‘চাঁদপুরের ইলিশ বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করে তাই আমিও পছন্দ করি’
সিনেমাহল বিহীন চাঁদপুরে এখনো বাংলা সিনেমা ও সিনেমার নায়ক-নায়িকাদের প্রতি জনগণের আবেগ ভালোবাসা বিন্দুমাত্র কমেনি। তাই তো প্রখর রোদ আর গরমকে উপেক্ষা করে বাংলা চলচ্চিত্রের নায়িকা অপু বিশ্বাসকে এক নজর দেখতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘামে ভিজে রাস্তায় অপেক্ষা করে চাঁদপুরবাসী। পরে তাদের আগ্রহের অবসান ঘটে অপু বিশ্বাসের আগমণকে ঘিরে। শুক্রবার (৩ মে) বিকেলে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে জেরিন’স বিউটি সেলুন উদ্বোধন করেন অপু বিশ্বাস। কেক ও ফিতা কাটার মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করেন সেলুনটি। এদিন শুধু অপু বিশ্বাস একাই নন, তার সঙ্গে চাঁদপুরে আরও আসেন ব্রান্ড প্রমোটর বারিশা হক, কোরিওগ্রাফার গৌতম সাহা, জেরিন’স বিউটি সেলুনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পারুল করিমসহ অন্যরা। ভক্তদের আগ্রহ দেখে উৎফুল্লতা প্রকাশ করেন অপু বিশ্বাস। তিনি চাঁদপুরের ইলিশের ভূয়সী প্রশংসা করেন। অপু বিশ্বাস বললেন, চাঁদপুরের ইলিশ সারা বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে রিপ্রেজেন্ট করে। তাই ব্যক্তি অপু বিশ্বাসও চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশ খেতে খুব পছন্দ করে। আমি সবসময়ই ইলিশ রান্না করি ও খাই। অপু বিশ্বাস আরও বলেন, একজন নারীর সফলতা দেখলে নিজের কাছেও ভালো লাগে। আমি জেরিন’স বিউটি পার্লারের সূচনাটা করে গেলাম। সবাই দোয়া করবেন যাতে এটা সফল ও সুন্দরভাবে চলতে পারে। এ সময় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রশীদ, পৌর মেয়র আসম মাহাবুব-উল আলম লিপন, জেরিন’স বিউটি সেলুনের পরিচালক মাসুদ ইবনে করিম, বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন কুমিল্লা জেলার শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফ জামানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অন্য অতিথিরা বলেন- বাংলা সিনেমা আরও জনপ্রিয় করতে এবং দেশের সম্মান বৃদ্ধিতে অপু বিশ্বাসরা আরও ভূমিকা রাখবেন। একই সঙ্গে সিনেমার শুটিং ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরে হবে এমনটাই প্রত্যাশা মেঘনাপাড়বাসীর।
০৩ মে, ২০২৪

ইলিশে পাওয়া গেল প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া, গবেষকরা অবাক
বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশের অন্ত্রের অণুজীবসমূহের গঠন ও বৈচিত্র্য উদঘাটন করে এক অনন্য প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পাওয়া গেছে। যা মাছটির সর্বদা রোগমুক্ত থাকতে সহায়তা করে- বলছেন গবেষকরা। বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি)-এর ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (আইজিবিই) এবং যুক্তরাজ্যের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণায় বাংলাদেশের ইলিশের অন্ত্রে অনন্য এই প্রোবায়োটিকের সন্ধান পান গবেষকরা। মেটাজিনোমিক্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইলিশ মাছের অন্ত্রে এই নতুন প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত করা হয়।   গবেষকদের দাবি, উপকারী এই প্রোবায়োটিক বাণিজ্যিক উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের মৎস্য চাষে ব্যবহার করা গেলে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। বর্তমানে মৎস্যচাষে মাছ রোগমুক্ত রাখতে বিপুল পরিমাণ ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়, যা মাছকে রোগমুক্ত রাখলেও জলজ বাস্তুতন্ত্রের অনেক ক্ষতি করে। এ ধরনের উপকারী প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়ার ব্যবহার জলজ প্রকৃতিকে সুরক্ষিত রেখে মৎস্য চাষে নতুন বিপ্লব আনতে পারে। গবেষকরা জানান, সমুদ্র থেকে নদীতে বিচরণকারী ইলিশ মাছ কখনো রোগাক্রান্ত হয়েছে, এমন কোনো গবেষণা প্রবন্ধ বা প্রতিবেদন নেই। সুতরাং অত্যাধুনিক মেটাজিনোমিক্স দ্বারা আবিষ্কৃত অনন্য নতুন প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিায়ার শনাক্তকরণ, ইলিশের রোগপ্রতিরোধিতা এবং অন্যান্য অনন্য বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে বিজ্ঞানীদল মনে করে। এসব ব্যাকটেরিয়াকে আলাদা করে ভবিষ্যতে বাণিজ্যিকভাবে প্রোবায়োটিক হিসেবে দেশের মৎস্য চাষে ব্যবহারে সম্ভাবনাও উজ্জ্বল। গবেষণাদলের প্রধান বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি)-এর ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (আইজিবিই)’র অধ্যাপক ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো ড. তোফাজ্জল ইসলাম বলেন, এই গবেষণায় শনাক্তকৃত ব্যাকটেরিয়াসমূহের মধ্যে ল্যাকটোকক্কাস, মরগানেলা, এন্টেরোকক্কাস, অ্যারোমোনাস, শিওয়েনেলা, পেডিওকক্কাস, লিওকোনস্টক, স্যাক্কারোপোরা এবং ল্যাকটোব্যাসিলাস উল্লেখযোগ্য প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া হিসেবে তাৎপর্য বহন করে। এই প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়াগুলি বৈচিত্র্যময় সামুদ্রিক এবং নদীর বাস্তুতন্ত্রে বিচরণকারী ইলিশের অনন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, স্বাদ ও ফিটনেসের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। গবেষণা দলের সঙ্গে যুক্ত ড. এম. নাজমুল হক বলেন, এই গবেষণার একটি উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার হলো, নির্দিষ্ট কিছু ব্যাকটেরিয়ার (সাইনোবাকা, সায়েনোকক্কাস, গেমাটা সেরেনিকক্কাস, স্যাক্কারোপলিস্পোরা এবং পলিনেলা) শনাক্তকরণ যা পূর্বে কোনো মিঠাপানি বা সামুদ্রিক মাছের প্রজাতিতে রিপোর্ট করা হয়নি। সমষ্টিগতভাবে, এই গবেষণায় রিপোর্ট করা ইলিশ মাছের ব্যাকটেরিয়োম এবং শ্রেণিবিন্যাস পর্যবেক্ষণের বিশ্লেষণ থেকে প্রাপ্ত তথ্য আরও ব্যাপক গবেষণার জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করেছে। গবেষণা প্রবন্ধটি উচ্চ ইমপ্যাক্ট বিশিষ্ট বিজ্ঞান সাময়িকী প্লস ওয়ান-এ প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকরা মেটাজিনোমিক্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগৃহীত ইলিশ মাছের অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার প্রজাতি বৈচিত্র্য এবং এদের আপেক্ষিক সংখ্যা নির্ণয় করেন। তারা বাংলাদেশের প্রধান প্রধান আবাসস্থল যথাক্রমে চাঁদপুর, পটুয়াখালী, কক্সবাজার, মুন্সীগঞ্জ ও রাজশাহীতে বসবাসকারী ইলিশ মাছের অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার কৌলিক বৈশিষ্ট্যাবলি এবং স্বাতন্ত্র্য বিশ্লেষণ করে ইলিশের অন্ত্রে অনন্য বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন কিছু নতুন ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পান। ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ এবং এ দেশের একটি ভৌগোলিক নির্দেশক (এও) পণ্য হিসেবে স্বীকৃত। এটি একটি আইকনিক ফ্ল্যাগশিপ প্রজাতি হিসেবে বিখ্যাত। স্বতন্ত্র্য এবং ব্যতিক্রমী স্বাদের কারণে ইলিশ মাছের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক মূল্য এবং দেশ ও বিশ্বব্যাপী এর সর্বোচ্চ চাহিদা রয়েছে। এটি বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক আন্তঃসীমান্ত প্রজাতি হিসেবে পরিচিত।  অর্থনৈতিক গুরুত্ব ছাড়াও, ইলিশ অপরিসীম আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব বহন করে। ইলিশ মাছের মোট বার্ষিক মূল্য ১৪, ৯৫০ কোটি টাকা, যা বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১.১৫ শতাংশেরও বেশি। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের ৪ মিলিয়ন মানুষের জীবিকার উৎস এই ইলিশ মাছ। এর বাইরে আনুমানিক ২.৫ মিলিয়ন ব্যক্তির বিস্তৃত ভেলুচেইনের সঙ্গে জড়িত। এই অতি চাহিদাসম্পন্ন এবং দামি মাছটি বাংলাদেশের সামগ্রিক মাছ উৎপাদনের প্রায় ১২ শতাংশ অবদান রাখে। 
০৩ মে, ২০২৪

জালে উঠে এলো ৪০ লাখ টাকার ইলিশ
পটুয়াখালীর কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে সূর্য মাঝি নামের এক জেলের জালে ১৩০ মণ ইলিশ ধরা পড়েছে। এসব ইলিশের দাম প্রায় ৪০ লাখ টাকা বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে ওই ইলিশ বিক্রির জন্য আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাতে কুয়াকাটা থেকে ৬০ কিলোমিটার গভীর সাগরে এসব মাছ ধরা পড়ে। জানা গেছে, গত বুধবার (৩ এপ্রিল) সূর্য মাঝিসহ ১৭ জেলে বাঁশখালীর আল্লাহর দয়া-১ নামে একটি ট্রলার নিয়ে আলীপুর থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যান। একবার জাল টান দেওয়ার পরই প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ে। পুরো মাছ ট্রলারে তুলতে না পেরে অর্ধেক জাল সাগরে ফেলেই চলে আসেন তারা। এসব ইলিশের দাম ৪০ লাখ টাকা হতে পারে বলে জানিয়েছেন জেলেরা। জেলে সূর্য মাঝি বলেন, আমরা সাগরে গিয়ে প্রথম টান দেওয়ার পরই জালভর্তি মাছ ওঠে। এর আগে কখনো আমাদের জালে এত বেশি মাছ ধরা পড়েনি। পরে আমাদের ট্রলার লোড হয়ে যাওয়ার কারণে অর্ধেক জাল সাগরে মাছসহ ফেলে চলে আসি। আমরা জেলেরা অনেক শুকরিয়া আদায় করছি।  কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে জেলেদের জালে কাঙ্ক্ষিত মাছ ধরা পড়ছে। আমরা আশা করছি বৃষ্টি শুরু হলে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা পড়বে।
০৬ এপ্রিল, ২০২৪

সেই পুকুরে মিলল আরও ৪০ ইলিশ
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সেই পুকুরে এবার মিলল আরও ৪০টি রুপালি ইলিশ। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ‘যুগান্তর কিল্লা’ গুচ্ছ গ্রামের পুকুরে জাল ফেললে মাছগুলো ধরা পড়ে। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ১০০টি এবং বুধবার (২৭ মার্চ) পুকুরটি থেকে ১০ কেজি রুপালি ইলিশ ধরা পড়ে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ‘যুগান্তর কিল্লা’ গুচ্ছ গ্রামের পুকুরটি ৪০টি পরিবার ব্যবহার করে। পুকুরটি লিজ নিয়েছেন নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও হোটেল নিঝুম সি প্যালেসের মালিক আবদুল মান্নান। বিশাল পুকুরে প্রায় সাত দিন ধরে সেচ দিয়ে পানি কমিয়ে মাছ ধরার উপযোগী করেন তিনি।  গত বুধবার সকালে পানি প্রায় কমে এলে জেলেদের জাল দিয়ে ১০ কেজি রুপালি ইলিশ মাছ ওপরে তোলেন এবং বৃহস্পতিবার সকালে আরও পানি কমিয়ে একশ রুপালি ইলিশ ধরেন। বিগত বছরগুলোতেও এই পুকুরে ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে। আবদুল মান্নানের ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের নিঝুম দ্বীপের পুকুরে ইলিশ পাওয়ার খবর নতুন নয়। প্রায় পুকুরেই ইলিশের দেখা মিলে। আমাদের এখানে কোনো বেড়িবাঁধ নেই, তাই জোয়ার হলেই পানি ঢুকে। সে পানির সঙ্গে ইলিশ মাছও ঢুকে। শুক্রবার ৪০টি ইলিশ পাওয়া গেছে। পুকুরের মালিক আবদুল মান্নান বলেন, নিঝুমদ্বীপে আমি দীর্ঘসময় ধরে বিভিন্ন পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করি। পুকুরগুলোতে প্রতি বছর কমবেশি ইলিশ পাওয়া যায় । যুগান্তর কিল্লা গুচ্ছ গ্রামের পুকুরটি ২০২২ সালে প্রথম ধাপে ৩৫টি ইলিশ পেয়েছিলাম। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ কেজির ওপরে। ২০২৪ সালে এসে তিন দিনে যা পেয়েছি তা গতবারের চেয়ে প্রায় তিনগুণ। এরমধ্যে তৃতীয়দিনের মতো ৪০টি রুপালি ইলিশ পেয়েছি। নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল আফছার দিনাজ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নিঝুমদ্বীপের পুকুরে ইলিশ পাওয়ার খবর ডাল-ভাতের মতো। প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড় এলে নিঝুম দ্বীপের প্রায় সবগুলো পুকুর তলিয়ে যায়। এর মধ্যে যুগান্তর কিল্লা পুকরটিও ছিল। মূলত জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় তখন ইলিশ পুকুরে এসেছে। পানি বের হতে না পারায় মাছগুলো নিজেদের খাপ খাইয়ে নিয়েছে। এ বিষয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আনিসুজ্জামান বলেন, একই পুকুরে এত বেশি ইলিশ পাওয়া আমাদের জন্য নতুন বার্তা দিচ্ছে। এটা নিয়ে গবেষণা করার সুযোগ এসেছে। তবে নোয়াখালী উপকূলীয় এলাকা হওয়ায় নিম্নাঞ্চলগুলো জোয়ারে প্লাবিত হয়। তখন ইলিশ প্রবেশ করায় বর্তমানে সেটি ধরা পড়ছে। নদীতে ইলিশের যেমন বৃদ্ধি পায় পুকুরে তেমন বৃদ্ধি পায় না এবং স্বাদ ও আকৃতি এক হয় না।
৩০ মার্চ, ২০২৪

হাতিয়ার সেই পুকুরে মিলল একশ ইলিশ
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সেই পুকুরে এবার মিলল আরও একশ রুপালি ইলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের যুগান্তর কিল্লা গুচ্ছ গ্রামের পুকুরে জাল ফেললে মাছগুলো ধরা পড়ে। এর আগে গত বুধবার সকালে ওই পুকুর থেকে ১০ কেজি ওজনের ইলিশ ধরা পড়ে। জানা যায়, নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ‘যুগান্তর কিল্লা’ গুচ্ছ গ্রামের পুকুরটি ৪০টি পরিবার ব্যবহার করে। পুকুরটি লিজ নিয়েছেন নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও হোটেল সি প্যালেসের মালিক আবদুল মান্নান। বিশাল পুকুরে প্রায় সাত দিন ধরে সেচ দিয়ে পানি কমান তিনি। গত বুধবার সকালে পানি প্রায় কমে এলে জেলেদের জাল দিয়ে ১০ কেজি ইলিশ মাছ ওপরে তোলেন। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পানি আরও কমলে একশ ইলিশ ধরেন। এর আগেও এই পুকুরে ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে। পুকুরের মালিক আবদুল মান্নান কালবেলাকে বলেন, ২০২২ সালে প্রথম ধাপে ৩৫টি ইলিশ পেয়েছিলাম। ২০২৪ সালে এসে প্রথম দফায় ১০ কেজি, আর দ্বিতীয় দফায় বৃহস্পতিবার একশ কেজি ইলিশ পেয়েছি। নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আফছার দিনাজ বলেন, মূলত জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় ইলিশ পুকুরে এসেছে। এ বিষয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আনিসুজ্জামান বলেন, মাঝেমাঝেই পুকুরে ইলিশ পাওয়ার খবর পাওয়া যায়। এটা কমন হয়ে গেছে। নোয়াখালী উপকূলীয় এলাকা হওয়ায় নিম্নাঞ্চলগুলো জোয়ারে প্লাবিত হয়। তখন ইলিশ প্রবেশ করায় বর্তমানে সেটি ধরা পড়ছে। নদীতে ইলিশ যেমন বৃদ্ধি পায়, পুকুরে তেমন বৃদ্ধি পায় না এবং স্বাদ ও আকৃতি এক হয় না।
২৯ মার্চ, ২০২৪

নোয়াখালীর সেই পুকুরে মিলল আরও ১০০ ইলিশ
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সেই পুকুরে এবার আরও একশ রুপালি ইলিশ মাছ মিলেছে।  বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ‘যুগান্তর কিল্লা’ গুচ্ছ গ্রামের পুকুরে জাল ফেললে মাছগুলো ধরা পড়ে। গতকাল বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে এই পুকুর থেকেই ১০ কেজি ইলিশ ধরা পড়ে। জানা যায়, গুচ্ছ গ্রামের পুকুরটি ৪০টি পরিবার ব্যবহার করে। পুকুরটি লিজ নিয়েছেন নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সি প্যালেস রিসোর্টের মালিক আবদুল মান্নান। বিশাল পুকুরে প্রায় সাত দিন ধরে সেচ দিয়ে পানি কমান তিনি। গতকাল বুধবার সকালে পানি প্রায় কমে এলে জেলেদের জাল দিয়ে ১০ কেজি রুপালি ইলিশ মাছ ওপরে তোলেন। আজ সকালে আরও পানি কমিয়ে জাল ফেললে ১০০ ইলিশ মাছ ওঠে। বিগত বছরগুলোতেও এই পুকুরে ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, নিঝুম দ্বীপের পুকুরে ইলিশ পাওয়ার খবর নতুন নয়। প্রায় পুকুরেই ইলিশের দেখা মেলে। আমাদের এখানে কোনো বেড়িবাঁধ নেই, তাই জোয়ার হলেই পানি ঢোকে। পানির সঙ্গে ইলিশ মাছও ঢোকে। আজ ১০০টি ইলিশ পাওয়া গেছে। পুকুরের মালিক আবদুল মান্নান কালবেলাকে বলেন, আমি দীর্ঘসময় ধরে পুকুরটি লিজ নিয়ে মাছ ধরি। প্রতি বছর কমবেশি ইলিশ পাওয়া যায় পুকুরটিতে। ২০২২ সালে প্রথম ধাপে ৩৫টি ইলিশ পেয়েছিলাম। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ কেজির বেশি। এ বছর গতকাল পেয়েছি ১০ কেজি, আর আজকে একশটি পেলাম। নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আফছার দিনাজ বলেন, প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড় এলে নিঝুম দ্বীপের প্রায় সবগুলো পুকুর তলিয়ে যায়। এর মধ্যে যুগান্তর কিল্লা পুকরটিও ছিল। মূলত জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় তখন ইলিশ পুকুরে এসেছে। পানি বের হতে না পারায় মাছগুলো নিজেদের খাপ খাইয়ে নিয়েছে। এ বিষয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আনিসুজ্জামান বলেন, প্রায় পুকুরে ইলিশ পাওয়ার খবর পাওয়া যায়। এটা কমন হয়ে গেছে। নোয়াখালী উপকূলীয় এলাকা হওয়ায় নিম্নাঞ্চলগুলো জোয়ারে প্লাবিত হয়। তখন ইলিশ প্রবেশ করায় বর্তমানে সেটি ধরা পড়ছে। নদীতে ইলিশের যেমন বৃদ্ধি পায় পুকুরে তেমন বৃদ্ধি পায় না এবং স্বাদ ও আকৃতি এক হয় না।
২৮ মার্চ, ২০২৪

নোয়াখালীতে পুকুরে মিলল ১০ কেজি ইলিশ
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার একটি পুকুরে অন্যান্য মাছের সঙ্গে মিলেছে ১০ কেজি রুপালি ইলিশ। প্রতিটি ইলিশের ওজন প্রায় ৫০০-৬০০ গ্রাম করে।  বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ‘যুগান্তর কিল্লা’ গুচ্ছ গ্রামের পুকুরে মাছগুলো ধরা পড়ে। জানা যায়, নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ‘যুগান্তর কিল্লা’ গুচ্ছ গ্রামের পুকুরটি ৪০টি পরিবার ব্যবহার করে। পুকুরটি লিজ নিয়েছেন নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সি প্যালেস রিসোর্টের মালিক আবদুল মান্নান। বিশাল পুকুরে প্রায় সাত দিন ধরে সেচ দিয়ে পানি কমান তিনি।  বুধবার সকালে পানি প্রায় কমে আসলে জেলেদের জাল দিয়ে মাছগুলো উপরে তোলেন। এ সময় অন্যান্য মাছের সঙ্গে প্রায় ১০ কেজি রুপালি ইলিশ ধরা পড়ে। বিগত বছরগুলোতেও এই পুকুরে ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ২০২২ সালে প্রথম ধাপে ৩৫টি ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে। পরে আবারও পাওয়া যায়। এই বছর প্রথম ধাপে ১০ কেজি ইলিশ পাওয়া গেল। এটা সত্যিই আনন্দের। মাছগুলো দেখতে অনেক মানুষের ভিড় জমে। আরও মাছ পাওয়া যাবে। পুকুরের মালিক আবদুল মান্নান বলেন, প্রায় ৪০ পরিবার ‘যুগান্তর কিল্লা’ গুচ্ছ গ্রামের পুকুরটি ব্যবহার করে। প্রায় সাত দিন পুকুরটি সেচের জন্য মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে। আগামীকাল সেচের পুরো কাজ শেষ হবে। আজ পুরো পুকুরে জেলেদের দিয়ে জাল ফেলানো হয়েছে। সে জালে অন্যান্য মাছের সঙ্গে ১০ কেজি ইলিশ ধরা পড়েছে। মাছগুলো ৫০০ গ্রাম থেকে ৬০০ গ্রামের মধ্যে। জোয়ার আসলে পুকুরটিতে পানি ঢুকে যায়। আমি পানি ধরে রাখি তাই ইলিশ মাছগুলো জীবিত থাকে। এ বছর ১০০ থেকে ১২০ কেজি ইলিশ পাব বলে ধারণা করছি। নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আফছার দিনাজ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড় আসলে নিঝুমদ্বীপের প্রায় সব পুকুর তলিয়ে যায়। এর মধ্যে যুগান্তর কিল্লা পুকরটিও ছিল। সেখানে আবদুল মান্নান ২০২২ সালেও ৬-৭ কেজি ইলিশ মাছ এবার ১০ কেজি পেয়েছেন। মূলত জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় তখন ইলিশ পুকুরে এসেছে। পানি বের হতে না পারায় মাছগুলো নিজেদের খাপ খাইয়ে নিয়েছে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, পুকুরে ইলিশ হয় বিষয়টি এমন নয়। মূলত জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় তখন ইলিশ পুকুরে এসেছে। নিঝুমদ্বীপ নিম্নাঞ্চল তাই জোয়ারে প্লাবিত হয়। পুকুরটি যখন প্লাবিত হয়েছে, তখন ইলিশ প্রবেশ করেছে। এছাড়া আলাদা কিছু এখানে নেই। এ বিষয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আনিসুজ্জামান বলেন, ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। ইলিশ মাছ একটি বিচিত্র বৈশিষ্ট্যের মাছ। জোয়ারের পানি পুকুরে প্রবেশ করলে তখন নোনা পানির সঙ্গে ইলিশও প্রবেশ করতে পারে। তিনি আরও বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, স্বাদু পানিতে ইলিশ মাছ কম বাড়লেও একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকে। তবে বাণিজ্যিকভাবে এটি লাভজনক নয়। এ ছাড়া স্বাদু পানিতে ইলিশের স্বাদ ও গন্ধ ঠিক থাকে না। 
২৭ মার্চ, ২০২৪

ইলিশ ছিনতাই, ছাত্রলীগের সাবেক ২ নেতা আটক
বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আরিফুর রহমান রিয়াজ ভূইয়া এবং সোহেল হাওলাদারকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাতে ইলিশ বহন করা গাড়িতে ছিনতাইয়ের মামলায় তাদের আটক করা হয়।  কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ মেট্রোপলিটন বিমানবন্দর থানাধীন নগরীর ২৯ ওয়ার্ডের পশ্চিম ইছাকাঠী এলাকার কাশিপুর আনসার ক্যাম্প সংলগ্ন ভুঁইয়া বাড়ি থেকে তাদের দুজনকে আটক করে। রিয়াজ ভূইয়া এবং সোহেল হাওলাদার কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য অসীম দেওয়ানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত অফিসার এসআই রিয়াজুল ইসলাম জানান, মহাসড়কে পরিবহন থেকে ইলিশ মাছ ছিনতাইয়ের মামলায় তাদের দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এবং উপরস্থ কর্মকর্তাদের অনুমতি ছাড়া এই মুহূর্তে তেমন কিছুই বলা যাচ্ছে না। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ জানুয়ারি রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে গালাচিপা-ঢাকাগামী ‘ডলফিন এক্সপ্রেস লিমিটেড’ নামক পরিবহনে ৩ হাজার ১শ কেজি ইলিশ মাছ ঢাকাসহ বিভিন্ন পাইকারি বাজারের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে নগরীর ২৫নং ওয়ার্ডে অবস্থিত দপদপিয়া সেতুর টোল প্লাজায় সোহেল এবং রথিসহ ৩০-৩৫ জনের একটি চক্র গাড়িতে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে নগদ অর্থ ছিনতাই করে।  এ ঘটনায় পটুয়াখলী জেলার গলাচিপা উপজেলার মাছ ব্যবসায়ী ইমন প্যাদা গত ২৫ জানুয়ারি কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি ছিনতাই মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৪৬/(১) ২৪।
১৩ মার্চ, ২০২৪

মা ইলিশ রক্ষায় নদীতে পুলিশের অভিযান, গ্রেপ্তার হচ্ছেন জেলেরা
মা ইলিশের অভয়াশ্রম মেঘনা নদীর চাঁদপুরে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এতে ছয় জেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকেলে এ তথ্য জানান হরিণা নৌপুলিশ ফাঁড়ির এসআই মফিজুল ইসলাম। তিনি জানান, নদীতে আমাদের টহল টিম নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে ছয় অসাধু জেলেকে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দেওয়া হয়েছে। অভিযানে একটি নৌকা এবং ১৭৭ কেজি জাটকা জব্দ করে তা অসহায়দের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, মা ইলিশ রক্ষায় আমরা জেলে ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে সর্বোচ্চ সচেতনতা প্রত্যাশা করছি। অসাধু জেলেদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা যাতে না দেওয়া হয় সে বিষয়েও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছি। উল্লেখ্য, মেঘনা নদীতে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস সব ধরনের মাছ শিকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময় নদীর মাছ কেনাবেচা, মজুত ও পরিবহনেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে। নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়, মৎস্য সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী মৎস্য অধিদপ্তর এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভায় জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করা হলো।
০৫ মার্চ, ২০২৪

মসজিদের পুকুরে মিলল জীবন্ত ইলিশ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে একটি মসজিদের পুকুরে পাওয়া গেল ইলিশ মাছ। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার চর ফকিরা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভূমিহীন বাজারের মিঠা পানির একটি পুকুরে ইলিশটি পাওয়া যায়। প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ আবু নাছের সজিব কালবেলাকে বলেন, মসজিদের পুকুর সেঁচে মাছ ধরার জন্য পানি কমানোর পর জাল ফেলা হয়েছিল। জালে অন্য মাছের সঙ্গে ইলিশ দেখে আমরা প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি। পরে ভালোভাবে দেখে নিশ্চিত হয়েছি এটি ইলিশ মাছ। নদী থেকে এনে কোরাল মাছের পোনা ছাড়া হয়েছিল পুকুরটিতে। পোনা মাছের সঙ্গে ইলিশ মাছটি পুকুরে এসেছে বলেই আমরা ধারণা করছি। মসজিদের পুকুরে ইলিশ মাছ পাওয়ার খবরে মাছটি দেখতে ভিড় জমায় স্থানীয়রা। এরপর জীবন্ত মাছটি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়ার পর এলাকায় বেশ কৌতূহলের সৃষ্টি হয়।  স্থানীয় বাসিন্দা হামিদ রনি কালবেলাকে জানান, সাগর-নদীর মাছ পুকুরে দেখে আমরা অবাক হয়েছি। নদীর তীরবর্তী উপজেলা হিসেবে আমরা আগেও জীবন্ত ইলিশ দেখেছি। তবে পুকুরের মিঠা পানিতে এই প্রথম ইলিশ দেখলাম। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম সরকার  কালবেলাকে বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, স্বাদু পানিতে ইলিশ মাছ কম বাড়লেও একটা সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকে। তবে বাণিজ্যিকভাবে এটি লাভজনক নয়। এছাড়া স্বাদু পানিতে ইলিশের স্বাদ ও গন্ধ ঠিক থাকে না। নদীর তীরবর্তী উপজেলায় অন্য মাছের সঙ্গে এসব মাছ পুকুরে আসতে পারে বলেও তিনি জানান।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X