. আব্দুল বারিক ও অবসর প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা জিএম আব্দুর রব প্যানেলের মহিলাসহ তিনজন এবং ইউপি সদস্য আব্বাস মোল্লা ও জাহাঙ্গীর সানার প্যানেলের দুজন জয় লাভ করেছেন। বারিক-রব প্যানেলের নির্বাচিতরা হলেন, জলীল গাইন, জাহাঙ্গীর আলম ও রেশমা খাতুন। অপরদিকে আব্বাস-জাহাঙ্গীর প্যানেলের নির্বাচিতরা হলেন, আমির হোসেন ঢালী ও রবিউল ইসলাম মিস্ত্রী। উল্লেখ্য, দুটি প্যানেলের সংরক্ষিত নারী সদস্য রেহেনা পারভীন ও রেশমা খাতুন ৫৭ ভোট করে প্রাপ্ত হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন এর কার্যালয়ে লটারির মাধ্যমে রেশমা খাতুনকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহজাহান আলী শেখ, সহকারী ছিলেন, প্রধান শিক্ষক বঙ্কিম চন্দ্র সরকার।
১৬ জানুয়ারি, ২০২৪
নতুন শিক্ষাক্রম বনাম উদ্বিগ্ন অভিভাবক এবং দায়সারা শিক্ষক
দৈনিক কালবেলায় ২৩ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) ‘নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে অভিভাবকরা’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরের বিষয়ে কালবেলার ফেসবুক পেজে (Kalbela Online) পাঠকের মতামত থেকে বাছাইকৃত মতামত প্রকাশ করা হলো। মোনায়েম খান : কোনো জাতিকে ধ্বংস করতে হলে পারমাণবিক বোমা মারতে হয় না; শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিলেই হয়। জাতি এমনিতেই ধ্বংস। এই কাজটিই করেছেন আমাদের শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা। মইনুদ্দীন জনি : আমরা যখন ২০০০ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিলাম তখন আমি আমার খালাতো বোনের কাছ থেকে বই নিয়ে পড়তাম। তিনি যখন দশম শ্রেণিতে পড়তেন আমি তখন নবম শ্রেণিতে পড়তাম। এখন শিক্ষাব্যবস্থার এমন অবস্থা হয়েছে যে, এক বছরের বই পরের বছর পড়া যায় না। এটা কোনো শিক্ষিত জাতির পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। এর কারণে অনেক গরিব মেধাবী শিক্ষার্থী লেখাপড়া থেকে ঝরে পড়ছে। এর জন্য দায়ী আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা। শারিয়ার শিহাব : নতুন শিক্ষাক্রম শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের ষড়যন্ত্র মাত্র। মো. আসপির আলম : নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে অভিভাবকরা। সঠিক সিদ্ধান্ত বলে আমি মনে করি। মো. আহসান জোবায়ের : এই নতুন শিক্ষাক্রম শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার এক নব চক্রান্ত। যা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থী-অভিভাবক উভয়েরই একযোগে আন্দোলন করা দরকার। সানজিদ প্রধান : পরীক্ষা পদ্ধতি পুনরায় ফিরিয়ে আনা হোক। এই কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা গাইড দেখে গণিত, ইংরেজিসহ অন্যান্য বইয়ের সমাধান দেখে ছক পূরণ করছে, যাতে শিক্ষার্থীদের আরও ক্ষতিই হচ্ছে। এ ছাড়া অনেক প্র্যাকটিক্যাল বিষয় আছে, যা সংশ্লিষ্ট শিক্ষকও পুরোপুরিভাবে সেটার সঙ্গে পরিচিত নন। এ ছাড়া কাগজ, রং, বোর্ডসহ ব্যবহারিক অনেক ব্যয়বহুল। আয়শা আক্তার : আমি একজন ছাত্র হিসেবে বলছি, নতুন কারিকুলাম বাতিল চাই। আগের পড়াই ভালো ছিল। মো. তারেক : আমাদের যুগে বই খাতা এবং গাইড দেখে পড়াশোনা করছি, তার বিপরীতে এ যুগে শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে মোবাইল ফোন, বছরে বছরে শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করলে শিক্ষার্থীরা শিখবেই বা কী। সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন দিয়েই তাদের পড়াশোনা আজ নষ্টের পথে। অভিজ্ঞতা ও প্রতিবেশী ছোট্ট ছোট্ট শিক্ষার্থীদের বর্তমান পরিস্থিতি দেখেই বুঝি, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা আর আগেকার শিক্ষাব্যবস্থা অনেক পার্থক্য। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান যুগের স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। যা শহর কিংবা গ্রাম পর্যন্তও তাদের পড়াশোনার মন নেই বললেই চলে। শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে মোবাইল ফোন পাওয়ার পর থেকে এরা সারাক্ষণ তা নিয়ে ব্যস্ত আছে। শাহবাজ উদ্দিন সবুজ : যারা এই কারিকুলামের স্বপ্নদ্রষ্টা তাদের সন্তানরা কি বাংলাদেশে পড়ালেখা করে? নুর আহমাদ সিদ্দিকী : বর্তমান কারিকুলামে শিক্ষার নামে তামাশা চলছে। শিক্ষার্থীদের ওপর পড়ালেখার চাপ কমাতে বাতিল করা হয়েছে পরীক্ষা পদ্ধতি। চলমান শিক্ষা ব্যবস্থায় একজন শিক্ষার্থীকে দক্ষ করে তোলার পরিবর্তে অলস করছে। অ্যাসাইনমেন্ট খোঁজার অজুহাতে মোবাইল নিয়ে অযথা সময় নষ্ট করছে। তা ছাড়া হাতে কলমে শিক্ষার নামে শিক্ষার্থীদের রান্নাবান্না শিখাচ্ছে প্রতিষ্ঠান। মেয়েদের রান্না তার পরিবারের লোকজন শিখাবে, এটা স্কুলে শিখতে হবে কেন? তা ছাড়া অনেক শিক্ষকই এই কারিকুলাম বুঝতে হিমশিম খাচ্ছে। নতুন শিক্ষাক্রম দেশের সিংহভাগ মানুষ বাতিল করার পক্ষে মতামত দিয়েছেন। আমি জোর দাবি জানাচ্ছি, আগের মতো পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করা হোক। শিক্ষার নামে এই তামাশা অনতিবিলম্ব বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের সত্যিকার শিক্ষায় শিক্ষিত করার সুযোগ দেওয়া হোক। এই শিক্ষাব্যবস্থা বাতিলে অভিভাবকদের আন্দোলনকে সমর্থন করছি। তাদের আন্দোলন যৌক্তিক। রবিউল ইসলাম : ৬ষ্ঠ, ৭ম শ্রেণিতে ২০২৩-এর শিক্ষা কারিকুলাম এতটাই শিক্ষা বিমুখ প্রক্রিয়া যা ইতিমধ্যে সব শ্রেণির মানুষ অবগত হয়েছে। এমন প্রক্রিয়া কখনই জাতিকে উন্নত প্রযুক্তির বাহন বলা যায় না বরং এ কারিকুলাম শিক্ষার্থীকে অলস এবং পড়ালেখায় অনীহা মনোভাব তৈরি করে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা নেই বললেই চলে। পরীক্ষার কোনো চাপ তাদের থাকে না, মূল্যায়ন পরীক্ষার নামে নাটক করা হয়। ২০২৪ সাল থেকে ৮ম ও ৯ম শ্রেণিতে এই নাটকীয় কারিকুলাম বাস্তবায়ন করার জন্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তাই আমাদের সবার উচিত আন্দোলন করে এমন বাজে শিক্ষাক্রম বাতিল করার জন্য বাধ্য করা। কাজী তুষার : যৌক্তিক দাবিই করছেন অভিভাবকরা। এত বছর ধরে চলে আসা শিক্ষাক্রমের খামতিগুলো শুধরে নেবার জায়গায় পুরো শিক্ষাব্যবস্থার ওপর যখন বুলডোজার চালানো হয় তা মোটেও ভালো হতে পারে না। একটা জাতির জন্য তা সুখকর নয়। আপনি বহির্বিশ্বের শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে পাল্লা দিতে যেয়ে বিছানা গোছানো শেখাতে যাবেন এবং বাসায় মুরগি পালতে বাধ্য করতে পারেন না। পরীক্ষা পদ্ধতি তুলে দিলে পড়াশোনা থেকে দূরে সরে যাবে শিক্ষার্থীরা। হাতে-কলমে শেখানোর জন্য তো আলাদা করে কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থাই আছে। দেশে এমনিতেই মোবাইলের যুগে পড়াশোনা থেকে দূরে যাচ্ছি আমরা। নতুন শিক্ষাক্রম চালু হলে জাতির ভবিষ্যত নিয়ে সন্দিহান হতেই হচ্ছে। এসব এক্সপেরিমেন্ট এক দিন দেখা যাবে নির্বোধ এবং সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে থাকা জাতি উপহার দেবে। হঠকারিতামূলক এসব প্রস্তাব রোধ করতে অভিভাবকদের আন্দোলনে সহমত পোষণ করছি। মো. গিয়াসউদ্দিন : বারবার শিক্ষাক্রম আইন করলে শিক্ষার্থীদের জন্য সুফল বয়ে আনে না। তাই নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করা উচিত। রিফাত খান : আমেরিকার শিক্ষার্থীরা সফটওয়্যার তৈরি করছে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা আলুভর্তা বানানো শিখছে। নতুন শিক্ষা কারিকুলামের নামে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে কীভাবে রান্না করবে এই শিক্ষা নিচ্ছে? পংকজ ধর : নতুন শিক্ষাক্রম আমার কাছে ভালো লাগেনি। আগে পরীক্ষায় পাসের জন্য শিক্ষার্থীরা একটু পড়ত। একটু গণিত-ইংরেজি পড়ত। এখন আমি এক শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞেস করলাম তোর পরীক্ষা চলে, তুই পড়ছ না; দেখি বলে গ্রুপ ক্যাপ্টেনের দেখে তৈরি করব, এবার বুঝেন অবস্থা। শুধু কাগজ দিয়ে এইটা-ওইটা, মাটি দিয়ে এইটা তৈরি ইত্যাদি। এসব কি একটা শিক্ষার্থীকে সুন্দর ভবিষ্যৎ দেবে।
২৪ নভেম্বর, ২০২৩
মৌলভীবাজারে রহস্যজনক নিখোঁজ বেড়েই চলেছে, অভিভাবক মহলে আতঙ্ক
মৌলভীবাজারের নিখোঁজের খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে জনমনে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। অভিভাবক মহল ছেলেমেয়েদেরে স্কুল ও কলেজে নিজে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। নিখোঁজ ঘটনায় রাজনগর থানায় ২টি ও সদর থানায় ২টি জিডি হয়েছে। এসব পরিবারের মধ্যে ২টি পরিবার বলছে, তাদের থেকে মুক্তিপণ দাবি করছে একটি চক্র। নিখোঁজের ঘটনা নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে কৌতূহল। এলাকাবাসী বলছেন, বিষয়টি রহস্যজনক। অনেকে আবার ছেলে মেয়ে স্কুল ও কলেজে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। স্কুল কলেজ থেকে সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে ছাত্র ছাত্রীদেরকেও। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজনগর উপজেলার কদমহাটা গ্রামের শাহানা আকতার (১৮) নামে এক তরুণী নিখোঁজ হয়। সে রাজনগর মাওলানা মোফাজ্জাল হোসেন মহিলা ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। নিখোঁজ শাহানা আক্তার (১৮) মা রেহানা বেগম বলেন, ১৬ নভেম্বর সকালে কলেজ যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। রাজনগর থানায় জিডি করেছি। বর্তমানে মেয়ের খোঁজ ঢাকায় পেয়েছি। রাজনগর থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এটা প্রেমসংক্রান্ত ঘটনা ছিল। প্রেমের টানে মেয়েটি পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। রাজনগরের শারমপুর গ্রামের মোছাম্মৎ ফাতেমা বেগম (১৬)। রাজনগর মাওলানা মোফাজ্জাল হোসেন মহিলা ডিগ্রি কলেজ একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। সে গত অক্টোবর মাসে কলেজে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। ঘটনাটি প্রেমঘটিত বলে তার পরিবারের দাবি। উদ্ধারের পর রাজনগর থানার বসে মীমাংসা হয় বলে এলাকার ইউপি সদস্য কুটি মিয়া জানান। বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাজনগর পলিটেকনিক কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র মজিদপুর গ্রামের তায়িফ আহমেদ নিখোঁজ হয়। পরে তাকে ঢাকায় অবচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে তার পরিবার মুখ খোলতে নারাজ এবং থানায় জিডিও করেনি। রাজনগর গবিন্দপুর গ্রামের সোলেমান মিয়ার মেয়ে ইমা বেগম (১৬) নিখোঁজের খবর সোশ্যাল মিডিয়া দেখা গেলেও তার পরিবার এ ব্যাপারে মুখ খোলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। শুধু বলেন ইমা বেগম বোনের বাড়ি গিয়েছিল। সদর উপজেলার নাজিরাবাদ ইউনিয়নের নাজিরাবাদ গ্রামের মোস্তাকিন মিয়ার মেয়ে নাদিয়া আক্তার (১৭) গত ১৪ নভেম্বর সকাল ৯টায় কলেজের কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। সে মৌলভীবাজার শহরের শাহ মোস্তফা কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। নিখোঁজ নাদিয়া আক্তারের পিতা মো. মোস্তাকিন মিয়া বলেন, আমার মেয়ে কলেজে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়। এরপর আর আসেনি। সব জায়গায় খোঁজ নিয়েছি, কোথাও নেই। পরে মৌলভীবাজার মডেল থানায় জিডি করেছি। মৌলভীবাজার মডেল থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নাদিয়া আক্তারকে ঢাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সে তার দুলাভাইয়ের হাত ধরে পালিয়েছিল। মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার এক তরুণ আইনজীবীর খোঁজ মেলেনি সাড়ে তিন মাসের অধিক সময় পেরিয়ে গেলেও। গত ১০ জুলাই মৌলভীবাজার সদরের এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। এরপর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন সিলেট কোর্টে শিক্ষানবিশ আইনজীবী মিজানুর রহমান। ঘটনার পর পরই রাজনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করার সাড়ে তিন মাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ সন্ধান বের করতে পারেনি। পুলিশ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে এখনো তার কোনো সন্ধান পাচ্ছে না বলে পরিবারকে অবহিত করছে। এতে পরিবারে মাঝে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। মৌলভীবাজার সদরের গন্ধব্বপুর এলাকার রুবেল আহমদ নগদ ৫৫ হাজার ও বিকাশে ২৫ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেড় হওয়ার পর ২১ নভেম্বর দুপুর ১২টার দিকে নিখোঁজ হন। সন্ধ্যার দিকে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। ২২ নভেম্বর সন্ধ্যায় কমলগঞ্জের ভানুগাছ বাজারে আটককারীরা তাকে মুক্তি দেয়। বড়লেখা উপজেলার প্রবাস থেকে আসা সাগর দাশ ২১ নভেম্বর বাড়ি থেকে বেড় হয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন ২২ নভেম্বর সকালে একটি গাছে তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে বড়লেখা থানায় অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মৌলভীবাজার সদরের মাতারকাপনের বদরুল মিয়ার ছেলে মো. মাহিন মিয়া ১৭ নভেম্বর মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। ব্র্যাক কর্মী নাহমা আক্তার গত বছর ৩ নভেম্বর ২২ তারিখে শ্রীমঙ্গল শিববাড়ি এলাকা থেকে নিখোঁজ হন। এখন পর্যন্ত তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানায় জিডি হয়েছিল। এ বিষয়ে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান (পিপিএম) বলে, নিখোঁজের বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের কাছে যে অভিযোগ আসে আমরা এগুলো তদন্ত করে দেখি। অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ আসে, আবার অনেক ক্ষেত্রেই শুধু স্যোশাল মিডিয়া থেকে যায়। এটা আর অভিযোগ আকারে আসে না। পরে দেখা যায় তারা নিকট আত্মীয়দের বাসায় অথবা পরিবারের লোকজনরাই তাদের খুঁজে পায়। এমন ঘটনা রিপোর্টেড হয় না। যেগুলো থানায় মামলা বা জিডি হয়। তিনি বলেন, সে বিষয়গুলো আমরা তদন্ত করে দেখেছি, দুটি ক্ষেত্রেই উদ্ধার করেছি। এক্ষেত্রে আমরা দেখেছি যে, মেয়েরা সাধারণত রিলেশনের ভিত্তিতে চলে গিয়েছিল এবং পরবর্তীতে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের পরিবারের কাছে আমরা হস্তান্তর করেছি। পরিবারের দিক থেকে একটু সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন। আমরা বলব যে স্কুল, কলেজ অথবা অন্য কোনো বিষয়গুলো তাদের অভিভাবক যারা আছেন তারা যদি একটু সচেতন থাকেন, তাহলে এই বিষয়গুলো হয়তোবা একটু আমরা বিরত রাখতে পারি। আমরা যদি মেয়েদেরকে ঠিকমতো কাউন্সিলিং করি তাহলে এই বিষয়গুলোর একটা সমাধান মিলবে।
২৪ নভেম্বর, ২০২৩
আইডিয়ালের সভাপতির অপসারণ চায় অভিভাবক ফোরাম
রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ‘বিতর্কিত’ গভর্নিং বডির বিদায় সংবর্ধনা বাতিলের পাশাপাশি গভর্নিং বডির সভাপতি আবু হেনা মোরশেদ জামানের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ অভিভাবক ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম দেওয়ানের সই করা বিবৃতিতে ফোরামের সভাপতি ফাহিম উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. রুস্তম আলী এ দাবি জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বর্তমান গভর্নিং বডির বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) প্রকাশিত প্রতিবেদনে অবৈধ ভর্তি ও শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্যসহ শত শত কোটি টাকার লুটপাট, দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রমাণিত হয়েছে। তা সত্ত্বেও নির্লজ্জভাবে তারা নিজেদের নানামুখী দুর্নীতি আর অপকর্ম ঢাকতে সাধু বেশে নিজেদের ঢোল নিজেরাই পেটাচ্ছেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তথাকথিত ‘উন্নয়ন অগ্রগতি ২০১৭-২৩’ নামে বর্তমান সভাপতির ব্যক্তি পূজা ও পরিচালনা পর্ষদের বিশাল বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এর মধ্য দিয়ে আবারও খরচের বাহানা বানাচ্ছে স্মরণকালের সবচেয়ে দুর্নীতিপরায়ণ এ অপকমিটি। শত শত কোটি টাকার লুটপাটকে বৈধতা দিতে ১৮ নভেম্বর বিদায়ী অনুষ্ঠানের বিশাল আয়োজন করেছে। ‘আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ অভিভাবক ফোরাম’-এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ জানাচ্ছে। একই সঙ্গে এ অনুষ্ঠান বাতিল করার দাবি জানাচ্ছে। পাশাপাশি কমিটির সভাপতিকে অপসারণ করার নির্দেশনা দিতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছে। অভিভাবক ফোরামের নেতারা আরও বলেন, ‘দেশের কোনো বেসরকারি স্কুল-কলেজে গভর্নিং বডির বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় না। ছাত্র-ছাত্রীদের টিউশন ফির টাকায় চলে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ স্কুলের গভর্নিং বডির বর্তমান সভাপতি ২০১৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত কমিটিতে থেকে গত ৭ বছরে নানা ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে বিভিন্ন খাত সৃষ্টি করেছেন। তার লুটপাটের তথ্য ডিআইএর রিপোর্টে ফুটে উঠেছে।’ তারা আরও বলেন, বর্তমান সভাপতি শিক্ষার মানোন্নয়নে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি। নিরীক্ষা প্রতিবেদনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়ন, সভাপতিকে অপসারণ এবং পরবর্তী গভর্নিং বডিতে বর্তমান সভাপতিসহ অন্যান্য সদস্যরা যাতে পুনরায় দায়িত্বে আসতে না পারেন বা নির্বাচন করতে না পারেন, তার ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে জানতে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান ও গভর্নিং বডির সভাপতি আবু হেনা মোরশেদ জামানের মুঠোফোনে কল করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
১৫ নভেম্বর, ২০২৩
সুশীল সমাজ নিজেদের জনগণের অভিভাবক মনে করে : আইনমন্ত্রী
সুশীল সমাজ নিজেদের জনগণের অভিভাবক মনে করে- এমন মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, তারা (সুশীল) নানা ডিকটেশন দেন। কিন্তু কতটুকু জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তারা দেশের উত্তর, দক্ষিণ, পূর্বে তাকান না। তারা তাকান সুদূর পশ্চিমে। সেখান থেকে যে বাণী আসে সেভাবে তারা এখানে ছবক দেওয়ার চেষ্টা করেন। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) নির্বাচন (সংশোধন) বিল-২০২৩’ বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীও দেশের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মতামত প্রদানকারী সুশীল সমাজের কঠোর সমালোচনা করেন। রুস্তম আলী ফরাজীর বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম। এ দেশের জনগণই নির্বাচনের মাধ্যমে ঠিক করবে সংসদে তাদের প্রতিনিধিত্ব কারা করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। চলতি সংসদের মেয়াদ শেষ হলে সে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ীই নির্বাচন হবে। জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, আমাদের ফ্রি ফেয়ার নির্বাচন দরকার। সেজন্য আমাদের প্রতিষ্ঠান আছে। নির্বাচন কমিশন মেরুদণ্ড সোজা করে নির্বাচন করবে। গণফোরামের মোকাব্বির খান বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে মানুষের মধ্যে একটি অস্পষ্টতা, আতঙ্ক ও হতাশা বিরাজ করছে। অনেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। কখন কীভাবে নির্বাচন হবে- এ বিষয়ে সরকার তার অবস্থান পরিষ্কার করছে না। ২০১৪ সালে নির্বাচন বিএনপি প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল। ক্ষমতাসীন দল ক্ষমতার দাপটে নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। সরকার গঠনের যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দরকার সেই সংখ্যক এমপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সেই নির্বাচনে জনগণের মতামতের সঠিক প্রতিফলন ঘটেনি। ২০১৮ সালে অধিকাংশ জায়গায় আগের রাতে ভোট হয়ে যায়। এখানেও জনমতের প্রতিফলন হয়নি। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সংসদে বিল পাস হয়েছে দলিল যার জমি তার। সংবিধান অনুযায়ী জনগণ দেশের মালিক। কিন্তু রাষ্ট্রের এই মালিক গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তারা দলিল নিয়ে বসে আছে কিন্তু মালিকানা তাদের হাতে নেই। সোনার বাংলার গণতন্ত্র আজ কোথায় যাচ্ছে? বিলের আলোচনায় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংরক্ষিত আসনে নির্বাচন নিয়ে একটি মানসিক সমস্যা হয়। যারা নির্বাচিত হন তাদের কোনো নির্বাচনী এলাকা আছে কিনা?- এই বিষয়টি তারা বুঝতে পারেন না। এটা নিয়ে তারা নিজেরাও বিব্রতবোধ করেন। নির্বাচনে মহিলাদের বেশিসংখ্যক নমিনেশন দেওয়ার বিষয়টি বাধ্যবাধকতা করা যায় কিনা সেই প্রস্তাব দেন এই এমপি। রওশন আরা মান্নান বলেন, অনেকেই বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মহিলারা উন্মুক্ত পদ্ধতিতে নির্বাচন করে জনপ্রিয়, তাদের কি দরকার আছে সংরক্ষিত আসনের। তাদের দুর্বল বলা যায় না। মহিলারা অনেক বছর ক্ষমতায় কিন্তু সবাই তো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মতিয়া চৌধুরী কিংবা শিরীন শারমিন চৌধুরী হতে পারবেন না। আরও এক যুগে হবে কি না... দেশে নারীর সংখ্যা বাড়ছে। এ জন্য সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা ৫০ থেকে বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনে প্রার্থীদের জামানতের পরিমাণ বাড়িয়ে আইনের সংশোধনী পাস হয়েছে। জামানতের পরিমাণ ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ‘জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) নির্বাচন (সংশোধন) বিল–২০২৩’ পাসের জন্য সংসদে তোলেন। বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিলে বলা হয়েছে, সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীদের জামানত হবে ২০ হাজার টাকা। বিদ্যমান আইনে সংরক্ষিত আসন শূন্য হলে ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিধান আছে। সেখানেও সংশোধনী আনা হয়েছে। বিলে আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া নারী আসন বণ্টন পদ্ধতিতেও সংশোধন আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
আরও
X