উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন বিএনপির বহিষ্কৃত যেসব নেতা
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট হয়েছে গতকাল বুধবার। এই ভোটে বিএনপি অংশ নেয়নি। তবে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে অনেকেই অংশ নিয়েছিলেন। যদিও তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।  বিএনপির বহিষ্কৃত এসব নেতাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা এবারের ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। বেসরকারি ফলাফলে দেখা গেছে, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ নেতাদের জয়জয়কার। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জয়ী এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উভয়ই আওয়ামী লীগের নেতা। এই পরিস্থিতির মধ্যেও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত অন্তত ৭ জন নেতা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে বান্দরবান সদর উপজেলায় বিজয়ী হন আব্দুল কুদ্দুছ। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি ১৯ হাজার ১৪৪ ভোট পান। জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীরকে বড় ব্যবধানে হারান তিনি।  শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় দোয়াত-কলম প্রতীকে ১৮ হাজার ৮৮৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির আরেক বহিষ্কৃত নেতা আমিনুল ইসলাম বাদশা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ ফারুক। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১৬ হাজার ৫২ ভোট।   চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দুটিতেই বেসরকারিভাবে জয় পেয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতারা। অন্য একটিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগ নেতা।  গোমস্তাপুর উপজেলায় আশরাফ হোসেন আলিম ও ভোলাহাট উপজেলার নতুন চেয়ারম্যান হচ্ছেন আনোয়ার হোসেন। আশরাফ হোসেন গোমস্তাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য এবং আনোয়ার হোসেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।   ভোলাহাট উপজেলায় আনোয়ারুল ইসলাম চিংড়ি মাছ প্রতীকে ১৩ হাজার ৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল খালেক পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৬৬ ভোট।  গোমস্তাপুর উপজেলায় মোহা. আশরাফ হোসেন আলিম আনারস প্রতীকে ৪০ হাজার ৬২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হুমায়ুন রেজা ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৪০ হাজার ৬১ ভোট। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আবদুল হামিদ। আনারস প্রতীকে ৩৪ হাজার ১৮৫ ভোট পেয়েছে তিনি। আবদুল হামিদ ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য বলে জানা গেছে। নির্বাচনে তিনি হারিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা নাজিম উদ্দীনকে। দোয়াত-কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২৮ হাজার ৭৭ ভোট। তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারণে বিএনপি থেকে যেসব নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে সেই তালিকায় মোহাম্মদ আবদুল হামিদের নাম পাওয়া যায়নি। গাজীপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সহসভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান ইজাদুর রহমান মিলন। ঘোড়া প্রতীকে তার প্রাপ্ত ভোট ১৮ হাজার ৯৬৯। উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট রীনা পারভীনকে হারিয়েছেন তিনি। আনারস প্রতীকে রীনা পারভীন পেয়েছেন ১০ হাজার ২০৮ ভোট। সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি যুক্তরাজ্য প্রবাসী মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন। কাপ-পিরিচ প্রতীকে ১৩ হাজার ৩২২ ভোট পান তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমেদ আনারস প্রতীকে ১২ হাজার ৯৬৮টি ভোট পেয়েছেন।   দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৭৩ জনকে বহিষ্কার করে বিএনপি। গত ২৬ এপ্রিল গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে বহিষ্কৃতদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়।   দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতদের মধ্যে প্রথম ধাপে উপজেলা নির্বাচনে ২৮ জন চেয়ারম্যান পদে, ২৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং ২১ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছেন। দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া আরও অন্তত ৬৪ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩৬ জনকে বহিষ্কার করেছে দলটি।
৪ ঘণ্টা আগে

২ হাজার কোটি টাকা পাচার মামলার আসামি হলেন উপজেলা চেয়ারম্যান
কারাগারে থেকে ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. সামচুল আলম চৌধুরী। দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় কারাগারে রয়েছেন তিনি। বুধবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ৩১ হাজার ৯৩১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টেলিফোন প্রতীক নিয়ে মো. মনিরুল হাসান মিঠু পেয়েছেন ৩০ হাজার ৯ ভোট। এর আগে নির্বাচনের আগের দিন মঙ্গলবার (৭ মে) ফরিদপুরের আলোচিত দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় আদালত মো. সামচুল আলম চৌধুরীর জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন। এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করে সামচুলসহ মামলার অন্য আসামিরা। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম বলেন, এই মামলায় সম্প্রতি আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয় জানার পরই আদালতে আত্মসমর্পণ করে আসামিরা। এ মামলায় অমিতাভ বোস ও নাসিরকে জামিন দিয়েছেন আদালত। তবে সামচুল চৌধুরীর জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানো হয়।
১৭ ঘণ্টা আগে

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর টাকা বিতরণের ভিডিও ভাইরাল
প্রথম ধাপে ৮ মে (বুধবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনের ঠিক আগের দিন জাকির হোসেন নামে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর টাকা বিতরণের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে তার টাকা দেওয়ার ৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। পরে বিষয়টি সবার নজরে আসে। জাকির হোসেন মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।  ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যায়, চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকির হোসেন একটি স্থানে দাঁড়িয়ে আছেন। তার দুপাশে দাঁড়িয়ে দুই ব্যক্তি। এ সময় তাকে এক ব্যক্তির হাতে অনেক টাকা গুণে দিতে দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে টাকাগুলো বিতরণ করেছেন তিনি। টাকা বিতরণের ভিডিও ভাইরাল হওয়া প্রসঙ্গে জাকির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, শুধু নির্বাচন নয়, যে কোনো সময় আমার কাছে অসহায়, হতদরিদ্র লোক আসে সহায়তার জন্য। আমি কাকে, কখন টাকা দিয়েছি মনে পড়ছে না। আপনি যে ভিডিওর কথা বলছেন সেটি আমি দেখিনি। তবে আমি শিশুকাল থেকেই মানুষকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে থাকি।  এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনীর হোসাইন খান বলেন,  নির্বাচনে নগদ টাকা বিতরণ, কাউকে উপঢৌকন কিংবা অন্যান্য সুবিধা দেওয়া পরিষ্কার আচরণবিধি লঙ্ঘন। বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানলাম। ভিডিওটি দেখে তেমন কিছু পাওয়া গেলে ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, বুধবার (৮ মে) ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন তিনজন প্রার্থী। অপর দুইজন হলেন- ঘোড়া প্রতীকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মান্নান এবং দোয়াত কলম প্রতীকে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা কুসুম।
০৭ মে, ২০২৪

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার / উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কারাগারে 
রাত পোহালেই ফরিদপুর সদর উপজেলার নির্বাচন। অথচ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে করা মামলায় এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শামসুল আলম চৌধুরীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।  মঙ্গলবার (৭ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তিনি আনারস প্রতীকে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। একইদিন এ মামলায় ফরিদপুরের পৌর মেয়র অমিতাভ বোস ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম নাছিমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এ তথ্য জানিয়ে বলেন, এ মামলায় তিন আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক দুজনের জামিন মঞ্জুর এবং অন্যজনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত ২২ এপ্রিল ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে অধিকতর চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেন আদালত। একইসঙ্গে পলাতক ৩৭ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩০ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।   ২০২০ সালের ২৬ জুন অবৈধ উপায়ে দুই হাজার কোটি টাকা আয় ও পাচারের অভিযোগে বরকত ও তার ভাই রুবেলকে প্রধান আসামি করে ঢাকার কাফরুল থানায় মামলাটি দায়ের করে সিআইডি। ২০১২ সালের অর্থপাচার প্রতিরোধ আইন সংশোধনী–২০১৫–এর ৪ (২) ধারায় এ মামলা করা হয়। ২০২১ সালের ৩ মার্চ বরকত ও রুবেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এ অভিযোগপত্র আমলে গ্রহণ করেন। ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর জজ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানি থেকে অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। গত ২২ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান চার্জশিট জমা দেন।
০৭ মে, ২০২৪

আজমিরীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসান গ্রেপ্তার
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মর্তুজা হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ভোরে হবিগঞ্জ শহরের ইনাতাবাদ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমেদ কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, ২০১৭ সালের একটি মামলায় মর্তুজা হাসানের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। এরপর তিনি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও গ্রেপ্তার হননি। সম্প্রতি তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি সামনে আসে। ওসি ডালিম আহমেদ বলেন, ভোর রাতে হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশ ও আজমিরীগঞ্জ পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে শহরের ইনাতাবাদ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দুপুরে তাকে আদালতে তোলা হবে।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

সেই সেলিম প্রধান এবার উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে ফের আলোচনায় এসেছেন ক্যাসিনোকাণ্ডের ডনখ্যাত সেলিম প্রধান। গতকাল রোববার শেষ দিনে মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছেন তিনি। সেলিম প্রধান জাপান বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড পেপার্স লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তবে তিনি পরিচিতি পেয়েছেন অনলাইন ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার হয়ে। সেলিম প্রধানকে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থাইল্যান্ডগামী একটি বিমানের ফ্লাইট থেকে নামিয়ে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়। এর মধ্যে দুদকের মামলায় চার বছরের সাজা হয় তার। গত অক্টোবরে তিনি মুক্তি পান। বর্তমানে তার মামলাগুলো বিচারাধীন এবং সব মামলায় তিনি জামিনে আছেন। দীর্ঘদিন কারাভোগের পর গত অক্টোবরে রূপগঞ্জে এসে এলাকাকে দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত করার ঘোষণা দেন তিনি। এরপর সম্প্রতি তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের ঘোষণা দেন। তবে সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা ও দুই বছরের বেশি কারাবাসের বিষয়টি আলোচনায় আসছে। এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েল বলেন, কারও বিরুদ্ধে মামলা বিচারাধীন থাকলে তাকে অপরাধী বলা যায় না। তবে তিনি যেহেতু দুই বছরের বেশি কারাগারে ছিলেন, তাই মনে হয় তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। এ বিষয়ে সেলিম প্রধান বলেন, আমার বিরুদ্ধে মামলাগুলো বিচারধীন। দুদক সাজা বাড়ানোর জন্য আপিল করেছে আর আমরা সাজা কমানোর জন্য করেছি। যতক্ষণ মামলা শেষ না হয়, ততক্ষণ কাউকে দোষী বলা যায় না।
২২ এপ্রিল, ২০২৪

সাতক্ষীরায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালান মামলা
খুলনায় স্বর্ণের বারসহ আসামি আটকের ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আল ফেরদাউস আলফাসহ ৪ জনের নামে মামলা হয়েছে।  শনিবার (২০ এপ্রিল) খুলনা শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় মাসুম বিল্লাহ নামের এক যুবককে তল্লাশি করে ১২ পিস স্বর্ণের বারসহ আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় খুলনা লবণচরা থানার এসআই প্রদীপ বৈদ্য বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।  মামলার প্রধান আসামি মাসুম বিল্লাহর স্বীকারোক্তিতে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আল ফেরদাউস আলফাকে ২ নং আসামি, আলফার ভাই আলিম মেম্বারকে ৩ নং আসামি ও শাখরা গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে আসাদুজ্জামান মিলনকে ৪ নং আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।  আল ফেরদাউস আলফা আসন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য। আলফার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে জিআর-৮৬৪, মাদক নিয়ন্ত্রণের জিআর-৮৯৭, জিআর-৬০৮/০৯ ছাড়াও বিভিন্ন মামলা রয়েছে। এ ছাড়া আলিম মেম্বারের বিরুদ্ধে সদর থানায় জিআর-৮৬৪ মামলা দায়ের আছে। তাদের বিরুদ্ধে সীমান্তে চোরাচালান, মাদক, অস্ত্র ও মানবপাচারের অভিযোগ রয়েছে। সীমান্তের চোরাঘাট নিয়ন্ত্রণ করেন তারা। তবে মাসুম বিল্লাহ আটকের পর থকে চেয়ারম্যান প্রার্থী আল ফেরদাউস আলফাসহ অন্যান্য আসামিরা এলাকা থেকে লাপাত্তা। এমনকি তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ দেখাচ্ছে।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে টাকা জমা দিলেন রাজ
আগামী একুশে মে দ্বিতীয় দফায় সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইতোমধ্যে ব্যাপক গণসংযোগ শেষ করে মনোনয়ন সংগ্রহের কাজে নেমেছেন প্রার্থীরা। এরই অংশ হিসেবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে মনোনয়নের জন্য টাকা জমা দিলেন আলহাজ্ব গাউসুল হোসেন রাজ। রোববার (২১ এপ্রিল) মনোনয়ন জমা দানের শেষ দিন থাকলেও তিনি বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে আশাশুনির জনতা ব্যাংক শাখায় নির্বাচনী ট্রেজারি চালানের টাকা জমা দিয়েছেন। এ সময় তার সঙ্গে তার পিতা আলহাজ গনি সরদার ও পরিবারের সদস্যসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। একই দিনে তিনি অনলাইনে মনোনয়ন দাখিল করবেন বলেও জানা গেছে।  মনোনয়নের টাকা জমা প্রদান শেষে ব্যাংক থেকে বেরিয়ে তিনি উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকার যেহেতু একটা সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর সেহেতু আমি বিশ্বাস করি জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে। এ সময় তিনি আরো বলেন, আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়লাভ করলে আমি একটি জবাবদিহিতামূলক উপজেলা গড়তে চাই। জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে যা যা করা দরকার তিনি করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

দুই ছেলেকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়র বানাতে চান এমপি
পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) আসনের সংসদ সদস্য মো. মকবুল হোসেনের বড় ছেলে ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র গোলাম হাসনায়েন রাসেল পদত্যাগ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এ ছাড়া এমপি তার ছোট ছেলে ইবনুল হাসান শাকিলকে ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাতে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ নেতাকর্মীদের। বুধবার (১৭ এপ্রিল) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে এমপির বড় ছেলে রাসেল ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাচন করার ঘোষণা দেন। নেতাকর্মীদের অভিযোগ- পুরো উপজেলায় নিজের পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে বড় ছেলে রাসেলকে উপজেলা নির্বাচনে এবং ছোট ছেলে শাকিলকে পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাতে যাচ্ছেন এমপি মকবুল। এ নিয়ে উপজেলার নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলে আশঙ্কা ভোটার ও নেতাকর্মীদের।  নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভাঙ্গুড়া উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, নিজ উপজেলার রাজনীতি নিজেদের কবজায় রাখার জন্য সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন তার বড় ছেলেকে প্রথমে ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র এবং পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করেছেন। ছোট ছেলে ইবনুল হাসান শাকিলকে করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এবার বড় ছেলে রাসেলকে পৌর মেয়র থেকে সরিয়ে করতে যাচ্ছেন উপজেলা চেয়ারম্যান। আর ছোট ছেলে ইবনুল হাসান শাকিলকে পৌরসভার মেয়র বানাতে চাচ্ছেন। তারা আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাউকে সমর্থন না দিতে ও নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার না করতে এমপি-মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এমপি মকবুল হোসেনের সমর্থনেই তার বড় ছেলে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। এমপিপুত্র ভাঙ্গুড়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় আর কেউই প্রার্থী হতে সাহস পাচ্ছেন না। সেক্ষেত্রে এমপি পুত্র বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারেন। এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মো. বাকিবিল্লাহ বলেন, আমি নির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এমপির ছেলে যেখানে প্রার্থী হচ্ছে, সেখানে নির্বাচন কোনোভাবেই প্রভাবমুক্ত হবে না। আমি এ কারণে প্রার্থী হচ্ছি না। ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লোকমান হোসেন বলেন, এসব বলে কী লাভ বলেন। দলের নির্দেশনা খোদ এমপি সাহেব মানেন না। তার ভয়ে কোনো নেতা কিছু বলে সাহস পায় না। নেতাদের ডেকে এমপি বলেন দেন তোমরা লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে গিয়ে আমার ছেলেকে তোমাদের জন্য চাইবে। ব্যস, নেতাকর্মী তার বাড়িতে গিয়ে তার ছেলেকে প্রথমে মেয়র হিসেবে চান, তিনি অনুমতি দেন। এবারও একইভাবে ছেলেকে উপজেলা চেয়ারম্যান করার অনুমতি দিয়েছেন। এটা তার কৌশল। ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র পদ থেকে সদ্য পদত্যাগ করা উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম হাসনায়েন রাসেল বলেন, উপজেলার সকল নেতাকর্মী বাড়িতে গিয়ে আমাকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করতে অনুরোধ করেছেন। এভাবেই জনগণের চাপেই আমি প্রার্থী হয়েছি। আপাতত উপজেলা নির্বাচন নিয়েই ব্যস্ত আসি। ছোট ভাই শাকিল পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা তো জনগণ নিয়ে থাকি, জনগণ যদি চাই তাহলে হবে। যদি আমাদের দ্বারা ভালো কিছু পেয়ে থাকে তাহলে তো জনগণ আমাদেরকে বেঁছে নেবেই। জনগণ যেটা মেনে নেবে সেটার বাইরে তো আমরা কিছু করতে পারবে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাবনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন বলেন, উপজেলার সকল ইউনিটের নেতাকর্মী আমার বাড়িতে এসে রাসেলকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে চেয়েছে। আমি বাধ্য হয়ে তাদের বলেছি তোমরা যেহেতু তাকে প্রার্থী হিসেবে চাচ্ছো তাহলে নেও। কিন্তু আমি কাউকে কিছু বলতে পারবে না। ছোট ছেলেকে মেয়র পদে নির্বাচন করার মন চাইবে না, কারণ দুই ছেলেই যদি জনপ্রতিনিধি হয় তাহলে সংসার কে দেখবে।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

ঝিনাইদহে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ১২ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল
উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলার মধ্যে ঝিনাইদহ সদর ও কালীগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সদর উপজেলা থেকে ৫ জন ও কালীগঞ্জ উপজেলা থেকে ৭ জনসহ মোট ১২ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।  এরমধ্যে সদরের ৫ জন হলো, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. গোলাম ছরওয়ার খাঁন, সদর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জে এম রশীদুল আলম, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মো. মিজানূর রহমান (মাসুম), উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক নুর এ আলম ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এবং জামায়াত নেতা মো. হাবিবুর রহমান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।  সদর উপজেলা থেকে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীসহ ৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।    অন্যদিকে, কালীগঞ্জ থেকে মো. জাহাঙ্গীর সিদ্দীক (বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও  উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি), বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রাশেদ শমসের (কাস্টভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি), মো. মতিয়ার রহমান (উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান), মো. শিবলী নোমানী (উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি), মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক), মো. ইমদাদুল হক (ঢাকা  মহানগর উত্তরের জাতীয় শ্রমিক লীগের সহসভাপতি) ও মো. ওলিয়ার রহমান (উপজেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।  এ উপজেলা থেকে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪
X