আওয়ামী লীগ এখন শূন্য মুড়ির টিন : রিজভী
আওয়ামী লীগ এখন শূন্য মুড়ির টিন বলে মন্তব্য করেছেন বিএন‌পির সি‌নিয়র যুগ্ম মহাস‌চিব রুহুল ক‌বির রিজভী। তিনি বলেন, টিনের বাক্সে যদি মুড়ি না থাকে তাহলে সেই টিন ঝনঝন করে বেশি। তেমনি আওয়ামী লীগ এখন শূন্য মুড়ির টিন। এ কারণে আওয়ামী লীগের নেতারা ঝমঝম করে কথা বলছে। সোমবার (৬ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লা‌বের সাম‌নে হাবীব উন নবী খান সো‌হেল মু‌ক্তি প‌রিষ‌দের উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খা‌লেদা জিয়া, বিএন‌পির যুগ্ম মহাস‌চিব হাবিব উন নবী খান সো‌হেল, সেচ্ছা‌সেবক বিষয়ক সহ-সম্পাদক আব্দুল কা‌দির ভূইয়া জ‌ুয়েলসহ সব রাজবন্দির মিথ‌্যা মামলা প্রত‌্যাহার ও মু‌ক্তির দা‌বি‌তে অনুষ্ঠিত মানববন্ধ‌নে তি‌নি এসব কথা ব‌লেন। রিজভী ব‌লেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেশি কথা বলছেন, মনে হচ্ছে বিএনপির জন্য উনার খুব মায়া কান্না। বিএনপির ভাবনায় উনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। মুরগির বাচ্চার জন্য চিল যেমন মায়া কান্না করে ওবায়দুল কাদেরের কান্নাও সে রকম। তিনি (ওবায়দুল কাদের) মাঝে মাঝে আওয়াজ দেন বিএনপি নাকি দুর্বল হয়ে গেছে, বিএনপি ক্লান্ত, হতাশ, বিদেশ চলে যাচ্ছেন। তারা যে ভিতর থেকে ধসে গেছে, ভেঙে গেছে এটা চাপা দেওয়ার জন্যই তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রতিদিনই জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। মানুষ তিন বেলা খেতে পায় না। আজ মায়ের গর্ভ থেকে যে শিশুটা জন্মগ্রহণ করছে তার ঋণ হচ্ছে এক লক্ষ টাকারও বেশি। তারপরও তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ঋণ নিতে চাচ্ছেন। উপজেলা নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, সরকার আবার একটি ডামি নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজন যাতে না দাঁড়ায় সে জন্য কেন্দ্র থেকে নিষেধ করেছে। তারপরও মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনরা দাঁড়িয়েছে এবং তারা বলছে প্রধানমন্ত্রীরও তো ২০/২৫ জন আত্মীয়-স্বজন আছে। তারা যদি দাঁড়াতে পারে, তাহলে আমরা বাদ যাব কেন। এ নির্বাচনে জনগণ তো যাবেই না এবং অন্য কেউও চান্স পাবে না। কারণ অধিকাংশই আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীর আত্মীয়স্বজন এবং ব্যবসায়ীরা নমিনেশন কিনছে। দলের সংকট হলে তারা তো থাকবে না।  তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের আপনার দল যে শূন্য মুড়ির টিন হয়ে গেছে ওইটা আগে পূর্ণ করেন, তারপর বিএনপির কথা বলুন। বিএনপি দুর্বল নাকি হতাশ, এটা তো টের পান প্রতি মুহূর্তে। বিএনপিকে মোকাবিলা করার সাহস আওয়ামী লীগের নাই। এজন্য পুলিশ দিয়ে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় জনগণকে দমন করে জনগণের গলায় রশি দিয়ে আজ কথা বলছেন। ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভাঙা কলসি বাজে বেশি। আপনাদের আওয়ামী লীগ ভাঙা কলসি। তাই আপনারা বাজছেন বেশি করে। জনগণকে যা দেখিয়েছেন, যা বলেছেন সব মিথ্যা। ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু দেখান। এইবার বাজেটে লক্ষ কোটি টাকার ঋণ চাচ্ছেন কেন? যৌবনকে আরামে থাকতে দিচ্ছেন না কেনো? জনগণের গলায় পাড়া দিয়ে বিদ্যুতের বিল, গ্যাসের বিল, পানির বিল বাড়াচ্ছেন কেন? আজ দেশে গণতন্ত্রের শাসন নাই বলে, বৈধ সংসদ নাই বলে সরকার জনগণের টুঁটি চেপে ধরে বিদ্যুৎ গ্যাস পানি থেকে বেশি বিল নিচ্ছে, ট্যাক্স নিচ্ছে। তিনি বলেন, এ সরকার প্রকৃত পক্ষেই ব্যর্থ সরকার। ষড়যন্ত্রকারী সরকার। এ সরকার দেশের মানুষকে স্বস্তি দিতে আসেনি। তারা সাগর-রুনি হত্যার বিচার করতে পারেনি অথচ বিএনপি নেতা যদি কবরেও থাকে তার নামে মামলা দেয়। এ পরিস্থিতি চলতে দেওয়া যায় না। বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের অসুস্থ নেত্রী গণতন্ত্রের প্রতীক, গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে একেবারে সাজানো মামলায়। এমনকি তার উন্নত চিকিৎসার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিদেশে রাখা হয়েছে। তারপরও তিনি এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায়, জনগণকে তার মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেছেন আমার ক্ষমতার দরকার নাই জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরে আসুক। রিজভী আরও বলেন, যারা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ও অস্ত্র ধরছেন ইতিহাসে পাতায় তাদের নাম মীর জাফর হিসেবে লেখা থাকবে। আর যারা গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করছেন, জেলে যাচ্ছে, নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তাদের সিরাজউদ্দৌলার মতো দেশপ্রেমিক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখা থাকবে। ঢাকা মহানগর দ‌ক্ষি‌ণ স্বেচ্ছা‌সেবক দ‌লের সা‌বেক সধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম নো‌মা‌নের সভাপ‌তি‌ত্বে মানববন্ধ‌নে আরও বক্তব‌্য রা‌খেন- বিএন‌পির স্বেচ্ছা‌সেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহঅর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, ছাত্রদ‌লের সাধারণ সম্পাদক না‌ছির উদ্দিন না‌ছির, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা সাদরাজ্জামান, বর্তমান সহ-সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির জাহিদ প্রমুখ।
০৬ মে, ২০২৪

দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ আওয়ামী লীগ :  সালাম 
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ বলে দাবি করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। রোববার (৫ মে) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ শ্রমজীবী মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন। মৎস্যজীবী দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে এই কর্মসূচি হয়। আব্দুস সালাম বলেন, মানুষ ভোট দিতে পারেনি- এটা কি মিথ্যা কথা? গরমে মানুষ নাজেহাল- এটা কি মিথ্যা কথা? সড়কে মানুষ মরছে দুর্ঘটনায়- এটা কি মিথ্যা কথা? দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ আওয়ামী লীগ। আমরা চাই, একটা সুষ্ঠু নির্বাচন। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘উনি বলেন, কেউ সরকারের সমালোচনা করতে পারবে না’। বিদ্যুৎ বিভাগে ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছে ওদেরকে বাঁচানোর জন্য। কেউ কোর্টে যেতে পারবে না, কেউ কথা বলতে পারবে না। ওরা চুরি করছে।  তিনি আরও বলেন, সরকারের আত্মীয়-স্বজনরা ব্যাংক লুটপাট করেছে, আর ওরা বিএনপির সমালোচনা করে। ওরা বলে- বিএনপি নাকি গণতন্ত্র চায় না।  দেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগকে হটানোর বিকল্প নেই জানিয়ে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কেন করেছে? সাংবাদিকরা যাতে লুটপাটের খবর না দিতে পারে, তাই এ কাজ করেছেন। মহানগর দক্ষিণ মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক শাহ আলমের সভাপতিত্বে এবং কেএম সোহেল রানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাদিম চৌধুরী, জাকির হোসেন খান, ওমর ফারুক পাটোয়ারী, তারিকুল ইসলাম মধু, সদস্য ইব্রাহিম চৌধুরী, ফজলে কাদের সোহেল, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমির হোসেন আমির প্রমুখ।
০৫ মে, ২০২৪

আওয়ামী লীগ দেশকে মগের মুল্লুকে পরিণত করেছে : মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশটা এখন আওয়ামী লীগ মগের মুল্লুকে পরিণত করেছে। ক্ষমতা দখলকারী আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ধরে রাখতে দেশব্যাপী বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর ভিন্ন ভিন্ন পন্থায় জুলুম-নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে। মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় গত ১৭ ও ১৮ এপ্রিল দিনাজপুর জেলা বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা এবং কেন্দ্রীয় যুবদল নেতার জামিন আবেদন নামঞ্জুর ও কারান্তরীণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।  একই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন দিনাজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচি। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অব্যাহত গতিতে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করে বিরোধী নেতাকর্মীদের পর্যদুস্ত ও নাজেহাল করা হচ্ছে। আর এ ধরনের অপকর্ম সাধনের একমাত্র উদ্দেশ্যই হচ্ছে—দেশের বিরোধী দলগুলো যেন দখলদার সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের সমালোচনা করতে সক্ষম না হয়। মিথ্যা মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরণের মাধ্যমে গোটা দেশকেই কারাগারে পরিণত করা হয়েছে।  তিনি বলেন, দিনাজপুর জেলা বিএনপির সহসভাপতি শামীম চৌধুরী, মোজাহারুল ইসলাম, স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক নুর ইসলাম (চেয়ারম্যান), ঘোড়াঘাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ মিঞা, জেলা যুবদল সভাপতি ও যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মোন্নাফ মুকুল, বিরল উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. মমিনুল ইসলাম (দলিল লেখক), বিরল উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. আরমান আলী, মো. মমিন, মো. হাসিনুর রহমান পায়েল এবং যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আবুল মনছুর খান দিপক এর জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে প্রেরণ জুলুমবাজ আওয়ামী সরকারের চলমান নিরবচ্ছিন্ন অপকর্মেরই অংশ। মির্জা ফখরুল বলেন, আদালত কতৃর্ক উল্লিখিত নেতাদের জামিন বাতিল ও কারান্তরীণের ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা বানোয়াট ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা প্রত্যাহারসহ নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতা বিক্রি করে দিচ্ছে : রিজভী 
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করে তাদের পতন ঘটানো ছাড়া মানুষের মুক্তির উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।  তিনি বলেন, এই অবৈধ সরকার আমাদের স্বাধীনতাকে দুর্বল করেছে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে গিয়ে একটি দেশের স্বার্থরক্ষা করতে গিয়ে নিজেদের দেশের ‘স্বাধীনতাকে বিক্রি’ করে দিচ্ছে। এই সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আজ সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পার্শ্ববর্তী দেশের কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আমরা পৃথিবীর সমস্ত গণতান্ত্রিক দেশের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করি। কিন্তু যখন দেখি একটি দেশ দেশের জনগণ নয়, বাংলাদেশ নয়, একটি অবৈধ দখলদার সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে; তাহলে কী করে সেই দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বন্ধুত্ব বজায় রাখতে পারে? কারণ তারা তো এ দেশের জনগণকে, এই দেশের মানুষকে কোনো মূল্যই দেয় না। ৭ জানুয়ারি যে ডামি নির্বাচন হয়ে গেল পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ তারা বলেছে, আমরা কোনো দলের পক্ষে নয়। আমরা বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে এইটাই তো বড় কথা। কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেশ সেটি বলে না, তারা বলে আমরা এই সরকারের পক্ষে।  তিনি বলেন, যখন একটি দখলদার অবৈধ সরকারকে যে দেশ যারা নিজেদের গণতান্ত্রিক দেশ দাবি করে তারা যখন প্রকাশ্যে সমর্থন করে তখন আমাদের ভাবতে হবে আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অনেক দুর্বল অবস্থার মধ্যে আছে, দুর্বল হয়ে গেছে। আজকে দেশের মানুষ কথা বলতে পারে না। আজকে দেশের মানুষ তার যে ন্যায্য অধিকার  সেই অধিকারের কথা বলতে পারে না। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। রিজভী আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে কথা বললে অনেকের গা জ্বালা-পোড়া করে। কারণ শেখ হাসিনা জানেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের কী হবে।  বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমের সভাপতিত্বে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
২৫ মার্চ, ২০২৪

জামিন কৌশলে সফল বিএনপি
কারাগারে আটক দলের শীর্ষ নেতাদের জামিনের ক্ষেত্রে নতুন কৌশলে সফল হয়েছে বিএনপি। শঙ্কা ছিল এক মামলায় জামিন পেলে আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের কারাবন্দি রাখা হবে। এ ভাবনায় আইনি কৌশল হিসেবে জামিন আবেদন গ্রহণ করে, তা নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করা হয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পর নেতাদের গ্রেপ্তার দেখান অধস্তন আদালত। পরবর্তী সময়ে একাধিক মামলায় শীর্ষ নেতারা জামিনও পেয়ে যান। সরকারের পদত্যাগের ‘একদফা’ দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশের ডাক দেয় বিএনপি। সমাবেশ কেন্দ্র করে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, পুলিশ কনস্টেবল হত্যা, পিস্তল ছিনতাই, পুলিশের কাজে বাধা, ককটেল বিস্ফোরণ, নাশকতা, ভাঙচুর, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, গাড়ি পোড়ানো, হত্যাচেষ্টাসহ নানা অভিযোগে একাধিক মামলা হয়। এজাহারনামীয় আসামি হলেও দলের শীর্ষ নেতাদের সব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। বিএনপির আইনজীবীদের দাবি, এক মামলায় জামিন পেলে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে। এতে কারামুক্তিতে দীর্ঘসূত্রতা হবে। এসব বিষয় মাথায় নিয়ে তারা শীর্ষ নেতাদের জামিনে আইনি কৌশল নেন। সব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর প্রক্রিয়া শুরু করেন। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে জামিন আবেদন গ্রহণ ও নিষ্পত্তি চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গ্রেপ্তার ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আদালত শীর্ষ নেতাদের সব মামলায় গ্রেপ্তার দেখান। পর্যায়ক্রমে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে তারা জামিনও পান। এর মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর এক মামলায় এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের দুই মামলায় জামিন হলে তারা কারামুক্ত হতে পারবেন। এর মধ্যে সাবেক ফুটবলার ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ১২টি মামলায় জামিন পেয়ে কারামুক্ত হয়েছেন। এ ছাড়া সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও যুগ্ম মহাসচিব শামসুজ্জামান দুদুকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে একই প্রক্রিয়ায় জামিনের জন্য তৎপরতা শুরু করেছেন তাদের আইনজীবীরা। জানা গেছে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। রমনা থানার প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় গত ২৯ অক্টোবর গ্রেপ্তারের পর তাকে কারাগারে পাঠান আদালত। পরে গত ১৮ ডিসেম্বর পল্টন মডেল থানার আরেক মামলায় পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। অন্য ৯ মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার না দেখানোয় গত ৯ জানুয়ারি মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন তার আইনজীবী। আদালত গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। পরদিন ১০ জানুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় ৯ মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন। এ নিয়ে তিনি ১১ মামলার মধ্যে ১০টিতে জামিন পান। পুলিশের গ্রেপ্তার দেখানো রমনা থানার মামলায় জামিন না পাওয়ায় তিনি কারামুক্ত হতে পারেননি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ১০ মামলার মধ্যে ৯টিতে জামিন পেয়েছেন। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় জামিন পাননি। পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় গত ৩ নভেম্বর আদালত তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত ১০ নভেম্বর এ বিএনপি নেতাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। পল্টন থানার নাশকতার আরেক মামলায় পুলিশের আবেদনের পর গত ১৮ ডিসেম্বর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলগেটে দুদিনের জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন আদালত। গত ১৭ জানুয়ারি আসামিপক্ষের আবেদনের পর রমনা ও পল্টন থানার আট মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওইদিন পল্টন মডেল থানার দুই মামলায় জামিন পান আমীর খসরু। পরদিন ১৮ জানুয়ারি তিনি রমনা ও পল্টন মডেল থানার আরও চার মামলায় জামিন পান। গত ২১ জানুয়ারি রমনা ও পল্টন মডেল থানার পৃথক আরও দুই মামলায় জামিন দেন আদালত। গত ২৪ জানুয়ারি পল্টন থানার আরেক মামলায় জামিন পান আমীর খসরু। রমনা থানার প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। শাহজাহানপুর থানার নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৩১ অক্টোবর রাতে ঢাকার শহীদবাগ থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে ৫ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ২৪ জানুয়ারি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা রেলওয়ে থানার আরেক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি মির্জা আব্বাসের পল্টন থানার পাঁচ এবং রমনা মডেল থানার চার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। পরে ৫ ফেব্রুয়ারি পল্টন থানার চার ও রমনা মডেল থানার দুই মামলায় জামিন মঞ্জুর করা হয়। পরদিন ৬ ফেব্রুয়ারি শাহজাহানপুর, পল্টন থানার ও রমনা মডেল থানার পৃথক আরও তিন মামলায় জামিন পান তিনি। বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনের বিরুদ্ধে সাতটি মামলা হয়। তার মধ্যে পুলিশ সদস্য হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারের পর গত ৩ নভেম্বর আদালত তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত ১০ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ১৯ নভেম্বর পল্টন থানার অস্ত্র ছিনতাইয়ের আরেক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত ৩০ জানুয়ারি পল্টন থানার তিন এবং রমনা মডেল থানার দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখান আদালত। ওইদিন জামিন আবেদন করলে আদালত পল্টন থানার দুই ও রমনা মডেল থানার এক মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে ৫ জানুয়ারি আদালত পল্টন ও রমনা মডেল থানার পৃথক দুই মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন। এ বিষয়ে বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, নিজেরা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আবার জামিন পাওয়া—এমন সফলতা আমরা চাইনি। আমরা চেয়েছিলাম মামলা হয়েছে, পুলিশ গ্রেপ্তার দেখাবে। সেটা করা হয়নি। আইনকে ব্যবহার করা হয়েছে। মামলায় জামিনের আবেদন নিষ্পত্তি করতে উচ্চ আদালতের ডিরেকশন নিতে হয়েছে, যা এক ধরনের হয়রানি ও মানসিক চাপ। মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ কালবেলাকে বলেন, আমাদের শঙ্কা ছিল এক মামলায় গ্রেপ্তার হলে আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে। কারণ, এর আগে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে; তাই পুলিশ গ্রেপ্তার না দেখালেও আমরা গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে আবেদন করি। সিএমএম আদালত আবেদন গ্রহণ না করায় উচ্চ আদালতে রিট করা হয়। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের গ্রেপ্তার দেখান আদালত। জামিন আবেদন করলে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলা ছাড়া তারা সব মামলায় জামিন পেয়েছেন। এতে আমাদের আইনি কৌশল সফল হয়েছে। মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হলেও পুলিশ মাত্র এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখান। আমাদের ভয় ছিল এক মামলায় জামিন পেলে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে, যাতে সহসাই কারামুক্ত হতে না পারেন। আমাদের আবেদনের পর তাকে এখন সব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং ৯ মামলায় জামিনও পেয়েছেন। গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন না করা হলে জামিনের বিষয়টি ঝুলে থাকত। তাই মনে করি, জামিনের বিষয়ে আমরা আইনি কৌশলে সফল হয়েছি। আশা করছি, বাকি মামলায় তিনি জামিন পেয়ে কারামুক্ত হবেন।
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

জরুরি সভা ডেকেছে আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে। সোমবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।  রোববার (২১ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত সাত জানুয়ারি টানা চতুর্থবারের মতো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর এটাই হতে যাচ্ছে দলের প্রথম কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক।   সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।  
২১ জানুয়ারি, ২০২৪

আওয়ামী লীগ দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে : মঈন খান
সরকারকে বিদায় নিতেই হবে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। গণতান্ত্রিক বিশ্ব এই নির্বাচনকে সমর্থন করছে না।  বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ড. আবদুল মঈন খান সরকারের উদ্দেশে বলেন, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে কিছুদিন হয়তো ক্ষমতায় থাকা যাবে। তবে আজ হোক বা কাল হোক আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় নিতেই হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা এই সরকারের বিদায় করেই ঘরে ফিরব ইনশাআল্লাহ। ‘প্রহসনের নির্বাচন বর্জন ও সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ‘ কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)। অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ- এ্যাব’র সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে ও বিএসপিপির সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বরেণ্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, জিয়া পরিষদের ডা. আবদুল কুদ্দুস, ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সচিব তপন মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সেলিম, কৃষিবিদ ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান, ড. এমতাজ হোসেন, ড্যাবের ডা. মো. মেহেদী হাসান, এডভোকেট আবেদ রাজা, রফিকুল ইসলাম, ডিইউজের সাঈদ খান, এ্যামট্যাবের দবির উদ্দিন তুষার প্রমুখ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এ্যাবের মহাসচিব প্রকৌশলী আলমগীর হাছিন আহমেদ, প্রকৌশলী মো. মোস্তাফা-ই জামান সেলিম, প্রকৌশলী একেএম আসাদুজ্জামান চুন্নু, মৎস্যজীবী দলের অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া, ডা. রফিকুল কবির লাবু, ডা. আদনান হাসান মাসুদ, অধ্যাপক ড. শেখ মনির উদ্দিন, অধ্যাপক ড. এম এ করিম, আবদুল্লাহিল মাসুদ, যুবদলের কামাল আনোয়ার আহমেদসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, এই বয়সে আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। আমি বিবেকের তাড়নায় রাজপথে দাঁড়িয়েছি। বাংলাদেশ আজ খাদের কিনারায়। মহান মুক্তিযুদ্ধের যে সনদ সাম্য, আইনের শাসন ও গণতন্ত্র এখানে নেই। পরপর কতগুলো প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ডান্ডাবেরি পড়ে একজন রাজবন্দির মৃত্যু হয়!  তিনি বলেন, আজকে সবাই চিন্তা করুন ও ভাবুন আমরা কোথায় এসে দাঁড়িয়েছি? মনে রাখতে হবে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবো।  দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে দিলারা চৌধুরী বলেন, এ ধরনের প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করুন। আজকে ড. ইউনূসের মতো ব্যক্তিকে সাজা দেওয়া হয়েছে। তাহলে আপনার আমার অবস্থা কোথায়? আপনারা বাংলাদেশকে কোথায় নিতে চান? চলমান আন্দোলন শুধু বিএনপির একার নয়। এটা দেশের সকল জনগণের আন্দোলন। ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, আমাদের দফা এখন দাবি এক। এই সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। কেননা দেশের মানুষ বিগত কোনো নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। তারা ভোটের স্বাদ পায়নি। অথচ জনগণ ভোট দিতে চায়। সুতরাং আমরা এই সরকারের আসন্ন প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করছি। সভাপতির বক্তব্যে প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে। এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়া মানে রীতিমতো ডাকাতি। সুতরাং সচেতন দেশবাসী ও সম্মানিত ভোটারদের প্রতি আহ্বান আপানারা ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। 
০৪ জানুয়ারি, ২০২৪

ভোটারদের নানারকম হুমকি দিচ্ছে আওয়ামী লীগ : রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের জনগণ একতরফা পাতানো নির্বাচন বর্জন করছে। অবৈধ সরকার ও নির্বাচন কমিশন দেশে ডামি ও তামাশার যে নির্বাচনের আয়োজন করেছে জনগণ তাতে সাড়া দিচ্ছে না। যে নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করা আছে, সে নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের ন্যূনতম আগ্রহ নেই। এমনকি গণতান্ত্রিক বিশ্বও তথাকথিত ভোটের উৎসবকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ তাদের ডাকে সাড়া না দেওয়ায় জোর করে তাদের মিছিলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। এলাকা ছাড়া করার ভয় দেখানো হচ্ছে। রিলিফ ও ভাতার কার্ড ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি মসজিদ ও কবরস্থানে জায়গা না দেওয়ার হুমকি দেখানো হচ্ছে। নৌকার প্রচার মাইকের আওয়াজ শুনলেই লোকজন সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন, ভোটের উৎসবের বদলে সারা দেশে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিএনপির ঘোষিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট বর্জন এবং অসহযোগ আন্দোলন সফল করতে তিনি বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় শান্তিনগর মোড় ও কাঁচাবাজার এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক জসিম সিকদার রানা, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক জান্নাতুল নওরিন উর্মি, ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ, জিয়া হলের যুগ্ম সম্পাদক বাবু, প্যাব সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন হোসেন, দপ্তর সম্পাদক হাসান, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ছানাউল্লাহ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ফজলুল হক, নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক তাজুল ইসলাম তাজ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা ডা. মুশফিক, আশরাফুল আসাদ, বরগুনা জেলা ছাত্রদলের সম্পাদক হৃদয় প্রমুখ।
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

আওয়ামী লীগ নেতা রাজ্জাক হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়েছেন: রিজভী
‘বিএনপি ভোটে আসলে সকল নেতাকর্মীকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে’ কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক এমন বক্তব্য দিয়ে তিনি মূলত হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের সম্পূর্ণ মিথ্যা সাজানো মামলায় জেলে রেখে এবং বাড়িঘর ছাড়া করার গোমর ফাঁস করেছেন আওয়ামী লীগের ড. আবদুর রাজ্জাক। টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, সিট ভাগাভাগির উদ্ভট তামাশার নির্বাচনকে নির্বিঘ্নে কণ্টকমুক্ত করার জন্যই বিএনপির ২০ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে জেলে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা চিন্তাভাবনা করেই এই কাজ করেছি। তাদের জেলে না ভরলে দেশ অচল হয়ে যেত। হরতালের দিন গাড়ি চলত না। রিজভী বলেন এতক্ষণে-অরিন্দম কহিলা বিষাদের মতো কৃষিমন্ত্রীর এই হরষের স্বীকারোক্তি প্রমাণ করে, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা করে তাণ্ডব-হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে চলমান যত সহিংসতা, মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার, হুলিয়া, হত্যা, বিএনপিসহ বিরোধীদলের বাড়িঘরে হামলা-তল্লাশি, ভাঙচুর-গৃহছাড়া-আটক বাণিজ্য সবকিছু সরকারের পূর্বপরিকল্পিত। রিজভী আরও বলেন, বিচার ব্যবস্থা আর আওয়ামী লীগ একাকার হয়ে গেছে। পৃথক কোনো সত্তা নেই। দেশে কোনো আইন নেই। সব সরকারের ইশারাই চলছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দেড় লাখ মামলা দায়ের আর অর্ধকোটি আসামি করা হয়েছে সরকারের নির্দেশে। বিচার বিভাগ আইনের গতিতে নয়, চলছে গণভবনের গতিতে। মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগকে কার্যত আওয়ামী লীগের একটি ইউনিটে পরিণত করা হয়েছে।  
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটকে ভয় পায় : ড. মঈন খান
আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের ভোটকে ভয় পায়। এ জন্য ভোট ভাগাভাগি নিয়ে ব্যস্ত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিএনপির পক্ষ থেকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে এসে তিনি এ কথা বলেন। মঈন খান বলেন, আজ যা হচ্ছে তা নির্বাচন নয়, এটা বানরের পিঠে ভাগাভাগি। যে দেশ গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীন করা হয়েছিল, সে দেশে এমন প্রহসন চলতে পারে না। তিনি বলেন, আজকে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলছি- আপনারা এই সংঘাতের পথ ছেড়ে দিন। এদেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ শান্তিতে থাকতে চায়। অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। আমরা রাজপথে আছি রাজপথে থাকব। সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান বলেন, বছরের পর বছর ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রেখেছে এই সরকার। তারপরও সরকার কেন ভয় পায় সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভোটে আসতে? আমরা তাদের আমন্ত্রণ জানাই, আপনারা জনগণের মুখোমুখি হন। দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিন। আপনারা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনে আসুন। সেই সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনে জয়লাভ করলে আমি সর্বপ্রথম আপনাদের অভিনন্দন জানাব। মঈন খান বলেন, সরকার দাবি করে তারা অনেক উন্নয়ন করেছে, ভালো কাজ করেছে। এতে আমি সরকারের প্রশংসা করি। আমরা চাই  শান্তিপূর্ণ উপায়ে বাংলাদেশের এই রাজনৈতিক সংঘাতময় অচলাবস্থার অবসান হোক।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব কাদের গণি চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, সহ স্বাস্থ্যবিষয়ক ডা. পারভেজ রেজা কাকনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩
X