যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ইসরায়েলপন্থিদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১ মে) একটি মার্কিন গণমাধ্যমের লাইভ ভিডিওতে এ চিত্র দেখা গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পত্রিকা ডেইলি ব্রুইন বলেছে, ইসরায়েলের সমর্থকরা ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্প ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছিল। এসময় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সামাজিক যোগোযোগমাধ্যম এক্সে করা একটি পোস্টে লস এঞ্জেলেস ডেপুটি মেয়র অব কমিউনিকেশনস জ্যাচ সিডল বলেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ক্যাম্পাসে পুলিশ প্রবশে করেছে। ইউসিএলএ চ্যান্সেলর জিন ব্লকের অনুরোধে সাড়া দিয়ে ক্যাম্পাসে যান তারা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি এর একটি সহযোগী সম্প্রচারকারী কেএবিসি এর লাইভ ফুটেজে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা করার জন্য কিছু মানুষকে লাঠি নিয়ে যেতে দেখা গেছে। আরও কয়েকজনকে প্ল্যাকার্ড ও ছাতা হাতেও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ফিলিস্তিনপন্থি প্রতিবাদকারীদের রক্ষার জন্য কাঠের বোর্ড দিয়ে একটি অস্থায়ী ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছিল। সেই ব্যারিকেডের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন ইসরায়েলপন্থি প্রতিবাদকারীরা।
প্রতিবেদনে ওই সংঘর্ষের বিষয়ে আরও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না তাও স্পষ্ট নয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের একটি একাডেমিক ভবন থেকে কয়েক ডজন ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছিল নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ। তখন প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে আইভি লিগ স্কুলটি ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা প্রতিবাদকারীদের একটি ক্যাম্পকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে সরিয়ে দেন তারা।
৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা করে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এই হামলায় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে, ১ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হন। এর প্রতিক্রিয়ায় গাজায় ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের নৃশংসতা ও ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সমর্থনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা। ফিলিস্তিন মুক্তির স্লোগানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
মন্তব্য করুন