বাজারভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় হার দেখতে চায় আইএমএফ
বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রা টাকার বিনিময় হার নির্ধারণে বাজারভিত্তিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে বাংলাদেশকে ফের পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। অর্থনীতির আঞ্চলিক পূর্বাভাস দিয়ে মঙ্গলবার অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন বলেন, মুদ্রার বিনিময় হার ‘নমনীয়’ (বাজারভিত্তিক) করার পদক্ষেপ নিলে বাংলাদেশ আর্থিক হিসাব ভালো হওয়ার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ফল পাবে। ‘আইএমএফের রিজিওনাল ইকোনমিক আউটলুক অ্যান্ড এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক’-এর প্রকাশ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। ২০২২ সালের প্রথমদিকে আইএমএফের কাছে ঋণের আবেদন করার পর থেকেই পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে আর্থিক খাতে সংস্কার শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। রিজার্ভ বাড়াতে ঋণ চুক্তিতে আসার পর থেকে আর্থিক খাতের বিভিন্ন নীতি সংস্কারের পরামর্শ দিয়ে আসছে আইএমএফ। গত দেড় বছরের বেশি সময় ধরেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে নানামুখী উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। আমদানি নিয়ন্ত্রণ করার পরও রিজার্ভ বাড়ছে না। আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তিতে গিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তি পেয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় কিস্তি ছাড়ার আগে সংস্থাটির একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করছে। এমন সময়ে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হার নিয়ে নিজেদের কথা ফের ব্যক্ত করল আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। আর্থিক খাতের সংস্কারের অংশ হিসেবে মুদ্রা বিনিময় হার বাজারমুখী করতে আইএমএফের পরামর্শ আছে চুক্তির শর্তে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বিনিময় হার নির্ধারণ করে আসছে ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করেই ডলারের দর নির্ধারণ করে আসছে সংগঠন দুটি। গত জানুয়ারিতে মুদ্রানীতি ঘোষণায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছিল, বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এবিবি ও বাফেদার ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গভর্নর বলেছিলেন, আগামী জুনের মধ্যে বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারমুখী হবে। কিন্তু ঘোষণার বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ এখনো দেখা যাচ্ছে না। বাংলাদেশের আর্থিক হিসাবে (ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট) এখনো ঘাটতি আছে জানিয়ে শ্রীনিবাসন বলেন, ‘এ ঘাটতি মেটাতে বাংলাদেশের উচিত হবে নমনীয় বা বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালু করা।’ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের আট মাসে আর্থিক হিসাবে ঘাটতি হচ্ছে ৮৩৬ কোটি ডলার। এ ঘাটতি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেশি। অন্যদিকে চলতি হিসাবে ঘাটতি পূরণ করে ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে বাংলাদেশ। গত ফেব্রুয়ারি শেষে তা দাঁড়িয়েছে ৪৭৬ কোটি ডলার। এশিয়ার দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি কমছে উল্লেখ করে সংস্থাটি বলছে, নিউইয়র্ক ফেডের সুদহার বৃদ্ধির বিষয়ে দক্ষিণ এশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর উচিত হবে বিষয়টিতে সতর্ক থাকা। স্থানীয় পণ্যর মূল্য স্থিতিশীল রাখতে তদারকি করতে হবে। কভিড-১৯ মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, যার প্রভাব এ অঞ্চলের অর্থনীতিতেও পড়েছে। সেদিকে ঈঙ্গিত দিয়ে আইএমএফের এ কর্মকর্তা বলেন, এই ধাক্কা থেকে অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। টেকসই পুনরুদ্ধারের জন্য রাজস্বনীতির সংস্কার যেমন দরকার, তেমনি দরকার মুদ্রা বিনিময় হারকেও নমনীয় করা। আইএমএফ পূর্বাভাস দিয়ে বলেছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার হতে পারে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। এ হার গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের চেয়ে কিছুটা কম। আগের অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৬ শতাংশ। অন্যদিকে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করেছে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। আর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি চলতি অর্থবছরে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে বলে মনে করে সংস্থাটি।
০১ মে, ২০২৪

রিজার্ভ নিয়ে কঠোর অবস্থানে আইএমএফ
রিজার্ভের লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে উদ্বেগ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তাদের দাবি, কোনো পদক্ষেপেই দেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষয় ঠেকাতে পারছে না বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ক্ষেত্রে রিজার্ভ ধরে রাখার ব্যর্থতার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন ভুল নীতিকেই দায়ী করেছে আইএমএফ। একই সঙ্গে মিশন শেষের আগে রিজার্ভের লক্ষ্য পূরণে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা চেয়েছে সংস্থাটি। এ ছাড়া খেলাপি ঋণের পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশ, খেলাপিদের কোনো সুবিধা না দেওয়া ও অর্থ পাচার ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চেয়েছে আইএমএফ। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ঢাকায় সফররত আইএমএফের প্রতিনিধিদল এসব তথ্য চায়। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস, চার ডেপুটি গভর্নর, মুখপাত্র ও বিভিন্ন বিভাগের নির্বাহী পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। একাধিক বৈঠকে রিজার্ভ ধরে রাখায় ব্যর্থতার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন ভুল নীতিকেই দায়ী করেছে আইএমএফ। একই সঙ্গে বারবার সময় নেওয়ার পরও কেন রিজার্ভের লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না, এ বিষয়ে লিখিত বক্তব্য এবং লক্ষ্য পূরণে নতুন কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা চেয়েছে আন্তর্জাতিক এই দাতা সংস্থা। এ ক্ষেত্রে মিশন শেষ হওয়ার আগে সমাপনী বৈঠকের আগেই এ বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা জমা দিতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংককে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় উঠে এসেছে, গতকাল গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের পরামর্শে বিপিএম-৬ অনুযায়ী হিসাবে তা ১৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার। এটি অবশ্য প্রকৃত রিজার্ভ নয়। আর প্রকৃত ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ বের করতে বিপিএম ম্যানুয়াল থেকে চলতি দায় বাবদ আকু বিল, বৈদেশিক পাওনা, প্রকল্প বকেয়া বিল এবং বিশেষ পরিপূরক মুদ্রার (এসডিআর) বকেয়া হিসাবে ৫ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার বাদ দিতে হবে। সেই হিসাবে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন ডলার। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চে গড় আমদানি ব্যয় ছিল যথাক্রমে ৫ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ৫ দশমিক ২০ বিলিয়ন এবং মার্চে ৫ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার। চলতি পঞ্জিকা বর্ষের মার্চ মাসেও প্রকৃত রিজার্ভ সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ। মার্চ শেষে প্রকৃত রিজার্ভ থাকার কথা ১৯ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার; কিন্তু বাস্তবে ছিল প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের জুনে ২৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও নিট রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্র বলছে, খেলাপি ঋণের তথ্য প্রকাশে কোনো গলদ রয়েছে কি না, সে বিষয়ে জানতে চেয়েছে আইএমএফ। একই সঙ্গে মামলায় আটকা, পুনঃতপশিল ও অবলোপনকে ব্যাংকের খারাপ সম্পদ হিসেবে গ্রাহকদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে কি না, সে বিষয়েও তারা জানতে চায়। এ ছাড়া খেলাপি ঋণ আদায়ে খেলাপিদের বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো সুবিধা দিচ্ছে কি না, তা-ও সংস্থাটিকে অবহিত করতে বলা হয়েছে। যদি খেলাপিদের ব্যাপারে কোনো উদারতা দেখানো হয়, সেখান থেকে ফিরে আসতেও বলা হয়েছে। যদিও সম্প্রতি পুনঃতপশিল ও অবলোপন নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের করা নীতিমালার বিষয়ে তেমন কোনো মন্তব্য করেনি সংস্থাটি। এ ছাড়া দেশ থেকে কী পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে, সে বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য চেয়েছে সংস্থাটি। পাশাপাশি অর্থ পাচার ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপের অগ্রগতি সম্পর্কে তথ্য ও পাচার ঠেকাতে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানায় সংস্থাটি। বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, মুদ্রা বাজার ব্যবস্থাপনা, রিজার্ভ, খেলাপি ঋণসহ অনেক বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে জানতে চেয়েছে আইএমএফ। তবে রিজার্ভে অব্যাহত ক্ষয়ে উদ্বিগ্ন সংস্থাটি। সে ক্ষেত্রে ক্ষয় ঠেকাতে নতুন কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, সে বিষয়েও জানতে চেয়েছে তারা। তবে এটি ঋণের কিস্তি ছাড়ে বাধা হবে না বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, আইএমএফ রিজার্ভে লক্ষ্যমাত্রা আবারও রিভিউ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, রিজার্ভের বর্তমান অবস্থা, বিনিময় হার এবং স্মার্ট রেট নিয়ে কথা বলেছে আইএমএফ টিম। বিশেষ করে আর্থিক খাতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে একটি সমীক্ষা পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ। একই সঙ্গে জলবায়ু খাতে বিনিয়োগের জন্য একটি মডিউল তৈরি করতে বলেছে সংস্থাটি।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

অর্থনীতির স্থিতিশীলতায় পদক্ষেপ জানতে চায় আইএমএফ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে—বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান উৎস রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স সূচকে স্থিতিশীলতা নেই। মূল্যস্ফীতিতে অস্বস্তি রয়েছে। ঘাটতি আছে সরকারি আয়ের উৎস রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রেও। এমন বাস্তবতায় সরকার সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, সেগুলো জানতে চেয়েছে আইএমএফ। একই সঙ্গে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে সরকারি আয় বাড়াতে রাজস্ব আহরণ বাড়ানোরও তাগিদ দেওয়া হয় সংস্থাটির পক্ষ থেকে। অন্যদিকে বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের স্থিতিশীলতা রক্ষায় রিজার্ভ সংরক্ষণ ও খেলাপি ঋণ কমানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেওয়া হালনাগাদ পদক্ষেপ এবং বাজারভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় হার ও সুদের হার বাস্তবায়নে সবশেষ অবস্থাও খতিয়ে দেখতে চেয়েছে আইএমএফ। গতকাল বুধবার ঢাকা সফররত আইএমএফর ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় এসব বিষয় সামনে আনে। এ সময় সংস্থাটির প্রতিনিধিদলের সদস্যদের এসব বিষয় জানার আগ্রহ পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনের মাধ্যমে হালনাগাদ পদক্ষেপ ও তথ্য-উপাত্ত দিয়ে নিবারণের চেষ্টা করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। উল্লেখ্য, আগামী ৮ মে পর্যন্ত প্রতিনিধিদলটি ঢাকায় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড়াও এনবিআর, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়, কৃষি, বাণিজ্যসহ আরও কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে প্রতিনিধিদলটির। এ ছাড়া আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাওয়া যাবে আগামী জুন মাসে। এ কারণে বাংলাদেশকে দেওয়া ঋণের শর্ত পূরণের কাজ পর্যালোচনা বা রিভিউ করবে প্রতিনিধিদলটি। প্রথম দিনের বৈঠক শেষে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, গত মঙ্গলবার আইএমএফের মিশনটি বাংলাদেশে এসেছে। বুধবার তাদের সঙ্গে এই সফরের প্রথম বৈঠক হয়েছে। উভয় বৈঠকেই তারা ঋণের শর্ত হিসেবে বাংলাদেশের নেওয়া হালনাগাদ অবস্থা জানতে চেয়েছে। প্রথম দিনের আলোচনায় তেমন কোনো পরামর্শ আসেনি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, অর্থ বিভাগের সঙ্গে প্রথম দিনের আলোচনায় তারা সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষার ওপর জোর দিয়েছে। কারণ, তারা ভালো করেই জানে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় না থাকলে তাদের দেওয়া সব শর্ত পূরণ করা সম্ভব হবে না। এই বাস্তবতায় সংস্থাটির ঢাকা সফররত প্রতিনিধিদলটি এ আলোচনায় সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য জ্বালানি ভর্তুকি কমিয়ে আনা, বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের পরিমাণ বাড়ানো, ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনা এবং ভ্যাট ও কর আদায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সক্ষমতা আরও বাড়ানোর বিষয়ে তারা যে বেশ সরব হবে, সেটি স্পষ্ট হয়েছে। দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিশেষ করে—রাশিয়া-ইউক্রেন, মধ্যপ্রাচ্য সংকটসহ বিভিন্ন কারণে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কীভাবে ধরে রাখা যাবে, সে বিষয়ে আলোচনা করে সংস্থাটি। এতে ডলার সংকটের কারণে আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত হওয়ার বিষয়টিও গুরুত্ব পায়। এ ছাড়া গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশের রাজস্ব আদায় জিডিপির আট থেকে নয় শতাংশ। আলোচনায় সরকারের আয় বাড়াতে রাজস্ব খাতে সংস্কারের হালনাগাদ তথ্য জানতে চাওয়া হয়। এ ছাড়া আইএমএফ প্রতিনিধিদলটি ব্যাংকিং খাতে বেশকিছু সংস্কার প্রস্তাব ও ব্যাংক কোম্পানি আইন বাস্তবায়নসহ অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করে। মুদ্রা বিনিময়ে চাপিয়ে দেওয়া দরের কারণেই দেশের আর্থিক হিসাব ঋণাত্মক ও রিজার্ভে ক্ষয় অব্যাহত রয়েছে বলে মনে করে সংস্থাটি। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, সফররত প্রতিনিধিদলটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনায় মুদ্রানীতি, মূল্যস্ফীতি, বিদেশি বাণিজ্যের ভারসাম্য ও আউটলুক, মুদ্রা বাজার, তারল্য ব্যবস্থাপনা, আর্থিক খাত সংস্কার, খেলাপি ঋণ ও সুদের হার বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করেছে। জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ১০ এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলোর গড় খেলাপি ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে, সে বিষয়ে জানতে চেয়েছে আইএমএফ। পাশাপাশি দেশে স্মার্ট সুদের হার বাস্তবায়নের ফলে অর্থনীতিতে কী ধরনের প্রভাব পড়েছে, সে বিষয়েও তথ্য চেয়েছে। এ ছাড়া বিদেশি বাণিজ্যের স্থিতিশীলতা, রিজার্ভ সংরক্ষণ, মুদ্রা নীতি কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে, সে সব বিষয়েও তথ্য চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক কালবেলাকে বলেন, আইএমএফ মাত্র আমাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। আগামী ৮ তারিখ পর্যন্ত ধাপে ধাপে এই বৈঠক হবে। তাই এ মুহূর্তে কোনো ধরনের মন্তব্য করছি না।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

৬ শতাংশের নিচে থাকবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি: আইএমএফ
চলতি বছর বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের নিচে নেমে যেতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আইএমএফ। গতকাল মঙ্গলবার আইএমএফ সবশেষ ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকে বাংলাদেশ বিষয়ে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে। আউটলুকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) চলতি বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে, গত অক্টোবরের আউটলুকে যা ছিল ৬ শতাংশ। উচ্চ মূল্যস্ফীতির এ সময়ে অর্থনীতির টানাপোড়েনের মধ্যে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) সরকারের প্রত্যাশা অনুযায়ী যেমন বাড়বে না, তেমনি আর্থিক হিসাব বছর শেষে জনজীবনে মূল্যস্ফীতির চাপও আগের চেয়ে বাড়বে বলে সবশেষ প্রতিবেদনে বলেছে সংস্থাটি। তবে আগামী বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আইএমএফ।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী দেশের তালিকা জানাল আইএমএফ
বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে দ্বিতীয় বৃহত্তম ঋণদাতা সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। মোট দেশজ উৎপাদন (ডিডিপি), মাথাপিছু আয় এবং সাধারণ জনগণের ক্ষয়ক্ষমতার ভিত্তিতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদেনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ইউরোপের অন্যতম ক্ষুদ্রতম দেশ লুক্সেমবার্গ। আয়তনে দুই হাজার ৫৮৫ বর্গকিলোমিটারের দেশটির মাথাপিছু আয় এক লাখ ২০ হাজার ৩১২ ডলার। তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আয়ারল্যান্ড। দেশটির মাথাপিছু আয় এক লাখ ১৭ হাজার ৯৮৮ ডলার।  তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ড। দেশটির মাথাপিছু আয় এক লাখ ১০ হাজার ২৫১ ডলার। এরপরে এক লাখ দুই হাজার ৪৬৫ ডলার মাথাপিছু আয় নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে নরওয়ে। পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর। দেশটির মাথাপিছু আয় ৯১ হাজার ৭৩৩ ডলার।  তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে আইসল্যান্ড। দেশটির মাথাপিছু আয় ৮৭ হাজার ৮৭৫ ডলার। সপ্তম অবস্থানে রয়েছে কাতার। দেশটির মাথাপিছু আয় ৮৪ হাজার ৯০৬ ডলার। এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির মাথাপিছু আয় ৮৩ হাজার ৬৬ ডলার। নবম অবস্থানে রয়েছে ডেনমার্ক। দেশটির মাথাপিছু আয় ৭২ হাজার ৯৪০ ডলার। তালিকায় সর্বশেষ অবস্থানে রয়েছে ম্যাকাও এসএআর। দেশটির মাথাপিছু আয় ৭০ হাজার ১৩৫ ডলার।  কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রথম পরিমাপক হলো জিডিপি। এটি মূলত কোনো দেশের বার্ষিক পণ্য-পরিসেবা উন্নয়নের সামষ্টিক হিসাব। এ হিসাবকে মোট জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ দিলে যে কোনো দেশের মাথাপিছু আয় বের করা যায়। তবে আইএমএফ এ তালিকায় মাথাপিছু আয়ের সঙ্গে জনগণের গড় ক্রয়ক্ষমতাকেও যোগ করা হয়েছে।  আইএমএফ এ তালিকা বার্ষিক ও ত্রিমাসিক হিসেবে প্রকাশ করে থাকে। এবারের প্রকাশিত তালিকাটি হলো ত্রিমাসিক। গত বুধবার এটি প্রকাশ করা হয়।   
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

৪০ শতাংশ চাকরি কেড়ে নেবে এআই: আইএমএফ
বিশ্বের প্রায় ৪০ শতাংশ চাকরিতে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভাগ বসাবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। একই সঙ্গে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সম্ভবত সামগ্রিক বৈষম্যের পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলবে। সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিলিনা জর্জিয়েভার মতে, বেশিরভাগ পরিস্থিতিতে এআই চাকরির এ বৈষম্য আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। তিনি নীতিনির্ধারকদের এই প্রবণতা মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোতে এআই প্রায় ৬০ শতাংশ চাকরির ওপর প্রভাব ফেলবে বলে অনুমান করছে আইএমএফ। হচ্ছে। এর মধ্যে অর্ধেক ক্ষেত্রে কর্মীরা এআইর ইন্টিগ্রেশন থেকে উপকৃত হওয়ার আশা করতে পারেন, যা তাদের উৎপাদনশীলতা আরও বাড়াবে। অন্যান্য ক্ষেত্রে এআই বর্তমানে মানুষের দ্বারা সম্পাদিত মূল কাজগুলো সম্পাদনের ক্ষমতা রাখবে। এটি শ্রমের চাহিদা কমাতে পারে, মজুরিতে প্রভাব ফেলতে পারে, এমনকি চাকরির বাজারও ধ্বংস করতে পারে। তবে আইএমএফ বলছে, এআই নিম্ন আয়ের দেশগুলোর ২৬ শতাংশের চাকরির ওপর প্রভাব ফেলবে। জর্জিয়েভা বলেন, ‘এআইর সুবিধা কাজে লাগানোর মতো অবকাঠামো বা দক্ষ জনবল অনেক নিম্ন আয়ের দেশের নেই, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দেশগুলোর মধ্যে বৈষম্য আরও বাড়িয়ে তোলার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।’ জর্জিয়েভা বলেন, ‘দেশগুলোর জন্য ব্যাপক সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি এবং ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমিকদের জন্য পুনঃপ্রশিক্ষণ কর্মসূচি প্রদানের মাধ্যমে আমরা এআই রূপান্তরকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে পারি, জীবিকা রক্ষা করতে পারি এবং বৈষম্য রোধ করতে পারি।’
১৬ জানুয়ারি, ২০২৪

এবার বাংলাদেশকে তিন বিষয়ে জোর দিতে বলল আইএমএফ
ঋণ ছাড়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কিছু পরামর্শ দিয়েছিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এবার বাংলাদেশকে তিন বিষয়ে জোর দিতে বলেছে সংস্থাটি।  বিষয়গুলো হচ্ছে- কর রাজস্ব বৃদ্ধি এবং কম গুরুত্বপূর্ণ খাতে ব্যয় কমানো, মূল্যস্ফীতি কমানোসহ মুদ্রানীতি কাঠামোর আধুনিকীকরণ করা এবং ব্যাংক খাতে তদারকি বৃদ্ধিসহ আর্থিক খাতে সংস্কার আনা। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আইএমএফ এ কথা বলেছে। সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত ও সমাপনী বক্তব্য দেন আইএমএফের এশীয় ও প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দ।  বাংলাদেশের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ মার্কিন ডলার ছাড় করেছে আইএমএফ। ওয়াশিংটনে আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ে গত মঙ্গলবার সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দ্বিতীয় কিস্তির ঋণের অর্থ ছাড়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। এ উপলক্ষে আইএমএফের এশীয় ও প্যাসিফিক বিভাগ আজ সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করে। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে আইএমএফের প্রতিনিধি জয়েন্দু দে। এ সময় আইএমএফ বলেছে, সরকার সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। যেমন বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রানীতি কঠোর করেছে, মুদ্রা বিনিময় হার নমনীয় করার অনুমতি দিয়েছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা সন্তোষজনকই এবং আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির বেশির ভাগ লক্ষ্যমাত্রা ও সংস্কারের প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশ পূরণ করেছে। ভালো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য বেসরকারি খাতের মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে গভীর করার পরামর্শ দেন রাহুল আনন্দ। বাংলাদেশ গত জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। আইএমএফের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে যে অব্যাহতি চেয়েছিল বাংলাদেশ, সংস্থাটি তা অনুমোদন করেছে। চলতি ডিসেম্বর শেষে রিজার্ভ সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে নতুন করে। আইএমএফ বলেছে, ডিসেম্বর শেষে নিট রিজার্ভ থাকার কথা ছিল ২৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। এখন তা ১৭ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার থাকলেই হবে। রিজার্ভে যুক্ত হলো আইএমএফের ঋণ এদিকে দেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের জন্য অনুমোদিত আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ। এই অর্থের পরিমাণ ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক। তিনি বলেন, আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে অনুমোদিত ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার রিজার্ভের সাথে যুক্ত হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে বিশ্বব্যাংক ও এডিবিসহ অন্যান্য ঋণের আরও ৬২ কোটি ডলার যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। সব মিলিয়ে চলতি মাসে রিজার্ভে যুক্ত হবে ১৩১ কোটি ডলার। আর্থিক সংকটের সময়ে এটা আমাদের স্বস্তির খবর।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

মুদ্রানীতি আরও সংকোচনমুখী করতে বলল আইএমএফ
স্বল্পমেয়াদে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে মুদ্রানীতিকে আরও সংকোচনমুখী, নিরপেক্ষ রাজস্ব নীতি এবং মুদ্রার বিনিময় হারের ক্ষেত্রে আরও নমনীয় হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ চুক্তির দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার ছাড়ের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় সংস্থাটি, যা আজ বৃহস্পতিবার (বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী শুক্রবার) রিজার্ভে যুক্ত হবে। আইএমএফের বৈঠকে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি অনুমোদনের সময় দেশের অর্থনীতির মূল্যায়ন করে সংস্থাটি যে বিবৃতি দিয়েছে, সেখানে এসব পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নির্বাহী বোর্ডের আলোচনার পর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ার আন্তোয়েনেট সায়েহ এ বিবৃতি দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইএমএফের দেখানো পথেই এগোচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা আগামী মুদ্রানীতিতে প্রকাশ পাবে। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত মুদ্রানীতির সংকোচনমুখী ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন। বর্ধিত ঋণ সহায়তা (ইসিএফ), বর্ধিত তহবিল সহায়তা (ইএফএফ) ও রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ)—এ তিনটি ভাগে ঋণ দিচ্ছে আইএমএফ। এবার ইসিএফ বা ইএফএফের আওতায় ৪৬ কোটি ৮৩ লাখ ডলার এবং আরএসএফের আওতায় ২২ কোটি ১৫ লাখ—সব মিলিয়ে ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার ঋণ ছাড় করেছে সংস্থাটি। বিবৃতিতে মুদ্রানীতির কাঠামো আরও আধুনিকায়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগের প্রশংসা করেছে আইএমএফ। মুদ্রানীতি আধুনিক হলে তার মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি কমার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতির প্রভাব জোরদার হবে। মুদ্রার একক বিনিময় হার গ্রহণের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে আইএমএফ এ ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে আরও নমনীয় হওয়ার ওপর জোর দিয়েছে। তারা মনে করে, অর্থনীতির বহিস্থ ধাক্কা মোকাবিলায় এটি জরুরি। এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবসহ বৈশ্বিক মন্দার প্রভাব পড়েছে, যা করোনা মহামারি-পরবর্তী পুনরুদ্ধারকে বাধাগ্রস্ত করেছে। এর ফলে প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ কমেছে এবং মূল্যস্ফীতি গত আগস্ট মাসে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ হয়েছে, যা এযাবৎকালের সর্বোচ্চ। এমন বিবেচনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের ৬ শতাংশ প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমতির দিকে থাকলেও রপ্তানি ঘুরে দাঁড়াবে বলে মনে করছে সংস্থাটি। কঠোর মুদ্রানীতি ও নিরপেক্ষ রাজস্ব নীতির কল্যাণে মূল্যস্ফীতির হার আগামী অর্থবছরের শেষ নাগাদ ৭ দশমিক ২৫ শতাংশে নেমে আসতে পারে। রাজস্ব ঘাটতি জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশের মধ্যে থাকবে। আইএমএফ মনে করে, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি ও প্রবৃদ্ধি সহায়ক বিনিয়োগ জরুরি। করনীতি সংশোধন ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে কর-রাজস্ব বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছে সংস্থাটি। ভর্তুকির যৌক্তিকীকরণ, ব্যয় করার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আরও দক্ষতার সঙ্গে আর্থিক ঝুঁকি মোকাবিলায় গুরুত্ব দিয়েছে তারা। উন্নয়নের জন্য দেশে অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। এ বাস্তবতায় আইএমএফ মনে করে, আর্থিক খাতের সংস্কার জরুরি। ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকি কমাতে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ কমানোর পাশাপাশি পুঁজি পুনরুদ্ধারে বিশেষ কৌশল প্রণয়নের তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি। পরিচালকরা এ বিষয়ে একমত যে, ব্যাংক খাতের তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ কাঠামো জোরদার করা, শাসন ব্যবস্থার উন্নতি ও দেশীয় পুঁজিবাজারের উন্নয়ন করা গেলে আর্থিক খাতের দক্ষতা বাড়বে এবং উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের উচ্চ ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশ। এই পরিস্থিতিতে আইএমএফ মনে করে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব রোধে সরকারি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা উন্নত করা প্রয়োজন; সেইসঙ্গে পরিবেশবান্ধব সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করার তাগিদ দিয়েছে তারা। সংস্থাটি মনে করছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা ব্যবস্থা উন্নত হলে তা আর্থিক খাতের আঘাত সহ্য করার ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বেসরকারি খাতের তহবিলও পাওয়া যাবে। দেশের অর্থনীতিতে অনেক দিন ধরেই নানাবিধ সংস্কার প্রয়োজন—উচ্চমধ্যম আয়ের কাতারে পৌঁছাতে গেলে এসব জরুরি বলে মনে করে আইএমএফ। সেইসঙ্গে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) বৃদ্ধি, রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ ও সামগ্রিকভাবে প্রবৃদ্ধির গতি বাড়াতে শ্রমশক্তিতে বাণিজ্য উদারীকরণ, বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নয়ন, শ্রমশক্তির দক্ষতা উন্নয়ন ও নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা জরুরি। বাংলাদেশের অর্থনীতি বহুমুখী বাহ্যিক আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আইএমএফের পরিচালকরা মনে করেন, কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও সংস্থাটির শর্ত পরিপালনে বাংলাদেশ সামগ্রিকভাবে পথচ্যুত হয়নি। এ ছাড়া সম্প্রতি বাংলাদেশ যেসব সংশোধনমূলক ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে ও জরুরি সংস্কার বাস্তবায়নে জোর দিচ্ছে, তাকে স্বাগত জানিয়েছে সংস্থাটি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইএমএফের পরিচালকরা মনে করেন, স্বল্পমেয়াদি নীতি প্রণয়নের লক্ষ্য হওয়া উচিত মূল্যস্ফীতির রাশ টানা এবং বহিস্থ ধাক্কা মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধি। সেটা করার ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে, সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া মানুষের ওপর যেন তার প্রভাব না পড়ে। শক্তিশালী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশবান্ধব প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতে কাঠামোগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার গুরুত্ব তুলে ধরেছে আইএমএফ। আইএমএফের এসব পরামর্শ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, স্বল্পমেয়াদে মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতিতে সংকোচনমুখী ধারা বজায় রাখার যে পরামর্শ আইএমএফ দিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টির সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। আগামী মুদ্রানীতিতে এর প্রকাশ থাকবে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত মুদ্রানীতির সংকোচনমুখী ধারা অব্যাহত থাকবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

আইএমএফ - আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ জাতিসংঘ অনুমোদিত স্বায়ত্তশাসিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান। যাদের প্রধান কাজ হলো বিভিন্ন দেশের মুদ্রামানের হ্রাস-বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করা। প্রতিষ্ঠাকালে ২৯টি দেশ চুক্তিতে উপনীত হয়েছিল। এর সদর দপ্তর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি শহরে অবস্থিত। ২০১৬ সালের ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ১৮৯টি রাষ্ট্র এই সংস্থার কার্যক্রমের আওতাভুক্ত। আইএমএফের ইতিহাস আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ধারণা প্রথম সূচিত হয় ১৯৪৪ সালের ২২ জুলাই। এর কার্যক্রমের গোড়াপত্তন ব্রেটন উডস সম্মেলনে (পূর্ববর্তী জাতিসংঘের অর্থ ও আর্থিক সম্মেলনে) মিলিত হয়ে ৪৫টি সদস্য রাষ্ট্রের অর্থনীতি এবং তাদের আন্তর্জাতিক লেনদেনের ভারসাম্য রক্ষার লক্ষ্য নিয়ে। বিশ্বের বিভিন্ন অর্থনীতির দেশের সঙ্গে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতও যোগ দেয়। ভারতের তরফে প্রতিনিধিত্ব করেন ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের প্রথম ভারতীয় গভর্নর চিন্তামন দ্বারকানাথ দেশমুখ ও ভারতের প্রথম অর্থমন্ত্রী রামসাময় কান্দসামি শানমুখাম চেট্টি। ১৯৪৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর ২৯টি রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক লেনদেন ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল এবং নিয়ন্ত্রণযোগ্য রাখার লক্ষ্য নিয়ে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এর ভিত্তিতেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আনুষ্ঠানিকভাবে স্থাপিত হয়। আন্তর্জাতিক ব্যবসায়-বাণিজ্যে স্থিতিশীলতা আনয়নই এই সংস্থার মূল লক্ষ্য। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের একটি ‘বোর্ড অব গভর্নর্স’ রয়েছে যা এই সংস্থার সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক পর্ষদ। একজন মূল গভর্নর এবং প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রের জন্য একজন করে পর্যায়ক্রমিক গভর্নর নিয়ে এই বোর্ড অব গভর্নর্স গঠিত। সদস্য দেশগুলো স্ব-স্ব গভর্নর নিযুক্ত করে। ২০১৪ সালের মার্চের শেষদিকে আইএমএফ ক্রিমিয়া বিপ্লবের পর ইউক্রেনের অস্থায়ী সরকারের জন্য ১৮ বিলিয়ন ডলার সংকটকালীন তহবিল ঘোষণা করে। আইএমএফ বোর্ড ২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে থাকা নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য আরএসএফ তহবিল অনুমোদন করে। ২০২২ সালের পহেলা মে থেকে তহবিলটি কার্যকর হয়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ‘রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফান্ড’ (আরএসএফ) থেকে ঋণ গ্রহণকারী এশিয়ার প্রথম দেশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আইএমএফের এই ঋণ গ্রহণকারী বিশ্বের প্রথম দেশ হচ্ছে বার্বাডোস, এর পরের স্থানেই আছে কোস্টারিকা ও রুয়ান্ডা। তবে আরএসএফ থেকে ঋণ পাওয়ার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। আইএমএফের কার্যাবলি আইএমএফ উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন এবং দারিদ্র্য হ্রাসে সহায়তা করার জন্য নীতিমালা প্রদান এবং সদস্যদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে কাজ করে। এর কারণ হলো যে ব্যক্তিগত আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজারগুলো ত্রুটিপূর্ণভাবে কাজ করে এবং অনেক দেশে আর্থিক বাজারগুলোতে সীমিত প্রবেশাধিকার থাকে। এ ধরনের বাজার অসম্পূর্ণতা এবং ভারসাম্যপূর্ণ পারিশ্রমিক অর্থনীতি ব্যবস্থার উন্নতির জন্য সংস্থাটি সরকারি অর্থায়নের ন্যায্যতা প্রদান করে। প্রতিষ্ঠানটি বিকল্প অর্থায়নের জোগান দেয়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটির তিনটি প্রধান কাজের একটি ছিল- বিভিন্ন দেশের মধ্যে মুদ্রা বিনিময় মূল্য তত্ত্বাবধান করা, যার মাধ্যমে দেশগুলো তাদের বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারে। আইএমএফের কর্মকর্তাবৃন্দ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ক্রিস্তালিনা জর্জিয়েভা।  
১৭ নভেম্বর, ২০২৩

বিশ্বব্যাংক আইএমএফ কর্তাদের সঙ্গে হাসের বৈঠক
ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্বব্যাংকের চার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পিটার হাসের আমন্ত্রণে গতকাল বুধবার দুপুরে তার গুলশানের বাসভবনে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন বাংলাদেশে আইএমএফের আবাসিক প্রতিনিধি জয়েন্দু দে, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক, ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর সোলেইমান সৌলিবালি ও সিনিয়র ইকোনমিস্ট বার্নার্ড হ্যাভেন। তবে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান দুটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে পিটার হাসের আকস্মিক এ বৈঠকের কারণ জানা যায়নি।
১৬ নভেম্বর, ২০২৩
X