জনগণ যাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে, তার সঙ্গেই আমি কাজ করব : আইনমন্ত্রী
কসবা উপজেলা নির্বাচনে জনগণ যাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে, তার সঙ্গেই কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।  শুক্রবার (১৭ মে) জুমার নামাজের পূর্বে সমবেত দলীয় নেতা-কর্মী ও মুসল্লিদের উদ্দেশে এ কথা বলেন তিনি। আইনমন্ত্রী বলেন, আমার ইঙ্গিত জনগণের সঙ্গে, আমার জনগণ যাকে পছন্দ করবে, যাকে ভোট দিয়ে নির্বাচন করবেন সেই আমার। আমি হচ্ছি জনগণের। আমি আমার এলাকাবাসীকে পরিষ্কার বলেছি, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।  তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন আমাকে আশ্বস্ত করেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। আমার জনগণকে আমি বলেছি তাদের পছন্দমত ভোট দিতে। প্রতিদ্বন্দ্বি দুই জন প্রার্থীই আমার খুব কাছের। জনগণ যাকে পছন্দ করে তাকেই নির্বাচিত করলে তার সঙ্গে আমি কাজ করতে পারব। আমার কোনো অসুবিধা হবে না।  মন্ত্রী আরও বলেন, দু’জনই আওয়ামী লীগের নেতা এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের যেন তারা গালাগালি না করেন। নির্বাচনের পরের দিন থেকে আমাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না এবং আমরা একসঙ্গে কাজ করব। সেই জন্য তাদের মার্জিত ভাষায় ভোট চাইতে বলেছি।  এ সময় আইনসচিব গোলাম সারওয়ার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. রাশেদুল কাওসার ভুইয়ার, আইনমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব মাসুদ উল আলম, কসবা উপজেলার আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাজী মো. আজহারুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি ও উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছাইদুর রহমান স্বপন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ভুইয়া, কসবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ সদস্য ও কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, এম এ আজিজসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  
১৮ মে, ২০২৪

জনগণের কথা চিন্তা করে আইন তৈরি করতে হবে : আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিশেষ কারও চোখের দিকে তাকিয়ে কিংবা কারও ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষা করে ভালো আইন তৈরি করা যায় না। তাই যে যাই বলুক, আইন প্রণয়ণের ক্ষেত্রে সবসময় দেশের জনগণের কথা চিন্তা করতে হবে এবং জনবান্ধব আইন প্রণয়ন করতে হবে। তাহলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও উদ্দেশ্য উভয়ই বাস্তবায়ন হবে। রোববার (৫ মে) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) ২০২৪-২৫ এর খসড়া চূড়ান্তকরণবিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। মানসম্পন্ন আইন প্রণয়নে দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, লেজিসলেটিভ কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াতে দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি লেজিসলেটিভ ক্যাডার সার্ভিস গঠনের বিষয়েও কাজ করতে হবে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কর্মকর্তাদের আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘লজ অব বাংলাদেশ’ লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের খুবই জনবান্ধব একটি কাজ। এর মাধ্যমে জনগণ মুহূর্তেই বাংলাদেশে প্রচলিত সব আইন দেখে নিতে পারেন। এখন ‘লজ অব বাংলাদেশ’-এর আলোকে ১৯৭২ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে জারিকৃত সব এসআরও এবং অন্যান্য বিধি-বিধানের সংকলনে অনলাইনভিত্তিক ‘রুলস অব বাংলাদেশ’ তৈরি করা গেলে জনগণ খুবই উপকৃত হবে। এটি খুব তাড়াতাড়ি তৈরি করতে হবে।  লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় আইন ও বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে বিভাগের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাগণ অংশ নেন। 
০৫ মে, ২০২৪

ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের বিধান রেখে শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে : আইনমন্ত্রী
সব কারখানায় ১৫ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতিতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের বিধান রেখে বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন তথ্য জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, শ্রম আইন সংশোধন বিল পাস না হওয়া পর্যন্ত অংশীজনদের কিংবা যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা শ্রমিক অধিকারের কথা বলে, তাদের কথা শোনা হবে। কারণ, আমরা দেখব, আমাদের দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুযায়ী যে শ্রমিক অধিকার রক্ষা করা হয়, তার সঙ্গে অংশীজনদের পরামর্শের কোনো পার্থক্য আছে কি না।   সভায় আইএলওর পরামর্শ কী ছিল, জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, তাদের একটি পরামর্শ হচ্ছে, থ্রেশহোল্ড (ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের সম্মতির হার) কমিয়ে আনা। আমরা আগে এই থ্রেশহোল্ড ২০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছিলাম। কিন্তু সেটা যে কারখানায় তিন হাজার বা তার চেয়ে বেশি শ্রমিক আছে, তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়ার কথা। কিন্তু এখন সব কারখানার জন্য এই ১৫ শতাংশ থ্রেশহোল্ড রাখা হয়েছে। অর্থাৎ ১৫ শতাংশ শ্রমিকরা রাজি হলেই তারা একটি ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করতে পারবে। আইএলওর এই পরামর্শ মেনে নিয়ে তা সংশোধিত শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।    মি. হক বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) সারা বিশ্বের শ্রমিকদের একটি সংগঠন। সেখানে সবসময় শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা নিয়ে আলোচনা হয়। শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে তাদের সবসময় বক্তব্য থাকে, আমরা তা শুনছি এবং বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছি। আমরা তাদের সঙ্গে দরকষাকষির মধ্যে নেই।   তিনি বলেন, আইনটি সংশোধনের প্রাথমিক পর্যায়ে সারা বিশ্বে শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠার বেস্ট প্র্যাকটিসগুলো অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই চেষ্টায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার একটা অবদান আছে।   তিনি বলেন, শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা ও সুরক্ষার জন্য যার যার কথা শোনার, সেটা আমরা শুনব। আগামী ১২ মে আইনটি সম্পূর্ণ করার জন্য একটি সভার আয়োজন করব।   আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার পরিচালনা পর্ষদে বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকার নিয়ে কিছু দেশ ২০১৯ সালে নালিশ করেছিল। সেই নালিশের পরে আমরা বহুবার আইএলও’র পরিচালনা পর্ষদকে বলেছি, শ্রমিকদের অধিকার আমাদের দেশে কেবল রক্ষাই হয়নি, শ্রমিকদের অধিকার আরও সুদৃঢ় হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের বিরুদ্ধে অহেতুক যে নালিশ করা হয়েছে, সেটা শেষ হওয়া উচিত।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

আইনগত সহায়তা পাওয়া দরিদ্র-অসহায়দের অধিকার : আইনমন্ত্রী
সমাজের দরিদ্র-অসহায় নাগরিকদের আইনগত সহায়তা পাওয়ার সঙ্গে দেশের আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও সামাজিক সমতা জড়িত উল্লেখ করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আর্থিকভাবে অসচ্ছল যে কোনো নাগরিক আইনগত সহায়তা পাবেন, এটাই স্বাভাবিক। আইনগত সহায়তা পাওয়া তার প্রতি করুণা নয় বরং এটা তার অধিকার। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মূল সংবিধানেই গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সামাজিক সুবিচার ও সমতার বিধানাবলিসহ বিচার প্রক্রিয়ায় ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সকল নাগরিকের প্রবেশাধিকারের বিধান সন্নিবেশ করে গেছেন। রোববার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে দুজনকে সেরা লিগ্যাল এইড অফিসার ও প্যানেল আইনজীবী হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ একুশটি বছর আর্থিকভাবে অসচ্ছল মানুষগুলোর আইনগত সহায়তা পাবার অধিকারের প্রতি কেউ দৃষ্টি দেয়নি। ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তিনি প্রথমবার সরকার গঠন করেই ২০০০ সালে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন’ প্রণয়ন করেন। ফলে বাংলাদেশে প্রথম রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় অসচ্ছল ও সহায়-সম্বলহীন নাগরিকদের আইনগত অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের মূল উদ্দেশ্য- দরিদ্র অসহায় মানুষকে আইনগত সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রদান করা। তিনি বলেন, আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে আরও সফল ও বেগবান করে তুলতে হলে এটিকে অবশ্যই জনগণের দোরগোড়ায় অর্থাৎ যারা আইনি সহায়তা পাওয়ার যোগ্য তাদের কাছে নিয়ে যেতে হবে। আর তা করতে হলে উপজেলা ও ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটিকে অধিকতর কার্যকর করতে হবে। কারাগারগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। আইন সহায়তা প্রদানকালে পুঁথিগত আইন প্রয়োগের দৃষ্টির পাশাপাশি সামাজিক ও মানবিক দৃষ্টিকোণকেও স্থান দেওয়া উচিত। পাশাপাশি আইনগত সহায়তার বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ স্বঃপ্রণোদিত, দ্রুত ও কার্যকর আইনিসেবা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে অংশীদারত্ব বৃদ্ধির বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে প্রত্যেক লিগ্যাল এইড কমিটি, লিগ্যাল এইড অফিসার ও প্যানেল আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। আইনমন্ত্রী বলেন, মামলার সঠিক ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতি’ বা এডিআর মামলাজট নিরসনের সহায়ক একটি পন্থা হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। জার্মান সরকারের উন্নয়ন সংস্থা- জিআইজেডের এক সমীক্ষায় দেখা যায়, বাংলাদেশের ৮৭ ভাগ মানুষ স্থানীয় পর্যায়ে বিরোধ নিষ্পত্তিতে আগ্রহী এবং শতকরা ৩০ ভাগ নাগরিকের প্রাথমিক দ্বন্দ্বের কারণ প্রতিবেশির সঙ্গে ছোট-খাটো বিরোধ বা মারামারি যা স্থানীয়ভাবেই নিষ্পত্তিযোগ্য। এটি খুবই আশার কথা হলেও আমাদের স্থানীয় পর্যায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির হার অতি নগণ্য। এর মূল কারণ সামাজিক পরিবর্তন, সামাজিক উন্নয়ন, মানুষের ব্যস্ততা এবং মধ্যস্থতাকারীর প্রতি আস্থার অভাব। এমনি অবস্থার প্রেক্ষিত বিবেচনা করে আমরা ২০১৫ সালে ‘আইনি পরামর্শ ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি’ বিধিমালা প্রণয়ন করেছি এবং এতে লিগ্যাল এইড অফিসারদের মধ্যস্থতা করার পর্যাপ্ত ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। সুখবর হলো ওই ক্ষমতা প্রয়োগ করে লিগ্যাল এইড অফিসাররা জুলাই ২০১৫ থেকে মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ১ লাখ ১০ হাজার ৮৩৬টি বিরোধ নিষ্পত্তি করেছেন। তারা যেহেতু বিচারক এবং আইনি বিধি-বিধানের অধীনে মধ্যস্থতা করে থাকেন তাই লিগ্যাল এইড অফিসগুলো এখন বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে মানুষের আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। এ আস্থা আমাদের ধরে রাখতে হবে। এ আস্থা আমাদের আরও মজবুত করতে হবে, যোগ করেন আনিসুল হক। আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্থার সম্মানিত পরিচালক মোহাম্মদ আল মামুন। ‘স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’- এ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে আইন ও বিচার বিভাগ এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার উদ্যোগে সারা দেশের জেলা পর্যায়ে র‌্যালি, আলোচনাসভা, পথ প্রচার, লিগ্যাল এইড মেলা, ক্লায়েন্ট-আইনজীবী যৌথ সভা, সেরা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সেরা প্যানেল আইনজীবী পুরস্কার, ম্যাগাজিন/স্যুভেনির/দেয়ালিকা প্রকাশ, আলোকচিত্র প্রদর্শন, প্রচার ও প্রকাশনাসামগ্রী বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

ভয়ে বিএনপি আবোলতাবোল বলছে : আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, কোনো দল যখন তার রাজনৈতিক অস্তিত্ব নিয়ে ভয়ে থাকে, তখন তারা আবোলতাবোল বলতে থাকে। তাই বিএনপি এখন আবোলতাবোল বলছে। এটাকে কোনো কোনো ধর্তব্যের মধ্যেই ধরার প্রয়োজন নেই। ভারত আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছে-বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য তুলে ধরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে হার পাওয়ার প্রকল্পের আওতায় নারীদের ক্ষমতায়নে ও স্বাবলম্বী করতে ৮০ জন নারীর মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন আইনমন্ত্রী।  পাহাড়ে বর্তমান পরিস্থিতি রাজনৈতিক ঘোলাটে করার চেষ্টা কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, এ বিষয়ে আরও তথ্যাদি জানা প্রয়োজন। আরও তথ্যাদি না জানা পর্যন্ত আমি কোনো বক্তব্য দিতে চাই না। জেলা প্রশাসন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের আয়োজনে কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তেন পাওয়ার প্রকল্পের আওতায় নারীদের ক্ষমতায়নে ও স্বাবলম্বী করতে ৮০ জন নারীকে ছয় মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেই ৮০ জন নারীর মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আনিসুল হক।  ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখওয়াত হোসেন, কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল কাউছার ভূইয়া, কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার। এ সময় বক্তব্য রাখেন নারী আইটি সেবাদাতা তানজিনা আক্তার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী বলেন, আজকের অনুষ্ঠান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আপনারা জানেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের সকল নাগরিক পুরুষ এবং মহিলা সকলেই সমান অবদানের অধিকারী হবেন। এটা তিনি সংবিধানের মধ্যে লিখে দিয়েছিলেন। সেই উদ্দেশ্য সফল করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য এবং নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য অনেক প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এরমধ্যে এই হার পাওয়ার প্রকল্প অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা জানেন দেশের জনসংখ্যার শতকরা ৫০ ভাগ নারী। এই ৫০ ভাগ নারী যদি নিজের পায়ে দাঁড়াতে না পারে তাহলে কিন্তু এই দেশ বা জাতি কোনোদিন এগোতে পারবে না।  এর আগে মন্ত্রী সড়ক পথে ঢাকা থেকে কসবায় আসেন। পরে বিকেলে আখাউড়া কেলা শহীদ মাজারে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করার কথা রয়েছে।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

সুবিধা কাজে লাগিয়ে অসুবিধা দূর করতেই এআই আইন : আইনমন্ত্রী
কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)-এর অনেক সুবিধা এবং অনেক ধরনের অসুবিধা আছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সুবিধা কাজে লাগিয়ে অসুবিধা দূর করতেই এআই আইন করা হচ্ছে। এআই পলিসি খসড়ার ওপর অংশীজনদের নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় আইনমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘সুবিধা কাজে লাগিয়ে অসুবিধা দূর করতে এ আইন করতে হচ্ছে। ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট প্রজন্ম গড়ে তুলতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অত্যন্ত প্রয়োজন। অংশীজনদের নিয়েই আমরা এই খসড়া চূড়ান্ত করব। এআই আইন তৈরি করতে পলিসির সঙ্গে আইনের সমন্বয়ে আমি আপনাদের সঙ্গে থাকব। শিগগরিই একটি খসড়া প্রণয়ন করব। এরপর আবার অংশীজন সভা হবে। সেই খসড়ায় মতামত কতটা অন্তর্ভুক্ত হলো তা দেখা যাবে। সভাপতির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এআই-কে উদ্ভাবন, অনুশাসন ও সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। এআইয়ের অসৎ ব্যবহার রোধ করতে চাই। নৈতিক চার্চার মাধ্যমে এআই দিয়ে স্বয়ংক্রিয় সেবার বহর বাড়াতে চাই। সেজন্য এরই মধ্যে এআই ব্যবহার করে কিছু দিন হলো একটি ‘কনস্টিটিউশন জিপিটি’ তৈরি করেছি। রেগুলেটরের মাধ্যমে সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেব। এসময় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) ইডিজি প্রকল্প পরিচালক আব্দুল বারী জানান, দুই মাসের মধ্যে এআই পলিসির খসড়া তৈরি করা হয়। এসময় দেশে-বিদেশের এআই অনুশাসন ও আইনের ওপর আলোকপাত করেন তিনি। সভায় বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ, মহাপরিচালক (সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খলিলুর রহমান, মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসুফ ফারুক, টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদী, বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক নাসিমা আক্তার নিশাসহ প্রায় ২৬ জন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী নেতারা এআই আইন নিয়ে নিজেদের মত তুলে ধরেন।
০৪ এপ্রিল, ২০২৪

বাহরাইনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চায় বাংলাদেশ
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাহরাইনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চায় বাংলাদেশ। এ নিয়ে দুপক্ষই একমত। বুধবার (৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত বাহরাইনের রাষ্ট্রদূত আব্দুর রহমান মোহাম্মদ আল গৌদের সঙ্গে বৈঠকের পর এসব কথা বলেন তিনি। আইনমন্ত্রী বলেন, বাহরাইনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। মূলত রাষ্ট্রদূত হিসেবে তিনি তার পরিচয়পত্র দিতে এসেছিলেন।  বৈঠকে কী কথা হয়েছে সে বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের আলোচনা ছিল খুবই আন্তরিক। দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে কথা হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে আমরা একমত হয়েছি। তিনি আরও বলেন, দেশটির সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে। সবচেয়ে বড় সম্পর্ক, ২ লাখের অধিক বাংলাদেশি বাহরাইনে চাকরি করেন।  আমার সঙ্গে আলাপ আলোচনার সময় তিনি বলেছেন, কোভিডের সময় যখন ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রচলন ছিল তখন সেখানকার রাজা কোনো পার্থক্য করেননি। একজন বাহারাইনির ও একজন বাঙালির সঙ্গে।  তিনি বলেন, বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সম্পর্ক আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব বলেই আজকের আলাপ-আলোচনায় একমত হয়েছি। 
০৩ এপ্রিল, ২০২৪

দেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়ে আইন হচ্ছে : আইনমন্ত্রী
বাংলাদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়ে আইন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। আইনমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স) ব্যবহারের গুরুত্ব বাড়ছে। ফলে এআইয়ের ইতিবাচক দিকগুলো কাজে লাগানো এবং নেতিবাচক দিকগুলো পরিহার করার মাধ্যমে সার্বিক পরিকল্পনা নিয়ে এ বিষয়ে একটি আইন করা হবে। আগামী বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে খসড়া আইন প্রণয়ন করা সম্ভব হবে। এই আইনের ফলে কী হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটি আমাদের কাছেও জিজ্ঞাস্য। এর কারণ হচ্ছে আমরা কতটুকু নিয়ন্ত্রণ করব। এই জিনিসটুকু আমি বলতে পারি- মানুষের অধিকার সংরক্ষণের জন্য, সর্বক্ষেত্রে সেটা সংরক্ষণের জন্য, মানুষের সুবিধার জন্য এআইকে যাতে ব্যবহার করা যায় সেই চেষ্টাই আমরা করব। উদাহরণ টেনে আইনমন্ত্রী বলেন, গুগলের জেমিনি বা মাইক্রোসফটের চ্যাটজিপিটির মতো এআইগুলো এখন বিশ্বের আলোচিত বিষয়। লেখালিখি থেকে শুরু করে প্রশ্নোত্তরসহ নানা ধরনের সৃষ্টিশীল কাজ এখন এআই দিয়েও করা হচ্ছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে একটা ড্রাফট (খসড়া) করা হবে। সেখানে কী কী থাকবে, তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আনিসুল হক বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্রুত জনপ্রিয়তার মধ্যে এর নিয়ন্ত্রণেও বিভিন্ন দেশ উদ্যোগী হয়েছে। পশ্চিমা উন্নত দেশগুলোও এআই নিয়ন্ত্রণে আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে।  এ সময় টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, যারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হই, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট গভর্নেন্স, স্মার্ট অর্থনীতি করতে হলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে বাইপাস করে কিছু করতে পারব না। তিনি বলেন, বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যে ভয়ানক পরিণতি আশঙ্কা করা হচ্ছে যা বিভিন্ন গবেষক এবং উদ্ভাবক বলছেন, সেটাকে মাথায় রেখে আইনমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। একদিকে উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করা এবং এটার যে অপপ্রয়োগ সেটার প্রতিরোধ করা। 
২১ মার্চ, ২০২৪

চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও শ্রমবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সরকার : আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বৈশ্বিক মন্দা ও নানামুখী চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও সরকার শ্রমবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ৩৫০তম গভর্নিং বডি অধিবেশনে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) এ কথা বলেন তিনি। আইনমন্ত্রী বলেন, শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে প্রয়োজনীয় শ্রম সম্পর্ক তৈরির সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে সরকার। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্নের আলোকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শ্রমক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে। বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে সরকার গৃহীত রোড ম্যাপের (২০২১-২৬) আলোকে আইনগত সংস্কার, ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন, শ্রম সংক্রান্ত পরিদর্শন এবং শ্রমিকদের অন্যান্য অধিকার- এ চারটি ক্ষেত্রে শ্রম সংস্থার অধিবেশনে বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী। প্রস্তাবিত বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন বিলে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের জন্য শিল্প খাতে প্রয়োজনীয় শ্রমিক সংখ্যা ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনা, ইউনিয়নের প্রতি অন্যায্য আচরণের শাস্তি দ্বিগুণ করা, বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করার শাস্তি তিনগুণ করা, শিশু শ্রমের শাস্তি চারগুণ করার বিধান রাখার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। তা ছাড়া প্রস্তাবিত এ সংশোধনীটিতে বেসামরিক বিমান পরিবহন খাতে এবং নৌ পরিবহন খাতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন ও পরিচালনা সহজীকরণ, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ে আপিল আবেদন সহজীকরণ সংক্রান্ত বিধান সংযুক্ত করার কথাও আইনমন্ত্রী উল্লেখ করেন। প্রস্তাবিত এ সংশোধনীটিতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার বিভিন্ন কনভেনশনের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে বলে তিনি অধিবেশনকে অবহিত করেন। যথাযথ ত্রিপক্ষীয় আলোচনা শেষে দ্রুততার সাথে সম্ভব হলে, জাতীয় সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে শ্রম আইনের সংশোধন বিল আকারে উপস্থাপিত হতে পারে বলে মন্ত্রী জানান। প্রচলিত আবেদন প্রক্রিয়ার পাশাপাশি অনলাইন ভিত্তিক ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন চালু করা, প্রাক-আবেদন সেবা চালুকরণ, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণের ফলে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে গুণগত ও পরিমাণগত অগ্রগতি সাধিত হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান। এর ফলে তৈরি পোশাক খাতে গত নয় বছরে নিবন্ধন নয়গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বর্তমানে প্রায় ত্রিশ লক্ষ শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নভুক্ত হয়েছে। তাছাড়া, ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনভুক্তি আবেদনের সফলতার হার গত চার বছরে ৬০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে বলেও জানান আইনমন্ত্রী। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আরও বলেন, কারখানা পরিদর্শকের পদ আড়াইগুণ বৃদ্ধি, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় পরিদর্শন মডিউল চালু করা, পরিদর্শকদের মানসম্মত প্রশিক্ষণ প্রদানের ফলে কারখানা ও স্থাপনা পরিদর্শনে দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে। কেবল গত ২০২৩ সালের শেষ ছয় মাসে বিশ হাজারেরও বেশি পরিদর্শন অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে তিনি তথ্য প্রদান করেন। তাছাড়া, ইপিজেডগুলোতে নিজস্ব উন্নত পরিদর্শন ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও মানোন্নয়নের লক্ষ্যে শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরও পরিদর্শন শুরু করেছে। আনিসুল হক বলেন, ছয়টি নতুন শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠার ফলে বর্তমানে মোট ১৩টি শ্রম আদালত কাজ করে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি সেল চালু করা হয়েছে যা অদ্যাবধি প্রাপ্ত ৯০ শতাংশের বেশি সালিশ আবেদনের নিষ্পত্তি করেছে। শ্রমিকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিযোগ সহজে দায়ের করার জন্য সরকার কর্তৃক চালু করা হেল্পলাইন সফলভাবে কাজ করেছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত করতে এবং ট্রেড ইউনিয়ন কর্মীদের প্রতি বৈষম্য বন্ধে সরকার গত তিন বছরে প্রায় ছত্রিশ হাজার শ্রমিক, ব্যবস্থাপক, মালিক, সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। সরকার এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। অধিবেশনে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার গৃহীত বিভিন্ন ব্যবস্থার সাধিত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির প্রশংসা করে আইএলও গভর্নিং বডির অধিকাংশ সদস্য বক্তব্য রাখেন। তারা দ্রুত বাস্তবায়নের সাথে সাথে সুপারভাইজরি বডিদের সংশ্লিষ্টতায় আইএলও-এর কারিগরি সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
১৩ মার্চ, ২০২৪

শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়নে আইএলও মহাপরিচালকের সহযোগিতা কামনা আইনমন্ত্রীর
সুইজারল্যান্ডের জেনেভা সফররত আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক গতকাল (১২ মার্চ) আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মহাপরিচালক গিলবার্ট হোংবোর সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন।  বৈঠকে মন্ত্রী বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন এবং এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সহযোগিতা ও অংশীদারত্ব অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান। মহাপরিচালক হোংবো সরকারের সদিচ্ছা ও গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতির প্রশংসা করেন। আইনমন্ত্রীর আমন্ত্রণের প্রেক্ষিতে মহাপরিচালক ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সফরের ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। বৈঠকে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি, শ্রম সচিব ছাড়াও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
১৩ মার্চ, ২০২৪
X