র‌্যাবের হাতে আজরাইল গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের মহেশখালীর আলোচিত সিরিয়াল কিলার মো. লোকমান ওরফে ‘আজরাইল’কে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব)। চার হত্যা মামলাসহ ১০ মামলায় দীর্ঘ দুই দশক পলাতক ছিলেন তিনি। আজরাইল মহেশখালীর আলোচিত ‘জিয়া বাহিনী’র সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসাবে পরিচিত। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে র‍্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) আবু সালাম চৌধুরী আজরাইলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানিয়েছেন। এর আগে, বুধবার (২৭ মার্চ) ভোরে বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়া দ্বীপের একটি গোপন আস্তানা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব জানায়, আজরাইল একজন সিরিয়াল কিলার। তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের হত্যা করা ছাড়াও তিনি ভাড়াটে খুনি হিসেবে কাজ করেন।  ২০০৬ সাল থেকে অপরাধ জগতে তার পদচারণা শুরু। ২০০৭ সালে লোকমান ও তার বাহিনীর সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে কালামারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওসমান গনিকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। এ ছাড়া ২০১১ সালে জলদস্যু দমনে সরকারি বাহিনীকে সহায়তা করার সন্দেহে হাফেজ আব্দুল গফুরকেও কুপিয়ে হত্যা করে। লোকমান ও তার সহযোগীদের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ থেকে রেহাই মেলেনি মহেশখালীর মাছ ব্যবসায়ী, উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি মোহাম্মদ ওসমান গনিরও। নিজেদের আধিপত্য নিশ্চিত করতে ২০১২ সালের ২৯ মার্চ কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় তাকে। একই সালের ১১ জুন তারিখে কুপিয়ে ও বুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় দরিদ্র মৎস্যজীবী বেলাল হোসেনকে। অভিযানে নেতৃত্বের ভূমিকায় থাকা র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, দীর্ঘদিন নিবিড় অনুসরণের পর আমরা আসামি লোকমানকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। কক্সবাজারে সক্রিয় বিভিন্ন নামে বাহিনীগুলোর সশস্ত্র ক্যাডারদের আইনের আওতায় আনতে র‌্যাবের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজারের মহেশখালীতে খুন, ডাকাতি, অপহরণ, ঘের দখল-পালটা দখলের অন্ধকার জগতে লোকমান ওরফে আজরাইল এক পরিচিত নাম। সশস্ত্র সন্ত্রাসী তৎপরতা ও লক্ষ্যবস্তুর প্রতি নৃশংসতার ভয়াবহতায় ধীরে ধীরে মহেশখালীর মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে উঠলেও নানা কৌশলে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে।
৩০ মার্চ, ২০২৪
X