রাফা ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরায়েল
রাতভর হামলার পর রাফা সীমান্ত ক্রসিংয়ের গাজা অংশের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার (৭ মে) গাজার ‘লাইফলাইন’ খ্যাত এলাকাটি দখলের পর সেখানে আর্টিলারিসহ বিপুল ইসরায়েলি সেনা অবস্থান নিয়েছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের অভিযানের উদ্দেশ্যে সেনাবহরটি জনবসতির দিকে এগোনোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। আরব নিউজ ও আল জাজিরা জানায়, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার পরও রাফায় অভিযানের অনুমোদন দেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এরপরই রাতের অন্ধকারে রাফায় ঢুকে পড়ে ইসরায়েলি ট্যাংক। এ সময়কার ভিডিও ফুটেজ সম্প্রচার করে মিসরের আল কাহেরা টেলিভিশন। ওই ফুটেজে বন্দুকযুদ্ধ ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এ ছাড়া ট্যাংক এবং হেলিকপ্টারের শব্দও শুনতে পাওয়া যায়।  মিসরের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দেখে মনে হচ্ছে স্বল্প পরিসরে অভিযান চালানো হবে। অভিযান শেষে সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়েও মিসরকে জানিয়েছে ইসরায়েল। যদিও এ বিষয়ে মুখ খোলেনি তেল আবিব। সকালে রাফা ক্রসিংয়ের কয়েকটি অসমর্থিত ফুটেজ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, সড়কের পাশে ‘আই লাভ গাজা' লেখা ভাস্কর্য ইসরায়েলি ট্যাংক গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। এ ছাড়া ক্রসিংয়ে থাকা ফিলিস্তিনি পতাকাও সরিয়ে ফেলে দখলদাররা। দ্য টাইমস অব ইসরায়েল একটি ফুটেজ সম্প্রচার করে। তাকে দেখা যায়, বিশাল ইসরায়েলি পতাকা উড়িয়ে একটি ট্যাংক সীমান্ত সড়কে টহল দিচ্ছে। এ ভিডিওয়ের বর্ণনায় বলা হয়েছে, মিসর অভিমুখে রাফা ক্রসিংয়ের গাজা অংশের নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলিদের হাতে। গাজার দক্ষিণে রাফা। গাজার সঙ্গে বহির্বিশ্বের যোগাযোগে অন্যতম রাফা সীমান্ত ক্রসিং। মিসরের সিনাই মরুভূমি সংলগ্ন একটি সীমান্ত পথ এ ক্রসিং। অন্য দুটি সীমান্ত পথ অনেক আগে থেকে ইসরায়েলের দখলে থাকায় মিসরের এই সীমান্ত পথটিই গাজার উদ্বাস্তুদের একমাত্র ভরসা ছিল।  এ কারণে রাফা সীমান্তটিই বেসামরিক নাগরিকদের গাজা ত্যাগ করার একমাত্র স্থলপথ হিসেবে বিবেচিত। গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর ক্ষেত্রেও রাফা গুরুত্বপূর্ণ। এবার এ পথটিও ইসরায়েলের দখলে চলে যাওয়ায় ত্রাণসহায়তা অনেকটা স্থবির হয়ে পড়বে। আরও দুর্ভোগে পড়বেন যুদ্ধে বিধ্বস্ত গাজাবাসী।
২১ ঘণ্টা আগে

ফিলিস্তিনিদের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার জবাবে যা জানাল ইসরায়েল
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। দলটির সম্মত হওয়ার পর  এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা জানিয়েছে, হামাসের এ ধরনের হালকা প্রস্তাব তারা গ্রহণ করবে না। সোমবার (০৬ মে) রাতে আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে  এ তথ্য জানানো হয়েছে।  নাম  প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব হামাস অনুমোদন করেছে তা তারা গ্রহণ করবে না। ইসরায়েলের ওই কর্মকর্তা হামাসের প্রস্তাবকে হালকা প্রস্তাব বলেও উল্লেখ করেন।  তিনি বলেন, মিসরের মধ্যস্থতায় হামাস সম্মত হওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সুদূরপ্রসারী সমাপ্তি রয়েছে। এ ধরনের প্রস্তাব ইসরায়েল সমর্থন করবে না।  ইসরায়েলের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমও একই তথ্য জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে হামাসের চুক্তি ইসরায়েল সরকার গ্রহণ করেনি।  এর আগে প্রতিরোধ আন্দোলনের একটি সূত্র জানায়, এরই মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা মিসর ও কাতারি মধ্যস্থতাকারীদের নিশ্চিত করা হয়েছে গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে।  এক বিবৃতিতে প্রতিরোধ সংগঠনটি জানায়, হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া কাতারি প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি এবং মিসরের গোয়েন্দা মন্ত্রী আব্বাস কামেলের সঙ্গে এক ফোনালাপে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা জানান।  যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পাশাপাশি এখন বল ইসরায়েলের কোর্টে বলে জানান হামাসের ঊর্ধ্বতন নেতারা। যদিও দ্বিতীয় দফায় এ যুদ্ধবিরতি কতক্ষণ স্থায়ী হবে এবং গাজায় জিম্মিদের মুক্তির ব্যপারে ঠিক কী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তা বিস্তারিত বলা হয়নি।  গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাতদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।  
০৬ মে, ২০২৪

বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত
যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি গোলাবারুদের একটি চালান ইসরায়েলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে বাইডেন প্রশাসন। গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর এই প্রথম ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অস্ত্রের চালানটি গত সপ্তাহে ইসরায়েলে পাঠানোর কথা থাকলেও সেটি আপাতত পাঠানো হচ্ছে না বলে ইসরায়েলকে জানিয়েছেন ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা।  প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন কেন অস্ত্রের চালানটি স্থগিত করেছে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে এ বিষয়ে অবগত সূত্রটি বলেছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার রাফায় সম্ভাব্য ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তের যোগসূত্র নেই।  ইসরায়েলের দুজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস রোববার প্রথম এই সংবাদ প্রকাশ করে। পরে ইসরায়েলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট নিজেদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের আকস্মিক এ পদক্ষেপে উদ্বেগ বোধ করছেন ইসরায়েলের কর্মকর্তারা।  সংবাদ মাধ্যমটি আরও বলেছে, ঠিক কী কারণে অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করা হলো তা জানতে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে ইসরায়েল। কারণ এই চালানটিতে ইসরায়েলের জন্য জরুরি কিছু অস্ত্র আসার কথা ছিল। কী কারণে অস্ত্রের চালান স্থগিত করা হলো তা জানতে চাইলেও মার্কিন কর্মকর্তারা এখনো ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের স্পষ্টভাবে কিছু বলছেন না।  বাইডেন প্রশাসনের একজন কর্মকর্তার কাছে এ ব্যাপারে জানতে চেয়েছিল সিএনএন, কিন্তু তিনিও সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলেছেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলকে শত শত কোটি ডলারের নিরাপত্তা সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত কয়েক মাসে ইসরায়েলকে যত সহায়তা প্রদান করা হয়েছে, তা গত কয়েক দশকেও দেওয়া হয়নি।  সিএনএন-কে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, শুধু হামাসই নয়, হিজবুল্লাহ ও ইরানকে মোকাবিলা করার জন্যও আমরা ইসরায়েলকে সহায়তা দিয়েছি এবং আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে।  পরে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর পেন্টাগন এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরেও যোগাযোগ করেছিল সিএনএন। কিন্তু দুই দপ্তরের কোনো কর্মকর্তা এ ইস্যুতে কথা বলতে রাজি হননি। মার্কিন রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ইসরায়েলকে গাজায় অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে বেসামরিক লোকজনের হতাহত হওয়া হ্রাস করা, গাজায় ত্রাণসামগ্রী প্রবেশে বাধা না দেওয়াসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছে ওয়াশিংটন, কিন্তু ইসরায়েল সেসবে কর্ণপাত করেনি। সর্বশেষ গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত শহর রাফায় অভিযান চালাতে নিষেধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেই নির্দেশনাও মানেনি ইসরায়েল।  রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার ‘হুঁশ’ ফেরাতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। 
০৬ মে, ২০২৪

ফিলিস্তিন ইস্যুতে চবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনবিরোধী শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন মুভমেন্টে’ সংহতি ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘বয়কট ইসরায়েল’ বলে স্লোগান দিতে দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। সোমবার (৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, ফিলিস্তিনের চলমান স্বাধীনতা আন্দোলন শুধু মুসলিমদের ইস্যু নয়, এটা গোটা মানবজাতির মানবতার ইস্যু। আজকের এই মানববন্ধনে উপস্থিত হতে পারাটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ঘটনা। সবচেয়ে বড় মূল্যবান বিষয় হলো ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো, অন্যায়ের বিপক্ষে দাঁড়ানো। ফ্যাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ইশতিয়াক হোসেন মজুমদার বলেন, সবচেয়ে ন্যাক্কারজনক বিষয় হলো ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিশেষত স্বয়ং ইসলরায়েলের সবচেয়ে বড় দোসর আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে ও ইসলরায়েলের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য আন্দোলন করছে। অথচ আরবরা জাতি ভাই হয়েও আজ নির্বিকার, আরব শাসকগোষ্ঠীসহ জনগণ পর্যন্ত ভোগ-বিলাসে মত্ত হয়ে আছে। তাদের এই ভণ্ডমী একদিন তাদের পতনের কারণ হবে, ইনশাআল্লাহ। যে জাতি স্পেন বিজয় করতে পারে, সে জাতি আজ নিজের বোনের আর্তনাদ শুনতে পায় না। আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী নিয়ামত উল্লাহ ফারাবী বলেন, আমেরিকা গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা সেজে আমাদের মানবাধিকার শেখাতে আসে, অথচ খোদ তাদের ঘরেই প্রতিনিয়ত মানবতা লঙ্ঘন হচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আন্দোলনকারীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে, অথচ মার্কিন প্রশাসন সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখতে পায় না। গত ৮ মাসের জুলুমের করাল গ্রাসে আমাদের ৩৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি ভাই শহীদ হয়েছেন, শহীদদের কাতার আরও লম্বা হচ্ছে। কিন্তু বিশ্ব বিবেক এখনও আইসিইউতে রয়ে গেছে। আমরা আজকের মানববন্ধন থেকে ইসরাইল ও তাদের দোসরদের সকল পণ্য বয়কট ঘোষণা করছি।
০৬ মে, ২০২৪

আলজাজিরা বন্ধ করতে ইসরায়েল কেন মরিয়া?
গাজায় নির্বিচার হত্যাযজ্ঞসহ মানবতাবিরোধী অপকর্ম লুকাতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না নেতানিয়াহু প্রশাসন। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলে আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধের অনুমোদন দিয়েছে সেখানকার যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। ইতিমধ্যে তা বন্ধে অভিযানও হয়েছে।  কিন্তু এই একটি সংবাদমাধ্যমকে কেন এত ভয় পায় ইহুদিবাদী দেশটি, যেখানে গোটা পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো রয়েছে তার পকেটে?  চলমান যুদ্ধে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্মম ধ্বংসযজ্ঞের অনেক খবরই চেপে গেছে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো। এর বিপরীতে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রতিটি অপকর্ম আর ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার কথা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরছে কাতারি সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। এ কারণেই আন্তর্জাতিক এ সংবাদমাধ্যমের ওপর বেশ চটে আছে তেলআবিব। এরই প্রতিক্রিয়ায় রোববার মন্ত্রিসভায় আলজাজিরা বন্ধ করে দেয়ার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়, যা সর্বসম্মতক্রমে পাস হয়। এর আগে জাতীয় স্বার্থের জন্য হুমকি, এমন বিদেশি গণমাধ্যমের সম্প্রচার বন্ধে আইন পাস করে ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটের সদস্যরা।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ হিব্রু ভাষায় দেয়া এক পোস্টে নেতানিয়াহু জানান, তার নেতৃত্বে ইসরায়েল সরকার সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে- উসকানিদাতা চ্যানেল আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হবে। আরেক পোস্টে ইসরায়েলি যোগাযোগমন্ত্রী শালোম কারহি জানান, তিনি আলজাজিরার বিরুদ্ধে একটি নির্দেশে স্বাক্ষর করেছেন, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হবে। পাশাপাশি আলজাজিরার সম্প্রচারসামগ্রী জব্দেরও নির্দেশ দেয়া হয়।  পরে তিনি আরও একটি পোস্টে আলজাজিরার ব্যুরো অফিসে ইসরায়েলি পুলিশের অভিযান এবং সম্প্রচারসামগ্রী জব্দের খবর দেন।  এবারই প্রথম নয় বরং এর আগেও যতবার ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত হয়েছিল, ততবারই আলজাজিরার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তেলআবিব প্রশাসন। ইসরায়েলি প্রশাসন মনে করে, আলজাজিরার মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে তেলআবিবের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। একই সঙ্গে তারা চ্যানেলটিকে হামাস, হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সহযোগী হিসেবে দেখে থাকে। এ ছাড়া গাজা, জেরুজালেম বা পশ্চিম তীর, যেখানেই ইসরায়েলি বাহিনী সামান্যতম আচড় দিক না কেন, তা ফলাও করে প্রকাশ করে থাকে সংবাদমাধ্যমটি।  বর্তমানে গাজায় যে অল্প কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম কাজ করছে, তার মধ্যে আলজাজিরা অন্যতম। সম্প্রচারমাধ্যমটি গাজায় প্রতিটি বিমান হামলা, স্থল অভিযান ও ধ্বংসপ্রাপ্ত হাসপাতালের খবর নিয়মিত সরবরাহ করছে। একই সঙ্গে গণহত্যার জন্য নেতানিয়াহু প্রশাসনকে অভিযুক্ত করে যাচ্ছে। আলজাজিরার রামাল্লাভিত্তিক সংবাদদাতা জেইন বাসরাভি জানান, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের খবরই আলজাজিরাকে টিকিয়ে রেখেছে। এমন অবস্থায় ইসরায়েল তার কূটনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিশ্বজুড়ে কাতারভিত্তিক এই সংবাদমাধ্যমকে পঙ্গু করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
০৬ মে, ২০২৪

আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করে দিচ্ছে ইসরায়েল
আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল। রোববার (৫ মে) দেশটির মন্ত্রিসভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সংক্রান্ত একটি আইন পাস হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক্স-এ বিষয়টি জানান। তিনি লেখেন, ‘ইসরায়েলে উসকানিমূলক চ্যানেল আলজাজিরা বন্ধ করা হবে। সর্বসম্মতিক্রমে তা পাস হয়েছে।’ আরেকটি এক্স পোস্টে ইসরায়েলের যোগাযোগমন্ত্রী শ্লোমো কার্হি বলেন, তিনি আলজাজিরার বিরুদ্ধে আদেশে সই করেছেন। যা অবিলম্বে কার্যকর হবে। তবে কবে আলজাজিরা বন্ধ করা হচ্ছে তা জানায়নি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। ধারণা করা হচ্ছে, শিগগির তা কার্যকর হবে।  আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, সংবাদমাধ্যমটির কার্যক্রম সাময়িকভাবে ইসরায়েলে বন্ধে মন্ত্রিসভায় ভোট হয়। ভোটের প্রস্তাবে বলা হয়, বিদেশি সম্প্রচারমাধ্যম ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় হুমকির সৃষ্টি করেছে।  ইসরায়েলের নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশটিতে আলজাজিরার কার্যালয় বন্ধ, সম্প্রচার সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত, ক্যাবল ও স্যাটেলাইট কোম্পানিগুলো থেকে চ্যানেলটি বিচ্ছিন্ন এবং এর ওয়েবসাইট ব্লক করে দেওয়ার কাজও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। গাজায় ইসরায়েলের হামলার খবর গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করে আসছে কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আলজাজিরা। এ নিয়ে শুরু থেকে ক্ষুব্ধ দখলদাররা। বিভিন্নভাবে আলজাজিরার সম্প্রচার বাধাগ্রস্ত করতে চেষ্টা করে আসছে। এরই সর্বশেষ পদক্ষেপ এটি। এর আগে গত মাসে ইসরায়েলের সংসদে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে বিবেচিত বিদেশি এই সম্প্রচার মাধ্যমকে ইসরায়েলে সাময়িকভাবে বন্ধ করার অনুমতি দিয়ে একটি আইন পাস করা হয়। তখন ইসরায়েলের যোগাযোগমন্ত্রী শ্লোমো অভিযোগ করেছেন যে, আলজাজিরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শত্রুতাকে উৎসাহিত করছে। আমাদের সরকারি প্রেস অফিস থেকে পরিচয়পত্র নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করবে, এমন একটি গণমাধ্যমকে কোনোভাবে সহ্য করা যায় না। বিশেষ করে যুদ্ধের সময় তো আরও না। বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই অসহায় ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বেশ সরব আলজাজিরা। পাশাপাশি ইসরায়েল ও ইসরায়েলি সরকারকে বিশ্ব বিবেকের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলেছে কাতারভিত্তিক এই সংবাদমাধ্যমটি। যুদ্ধের ময়দান থেকে একের পর এক অবিশ্বাস্য সব প্রতিবেদন নিয়ে আসছেন আলজাজিরার সাংবাদিকরা। বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরছেন ইসরায়েলি নৃশংসতা ও ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার কথা। তাই আলজাজিরার এই সোচ্চার কণ্ঠ বন্ধ করে দিতে যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই উঠেপড়ে লেগেছে ইসরায়েলি সরকার।
০৫ মে, ২০২৪

ইসরায়েল ইস্যুতে দ্বিমুখী নীতি, যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চটেছে রাশিয়া
ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসির তদন্তের বিরোধিতা করায় যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চটেছে রাশিয়া। সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ পিয়েরে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের বিরুদ্ধে আইসিসির তদন্ত সমর্থন করে না। এই বিষয়ে আদালতের এখতিয়ারের বিষয়টিতেও বিশ্বাস করে না ওয়াশিংটন।  তবে এর আগে গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি ছিল ন্যায়সংগত। ওই সময় ইউক্রেনে কথিত রুশ যুদ্ধাপরাধের বিবরণও আইসিসির কাছে তুলে ধরে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েল ইস্যুতে এক নীতি এবং ইউক্রেন ইস্যুতে এর বিপরীত নীতি অবলম্বন করায় ওয়াশিংটনের এই আচরণকে ‘কপট’ এবং ভণ্ডামি বলে উল্লেখ করেছে রাশিয়া। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলা ও সাত মাস ধরে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর পাল্টা হামলার বিষয়টি তদন্ত করছে আইসিসি। সংস্থাটি যুদ্ধাপরাধের দায়ে ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করার পাশাপাশি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও গণহত্যারও তদন্ত করে। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিসির তদন্ত সমর্থন করে না বলে বিবৃতি দেওয়ার পর পরই পাল্টা বিবৃতি দিয়েছে রাশিয়া।  রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আইসিসির দেওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পুরোপুরি সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তারা এখন তাদের ও তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অর্থাৎ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিসির তদন্তের বৈধতা স্বীকার করতে চায় না। যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থান কপটতা এবং ভণ্ডামি। রাশিয়া আইসিসির সদস্যদেশ নয়। ইসরায়েলও এর সদস্য নয়। তবে ২০১৫ সালে ফিলিস্তিন আইসিসির সদস্য হয়। গত শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, আইসিসির কোনো সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের কার্যক্রমের ওপর প্রভাব ফেলবে না; কিন্তু বিপজ্জনক একটি উদাহরণ তৈরি করবে।  ইসরায়েলের কর্মকর্তারা অবশ্য আইসিসির আদেশ নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে। কারণ তাদের ধারণা, আইসিসির পক্ষ থেকে গাজায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে নেতানিয়াহু ও ইসরাইলে অন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হতে পারে। একই সঙ্গে হামাস নেতাদের বিরুদ্ধেও এ পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। এমন পদক্ষেপ নেওয়া হলে আইসিসির সদস্যভুক্ত দেশে যাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। 
০২ মে, ২০২৪

সৌদিতে গ্রেপ্তার হচ্ছে ইসরায়েল বিরোধীরা
সৌদি আরবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ ইসরায়েল বিরোধী পোস্ট করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ইসরায়েলবিরোধী কথা বলায় ইতোমধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ। বৃহস্পতিবার, (২ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।  ইসরায়েলবিরোধী মনোভাব প্রকাশের কারণে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন একটি কোম্পানির সর্বোচ্চ কর্মকর্তা। তার কোম্পানিটি সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের একটি প্রজেক্টের সঙ্গে কাজ করে। নাম গোপন রাখার শর্তে একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই কর্মকর্তা গাজায় চলমান হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করেছিলেন।   আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আমেরিকান মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানোয়। বিশ্বের বেশিরভাগ মুসলিম দেশে ইসরায়েলি ও মার্কিন কোম্পানির পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানো হচ্ছে। এই বয়কটের জেরে অনেক কোম্পানি তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে। ব্লুমবার্গকে সৌদি সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, আশঙ্কা করা হচ্ছে সৌদিতে ইরানপন্থি একটি প্রভাবের বিস্তার ঘটতে পারে। আর এই আশঙ্কা থেকে এসব ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরায়েল বিরোধী অবস্থানের কারণে ঠিক কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেটি স্পষ্ট করে জানায়নি ব্লুমবার্গ। দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদির কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরমধ্যেই জানা গেল ইসরায়েল বিরোধীদের ওপর গ্রেপ্তারের মতো কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ক্ষমতাধর মুসলিম দেশ সৌদি আরব। 
০২ মে, ২০২৪

জাতিসংঘকে হুমকি দিল ইসরায়েল
খুনির কদর্যতা ঠিক কতটা সীমা ছাড়াতে পারে তার উদাহরণ হিসেবে হয়তো একদিন ইতিহাসের পাতায় লেখা হবে ইসরায়েলের কথা। এমনিতেই বর্তমানে জবরদখলের প্রতিশব্দ হিসেবে অভিধানে স্থান করে নিয়েছে ইহুদিবাদী দেশটির নাম। নিজেদের এমন চরিত্র নিয়েও উঁচু গলায় জাতিসংঘকে হুমকি দিল তারা। খোদ জাতিসংঘে দাঁড়িয়ে ইসরায়েলি দূত গিলাদ এরদান বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বুধবার ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার নিয়ে এক বিতর্কে অংশ নিয়ে ওই হুমকি দেন বৈশ্বিক সংস্থাটিতে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত এরদান। শুধু তাই নয় ফিলিস্তিনিরা রাষ্ট্রে মর্যাদা পাওয়া জন্য উপযুক্ত নয় বলেও মন্তব্য করেন ইসরায়েলি এ কূটনীতিক।  গিলাদ এরদান বলেন, অচিরেই বিশ্ব জেগে উঠবে আর জাতিসংঘের ডেকে আনা বিপর্যয় দেখতে পাবে। ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীরা জাতিসংঘের পতন নিয়ে পড়াশোনা করবে, যেখানে সংস্থাটির নৈতিক অধঃপতন ও অন্ধত্ব নিয়ে জানবে। এ সময় নতুন একটি বৈশ্বিক সংস্থা গড়ে উঠবে বলেও মনে করেন গিলাদ এরদান; যাদের শক্তিশালী নৈতিক ভিত্তি, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং সন্ত্রাসীদের সমর্থন দেওয়ার কোনো ইচ্ছা থাকবে না।  জাতিসংঘের বক্তব্যের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ইসরায়েলি এ কূটনীতিক জানান, জাতিসংঘের অস্তিত্ব আর মাত্র হাতে গোনা কয়েক দিন রয়েছে। এ সময় তার এই বক্তব্যকে মনে রাখার জন্য তাগিদও দেন এরদান।
০২ মে, ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ইসরায়েলপন্থিদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১ মে) একটি মার্কিন গণমাধ্যমের লাইভ ভিডিওতে এ চিত্র দেখা গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।  ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পত্রিকা ডেইলি ব্রুইন বলেছে, ইসরায়েলের সমর্থকরা ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্প ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছিল। এসময় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগোযোগমাধ্যম এক্সে করা একটি পোস্টে লস এঞ্জেলেস ডেপুটি মেয়র অব কমিউনিকেশনস জ্যাচ সিডল বলেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ক্যাম্পাসে পুলিশ প্রবশে করেছে। ইউসিএলএ চ্যান্সেলর জিন ব্লকের অনুরোধে সাড়া দিয়ে ক্যাম্পাসে যান তারা।  মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি এর একটি সহযোগী সম্প্রচারকারী কেএবিসি এর লাইভ ফুটেজে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা করার জন্য কিছু মানুষকে লাঠি নিয়ে যেতে দেখা গেছে। আরও কয়েকজনকে প্ল্যাকার্ড ও ছাতা হাতেও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ফিলিস্তিনপন্থি প্রতিবাদকারীদের রক্ষার জন্য কাঠের বোর্ড দিয়ে একটি অস্থায়ী ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছিল। সেই ব্যারিকেডের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন ইসরায়েলপন্থি প্রতিবাদকারীরা। প্রতিবেদনে ওই সংঘর্ষের বিষয়ে আরও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না তাও স্পষ্ট নয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের একটি একাডেমিক ভবন থেকে কয়েক ডজন ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছিল নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ। তখন প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে আইভি লিগ স্কুলটি ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা প্রতিবাদকারীদের একটি ক্যাম্পকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে সরিয়ে দেন তারা। ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা করে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এই হামলায় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে, ১ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হন। এর প্রতিক্রিয়ায় গাজায় ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।  ইসরায়েলের নৃশংসতা ও ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সমর্থনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা। ফিলিস্তিন মুক্তির স্লোগানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
০১ মে, ২০২৪
X