ঈদের নামাজ শেষে সর্বসাধারণের সঙ্গে বিএনপি নেতা সালামের শুভেচ্ছা বিনিময়
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম আদাবর এলাকার সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেছেন। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) আদাবর বায়তুল আমান হাউজিং জামে মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় শেষে এ কুশল বিনিময় করেন। পরে তিনি মোহাম্মদপুর ও আদাবরে বিএনপির কারাবন্দি ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের বাসভবনে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- যুবদলের সাবেক নেতা রফিক হাওলাদার, বিএনপির তথ্য-প্রযুক্তি দপ্তরের ক্রু -কর্মকর্তা মাহফুজ কবির মুক্তা, জাসাস ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শওকত আজিজ, আদাবর থানা বিএনপির আহ্বায়ক হাজি নাসির উদ্দীন, যুগ্মআহ্বায়ক মনোয়ার হাসান জীবন, মাসুম বাবুল, মোহাম্মদ  হানিফ, মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জামাল হোসেন টুয়েল, প্রচার দলের উত্তরের আহ্বায়ক আজমিন জাফর ইকবালসহ আদাবর ও মোহাম্মদপুর থানা বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
১১ এপ্রিল, ২০২৪

গোর-এ-শহীদ ময়দানে ৬ লাখ মুসল্লির ঈদের নামাজ আদায় 
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে ঈদের নামাজ পড়তে আসেন লাখ লাখ মানুষ। এই ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন ৬ লাখ মুসল্লি। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৯টায় লাখ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে ঈদের এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা শামসুল আলম কাশেমী। নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।  বৃহৎ এ জামাতকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিল কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি ছিল কঠোর গোয়েন্দা নজরদারি। মাঠের আশপাশে র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরাও তৎপর ছিলেন। নামাজে অংশ নেন স্থানীয় সংসদ সদস্য হুইপ ইকবালুর রহিম ও প্রধান বিচারপতি (ভারপ্রাপ্ত) এনায়েতুর রহিম, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) তৌয়বুল আলম দুলাল, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বস্তরের জনগণ। নামাজ শেষে ঈদগাহ মাঠের সমন্বয়ক, পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, আয়তনের দিক দিয়ে এটি উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠ। এর আয়তন প্রায় ২২ একর। এবার দিনাজপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলার প্রায় ছয় লাখ মুসল্লি এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।  তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থায়নে এ মাঠের সুন্দর মিনারটি নির্মিত হয়েছে। ভবিষ্যতে এটিকে আরও সুন্দর করার পরিকল্পনা রয়েছে। ঈদের নামাজের আগে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) তৌয়বুল আলম দুলাল, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমে, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।  প্রসঙ্গত, বিভিন্ন স্থান থেকে বড় বড় ঈদগাহ মাঠের চিত্র নিয়ে এসে এ মাঠের নির্মাণ পরিকল্পনা করা হয়। সর্বপ্রথম মাঠের পশ্চিম প্রান্তে গত ২০১৫ সালে এ ঈদগাহ মাঠের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রায় দেড় বছর পর এটি নামাজের জন্য পুরো প্রস্তুত করা হয়। এ ঈদগাহে রয়েছে ৫২টি গম্বুজের দুই ধারে ৬০ ফুট করে দুটি মিনার, এর মধ্যে ৫০ ফুট করে দুটি মিনার। এর প্রধান মিনারের উচ্চতা ৫৫ ফুট। এসব মিনার আর গম্বুজের প্রস্থ হলো ৫১৬ ফুট। দেশের বড় ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানের পশ্চিম দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এ ঈদগাহ মিনারটি। প্রত্যেকটি গম্বুজে দেওয়া হয়েছে বৈদ্যুতিক বাতি সংযোগ। ৫২টি গম্বুজ ২০ ফুট উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে। এর গেট দুটির উচ্চতা ৩০ ফুট নির্মাণে নান্দনিক স্থাপনা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। উল্লেখ্য, আগে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হতো কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। এখন দিনাজপুরেও ৫২ গম্বুজের ঈদগাহ মাঠে সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
১১ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদের নামাজ আদায় করার নিয়ম ও দোয়া
রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। বছরে দুটি ঈদ উদযাপন করে থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। যে কারণে অনেকেই ঈদের নামাজের নিয়ত, নিয়ম এবং তাকবির ভুলে যান। চলুন জেনে নেওয়া যাক ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম, তাকবির, দোয়া সম্পর্কে- ঈদের নামাজের নিয়ত  نَوَيْتُ أنْ أصَلِّي للهِ تَعَالىَ رَكْعَتَيْنِ صَلَاةِ الْعِيْدِ الْفِطْرِ مَعَ سِتِّ التَكْبِيْرَاتِ وَاجِبُ اللهِ تَعَالَى اِقْتَضَيْتُ بِهَذَا الْاِمَامِ مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اللهُ اَكْبَرْ উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা রাকাআতাইন সালাতিল ইদিল ফিতরি মাআ সিত্তাতিত তাকবিরাতি ওয়াঝিবুল্লাহি তায়ালা ইকতাদাইতু বিহাজাল ইমামি মুতাওয়াঝঝিহান ইলা ঝিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি- আল্লাহু আকবার। অর্থ : আমি ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ অতিরিক্ত ৬ তাকবিরের সঙ্গে এই ইমামের পেছনে কেবলামুখী হয়ে আল্লাহর জন্য আদায় করছি- আল্লাহু আকবার। এবার জেনে নেওয়া যাক ঈদের নামাজ আদায়ের নিয়ম- ‌১. ঈমামের সঙ্গে তাকবিরে তাহরিমা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে উভয় হাত বাঁধা। ২. তাকবিরে তাহরিমার পর ছানা পড়া- ‘সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়াতাআলা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা। ৩. এরপর অতিরিক্ত ৩ তাকবির দেওয়া। ৪. এক তাকবির থেকে আরেক তাকবিরের মধ্যে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় বিরত থাকা। ৫. প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবিরে উভয় হাত উঠিয়ে তা ছেড়ে দেওয়া। ৬. তৃতীয় তাকবির দিয়ে উভয় হাত তাকবিরে তাহরিমার মতো বেঁধে নিতে হয়। ৭. আউজুবিল্লাহ-বিসমিল্লাহ পড়া ৮. সুরা ফাতেহা পড়া ৯. সুরা মিলানো। এরপর নিয়মিত নামাজের মতো রুকু ও সেজদার মাধ্যমে প্রথম রাকাত শেষ করা। দ্বিতীয় রাকাত ১. বিসমিল্লাহ পড়া ২. সুরা ফাতেহা পড়া ৩. সুরা মিলানো। ৪. সুরা মিলানোর পর অতিরিক্ত ৩ তাকবির দেওয়া। ৫. প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবিরে উভয় হাত উঠিয়ে তা ছেড়ে দেওয়া। ৬. তৃতীয় তাকবির দিয়ে উভয় হাত তাকবিরে তাহরিমার মতো বেঁধে নিতে হয়। ৭. এরপর রুকুর তাকবির দিয়ে রুকুতে যাওয়া। ৮. সেজদা আদায় করা। ৯. বৈঠকে বসা; তাশাহহুদ, দরূদ, দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করা। ১০. নামাজের সালাম ফেরানোর পর তাকবির পড়া- اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَر لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَروَلِلهِ الْحَمْد উচ্চারণ : আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ। ১১. নামাজের পর ইমাম সাহেবের দুটি খুতবা দেওয়া। ঈদের নামাজ পড়ার পর ইমাম খুতবা দেবে আর মুসল্লিরা খুতবা মনোযোগের সঙ্গে শুনবেন। অবশ্য অনেকেই খুতবা না দেওয়ার ব্যাপারে শিথিলতার কথা বলেছেন। খুতবা না দিলেও ঈদের নামাজ আদায় হয়ে যাবে বলে মত দিয়েছেন। অতিরিক্ত তাকবির অতিরিক্ত তাকবিরের ক্ষেত্রে অন্যান্য মাজহাবসহ অনেকেই প্রথম রাকাতে তাকবিরে তাহরিমাসহ ৭ তাকবির আর দ্বিতীয় রাকাআতে ৫ তাকবিরে দিয়ে থাকেন। যদি কেউ অতিরিক্ত ৬ তাকবির দেয় কিংবা অতিরিক্ত ১১ তাকবির দেয় তাতে নামাজের অসুবিধা হবে না বরং নামাজ হয়ে যাবে। ঈদের নামাজে তাকবির পড়া ঈদের চাঁদ দেখার পর থেকে অর্থাৎ ৩০ রমজান ইফতারের পর প্রথম কাজই হচ্ছে তাকবির তথা আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা। আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে তাকবির পড়া। এটিই ঈদের প্রথম কাজ। আল্লাহ তায়ালা কোরআনুল কারিমেও তাকবির পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন এভাবে- وَلِتُكْمِلُواْ الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُواْ اللّهَ عَلَى مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ ‘আর তোমাদের আল্লাহতাআলার মহত্ত্ব বর্ণনা করো, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করো।’( সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৫) তাকবির হলো- اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَر لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَروَلِلهِ الْحَمْد উচ্চারণ : ‘আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’ ঈদের নামাজে পর কিছু দিক-নির্দেশনা- ১. ঈদের সময় মুসলমানদের মাঝে পরস্পর শুভেচ্ছা বিনিময় মুস্তাহাব। ২. ঈদে আনন্দিত হওয়া এবং আনন্দ প্রকাশ করা মুস্তাহাব। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও মুসলিম ভাইবোনদের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময়ও মুস্তাহাব। ৩. ঈদ একটি সুযোগ, যা আত্মীয়তা-সম্পর্ক জোড়া লাগানো এবং যাদের মধ্যে ঝগড়া হচ্ছে তাদের মিলিয়ে দেয়ার সর্বোত্তম সময়। ঈদে পরিবারের সদস্যদের জন্য ভালো খাবার ও কাপড় চোপড় ও বৈধ বিনোদনের ব্যবস্থা করা জায়েজ। ঈদ হলো খুশি-আনন্দের উপলক্ষ। আল্লাহতায়ালা আনন্দ প্রকাশকে নিষিদ্ধ করেননি। আল্লাহতায়ালা কোরআন মাজিদে বলেছেন- ( قُلۡ بِفَضۡلِ ٱللَّهِ وَبِرَحۡمَتِهِۦ فَبِذَٰلِكَ فَلۡيَفۡرَحُواْ هُوَ خَيۡرٞ مِّمَّا يَجۡمَعُونَ ) বল, আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমতে। সুতরাং এ নিয়েই যেন তারা খুশি হয়। এটি যা তারা জমা করে তা থেকে উত্তম। সূরা ইউনুস:৫৮ 
১০ এপ্রিল, ২০২৪

জিম্মি নাবিকরা জাহাজেই ঈদের নামাজ আদায় করলেন
সোমালিয়ায় জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি ২৩ নাবিক জাহাজেই ঈদ উদযাপন করেছেন। বুধবার (১০ এপ্রিল) বিভিন্ন দেশের মতো সোমালিয়ায় ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।  জাহাজে ঈদের নামাজ আদায়ের পর তারা কোলাকুলি করেন এবং পরস্পরের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর পরিবারের সঙ্গে তারা কথা বলেছেন এবং ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। জিম্মি জাহাজের মালিকানা প্রতিষ্ঠান কেএসআরএমের মিডিয়া অ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এখন পর্যন্ত জলদস্যুরা বাংলাদেশি নাবিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেননি। গত ১২ মার্চ সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ছিনতাই করে জলদস্যুরা। তিন দিনের মাথায় নাবিকসহ জিম্মি জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আব্দুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।
১০ এপ্রিল, ২০২৪

জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করবেন রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল সকালে হাইকোর্ট মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে প্রধান ঈদের জামাতে সর্বস্তরের মুসল্লিদের সাথে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। রাষ্ট্রপতি, তার পরিবারের সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সকাল সাড়ে ৮টায় মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের প্রধান ঈদের নামাজে অংশ নেবেন। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন । তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করা সম্ভব না হলে রাষ্ট্রপতি সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। সকাল ৮টা ২০ মিনিটে জাতীয় ঈদগাহে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাবেন প্রধান বিচারপতি, ধর্মমন্ত্রী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র এবং সংশ্লিষ্ট পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। নামাজ শেষে রাষ্ট্রপ্রধান ঈদগাহে মুসল্লিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদগাহে প্রতি বছরের মতো এবারও মহিলাদের জন্য নামাজের বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। নামাজ শেষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা পবিত্র ঈদ উপলক্ষে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বঙ্গভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে গণমাধ্যমের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছাও জানাবেন।
১০ এপ্রিল, ২০২৪

ধ্বংস হওয়া মসজিদেই ঈদের নামাজ পড়লেন গাজাবাসী
গোটা মুসলিম বিশ্বে ঈদ আনন্দ শুরু হলেও ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় এর ছিটেফোঁটাও নেই। শিশুদের পরনে নেই নতুন জামা, বেশির ভাগের পাতে ওঠেনি মাংস-কিংবা সেমাই। ঈদের নামাজ যে পড়বে সেই মসজিদও নেই। সবই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিমান আর রকেট হামলায়।  ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া মসজিদের জায়গাতেই ঈদের নামাজ আদায় করেছেন গাজাবাসী। বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ফিলিস্তিনিরা বুধবার গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরের আল-ফারুক মসজিদের ধ্বংসাবশেষে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছে।  মসজিদের ধ্বংসাবশেষে ফিলিস্তিনিদের ঈদের নামাজের ছবিও সামনে এসেছে। সেখানে বুধবার সকালে রাফাহ শহরের ওই মসজিদের ধ্বংসাবশেষের পাশেই ফিলিস্তিনিদের ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে দেখা যায়। এদিকে ঈদের দিনও রেহায় মেলেনি ইসরায়েলি তাণ্ডব থেকে। গাজার নুসেইরাত ক্যাম্প এলাকায় চালানো হয়েছে বিমান হামলা। এতে ৪ শিশুসহ প্রাণ যায় ১৪ জনের। অন্যদিকে দেইর আল বালাহতে চালানো হামলায় প্রাণ গেছে আরও ১১ জনের। এরমধ্যে ৫ নারী রয়েছেন। এর পাশাপাশি বিমান হামলাও চালানো হয় আরও কয়েকটা জায়গায়। মূলত আবাসিক স্থাপনা এবং শরণার্থী শিবিরগুলোকে লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়। রাফাহতে হামলা না চালালেও ইসরায়েলি ড্রোন সেখানকার আকাশে চক্কর দিচ্ছে। যে কোনো মুহূর্তে হামলা হতে পারে বলে সব সময় আতঙ্কে রয়েছেন গাজার বাসিন্দারা। গত ৬ মাস ধরে চালানো ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ইতোমধ্যে ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। এছাড়া গাজায় খাদ্যাভাব চরম পরিস্থিতি ধারণ করেছে। বাড়িতে নেই খাবার, নেই পানিও। অনাহারে থাকা লোকজন অপুষ্টি ও পানি শূন্যতার শিকার হয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন অনেকে। কিন্তু সেখানেও মিলছে না পর্যাপ্ত সেবা। খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন হাজার হাজার মানুষ।  
১০ এপ্রিল, ২০২৪

ঢাকায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মিল রেখে রাজধানীর পান্থপথে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।  বুধবার (১০ এপ্রিল) পান্থপথের একটি কনভেনশন সেন্টারে এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ দিন সকাল সাড়ে ৭টায় কনভেনশন সেন্টারে শিশু ও নারীসহ মুসল্লিরা জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। নামাজ শেষে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ভাগাভাগি করে নেন ঈদ আনন্দ। এ ঈদ উদযাপনে অংশ নেন দেশে অবস্থানরত বিদেশি মুসলিমরাও। নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা জানান, চাঁদ দেখে রোজা রাখো, চাঁদ দেখে ঈদ করো; সারা পৃথিবীতে ঈদ হচ্ছে সে হিসেবে আমরাও পালন করছি। এর আগেও ঈদ পালন করেছি। এদিকে চাঁদপুর, দিনাজপুর, মৌলভীবাজার ও বরিশালের বেশ কয়েকটি স্থানে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের একটি অংশের মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।  জাতীয়ভাবে বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) নির্ধারিত হলেও দেশের কিছু জায়গায় বুধবার উদযাপিত হচ্ছে ঈদ। বহু বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি ইসলামিক দেশের সঙ্গে মিল রেখে দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি অংশ ঈদ জামাতে অংশ নেন।  
১০ এপ্রিল, ২০২৪

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে মৌলভীবাজারে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত
মৌলভীবাজারের বিভিন্ন এলাকার সহস্রাধিক পরিবার সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। ঈদের জামাত শেষে একে অন্যের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও কোলাকুলি করেছেন মুসল্লিরা। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল ৭টায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে সার্কিট হাউস এলাকার আহমেদ শাবিস্থ নামক বাসায় এ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত নারী ও পুরুষরা অংশ নেন। নামাজে ইমামতি করেন আব্দুল মাওফিক চৌধুরী (পীর সাহেব, উজান্ডি)। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির জন্য মোনাজাত করা হয়। উল্লেখ্য,আব্দুল মাওফিক চৌধুরীর (পীর সাহেব উজান্ডি) অনুসারীরা ২০০৭ সাল থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করে আসছেন। এ ছাড়া জেলার কুলাউড়া, বড়লেখা ও শ্রীমঙ্গলেও পৃথক পৃথক স্থানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। কয়েকজন মুসল্লি জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছি। এটা কুরআনের আইন। এটা বাকি জীবনও পালন করার চেষ্টা করবো। সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে যেন আল্লাহ বুঝার তাওফিক দিন। ঈদ উদযাপন কমিটি প্রধান (পীর সাহেব উজান্ডি) ইমাম আব্দুল মাওফিক চৌধুরী বলেন, আমরা শুধু সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নয়। বিশ্ব মুসলমানদের সঙ্গে ঈদ করেছি। ইজমার ভিত্তিতে আজ শাওয়াল মাসের এক তারিখ। ঈদ এক তারিখেই করতে হবে।
১০ এপ্রিল, ২০২৪

ঢাবিতে চার জামাতে অনুষ্ঠিত হবে ঈদের নামাজ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদে দুই জামাতে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল ৮টায় এবং দ্বিতীয় জামাত ৯ টায় অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ও ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলেও সকাল ৮ টায় পৃথক দু’টি জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার (৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিআয় পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের দু’টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায় এবং দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়। প্রথম জামাতে ইমামতি করবেন প্রধান খতিব ড. সৈয়দ মুহাম্মদ এমদাদ উদ্দীন এবং দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন- সিনিয়র খতিব হাফেজ মাওলানা নাজীর মাহমুদ। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল মসজিদ এবং ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল লনে সকাল ৮টায় ঈদ-উল-ফিতরের পৃথক দু’টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
০৮ এপ্রিল, ২০২৪
X