ইউটিউব দেখে পঞ্চগড়ে ভিনদেশি সুপারফুড কিনোয়া চাষ
ইউটিউব দেখে উত্তর আমেরিকার অন্যতম পুষ্টি ও ঔষধী গুণসমৃদ্ধ ফসল সুপারফুড খ্যাত কিনোয়া চাষে সফল হয়েছেন পঞ্চগড়ের সাবেক সেনা সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিন। কম খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় তার দেখাদেশি এ ফসল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন জেলার অপর চাষিরা। সুপারফুড কিনোয়া ঘিরে প্রান্তিক এ জেলার কৃষি অর্থনীতিতে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। স্বাস্থ্যের জন্য কিনোয়া অনেক উপকারী বলছেন পুষ্টিবিদরা। এদিকে কৃষকদের সব ধরনের কারিগরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে জেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে। পায়েসসহ নানাভাবে রান্না করে খাওয়া যায় এ ফসলটি। তবে স্থানীয়ভাবে বাজারজাত না হওয়ায় শঙ্কায় পড়েছেন কিনোয়া চাষি আমিনুল। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড় এরার ৬ একর জমিতে কিনোয়া চাষ হয়েছে। উত্তর আমেরিকার অন্যতম পুষ্টি ও ঔষধী গুণ সমৃদ্ধ ফসল কিনোয়া। পঞ্চগড় সদর উপজেলার গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নের চারাখুঁড়ার সাবেক সেনা সদস্য আমিনুল ইসলাম গত বছর এক বিঘা জমিতে কিনোয়ার চাষ করলেও এবার তা বাড়িয়ে করেছেন ১২ বিঘাতে। বাণিজ্যিকভাবে এ ফসলের চাষ করেছেন। অধিক লাভের আশায় একই জমিতে সাথী ফসল হিসেবে লাগিয়েছেন মিষ্টি কুমড়া। বর্তমানে জমিতে পাকতে শুরু করেছে কিনোয়া। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শীতপ্রধান দেশের ফসল কিনোয়ার ফলনও বেশ ভালো হয়েছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে তাই, জেলার অপর চাষিরা ঝুঁকছেন বিদেশি এই শস্যদানা চাষে।  কৃষকরা বলছেন, অন্য ফসলের তুলনায় বেশি লাভ পাওয়া যায় কিনোয়া চাষে। প্রতি বিঘা জমিতে চাষাবাদ করতে খরচ হয় মাত্র ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। আর বিঘা প্রতি জমি থেকে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা বিক্রয় হয় কিনোয়া। ৩ মাসে ফসল ঘরে তোলা যায়। কিনোয়া প্রতি বিঘাতে উৎপাদন হয় ২০০ থেকে ২৪০ কেজি। প্রতি কেজি কিনোয়া ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়। লাভজনক হওয়ায় এ ফসল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন জেলার অপর চাষিরাও। সরেজমিনে দেখা যায়, কিনোয়া নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষি আমিনুর রহমান আমিন। বর্তমানে তার জমিতে পাঁকতে শুরু করেছে কিনোয়া। জমি থেকে ফসলটি কাটাই মাড়াইয়ে কাজ করতে দেখা গেছে কয়েকজন শ্রমিককে। তারা অধিক পরিপক্ব কিনোয়া কেটে মাড়াইয়ের জন্য স্তূপ করে রাখছিলেন পাশের ফাঁকা জায়গায়। জানা গেছে, সুপার ফুড কিনোয়া বাংলাদেশে অপ্রচলিত ও নতুন খাবার হলেও ইউরোপ ও আমেরিকাসহ বিশ্বজুড়ে রয়েছে এর চাহিদা। সুপারফুড খ্যাত এই রবিশস্যটিতে রয়েছে হাইপ্রোটিন, মিনারেল, আয়রন, এন্টি অক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, লো গ্লাইসিমিকস ইনডেস্কসহ নানা পুষ্টিকর উপাদান। এর কদর রয়েছে সুপারশপ, রেস্টুরেন্টসহ নামিদামি সব খাবারের দোকানে। পায়েসসহ নানাভাবে রান্না করে খাওয়া যায় খাবারটি। তাই বিশ্ব বাজারে এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। কৃষক আমিনুর রহমান আমিন কালবেলাকে বলেন, চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর কৃষি কাজে মনোনিবেশ করি। ইউটিউব ঘাটাঘাটি করে কিনোয়া চাষে উদ্বুদ্ধ হই। প্রথম বছর এক বিঘা জমিতে এই ফসলের আবাদ করে সাফল্য পাই। তাই এবার পরিধি বাড়িয়ে ১২ বিঘা করেছি। এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। বাজারমূল্য ভালো পেলে আগামী বছর চাষের পরিধি আরও বাড়াব। তিনি আরও বলেন, কিনোয়া অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি ফসল। এতে ভিটামিন সি ব্যাতীত সব ধরনের ভিটামিন বিদ্যমান। কিনোয়ার চাষ পদ্ধতিও সহজ। খরচ একেবারেই কম। তবে, ফসলটি বাজারজাত একটু কঠিন। লোকাল মার্কেটে একদম অপরিচিত একটি ফসল এটি। তবে, অনলাইনে এর ব্যাপক চাহিদা আছে। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক এসএম মাহবুব উল আলম বলেন, সুপারফুড কিনোয়া ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে আক্রান্তদের জন্য ভাতের বিকল্প বেশ উপকারী খাবার বলছেন চিকিৎসকরা। শরীরে বিভিন্ন ভিটামিনের অভাব পূরণ করবে বলেও তারা বলছেন। কিনোয়া হলো হাই-প্রোটিন সম্পন্ন খাবার। এটিকে সুপারফুডও বলা হয়। কিনোয়াতে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে এবং লাইসিন সমৃদ্ধ, যা শরীরজুড়ে স্বাস্থ্যকর টিস্যু বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। কিনোয়া আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন-ই, পটাশিয়াম ও ফাইবারের একটি উৎকৃষ্ট উৎস। পঞ্চগড় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল মতিন বলেন, কিনোয়া দক্ষিণ আমেরিকার একটি ফসল। এটিকে সুপার ফুড বলা হয়, অনেকে এটিকে নভোচারীদের খাবার বলেন। কিনোয়া অনেক উপকারী খাবার। এটি আমাদের সুপারশপগুলোতে বিক্রি হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামীতে কিনোয়ার চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে। মাঠপর্যায়ে চাষিদের এই ফসলটি চাষাবাদে প্রয়োজনীয় পরার্মশ দেওয়া হবে।
০৩ মে, ২০২৪

ইউটিউব চ্যানেল, পোর্টালসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
দৈনিক যুগান্তরের চট্টগ্রাম স্টাফ রিপোর্টার এম এ কাউসারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে একটি ইউটিউব চ্যানেল ও ৩টি অনলাইন পোর্টালের ৯ জনের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সাংবাদিক কাউসার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এতে বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবির মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্টো শাখাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন, দেশইনফো২৪.কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক অতুল দাস, সহসম্পাদক সাইদুল আরেফিন, বার্তা সম্পাদক সাঈফ আজমল, প্রতিবেদক ফাইজুল আলম সিরাজ, অপরাজিত বাংলা২৪.কম এর সম্পাদক ও প্রকাশক সাইদুল ইসলাম সবুজ, সহসম্পাদক আব্দুল কাদের সুজন ও বার্তা সম্পাদক তাজুল ইসলাম। মামলায় ‘হিউমিনিটি’ নামক একটি ইউটিউব চ্যানেল ও বাংলাদেশ প্রতিদিন খবর নামক একটি অনলাইন পোর্টালকে আসামি করা হয়েছে। বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান খান বলেন, সংবাদ প্রকাশের জেরে কয়েকটি অনিবন্ধিত পোর্টালে সাংবাদিক এমএ কাউসার ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়। জড়িতদের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের সাইবার নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৬, ২৯, ৩৩ ও ৩৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলা সূত্র জানায়, গত ৩১ মার্চ দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘চসিক নারী কাউন্সিলরের দাপট : ব্যক্তির প্লট মসজিদের নামে দখলের পাঁয়তারা’ এবং ২ এপ্রিল ‘ওসি-ডিসিকে নিয়ে কথিত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার গালাগাল’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের জেরে রিপোর্টার এমএ কাউসারের ওপর ক্ষুব্ধ হয় চসিক নারী কাউন্সিলর হুরে আরা বেগম এবং তার ছোট ভাই রাশেদ হায়দার সোহেল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ মার্চ ‘হিউমিনিটি’ নামক একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে সংশ্লিষ্টরা। সেই চ্যানেলে সাংবাদিক কাউসারের ছবি ব্যবহার করে একটি অডিও রেকর্ড প্রচার করা হয়। অডিওটি রাশেদ হায়দার সোহেল এবং মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তির কথোপকথন হলেও প্রচারিত রেকর্ডে সাংবাদিক কাউসারের বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া কাউসারের ফেসবুকে ব্যবহৃত প্রোফাইল পিকচার এবং স্ত্রী-সন্তানের ছবি সংগ্রহ করে অপরাজিত বাংলা২৪.কম, দেশ ইনফো ২৪.কম ও বাংলাদেশ প্রতিদিন খবর.কম নামক পোর্টালে মানহানিকর মিথ্যা, বানোয়াট, আপত্তিকর ও মনগড়া তথ্য প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়।
০২ মে, ২০২৪

ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের দখলে যে গীতিকবির সর্বাধিক গান
গীতিকবি আসিফ ইকবাল। নিজের লেখা গান দিয়ে ইতোমধ্যেই দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। উপহার দিয়েছেন অসংখ্য কালজয়ী সব গান। বর্তমানে এই গীতিকবির তিনটি গান একসঙ্গে ইউটিউবের সেরা দশ ট্রেন্ডিংয়ে অবস্থান করছে। যা তার জন্য যেমন আনন্দের, তেমনই গর্বের। আসিফ ইকবাল গান লেখেন চার দশক ধরে। তবে সিনেমার জন্য গান লেখা শুরু করেছিলেন ২০১৮ -তে। ঢাকা অ্যাটাক, ভয়ঙ্কর সুন্দর, ইউ টার্ন, প্রিয়তমা এবং প্রহেলিকা সিনেমার জন্য গান লিখে রাতারাতি তিনি গেল বছর চলে আসেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সেই ধারায় এবারের ঈদে মুক্তি পাওয়া সবচেয়ে রাজকুমারের টাইটেল গানও তারই লেখা। যে গানটি মুক্তির পর থেকেই অবস্থান করছে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে বাংলাদেশের এক নম্বর গান হিসেবে। এখানেই শেষ নয় আসিফ ইকবালের অগ্রযাত্রা। ২১ এপ্রিল ইউটিউব ট্রেন্ডিং তালিকায় দেখা গেছে আসিফ ইকবালের লেখা আরও দুটি গান।  এই ঈদে সিনেমা ও অডিও মিলে প্রায় শতাধিক গান প্রকাশ হয়েছে ইউটিউবে। এরমধ্যে সেরা দশ-এ আসিফ ইকবাল একাই অবস্থান করছেন তিনটি গানে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শিল্পী-সুরকারের পাশাপাশি গান লেখার মধ্যেও যে মুনশিয়ানা রয়েছে, সেটিই প্রমাণ করছে এই ট্রেন্ডিং লিস্ট। গীতিকবি হিসেবে আসিফ ইকবাল তার যোগ্যতা জানান দিলেন নতুন করে। এ প্রসঙ্গে আসিফ ইকবাল বলেন, ‘আমি শুধুই একজন গীতিকবি। শিল্পী বা সুরকার নই। ফলে এই বহুমাত্রিক সময়ে শুধু গান লিখে নিজেকে প্রমাণ করাটা বেশ কঠিন। সেই কঠিন সময়ে ট্রেন্ডিংয়ে নিজের লেখা তিনটি গান একসঙ্গে দেখলে নিজেরই অবাক লাগে। চোখ ঝাঁপসা হয়ে আসে। চার দশক ধরে আমার গান লেখার অভিজ্ঞতা। শ্রোতাদের ভালোবাসা ছাড়া এতদিন টেকা যেত না। তবে গত বছর থেকে সিনেমায় নিয়মিত হওয়ার পর, গান লেখার আনন্দটা যেন নতুন করে অনুভব করছি। এই গুড-ফিল অনুভূতিটা বাঁচিয়ে রাখতে চাই। ধন্যবাদ জানাতে চাই, আমার সুরকার, শিল্পী, নির্মাতা ও নায়ক-নায়িকাদের। কারণ, সিনেমার কাজটি আসলেই টিমওয়ার্ক।’ চার দশকে আসিফ ইকবাল লিখেছেন ৫ শতাধিক গান। যার প্রায় সবই সিনেমার বাইরে, রেডিও, টেলিভিশন আর অডিওতে। তার লেখা প্রথম গান প্রকাশ হয় ১৯৮৪ সালে বিটিভিতে। সৈয়দ মনসুরের সুরে বন্ধন শিল্পীগোষ্ঠীর জন্য লেখা সেই গানটির নাম ‘অনেক তো বলেছি’। এরপর আর থামেননি। লিখেছেন হাতভরে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- কুমার বিশ্বজিতের ‘সুখ ছাড়া দুখ’, ‘তারা ভরা রাত’, ‘মেঘ রং মেয়ে’, জেমসের ‘অনন্যা’, নকীব খানের ‘স্বপ্ন জড়ানো’, নকীব-সামিনা চৌধুরীর ‘তুমি এলে পায়ে পায়’, আইয়ুব বাচ্চুর ‘ভাঙা মন’, ‘বহুদূর যেতে হবে’, ‘পরিত্যক্ত ডায়েরিটা’, আশিকুজ্জামান টুলুর ‘এই দূর পরবাসে’, সামিনা-ফাহমিদা নবীর ‘আমার সকল সুখে বুবু’, নিলয়ের ‘হ্যাপি তোকে মনে পড়লে’, মাহাদির ‘সুনীল বরুনা’, ‘মেঘ হয়ে কাঁদো বলে’, ‘অন্যরকম’, মাহাদি-এলিটার ‘হৃদয়ের ঝড়ে’, ‘নিঝুম রাত’, ‘ভোরের শিশির’, সোয়েব-এলিটার ‘ঘুম হয়ে আজ থাকতে যদি’, ন্যানসির ‘আমি ছুঁয়ে দিলেই’, মিনারের ‘কী তোমার নাম’, ‘বাড়াবাড়ি’, ‘একটুখানি’, ‘বাবা মায়ের জন্য’ প্রভৃতি।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

মোদির প্রচারণায় ইউটিউব চ্যানেল
এবারের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতা নিশ্চিত করতে চাইছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি। সেই লক্ষ্যে তপশিল ঘোষণার অনেক আগেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন দলটির নেতারা। এবারের নির্বাচনী স্লোগান ‘ফির ইক বার, মোদি সরকার’ অর্থাৎ ‘আরও একবার, মোদি সরকার’। ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টায় কোনো ত্রুটি রাখছেন না নেতারা। পথসভা, জনসভা থেকে শুরু করে পোস্টার টানানো, দেয়াল লিখন সবই করছেন। বিজেপির এবারের নির্বাচনী প্রচার শুধু অফলাইনেই সীমাবদ্ধ নেই, চলছে অনলাইনেও। তবে নির্বাচনী প্রচারণায় কিছু ‘অস্বাভাবিক’ বিষয়ও দেখা যাচ্ছে। আলজাজিরার এক প্রতিবেদন বলছে, সন্দেহজনক বেশ কিছু ইউটিউব ‘নিউজ’ চ্যানেল বিজেপি ও মোদির পক্ষে প্রচারণায় নেমেছে। প্রতিবেদন মতে, ইউটিউবের জয়-জয়কারের এ সময়ে জ্যামিতিক হারে বেড়েছে স্বঘোষিত নিউজ চ্যানেলের সংখ্যা। মোদির নির্বাচনী প্রচারণায় সাহায্য করার লক্ষ্যে এসব চ্যানেল থেকে প্রধানত গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারত ইউটিউবের অন্যতম বড় বাজার। দেশটির ১৪০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ৪৬ কোটিরও বেশি মানুষ ইউটিউব দেখেন। এ সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। অর্থাৎ ইউটিউবই হয়ে উঠেছে খবরের অন্যতম প্রধান উৎস। কিন্তু সম্প্রতি যেসব কনটেন্ট এতে প্রকাশ পাচ্ছে, তার সবগুলো প্রকৃত অর্থে ‘খবর’ নয়। আলজাজিরা বলছে, ভারতের কিছু জনপ্রিয় ইউটিউব নিউজ চ্যানেল ক্রমবর্ধমানভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করছে। একই সঙ্গে চ্যানেলগুলো প্রায়ই একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রশংসায় পঞ্চমুখ এবং সরকারের সমালোচক ও বিরোধী নেতাদের প্রতি আক্রমণাত্মক। প্রতিবেদন মতে, পক্ষপাতদুষ্ট প্রভাবশালী ইউটিউবারদের রাজনৈতিক বিভাজন সৃষ্টি করে এমন রাজনৈতিক বিষয়বস্তু নিয়ে কনটেন্ট তৈরি এখন সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র বলে পরিচিত ভারতের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে চ্যানেলগুলোর একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। এর মধ্যে ‘এনএমএফ নিউজ’ নামে একটি চ্যানেল ভারতের শীর্ষ ১০০টি সংবাদ ও রাজনীতিভিত্তিক চ্যানেলের মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে। চ্যানেলটির ‘সাবস্ক্রাইবার’ সংখ্যা ১ কোটি ৮২ লাখ। চ্যানেলটি এ পর্যন্ত ৮১০ কোটির বেশি ‘ভিউ’ পেয়েছে। এরপরই রয়েছে ‘হেডলাইন ইনডিয়া’ নামের একটি চ্যানেল। ৮৮ লাখ ৩০ হাজার সাবস্ক্রাইবার রয়েছে চ্যানেলটির। ভিউ পেয়েছে ৩০০ কোটি। এরপর ‘রাজধর্ম নিউজ’ নামে চ্যানেলটির রয়েছে ৩২ লাখ সাবস্ক্রাইবার। এখন পর্যন্ত ৯০ কোটি ‘ভিউ’ পেয়েছে চ্যানেলটি। বিশাল এই ‘রিচ’ ও ‘ভিউ’ নিয়ে এ ধরনের ‘নিউজ’ চ্যানেলগুলো মানুষের মধ্যে কেমন উপলব্ধি ও জনমত তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে নির্বাচনের মৌসুমে, তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

ইউটিউব ভিডিও দেখা বন্ধ হচ্ছে নির্দিষ্ট অ্যাপে
ভিডিও শেয়ার করার জনপ্রিল সামাজিকমাধ্যম ইউটিউব। ২০০৫ সালে ইউটিউব যাত্রা শুরু করে। ইউটিউবে শুধু শেয়ার করা না, ভিডিও ক্লিপ, সিনেমা, গান, ডকুমেন্টরি এবং আরও নানা ধরনের ভিডিওর বিশাল একটি আর্কাইভে পরিণত হয়েছে। গুগোলের অংশ হওয়ার পর থেকে হোস্টেড এডসেন্সের মাধ্যমে অ্যাড দেখিয়ে এখান থেকে অর্থ উপার্জনও করা যাচ্ছে। যদিও আনেকে কাছে এ অ্যাড বিরক্তির কারণ। ব্যবহারকারীরা বিড়ম্বনা এড়াতে অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করে ভিডিও দেখতেন। গত বছর থেকে বিভিন্ন দেশে অ্যাড ব্লকার ব্যবহারকারীদের ভিডিও দেখার সুযোগ বন্ধ করে দেয় ইউটিউব। এবার থার্ড পার্টির তৈরি এসব অ্যাপের মাধ্যমে ইউটিউবের ভিডিও দেখা সম্পূর্ণরূপে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইউটিউবে ভিডিও দেখতে ব্যবহারকারীরা অ্যাড ব্লকার ব্যবহারে অন্য প্রতিষ্ঠানের অ্যাপের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন ছাড়া ইউটিউব ভিডিও দেখেন। নতুন নেওয়া এ সিদ্ধান্তে- বিভিন্ন দেশ থেকে থার্ড পার্টি প্রতিষ্ঠানের তৈরি অ্যাপের মাধ্যমে ইউটিউবে ভিডিও দেখা যাবে না। বিজ্ঞাপন মূলত ইউটিউব আয়ের প্রধান উৎস। পাশাপাশি কনটেন্ট নির্মাতাদের আর্থিক সহায়তা দিতে ভিডিওতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা হয়ে থাকে। যদিও অ্যাড ব্লকার ও থার্ড পার্টি প্রতিষ্ঠানের তৈরি অ্যাপ ব্যবহার করে ইউটিউবের ভিডিও দেখলে কমসংখ্যক মানুষ বিজ্ঞাপন দেখেন। ফলে ইউটিউবের আয়ের পরিমাণ কমে যায়। কনটেন্ট নির্মাতারাও কম অর্থ পান। এ কারণেই পর্যায়ক্রমে সব দেশে অ্যাড ব্লকার ও থার্ড পার্টি প্রতিষ্ঠানের তৈরি অ্যাপ ব্যবহার বন্ধ করছে ইউটিউব। বিজ্ঞাপন দেখার বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি পেতে অর্থের বিনিময়ে ইউটিউব প্রিমিয়াম সুবিধা চালু রয়েছে ইউটিউবে। বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের জন্যও বিজ্ঞাপন ছাড়া ভিডিও দেখার সুবিধা চালু করেছে। ভিডিও শেয়ারিং সাইটের এই সুবিধার নাম ইউটিউব প্রিমিয়াম। এই সুবিধা নিতে চাইলে ব্যবহারকারীকের সাবস্ক্রিপশন নিতে হবে। এই সাবস্ক্রিপশন নিতে প্রতি মাসে খরচ হবে ২৩৯ টাকা। তবে প্রথম মাস ফ্রি টায়াল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস  
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

ইউটিউব দেখে ব্যাংক ডাকাতিতে উৎসাহিত হয় তারা
ইউটিউব দেখে নিজেকে ঝালিয়ে নিয়ে ব্যাংক ডাকাতি করতে গিয়ে খুন করে নৈশপ্রহরী শাহাদাতকে (১৯)। আর এ কাজে আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী শাহাদাতকে বসে আনতে নিজের প্রেমিকা মিলি আক্তারকে (২০) ব্যবহার করেন ঘটনার মূল হোতা সাকিব হোসেন (২১)। খুনের ঘটনায় সাকিবকে সহায়তা করে তার বন্ধু সজিব (২১)। বুধবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে প্রেস ব্রিফিং করে চাঁদপুরের মতলব উত্তরের গজারিয়ায় কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি করতে গিয়ে নৈশপ্রহরী শাহাদাত খুনের রহস্য উন্মোচন করে এসব জানিয়েছেন পিবিআই চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মো. মোস্তফা কামাল রাশেদ। তিনি বলেন, খুনের ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তারসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ভল্ট ভাঙ্গার অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ অন্যান্য মালামালও পুকুর থেকে উদ্ধার করেছি। আমরা আসামিদের আদালতে পাঠিয়েছি। প্রসঙ্গত, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে গলায় গামছা পেঁচিয়ে দুদিক থেকে দুজনে টেনে ধরে শাহাদাতকে হত্যা করে ছাদে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। ক্লুলেস সেই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করলো পিবিআই চাঁদপুরের টিম।
১০ এপ্রিল, ২০২৪

ইউটিউব দেখে বিমান তৈরি করল স্কুলছাত্র সিয়াম
ইউটিউব দেখে রিমোট কন্ট্রোল বিমান বানিয়ে এবং তা উড়িয়ে চমকে দিয়েছে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হাট বৈরানের বাসিন্দা কৃষক হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. সিয়াম (১৫)। সে স্থানীয় সুতি ভিএম পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার দশম শ্রেণির ছাত্র। সে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমান এফ-২২ র‌্যাপ্টরের আদলে একটি বিমান বানিয়েছে। এটির নাম দিয়েছে বঙ্গবন্ধু এফ-২২ র‌্যাপ্টর। জানা গেছে, ছোটবেলা থেকেই কারিগরি কাজের প্রতি ব্যাপক ঝোঁক মো. সিয়ামের। তার বাবার মোবাইলে ইউটিউবে বিমান বানানো দেখে সে। এরপর থেকে সে বিমান বানানোর চেষ্ট করতে থাকে। ৫ বছর ধরে টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে তা দিয়ে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কেনে সে। ছেলের উৎসাহ দেখে বাবাও সাধ্যমতো আর্থিক জোগান দিতে থাকে। সিয়াম জানায়, আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী বিমানটি বানিয়েছি। গবেষণার মাধ্যমে এটির আরও উন্নতি সম্ভব। এ ছাড়া কৃষিকাজে ব্যবহৃত ড্রোন বানানোসহ, ক্যামেরা লাগিয়ে শতমাইল দূরে নজরদারি বিমান সে বানাতে চায়। কিন্তু এজন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন। সিয়ামের বাবা হাবিবুর রহমান বলেন, আমি কৃষক মানুষ; এত কিছু বুঝি না। তার এসব কাজের প্রতি আগ্রহ দেখে টাকা চাইলে চেষ্টা করতাম দিতে। সরকার যদি সহযোগিতা করে, তাহলে সে দেশের জন্য বাজ করতে পারবে। সুতি ভিএম পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতিকুর রহমান বলেন, সিয়ামের বিমান তৈরির বিষয়ে আমরা আগে থেকে কিছু জানতে পারিনি। তার মেধা দেখে আশ্চর্য হয়ে গেছি। তার প্রতিভার কথা এমপি ও ইউএনওকে জানাব। আজ থেকে তার গবেষণায় যা দরকার হবে বিদ্যালয়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া আর্থিক সহায়তার জন্য ইউএনওকে অনুরোধ করব। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জুলফিকার হায়দার বলেন, সিয়ামের প্রতিভা দেখে আমি বিস্মিত। তার বানানো জেট বিমানটি খুবই চমৎকার। লোকাল প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে তাকে আর্থিক সহায়তা করার চেষ্টা করব।
৩১ মার্চ, ২০২৪

মিথ্যা ছড়াচ্ছে ৩ ইউটিউব চ্যানেল!
মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে ব্যবসা করার দায়ে ফেঁসে যেতে পারে ৩টি ইউটিউব চ্যানেল। সম্প্রতি ডিসমিসল্যাবের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ডিসমিসল্যাব বলছে, এসব চ্যানেলে ভিডিওর থাম্বনেইল ও শিরোনামের সঙ্গে ভেতরের বিষয়বস্তুর কোনো মিল নেই। তাদের তুলে ধরা তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। ইউটিউবে এ ধরনের ভুয়া ভিডিওর বাজার দেশে গড়ে উঠেছে। এসব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার বেড়ে যাওয়ায় বিজ্ঞাপন পাচ্ছে এবং তাদের আয় বাড়ছে। বাংলাদেশের ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থাগুলোর ফ্যাক্ট চেকিংয়ের আওতায় আসা সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক অপতথ্য ছড়ানো তিনটি ইউটিউব চ্যানেলকে বেছে নেওয়া হয়েছে। চ্যানেল তিনটি হলো- ‘সবাই শিখি’, ‘তাজা নিউজ’ ও ‘মিডিয়া সেল ২৪’। এসব চ্যানেল মিথ্যা ও অপতথ্য ছড়ানোর মাধ্যমে মুনাফা করছে। ডিসমিসল্যাবের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব চ্যানেলের ভিডিওগুলো দেখলেই মনে হবে ভুয়া ও সস্তা। ভিডিওর থাম্বনেইল ও শিরোনামের সঙ্গে ভেতরের বিষয়বস্তুর মিল নেই। ইউটিউবে এ ধরনের সস্তা-মিথ্যার একটি বাজার গড়ে উঠেছে। যেখানে ভিউও অনুসারী দ্রুত বেড়ে চলেছে। এ ধরনের চ্যানেলগুলো আবার ভেরিফায়েডও। সবাই শিখি, তাজা নিউজ ও মিডিয়া সেল ২৪- তিনটি চ্যানেল ইউটিউবে রাজনৈতিক ভুয়া তথ্য প্রচারের মাধ্যমে আয় করছে। চ্যানেলগুলো বিশ্লেষণ করে ডিসমিসল্যাব দেখেছে যে, তারা যখন থেকে ভুল বা অপতথ্যভিত্তিক ভিডিও পোস্ট করা শুরু করেছে, তখন থেকেই তাদের ভিউ ও অনুসারী সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দ্বিগুণ বা তিন গুণের বেশি বেড়েছে। তিনটি চ্যানেলের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয়েছে। সেখান থেকে ইউটিউবও আয় করেছে। ডিসমিসল্যাব বলছে, ইউটিউবের নির্দেশাবলিতে (কমিউনিটি গাইডলাইন) থাম্বনেইল পলিসিতে বলা হয়েছে, ভিডিওর থাম্বনেইলে এমন কোনো তথ্য দেওয়া যাবে না, যা দর্শকদের বিভ্রান্ত করে। কিন্তু উল্লিখিত তিনটি চ্যানেলের ভিডিওতে বিভ্রান্তিকর থাম্বনেইল ব্যবহার করা হয়েছে। সেখানে এমন তথ্যের উল্লেখ আছে, যা সত্য নয় এবং ভিডিওতে তেমন কোনো তথ্য উপস্থাপনও করা হচ্ছে না। কিন্তু ভিডিওগুলো ইউটিউবে রয়েছে এবং মনিটাইজেশনের মাধ্যমে মুনাফা করছে। মিডিয়া সেল ২৪ চ্যানেলটি ঘেঁটে দেখা গেছে, একটি ভিডিওর শিরোনাম ‘মুক্তি পাচ্ছে মির্জা ফখরুল...তফসিল বাতিল।’ সেটি প্রকাশিত হয় ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর। অথচ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তখনো কারাগারে ছিলেন এবং নির্বাচনী তপশিলও বাতিল হয়নি। তাতে বিভিন্ন সময়ের ভিডিও জোড়া দেওয়া হয়েছে। এর ভিউ হয়েছে ১০ লাখের মতো। এই ভিডিওতে সাড়ে চার শতাধিক মন্তব্য করা হয়েছে। মিডিয়া সেল ২৪ চ্যানেলটি ভেরিফায়েডও। প্রসঙ্গত, মনিটাইজেশন পদ্ধতির মাধ্যমে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ ও ইউটিউব চ্যানেল আয় করে থাকে। মনিটাইজেশন হচ্ছে চ্যানেলকে আয়যোগ্য করে তোলা। মনিটাইজেশন সুবিধা চালু করতে হলে ইউটিউব চ্যানেলে কমপক্ষে ৫০০ অনুসারী থাকতে হবে। এ ছাড়া বিগত ১২ মাসে দর্শকদের ভিডিও দেখার সময় ৩ হাজার ঘণ্টা থাকতে হবে। পাশাপাশি আবেদনের ৯০ দিনের মধ্যে কমপক্ষে তিনটি ভিডিও আপলোড করতে হবে।  
০৬ মার্চ, ২০২৪

ইউটিউব দেখে বিমান বানিয়ে তাক লাগালেন আলমগীর
স্বপ্ন ছিল প্রকৌশলী হওয়ার। ইচ্ছেও ছিল সে বিষয়ে পড়াশোনা করার। অভাবে পড়াশোনা থামিয়ে দিলেও প্রতিভা থামেনি আলমগীরের। নিজের তৈরি বিমান এখন আকাশে ওড়ে।  আলমগীর দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের ভাণ্ডারদহ গ্রামের আব্দুল মজিদ ও জাহানারা বেগমের ছোট ছেলে। নিজের সৃজনশীল মেধাকে কাজে লাগিয়ে ছোট আকারের একটি বিমান তৈরি করে এরইমধ্যে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন আলমগীর। তার তৈরি বিমানটি প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্বে আধঘণ্টা ধরে উড়তে পারে। আলমগীর মূলত চুক্তিভিত্তিতে শ্যালোমেশিন দিয়ে বিভিন্ন ক্ষেতে পানি দেওয়ার কাজ করে। এ কাজের পাশাপাশি সে তার মেধা খাটিয়ে অনলাইন ও ইউটিউব থেকে ধারণা নিয়ে এ বিমান তৈরি করে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় একটি খেলার মাঠে ছোট বিমান ওড়াচ্ছেন আলমগীর। তাকে উৎসাহ জোগাচ্ছেন স্থানীয়সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ। তার এই ছোট বিমানটি তৈরি করতে খরচ হয় ১২ হাজার টাকা। মূল বডি ককশিট দিয়ে তৈরি। এ ছাড়াও ট্রান্সমিটার, রিসিভার, ব্যাটারি, শক্তির জন্য ব্রাশলেস মোটর ও ছোট ফ্যান এবং চাকা রয়েছে। আকাশে ওড়ানো বিমানটি একটি রিমোটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। বিমান তৈরির কারিগর আলমগীর কালবেলাকে বলেন, এর আগেও অনেক বিমান তৈরি করেছি। আবার ভেঙেও গেছে। তবুও আমি থামিনি। সর্বশেষ তৈরি করেছি ছেচনা মডেলের একটি বিমান। এটি গত ডিসেম্বর থেকে চূড়ান্তভাবে তৈরির কাজ করে ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে শেষ হয়। বাড়ির পাশে খেলার মাঠে পরীক্ষামূলকভাবে বিমানটি উড়াই। খামারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুবকর সিদ্দিক চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, আলমগীর ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখেছিল বিমান তৈরি করার। সামান্য কিছু সামগ্রী দিয়ে বিমানটি তৈরি করেছে সে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাজউদ্দিন কালবেলাকে বলেন, আলমগীরের বিমান তৈরির বিষয়টি শুনেছি। সে স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক। আমরা তার উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। উপজেলা প্রশাসন তার সার্বিক সহযোগিতার জন্য সব সময় পাশে আছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ইউটিউব দেখে স্ত্রীর ডেলিভারির চেষ্টা, মা-নবজাতকের মৃত্যু
স্ত্রী চেয়েছিলেন হাসপাতালে যেতে। কিন্তু নিজ বাড়িতেই সন্তান প্রসবের জন্য বাধ্য করেন স্বামী। এতেই ঘটে দুর্ঘটনা। প্রসবের কষ্ট না সইতে পেরে মৃত্যু হয়েছে মা ও নবজাতকের।  ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কেরালা রাজ্যের তিরুবনন্তপুরমে। স্বামীর একগুঁয়েমির কারণেই এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।  ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, স্ত্রীর সন্তান প্রসবের জন্য স্বামী আধুনিক প্রক্রিয়াকে বাদ দিয়ে ইউটিউব দেখে স্বাভাবিক প্রসবের ওপর জোর দিয়েছিলেন। স্বামী নিজের গর্ভবতী স্ত্রীকে আকুপাংচারের সাহায্যে বাড়িতেই ডেলিভারি করানোর চেষ্টা করেছিলেন। এ ঘটনায় চতুর্থ সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে ৩৬ বছর বয়সী শেমিরা বিবি ও নবজাতক দুজনেরই মৃত্যু হয়েছে।  পুলিশ জানিয়েছে, মৃত নারীর স্বামী তাকে স্বাভাবিক নিয়মে প্রসব করাতে চেয়েছিলেন, তাই তিনি গর্ভবতী স্ত্রীকে কোনো ডাক্তারের কাছেও নিয়ে যাননি। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী নিয়াজের বিরুদ্ধে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। 
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X