শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে ইউনিক হোটেল
ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টসের বার্ষিক সাধারণ সভা মঙ্গলবার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা রোটারিয়ান গোলাম মুস্তাফা। চেয়ারপারসন সেলিনা আলী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা নূর আলী কন্যা নাদিহা আলীর আকস্মিক মৃত্যুর কারণে সভায় থাকতে পারেননি। এ সময় গত হিসাব বছরের জন্য ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়। সভায় ছিলেন স্বতন্ত্র পরিচালক ফোরকান উদ্দিন, আহসান উল্লাহ, মনোনীত পরিচালক সাইফুল ইসলাম, খালেদ নূর, গোলাম সরোয়ার, প্রধান নির্বাহী শাখাওয়াত হোসেন, পরিচালক-রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স ও কোম্পানি সচিব শরীফ হাসান, চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার জনি কুমার গুপ্ত, অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগের প্রধান মোসাব্বিরুল ইসলাম প্রমুখ।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় ইউনিক গ্রুপের এমডির মেয়ে নিহত
ইউনিক গ্রুপ ও নতুন ভিশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহা. নূর আলীর মেয়ে নাদিহা আলী যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। তার বয়স হয়েছিল ৩৭ বছর। গত বুধবার শিকাগো বিমানবন্দরের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নাদিহা আলী মো. নূর আলী ও সেলিনা আলী দম্পতির মেজো মেয়ে। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন নতুন ভিশন লিমিটেডের পরিচালক মোহাম্মদ আলী হোসেন। সেইসঙ্গে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি। ইউনিক গ্রুপ থেকে এক শোকবার্তায় নাদিহা আলীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় ইউনিক গ্রুপের এমডির মেয়ে নিহত
ইউনিক গ্রুপ ও নতুন ভিশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহা. নূর আলীর মেয়ে নাদিহা আলী যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৩৭ বছর। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) শিকাগো বিমানবন্দরের কাছে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।  নাদিহা আলী মো. নূর আলী ও সেলিনা আলী দম্পতির মেজো মেয়ে ছিলেন। নাদিহা আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন নতুন ভিশন লিমিটেডের পরিচালক মোহাম্মদ আলী হোসেন। সেই সঙ্গে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।  এদিকে ইউনিক গ্রুপ থেকে এক শোকবার্তায় নাদিহা আলীর বিদেহী আত্মার প্রতি মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

শিক্ষার্থীরা পাবে সাধারণ কার্ড / ইউনিক আইডি নিয়ে গড়িমসি গ্রহণযোগ্য নয়
প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মৌলিক ও শিক্ষাসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এক জায়গায় রাখার জন্য ইউনিক আইডি তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে এই আইডি জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) রূপান্তরিত হবে। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি তৈরির দায়িত্বে আছে বাংলাদেশ শিক্ষা, তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইজ)। আর প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি তৈরি করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। কেন শিক্ষার্থীদের জন্য ইউনিক আইডি তৈরি করা হচ্ছে, এমন প্রশ্নে প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক শামসুল আলম বলেছিলেন, ‘কোনো শিশু জন্মগ্রহণ করলেই সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগের অফিস অব রেজিস্ট্রার জেনারেলের আওতায় তার জন্মনিবন্ধন হয়। আর ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া সবার জন্য আছে জাতীয় পরিচয়পত্র। কিন্তু যারা প্রাইমারি, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী, অর্থাৎ যাদের বয়স ১৮-এর নিচে তারা এই সিস্টেমের বাইরে। এ জন্য তাদের সিস্টেমের মধ্যে আনতেই ইউনিক আইডি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ কিন্তু ‘ইউনিক’ মানে অসাধারণ-অনন্য হলেও শিক্ষার্থীদের জন্য গৃহীত প্রকল্পের বেলায় শব্দটির অর্থের বিপর্যয় ঘটেছে। পাঁচ বছরের বেশি সময় অপেক্ষা করেও শিক্ষার্থীরা ‘ইউনিক আইডি কার্ড’ পাচ্ছে না। নাম ইউনিক আইডি হলেও মানের দিক থেকে সেটি হবে নিতান্তই সাধারণ। এটি অনেকটা কাগুজে আইডি কার্ডের মতোই হবে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটি কার্ডের জন্য বরাদ্দ মাত্র ৪ টাকা। সে কারণে তাদের পক্ষে শিক্ষার্থীদের ইউনিক বা স্মার্ট আইডি দেওয়া সম্ভব হবে না। গত ৯ জুলাই ব্যানবেইসের সভাকক্ষে এস্টাবলিশমেন্ট অব ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইইআইএমএস) প্রকল্পের আওতায় ‘শিক্ষার্থী ইউআইডি কার্ডের ডিজাইন চূড়ান্তকরণ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালার শুরুতে শিক্ষামন্ত্রী ইউনিক আইডি প্রকল্পে বিলম্বের কারণ জানতে চান। জবাবে প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক মো. শামছুল আলম জানান, করোনা মহামারিসহ বিভিন্ন কারণে বিলম্ব হয়েছে। তিনি বলেন, ইউনিক আইডি প্রদানের শর্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থীর নাম বাংলা ও ইংরেজি দুটিই থাকতে হবে। তবে, অনেক শিক্ষার্থীর নাম হয় বাংলায় নয়তো ইংরেজিতে রয়েছে। সে কারণে জন্ম-মৃত্যু রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে অনেক শিক্ষার্থীর আইডি ঝুলে রয়েছে। এ ছাড়া অনেকে এখনো তথ্য এন্ট্রি করেনি। এখন পর্যন্ত ১ কোটি ১১ লাখ শিক্ষার্থীর তথ্য পাওয়া গেছে। আইডি প্রস্তুত হয়েছে ৬২ লাখ শিক্ষার্থীর। বাকি রয়েছে ৮ লাখ। এ ছাড়া জন্ম-মৃত্যু রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে ঝুলে রয়েছে ২৬ লাখ আইডি। আর ১৫ লাখ শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়ে গেছে। আমরা মনে করি, শিক্ষার্থীদের জন্য ইউনিক আইডি কার্ড তৈরির সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয়। এর মাধ্যমে অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা অনেক বিড়ম্বনা থেকে সহজেই রেহাই পেতেন। শুধু আর্থিক কারণে এই পরিকল্পনা থেকে সরে আসা ঠিক হবে না। একথা মিথ্যা নয় যে, বিদ্যমান বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক বৈরী পরিস্থিতির কারণে আমরা এক ধরনের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। তবে এই সংকট এতটা তীব্র নয় যে, এ জন্য শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি দেওয়া বন্ধ রাখতে হবে। আমাদের প্রত্যাশা, সবকিছু সমন্বয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টরা ইউনিক আইডি দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।
২৩ জুলাই, ২০২৩

ইউনিক নয়, শিক্ষার্থীরা পাবে সাধারণ কার্ড
আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের 8 ‘ইউনিক’ মানে অসাধারণ-অনন্য হলেও শিক্ষার্থীদের জন্য গৃহীত প্রকল্পের বেলায় শব্দটির অর্থের বিপর্যয় ঘটেছে। ৫ বছরের বেশি সময় অপেক্ষা করেও শিক্ষার্থীরা ‘ইউনিক আইডি কার্ড’ পাচ্ছে না। নাম ইউনিক আইডি হলেও মানের দিক থেকে সেটি হবে নিতান্তই সাধারণ। এটি অনেকটা কাগুজে আইডি কার্ডের মতোই হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটি কার্ডের জন্য বরাদ্দ মাত্র ৪ টাকা। সে কারণে তাদের পক্ষে শিক্ষার্থীদের ইউনিক বা স্মার্ট আইডি দেওয়া সম্ভব হবে না। ব্যানবেইস সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ জুলাই ব্যানবেইসের সভাকক্ষে এস্টাবলিশমেন্ট অব ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইইআইএমএস) প্রকল্পের আওতায় ‘শিক্ষার্থী ইউআইডি কার্ডের ডিজাইন চূড়ান্তকরণ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, ব্যানবেইসের মহাপরিচালক মো. মুহিবুর রহমান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারসহ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব, বুয়েটের কারিগরি টিম ও ব্যানবেইস কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালার শুরুতে শিক্ষামন্ত্রী ইউনিক আইডি প্রকল্পে বিলম্বের কারণ জানতে চান। জবাবে প্রকল্প পরিচালক  অধ্যাপক মো. শামছুল আলম জানান, করোনা মহামারিসহ বিভিন্ন কারণে বিলম্ব হয়েছে। তিনি বলেন, ইউনিক আইডি প্রদানের শর্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থীর নাম বাংলা ও ইংরেজি দুটিই থাকতে  হবে। তবে, অনেক শিক্ষার্থীর নাম হয় বাংলায় নয়তো ইংরেজিতে রয়েছে। সে কারণে জন্ম-মৃত্যু রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে অনেক শিক্ষার্থীর আইডি ঝুলে রয়েছে। এ ছাড়া অনেকে এখনো তথ্য এন্ট্রি করেনি। শামছুল আলম জানান, এখন পর্যন্ত ১ কোটি ১১ লাখ শিক্ষার্থীর তথ্য পাওয়া গেছে। আইডি প্রস্তুত হয়েছে ৬২ লাখ শিক্ষার্থীর। বাকি রয়েছে ৮ লাখ। এ ছাড়া জন্ম-মৃত্যু রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে ঝুলে রয়েছে ২৬ লাখ আইডি। আর ১৫ লাখ শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়ে গেছে। কর্মশালায় প্রকল্প পরিচালকের কাছে মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব প্রশ্ন রাখেন, মাত্র ৪ টাকায় ইউনিক আইডি তৈরি সম্ভব কি না? জবাবে তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের একটি আইডি প্রস্তুতে বরাদ্দ ৪ টাকা। এ মুহূর্তে নতুন করে বরাদ্দ বাড়ানোরও সুযোগ নেই। তাই এই টাকা দিয়েই আইডি প্রস্তুত করতে হবে। পরে প্রকল্প পরিচালক শিক্ষামন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর কাছে করণীয় জানতে চান। তখন মন্ত্রী ও উপমন্ত্রী আইডি কার্ডে কিছু সংশোধনী দিয়ে আইডি দ্রুত প্রস্তুতের নির্দেশনা দেন। কর্মশালায় সিদ্ধান্ত হয়, একটি কার্ড ডিজাইন করে সেটি প্রিন্ট করে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে। এ ছাড়া এই আইডির আরেকটি কপি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠানো হবে। শিক্ষার্থীরা অনলাইন থেকে যে কোনো সময় সেটি নামিয়ে নিতে পারবে। ব্যানবেইস থেকে জানা গেছে, কর্মশালার পর ইউনিক আইডির ডিজাইনে কিছু সংশোধনী এনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমতি পেলে এরপর ওপেন টেন্ডার ডাকা হবে। টেন্ডার হয়ে গেলে এক মাসের মধ্যেই কার্ড প্রস্তুত করা সম্ভব হবে। ডিসেম্বরের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের আইডি দেওয়ার লক্ষ্য সরকারের। প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর জন্য একটি ইউনিক আইডি তৈরি এবং সমন্বিত শিক্ষাতথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রণয়ন করতে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে আইইআইএমএস প্রকল্প নেয় সরকার। মূল প্রকল্প ছিল ৩১৩ কোটি ৩১ লাখ টাকার। পরে ব্যয় বাড়িয়ে করা হয় ৩৫৩ কোটি ২১ লাখ ৪২ হাজার টাকা। এই প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি ১৩১ কোটি ১৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল বা মেয়াদ ছিল ২০১৮ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এর মধ্যে অর্ধেক কাজও শেষ না হওয়ায় কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। প্রকল্পের ত্রুটি : ইউনিক আইডি প্রকল্পে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, সেগুলোর ইআইআইএন থাকা বাধ্যতামূলক। ইআইআইএন হলো এডুকেশনাল ইনস্টিটিউট আইডেন্টিফিকেশন নম্বর। সরকার অনুমোদিত স্কুল ও কলেজের (মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ লেভেল) এই নম্বর থাকে। এই প্রকল্পে রয়েছে স্কুলের ষষ্ঠ থেকে দশম, কলেজের একাদশ থেকে দ্বাদশ, মাদ্রাসার ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ এবং কারিগরি ও ভোকেশনালের অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। তবে কওমি মাদ্রাসা ও ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের এই নম্বর নেই। তাই প্রকল্পে এই দুই মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ব্যানবেইসে অনুষ্ঠিত ওই কর্মশালায় শিক্ষামন্ত্রী কওমি ও ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে কেন এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, তা জানতে চান। জবাবে অধ্যাপক শামছুল আলম বলেন, প্রকল্পটিই এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যেখানে ইআইআইএন ধারী প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্যই নেওয়া হবে। তখন মন্ত্রী ও উপমন্ত্রী বলেন, এটিকে বাধ্যতামূলক না করে ঐচ্ছিক করা উচিত ছিল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ইংরেজি মাধ্যম স্কুল অভিভাবক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ খান জানান, ইউনিক আইডির বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তাদের কিছুই জানানো হয়নি। জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক শামসুল আলম কালবেলাকে বলেন, লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের সব তথ্য এক জায়গায় নিয়ে আসা। সেটি আমরা নিয়ে আসছি। এখন সেগুলো দিয়ে ইউনিক আইডি ছাপানো হবে। হয়তো লেমিনেটিং কাগজে। এ ছাড়া শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছে আইডির সফট কপি পাঠানো হবে। শিক্ষার্থীরা চাইলে যে কোনো সময় সেটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবে। ব্যানবেইস মহাপরিচালক মো. মুহিবুর রহমান বলেন, আমরা দ্রুত ছাপানোর কাজে যাব। তবে কার্ড ছাপানোর জন্য ৪ টাকা যথেষ্ট নয় বলে জানান তিনি। তার মতে, ১০-১২ টাকা হলে একটি ভালোমানের কার্ড ছাপানো যেত। শিক্ষার্থী ও শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা হতাশ হবে : রাজধানীর উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জহুরা বেগম কালবেলাকে বলেন, আমরা জানি ইউনিক আইডিটা হবে এনআইডির মতো। শব্দটা ইউনিক। কিন্তু কার্ড তৈরির জন্য বরাদ্দ মাত্র ৪ টাকা কেন হবে? ৪ টাকা দিয়ে কি কোনো কার্ড হবে? আমরা স্কুলে বাচ্চাদের যে কার্ড দিই তাতেও তো অনেক খরচ। প্রশ্ন হলো আইডিটা যদি ইউনিক না হয়, তাহলে কোটি কোটি টাকা খরচ করে আমাদের লাভটা কী হলো? এই খাতে কেন পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখলাম না? ৪ টাকায় ইউনিক আইডি কার্ড করা সম্ভব না জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, এতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক বা অভিভাবকই শুধু নয়, যারা শিক্ষা নিয়ে কাজ করেন তারাও হতাশ হবেন। ভালো উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়লে পরবর্তী সময়ে কোনো প্রকল্প বা উদ্যোগ নিতে গেলেও বারবার চিন্তা করতে হবে যে আমরা তো আগেরটাও পারিনি।  
২২ জুলাই, ২০২৩

এক কার্ডে বরাদ্দ মাত্র ৪ টাকা / ইউনিক নয়, শিক্ষার্থীরা পাবে সাধারণ কার্ড
‘ইউনিক’ মানে অসাধারণ-অনন্য হলেও শিক্ষার্থীদের জন্য গৃহীত প্রকল্পের বেলায় শব্দটির অর্থের বিপর্যয় ঘটেছে। ৫ বছরের বেশি সময় অপেক্ষা করেও শিক্ষার্থীরা ‘ইউনিক আইডি কার্ড’ পাচ্ছে না। নাম ইউনিক আইডি হলেও মানের দিক থেকে সেটি হবে নিতান্তই সাধারণ। এটি অনেকটা কাগুজে আইডি কার্ডের মতোই হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটি কার্ডের জন্য বরাদ্দ মাত্র ৪ টাকা। সে কারণে তাদের পক্ষে শিক্ষার্থীদের ইউনিক বা স্মার্ট আইডি দেওয়া সম্ভব হবে না। ব্যানবেইস সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ জুলাই ব্যানবেইসের সভাকক্ষে এস্টাবলিশমেন্ট অব ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইইআইএমএস) প্রকল্পের আওতায় ‘শিক্ষার্থী ইউআইডি কার্ডের ডিজাইন চূড়ান্তকরণ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, ব্যানবেইসের মহাপরিচালক মো. মুহিবুর রহমান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারসহ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব, বুয়েটের কারিগরি টিম ও ব্যানবেইস কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালার শুরুতে শিক্ষামন্ত্রী ইউনিক আইডি প্রকল্পে বিলম্বের কারণ জানতে চান। জবাবে প্রকল্প পরিচালক  অধ্যাপক মো. শামছুল আলম জানান, করোনা মহামারিসহ বিভিন্ন কারণে বিলম্ব হয়েছে। তিনি বলেন, ইউনিক আইডি প্রদানের শর্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থীর নাম বাংলা ও ইংরেজি দুটিই থাকতে  হবে। তবে, অনেক শিক্ষার্থীর নাম হয় বাংলায় নয়তো ইংরেজিতে রয়েছে। সে কারণে জন্ম-মৃত্যু রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে অনেক শিক্ষার্থীর আইডি ঝুলে রয়েছে। এ ছাড়া অনেকে এখনো তথ্য এন্ট্রি করেনি। শামছুল আলম জানান, এখন পর্যন্ত ১ কোটি ১১ লাখ শিক্ষার্থীর তথ্য পাওয়া গেছে। আইডি প্রস্তুত হয়েছে ৬২ লাখ শিক্ষার্থীর। বাকি রয়েছে ৮ লাখ। এ ছাড়া জন্ম-মৃত্যু রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে ঝুলে রয়েছে ২৬ লাখ আইডি। আর ১৫ লাখ শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়ে গেছে। কর্মশালায় প্রকল্প পরিচালকের কাছে মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব প্রশ্ন রাখেন, মাত্র ৪ টাকায় ইউনিক আইডি তৈরি সম্ভব কি না? জবাবে তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের একটি আইডি প্রস্তুতে বরাদ্দ ৪ টাকা। এ মুহূর্তে নতুন করে বরাদ্দ বাড়ানোরও সুযোগ নেই। তাই এই টাকা দিয়েই আইডি প্রস্তুত করতে হবে। পরে প্রকল্প পরিচালক শিক্ষামন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর কাছে করণীয় জানতে চান। তখন মন্ত্রী ও উপমন্ত্রী আইডি কার্ডে কিছু সংশোধনী দিয়ে আইডি দ্রুত প্রস্তুতের নির্দেশনা দেন। কর্মশালায় সিদ্ধান্ত হয়, একটি কার্ড ডিজাইন করে সেটি প্রিন্ট করে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে। এ ছাড়া এই আইডির আরেকটি কপি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠানো হবে। শিক্ষার্থীরা অনলাইন থেকে যে কোনো সময় সেটি নামিয়ে নিতে পারবে। ব্যানবেইস থেকে জানা গেছে, কর্মশালার পর ইউনিক আইডির ডিজাইনে কিছু সংশোধনী এনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমতি পেলে এরপর ওপেন টেন্ডার ডাকা হবে। টেন্ডার হয়ে গেলে এক মাসের মধ্যেই কার্ড প্রস্তুত করা সম্ভব হবে। ডিসেম্বরের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের আইডি দেওয়ার লক্ষ্য সরকারের। প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর জন্য একটি ইউনিক আইডি তৈরি এবং সমন্বিত শিক্ষাতথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রণয়ন করতে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে আইইআইএমএস প্রকল্প নেয় সরকার। মূল প্রকল্প ছিল ৩১৩ কোটি ৩১ লাখ টাকার। পরে ব্যয় বাড়িয়ে করা হয় ৩৫৩ কোটি ২১ লাখ ৪২ হাজার টাকা। এই প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি ১৩১ কোটি ১৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল বা মেয়াদ ছিল ২০১৮ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এর মধ্যে অর্ধেক কাজও শেষ না হওয়ায় কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। প্রকল্পের ত্রুটি : ইউনিক আইডি প্রকল্পে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, সেগুলোর ইআইআইএন থাকা বাধ্যতামূলক। ইআইআইএন হলো এডুকেশনাল ইনস্টিটিউট আইডেন্টিফিকেশন নম্বর। সরকার অনুমোদিত স্কুল ও কলেজের (মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ লেভেল) এই নম্বর থাকে। এই প্রকল্পে রয়েছে স্কুলের ষষ্ঠ থেকে দশম, কলেজের একাদশ থেকে দ্বাদশ, মাদ্রাসার ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ এবং কারিগরি ও ভোকেশনালের অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। তবে কওমি মাদ্রাসা ও ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের এই নম্বর নেই। তাই প্রকল্পে এই দুই মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ব্যানবেইসে অনুষ্ঠিত ওই কর্মশালায় শিক্ষামন্ত্রী কওমি ও ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে কেন এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, তা জানতে চান। জবাবে অধ্যাপক শামছুল আলম বলেন, প্রকল্পটিই এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যেখানে ইআইআইএন ধারী প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্যই নেওয়া হবে। তখন মন্ত্রী ও উপমন্ত্রী বলেন, এটিকে বাধ্যতামূলক না করে ঐচ্ছিক করা উচিত ছিল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ইংরেজি মাধ্যম স্কুল অভিভাবক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ খান জানান, ইউনিক আইডির বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তাদের কিছুই জানানো হয়নি। জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক শামসুল আলম কালবেলাকে বলেন, লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের সব তথ্য এক জায়গায় নিয়ে আসা। সেটি আমরা নিয়ে আসছি। এখন সেগুলো দিয়ে ইউনিক আইডি ছাপানো হবে। হয়তো লেমিনেটিং কাগজে। এ ছাড়া শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছে আইডির সফট কপি পাঠানো হবে। শিক্ষার্থীরা চাইলে যে কোনো সময় সেটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবে। ব্যানবেইস মহাপরিচালক মো. মুহিবুর রহমান বলেন, আমরা দ্রুত ছাপানোর কাজে যাব। তবে কার্ড ছাপানোর জন্য ৪ টাকা যথেষ্ট নয় বলে জানান তিনি। তার মতে, ১০-১২ টাকা হলে একটি ভালোমানের কার্ড ছাপানো যেত। শিক্ষার্থী ও শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা হতাশ হবে : রাজধানীর উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জহুরা বেগম কালবেলাকে বলেন, আমরা জানি ইউনিক আইডিটা হবে এনআইডির মতো। শব্দটা ইউনিক। কিন্তু কার্ড তৈরির জন্য বরাদ্দ মাত্র ৪ টাকা কেন হবে? ৪ টাকা দিয়ে কি কোনো কার্ড হবে? আমরা স্কুলে বাচ্চাদের যে কার্ড দিই তাতেও তো অনেক খরচ। প্রশ্ন হলো আইডিটা যদি ইউনিক না হয়, তাহলে কোটি কোটি টাকা খরচ করে আমাদের লাভটা কী হলো? এই খাতে কেন পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখলাম না? ৪ টাকায় ইউনিক আইডি কার্ড করা সম্ভব না জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, এতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক বা অভিভাবকই শুধু নয়, যারা শিক্ষা নিয়ে কাজ করেন তারাও হতাশ হবেন। ভালো উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়লে পরবর্তী সময়ে কোনো প্রকল্প বা উদ্যোগ নিতে গেলেও বারবার চিন্তা করতে হবে যে আমরা তো আগেরটাও পারিনি।
২২ জুলাই, ২০২৩
X