Fri, 10 May, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
বাংলা কনভার্টার
সবুজের সমারোহে মিশে আছে বিষাক্ত এক উদ্ভিদ
২৫ মিনিট আগে
তদন্তে সত্যতা মিলল দিনমজুরের কার্ড হাতিয়ে চাল আত্মসাতের
৪৭ মিনিট আগে
আন্দোলনের নামে আবারও বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা করছে বিএনপি : কাদের
৫৪ মিনিট আগে
যমুনার বুকে ধান চাষ
১ ঘণ্টা আগে
স্কুল-কলেজ সভাপতি হতে লাগবে এইচএসসি পাস
১ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ১০ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
এস এম আব্রাহাম লিংকনের সাক্ষাৎকার /
মুক্ত চিন্তার, অসাম্প্রদায়িক এবং সাম্যের দেশ গড়ে উঠুক
একজন আইনজীবী, সমাজসেবক, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক। সমাজসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০২২ সালে একুশে পদক প্রদান করে। ২০২৪ সালে সম্মানজনক স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হয়েছেন গুণী এ মানুষ। স্বাধীনতা পদকে মনোনীত হওয়ার পর কালবেলাকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানিয়েছেন— কালবেলা: আপনি স্বাধীনতা পদক ২০২৪-এর জন্য মনোনীত হয়েছেন। আমাদেরকে আপনার অনুভূতি জানাবেন। এস এম আব্রাহাম লিংকন: যে কোনো সম্মাননাই এক ধরনের ভালোলাগার বিষয়। কিন্তু একই সঙ্গে সেটা দায়িত্ব বাড়িয়ে দেয়। যারা কাছ থেকে দেখেছেন তারা জানেন আমি এই জনপদের মানুষকে নিয়েই কাজ করি এবং আমি মনে করি, রাষ্ট্র আমাকে যে সম্মাননায় মনোনীত করেছে তার মালিকও এই দেশের জনগণ। আমি নিজে কিছু করিনি আমি শুধু পূর্বপুরুষদের ইতিহাসটাকে সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছি। এই ইতিহাসের যে অর্জন তার মালিকানা আমাদের পূর্বপুরুষদের, মালিকানা এই জনপদের মানুষের। তাই এই সম্মাননা আমি তাদেরই উৎসর্গ করি। তাদের সম্মানটা আমার হাতে এসেছে। আর এই সম্মানটা শুধু আমার নয় বরং তা এই জনপদের। আমাদের এই পিছিয়ে পড়া জনপদকে যারা খুঁজে বের করেছেন আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। কালবেলা: স্বাধীনতা পদক প্রাপ্তির পর আপনি মানুষকে কি বার্তা দিতে চান? এস এম আব্রাহাম লিংকন: আমি মনে করি, মানুষের জীবনটা শুধু তার নিজের বা তার পরিবারের জন্য নয়। বরং এই জীবনটা সকল মানুষের জন্য। আমরা সবাই মিলে আমাদের এই সমাজ। আমাদের শিকড়ে ফিরতে হবে। আমরা যে যেখানে রয়েছি সেখান থেকেই যদি সমাজের প্রতি আমাদের দায়িত্ব পালন করি তাহলে এই বাংলাদেশটা আরও সুন্দর হবে। আমি তরুণ প্রজন্মকে তাদের শিকড় সন্ধানী হওয়ার জন্য অনুরোধ করব। তাদের বলব পড়ালেখা এবং শিকড় সন্ধানের কোনো বিকল্প নেই। কালবেলা: আপনি আপনার নিজের বাড়িকে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর হিসেবে তৈরি করেছেন। আপনি এর জন্য এতটা পথ পাড়ি দিয়েছেন। এটা কীভাবে সম্ভব হলো? এস এম আব্রাহাম লিংকন: আমি যখন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সংরক্ষণ করা শুরু করি তখন এটা কোনো জাদুঘর ছিল না। আমি কার থেকে সাহায্য পাব বা কে সাহায্য করবে না সেটাও চিন্তা করিনি। আমার কাছে মনে হয়েছে এটা করা দরকার তাই আমি উদ্যোগী হয়েছিলাম। মানুষ আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধটা হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা কেউ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃতি করছি, অথবা আমাদের অবহেলায় মুক্তিযুদ্ধ হারিয়ে যাচ্ছে। সেই জায়গা থেকে আমার কাছে মনে হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণ করার এই কাজটি কষ্টকর হলেও সেটা করা দরকার। আমি এক্ষেত্রে আমার পরিবারের সহযোগিতা অবশ্যই পেয়েছি। পরিবারের সহযোগিতা ছাড়া এটা আমি করতে পারতাম না। সুতরাং আমার পরিবারের, আমার জেলার নাগরিকদের, এই উত্তরবঙ্গের মানুষের এবং সকলের সমর্থনের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। কালবেলা: আপনি প্রত্যন্ত অঞ্চলে থেকে একা উদ্যোগী হয়ে অনেক কিছু করেছেন। সরকারের প্রতি আপনার কি পরামর্শ থাকবে? এস এম আব্রাহাম লিংকন: মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার সব সময় রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল না। এখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি সরকারি ক্ষমতায় রয়েছে এবং তারা বিভিন্ন জায়গায় উদ্যোগ গ্রহণ করছে। এই প্রজন্ম যদি সমাজ, মাটি, তার দেশ ও জনপদের প্রতি তাদের দায় অনুধাবন করতে না পারে তাহলে সেটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যের। এই তরুণদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগী হবেন বলে আমি আশা করি। আমি মনে করি, এই মুহূর্তে প্রতিটা জেলায় জেলায় মুক্তিযুদ্ধের পাঠাগার, মুক্তিযুদ্ধের প্রতিষ্ঠান ও জাদুঘর গড়ে তুলে তা প্রজন্মের সামনে নিয়ে আসা জরুরি। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও এখনো অনেক কিছু হারিয়ে যায়নি। মুক্তিযুদ্ধের সেই তথ্যগুলো বের করে নিয়ে আসা আমাদের প্রধান দায়িত্ব। স্বাধীনতাবিরোধীরা পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধকে নষ্ট করে দিয়েছে। কালবেলা: তারামন বিবিকে মানুষের সামনে তুলে ধরতে আপনার প্রচেষ্টা আমরা লক্ষ্য করেছি।.. এস এম আব্রাহাম লিংকন: তারামন বিবির স্বীকৃতি বঙ্গবন্ধুর সরকারই দিয়েছিল। আমাদের তাঁর স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টার প্রয়োজন হয়নি। প্রান্তিকে থাকায় তিনি অনাবিষ্কৃত ছিলেন। অধ্যাপক বিমল কান্তি দে তাঁকে তালিকা ধরে খুঁজে বের করেছেন। পরিমল মজুমদার ভোরের কাগজে তাঁকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতীয়ভাবে তুলে ধরেন। পরবর্তীকালে তাকে পুনর্বাসন এবং তার নামে কুড়িগ্রামে একটি বাড়ির ব্যবস্থা করা, কুড়িগ্রাম শহরে তার জন্য একটি জায়গা বরাদ্দ করা এই কাজগুলো আমি করেছিলাম। তার সম্বন্ধে যাতে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে মানুষ জানতে পারে সেজন্য আমি লেখালেখি করেছিলাম। একজন গ্রামীণ প্রান্তিক অবহেলিত মানুষ মুক্তিযুদ্ধ কেমন আলোকিত ভূমিকা রেখেছিলেন তা সকলের জানা প্রয়োজন ছিল। আমি চেষ্টা করেছিলাম তাকে মানুষের সামনে তুলে ধরতে। কালবেলা: বর্তমান তরুণ প্রজন্মের কাছে আপনার কী বার্তা থাকবে? এস এম আব্রাহাম লিংকন: তরুণ প্রজন্মের কাছে আমার অনুরোধ তারা যেন দেশকে জানতে চেষ্টা করে। আমাদের তরুণ প্রজন্ম শুধু উপরের দিকে তাকাচ্ছে তারা এই দেশের মাটির দিকে তাকাচ্ছে না। তরুণ প্রজন্মের কাছে আমার অনুরোধ, তারা যেন শিকড়ের দিকে তাকায়, তারা যেন তাদের পূর্বপুরুষদের ত্যাগ তিতিক্ষা সেগুলো স্মরণ করে। এই রাষ্ট্র নির্যাতনের শিকার হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর। রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মূল চেতনা ও স্বপ্ন ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। তরুণ প্রজন্মের কাছে আমার অনুরোধ তারা যেন দেশকে জানতে চেষ্টা করে। তারা যেন দেশের ইতিহাস জানার চেষ্টা করে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে কীভাবে গড়ে তোলা যায় সেই চেষ্টা করে। একটি স্বনির্ভর ও প্রাচুর্যময় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তরুণরা যেন ভূমিকা রাখতে পারে। একটি ভ্রাতৃত্বপূর্ণ, মুক্ত চিন্তার, অসাম্প্রদায়িক এবং সাম্যের দেশ গড়ে উঠুক এটাই আমার চাওয়া।
১৭ মার্চ, ২০২৪
বাংলাদেশ হবে অসাম্প্রদায়িক ও দারিদ্র্য মুক্ত দেশ
কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ বলেছেন সেক্টর কমান্ডারদের স্বপ্ন ছিল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পাকিস্তানের শোষণ শাসন থেকে মুক্ত করে বাংলাদেশ হবে অসাম্প্রদায়িক উন্নত সমৃদ্ধ দারিদ্র্য মুক্ত দেশ। সেক্টর কমান্ডারদের স্মরণে বিজয়ের মাসে বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) মতিঝিল ওয়াকফ মসজিদ মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন সেক্টর কমান্ডাররা ও সাব সেক্টর কমান্ডাররা। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ন্যাপ ভাসানীর সভাপতি স্বপন কুমার সাহা, আওয়ামী লীগ নেতা তাজুল ইসলাম, বরিশাল বিভাগ সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ স ম মোস্তফা কামাল, সদস্য নকিব হক, নারী নেত্রী এলিজা রহমান, বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা নাসির উদ্দিন, সমাজ সেবক ফখরুদ্দিন আহমেদ, মাওলানা মাজহার ইসলাম, জাসদ শাজাহান সিরাজের সভাপতি এম জব্বার, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক সমীর রঞ্জন দাস ও দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন প্রমুখ।
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মপ্রাণ মানুষ ছিলেন বঙ্গবন্ধু : ফরাসউদ্দিন
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেছেন, একটা মানুষ বাংলাদেশের মানুষকে কতটা নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসতে পারে তা বঙ্গবন্ধুকে দেখে জানতে পেরেছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে হয়তো বাংলাদেশের জন্ম হতো না। বঙ্গবন্ধু, ৬ দফা, পাকিস্তানি গণহত্যা এসব বিষয়ে পিএইচডি-এর ব্যবস্থা করে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানানো উচিত। সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মপ্রাণ একজন মানুষ ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার ছিল সততা, নিষ্ঠা, বাঙালি জনগণ তথা গরিব জনগণের প্রতি গভীর প্রেম যার ফলে বাংলাদেশ এবং এদেশের মানুষের কল্যাণে জীবন দিতেও ভয় করেনি। শনিবার (২২জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরামের (ইআরডিএফবি) উদ্যোগে আয়োজিত ‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, বাঙালি জনগণের সকল অধিকার নিশ্চিতকরণে তিনি সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন। অসাধারণ সাহসী এবং পিতার চেয়েও জেদি জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য বদলাতে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে দিয়েছেন। তার অক্লান্ত পরিশ্রমে বাংলাদেশের রিজার্ভ আজ কম হলেও ২৫০০ বিলিয়ন ডলার হয়েছে যা ১৯৭৩ এ ছিল মাত্র ১৮০০ ডলার। কৃষি এবং কৃষকের উন্নয়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, জিডিপির আকার বৃদ্ধি, করোনাকালে বাংলাদেশের কম মৃত্যু ইত্যাদি এইসব সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্ব। প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্বে ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে উঠবে বলে বিশ্বাস রাখি। উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশ শীর্ষক এই সেমিনার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও ইআরডিএফবির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন আহমেদ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন এবং রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সেলিনা হোসেন, ইআরডিএফবিএর সিনিয়র সভাপতি এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খান। ইআরডিএফবিএর সাধারণ সম্পাদক এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া সঞ্চালনা করেন। সেমিনারে অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, তারুণ্যই হলো অদম্য বাংলাদেশের শক্তি। আমরাই একমাত্র জাতি যারা বঙ্গবন্ধুর মতো একজন বিশ্ব বিখ্যাত নেতা পেয়েছি, ৭ মার্চের ভাষণ পেয়েছি। এদেশে ৭৫ হয়েছে সেটা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত এই বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র, মিথ্যাচার ও অপবাদ দিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না। বঙ্গবন্ধুর মতো আদর্শিক নেতা ও জননেত্রী শেখ হাসিনার মতো এমন মিরাকল লেডি থাকতে বাংলাদেশ কেন বিদেশি বন্ধুদের দ্বারা পরিচালিত হবো? বঙ্গবন্ধু যেমন বিশ্বে বিরল নেতা তেমনি শেখ হাসিনাও বিশ্বে পিতার মতো বিরল। জাতির পিতা এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার এই অদম্য বাংলাদেশকে কোনোভাবেই দমিয়ে রাখা সম্ভব না। সংগ্রামের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি আমরা সুতরাং আমাদের গণতন্ত্রের সবক দেওয়াটা ঠিক নয়।
২২ জুলাই, ২০২৩
/
অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশ পরিচালিত হচ্ছে : আ ক ম মোজাম্মেল
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ’৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা বাংলাদেশকে ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। খুনি মোশতাক, জিয়া ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দিয়ে ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন করেন। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর আবার অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশ পরিচালিত হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় মূলনীতির অন্যতম ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ সংবিধানে সন্নিবেশিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার গাজীপুরে ভাওয়াল রাজাদের প্রচলিত ঐতিহ্যবাহী শতাব্দী প্রাচীন শ্রী শ্রী মাণিক্য মাধবের রথযাত্রা ও রথমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সকালে জেলা শহরের রথখোলায় রথটানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রথযাত্রা শুরু হয়। অনুষ্ঠানে গাজীপুরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন গাজীপুর মহানগর উপপুলিশ কমিশনার আবু তোরাব মো. শামসুর রহমান, জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নন্দিতা মালাকার, গাজীপুর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুদীপ কুমার চক্রবর্তী। সভা শেষে প্রধান অতিথি রথ সংশ্লিষ্ট ও হাজারো পুণ্যার্থী নিয়ে ভক্তি সহযোগে রথ টান দিয়ে রথযাত্রা ও রথমেলার উদ্বোধন করেন। এর আগে পালকি সহযোগে দেবতা মাণিক্য মাধবকে রথে অধিষ্ঠান করা হয়। রথ টানের মধ্য দিয়ে মাণিক্য মাধব নিজ বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছেন। আগামী বুধবার উল্টো রথযাত্রায় মাণিক্য মাধবের নিজ বাড়ি ফেরার মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ রথযাত্রা। রথযাত্রা উপলক্ষে মেলায় শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য নানা রকমের পসরা নিয়ে বসেছেন দোকানিরা। বসেছে হরেক রকম পণ্যের স্টল। দেড়শ বছর আগে গাজীপুরের ভাওয়াল রাজারা এ মাণিক্য মাধবের রথযাত্রা ও রথমেলার প্রচলন করেন।
২১ জুন, ২০২৩
আরও
X