বনশ্রীতে রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান
রাজধানীর বনশ্রী টেকপাড়া এলাকায় সড়কের জায়গা দখল করে র‌্যাম্প নির্মাণ ও নকশা বহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণ করায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এসময় বেশ কয়েকটি নকশা বহির্ভূত ভবনের আংশিক অপসারণ করা হয়। রোববার (৩১ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন রাজউকের পরিচালক (অডিট ও বাজেট) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, বনশ্রী টেকপাড়া এলাকায় নকশা বহির্ভূত কয়েকটি বহুতল ভবনের আংশিক অপসারণ করা হয়। নকশা বহির্ভূত নির্মাণাধীন ভবনগুলোর সেটব্যাক ও ভয়েড এ ব্যত্যয় পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে সতর্ক করে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে নেওয়া হয় মুচলেকা। এ ছাড়াও কয়েকটি ভবন মালিক রাস্তায় জায়গা দখল করে র‌্যাম্প নির্মাণ করার তাৎক্ষণিকভাবে তা অপসারণ করা হয়। মোবাইল কোর্টের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন রাজউক জোন-৬ এর পরিচালক সালেহ আহমদ জাকারিয়া, অথরাইজড অফিসার প্রকৌশলী জোটন দেবনাথ, সহকারী অথরাইজড অফিসার প্রকৌশলী সাব্বিরুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় প্রকৌশলী জোটন দেবনাথ বলেন, ভবন নির্মাণে রাজউক অনুমোদিত নকশা মেনে ভবন নির্মাণ করবে এবং রাস্তায় নির্মাণসামগ্রী রেখে মানুষ চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি যাতে না করে সেই বিষয়ে সবাই সচেতন করা হচ্ছে।
৩১ মার্চ, ২০২৪

বগুড়ার সওজের জমি উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান
বগুড়ার শাহ ফতেহ আলী সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে পশ্চিম অংশের অধিগ্রহণ করা জমিতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে উচ্ছেদ অভিযানে সরকারি নির্দেশনায় ২৫টি স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়। এতে সেতুটির ১০ শতক জমি উদ্ধার করা হয়।  খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জমি অধিগ্রহণের সময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাজী মূয়ীদুর রহমান, বগুড়া সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রুহুল আজমসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। চলতি বছরেই শেষ হবে শাহ ফতেহ আলী সেতুর নির্মাণকাজ। সেতুটির চুক্তি মূল্য ১৯ কোটি ৮৩ লাখ ৮৭ হাজার ৯৬৬ টাকা। কিন্তু উদ্বোধনের পর জমি অধিগ্রহণ ও পিলার খনন জটিলতায় আটকে ছিল ফতেহ আলী সেতু নির্মাণকাজ। এখন সকল জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত এগিয়ে চলছে নির্মাণকাজ। নতুন সেতুতে ৬৯ মিটার দৈর্ঘ্য আর ১২ দশমিক ৩ মিটার চওড়া এই সেতুর দুপাশে আড়াই মিটার করে ফুটপাত থাকবে। দৃষ্টিনন্দন এবং আধুনিক স্থাপত্যের ছোঁয়া রয়েছে এই সেতুর নকশায়। এ সেতুটি পুনঃনির্মাণ হলে বগুড়া শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। ফতেহ আলী সেতুটি বগুড়াবাসীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন সেতু। পূর্ব বগুড়ার তিনটি উপজেলার মানুষ এই সেতু দিয়ে পারাপার হবে। ফলে ওই তিন উপজেলার কৃষিপণ্য সহজে বাজারজাত করা সম্ভব হবে। বগুড়া সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান জানান, সেতুটির পুনঃনির্মাণকাজের উদ্বোধনের পর নদীগর্ভে ১৮ মিটার বোরিং শেষে ৩ থেকে ৫ মিটার পাথরের লেয়ার পাওয়া যায়। যে কারণে কাজের কিছুটা ধীরগতি হয়েছিল। এ ছাড়া জমি অধিগ্রহণে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়। সেটি বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের নির্দেশে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় জমি অধিগ্রহণের কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে। সড়ক বিভাগ আশা করছে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হবে।
২২ মার্চ, ২০২৪

মেঘনায় উচ্ছেদ অভিযান চালাবে বিআইডব্লিউটিএ
আগামী ২১ ও ২২ জানুয়ারি দুদিন মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে অবৈধ দখল উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। গতকাল রোববার প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ কথা জানানো হয়। উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পুলিশ মোতায়েন প্রসঙ্গে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর চারপাশের নদী বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু, তুরাগ, মেঘনাসহ নদীর দূষণ ও বর্জ্য নিষ্কাশনরোধ, অবৈধ দখল, স্থাপনা উচ্ছেদ এবং অবৈধ ভরাট অপসারণের লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। হাইকোর্টের নির্দেশনার ধারাবাহিকতায় মেঘনা নদীবন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার নতুন চরচাষী মৌজা থেকে চরজারিরা মৌজা পর্যন্ত মেঘনা নদীর তীরভূমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ দখল, স্থাপনা উচ্ছেদ ও ভরাট অপসারণে ২১ ও ২২ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বিআইডব্লিউটিএ উচ্ছেদ কার্যক্রম ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে।
১৫ জানুয়ারি, ২০২৪

কুষ্টিয়ায় উচ্ছেদ অভিযান
কুষ্টিয়ায় রেলের ভূসম্পত্তি দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বড়বাজার রেলগেট সংলগ্ন বারোয়ারি তলায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুজ্জামান। এদিকে উচ্ছেদের শিকার এক ব্যবসায়ী এটিকে আইনবহির্ভূত দাবি করলেও বৈধ ইজারাদারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সামস তানিন মুক্তি দাবি করেন, রেলের সম্পত্তি লিজ নিয়ে বিক্রি করার বিধি নেই। যারা উচ্ছেদ হচ্ছেন তারা জায়গা ভাড়া চুক্তিতে নিয়ে ব্যবসা করলেও দীর্ঘদিন ধরে ভাড়াও দেন না, দখলও ছাড়েন না। এ অবস্থায় রেল কর্তৃপক্ষ বিধিমতে উচ্ছেদ করে জায়গা খালি করছে।
০১ আগস্ট, ২০২৩
X