বাণিজ্য বিরোধ নিয়ে কাজ করবে এফবিসিসিআই এসএলএনএসি
বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দ্রুত ব্যবসা-বাণিজ্যের বিরোধ নিষ্পত্তিসহ নানা বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করতে চায় এফবিসিসিআই আর্বিট্রেশন ট্রাইব্যুনাল এবং শ্রীলঙ্কা ন্যাশনাল আর্বিট্রেশন সেন্টার (এসএলএনএসি)। গতকাল রোববার এফবিসিসিআইর মতিঝিল কার্যালয়ে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বৈঠকে এই আগ্রহের কথা জানায় দুপক্ষ। বৈঠকে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, এফবিসিসিআই আর্বিট্রেশন ট্রাইব্যুনাল দ্রুত ও নিরপেক্ষভাবে বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া পরিচালনা করে থাকে। এফবিসিসিআই আর্বিট্রেশন ট্রাইব্যুনাল এবং এসএলএনএসের অভিজ্ঞতা বিনিময় আঞ্চলিক বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। এ সময় আর্বিট্রেশন ও এডিআর ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে এফবিসিসিআইর সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন এসএলএনএসের চেয়ারম্যান হিরান ডে অ্যালুইস। এ সময় ছিলেন এফবিসিসিআইর সহসভাপতি এবং এফবিসিসিআই আর্বিট্রেশন ট্রাইব্যুনালের সদস্য মুনির হোসেন, এফবিসিসিআইর পরিচালক এবং এফবিসিসিআই আর্বিট্রেশন ট্রাইব্যুনালের সদস্য প্রীতি চক্রবর্তী, এফবিসিসিআইর মহাসচিব আলমগীর প্রমুখ।
২২ এপ্রিল, ২০২৪

অসাধু ব্যবসায়ীদের ধরতে বাজার কমিটির সক্রিয়তা চায় এফবিসিসিআই
অনিয়ম এবং কৃত্রিম সংকট তৈরির মাধ্যমে বাজার অস্থিতিশীল করে— এমন ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত কর‌তে বাজার কমিটিগুলোর সহযোগিতা চেয়েছে এফবিসিসিআই। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার কিচেন মার্কেটে ইসলামিয়া শান্তি কমিটির নেতা‌দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার কমিটিগুলোর সার্বিক সহযোগিতা চান এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি ও বাজার মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক আমিন হেলালী। ব্যবসায়ীরা নিয়মের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে চান জা‌নি‌য়ে তিনি বলেন, কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে গোটা গোষ্ঠী প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এই গ্লানি থেকে পরিত্রাণের জন্য ব্যবসায়ীদের অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি আরও জানান, শুধু রমজান মাস নয়, সারা বছর দেশব্যাপী এফবিসিসিআইয়ের বাজার মনিটরিং কার্যক্রম চলবে। এ সময়, বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার কারণগুলো উদ্ঘাটন করে তা লিখিত আকারে এফবিসিসিআইয়কে দেওয়ার আহ্বান জানান আমিন হেলালী। সেসব সমস্যা সমাধানে সরকারের সহযোগিতা নিয়ে এফবিসিসিআই কাজ করবে বলেও জানান তিনি। সভায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, কৃষক ও ভোক্তারা ভোগান্তিতে থাকলেও মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা লাভবান হচ্ছেন। ক্যাশ মেমো ব্যবস্থা না থাকায় বেশি কারচুপি হচ্ছে। এ ব্যবস্থা চালু হলে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি কমে আসবে। ব্যবসায়ীরা সচেতন ও সোচ্চার হলে ভেজাল রোধ এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। সভাপতির বক্তব্যে ইসলামিয়া শান্তি সমিতির সভাপতি বাবুল মিয়া আড়তদারদের সঙ্গে আমদানিকারকদেরও মনিটরিংয়ের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
২৯ মার্চ, ২০২৪

বাজার স্বাভাবিক রাখতে সবার সহযোগিতা চায় এফবিসিসিআই
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ, মূল্য এবং বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। গতকাল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর আমদানি, মজুত, সরবরাহ, মূল্য ও বাজার পরিস্থিতিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী। এফবিসিসিআইর উদ্যোগে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার বনলতা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি ও নিউ সুপার মার্কেট (উ.) ডি-ব্লক দোকান মালিক সমিতি যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন নিউ সুপার মার্কেট (উ.) ডি-ব্লক দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আতিক উল্যাহ। মো. আমিন হেলালী বলেন, ভোক্তার ভোগান্তি ও ব্যবসায়ীদের অপবাদ যাতে না হয়, সেজন্য এফবিসিসিআই কাজ করছে। তবে একতরফাভাবে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। এজন্য উভয় পক্ষের সহযোগিতা চান তিনি। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ঈদ পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট এফবিসিসিআই নিয়মিত মনিটরিং ও সতর্কতামূলক সভা চালাবে বলেও জানান। রমজানে নিত্যপণ্যের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক থাকবে বলে আশ্বাস দেন ব্যবসায়ী ও বাজার কমিটির নেতারা। আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক হাফেজ হাজি হারুন অর রশীদ, শহিদুল হক মোল্লা, কাওসার আহমেদ, নিয়াজ আলী চিশতী, সৈয়দ মো. বখতিয়ার, হাজি মো. আবুল হাসেমসহ নিউ সুপার মার্কেট (উ.) ডি-ব্লক দোকান মালিক সমিতি ও বনলতা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা।
২৭ মার্চ, ২০২৪

বাজার স্বাভাবিকে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চায় এফবিসিসিআই
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ, মূল্য এবং বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়েছে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। ব্যবসায়ী ও ভোক্তার সম্মিলিত সহযোগিতা এই উদ্যোগকে আরও টেকসই ও ফলপ্রসূ করবে বলে জানায় সংগঠনটি।    মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর আমদানি, মজুত, সরবরাহ, মূল্য ও বাজার পরিস্থিতিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় এই মন্তব্য করেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী।  এফবিসিসিআইর উদ্যোগে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকার বনলতা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি ও নিউ সুপার মার্কেট (উঃ) ডি-ব্লক দোকান মালিক সমিতি যৌথভাবে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন নিউ সুপার মার্কেট (উঃ) ডি-ব্লক দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আতিক উল্যাহ। মতবিনিময় সভায় মো. আমিন হেলালী বলেন, ভোক্তার ভোগান্তি ও ব্যবসায়ীদের যাতে খারাপ অপবাদ না হয় সেজন্য এফবিসিসিআই কাজ করছে। তবে শুধু ভোক্তা কিংবা শুধু ব্যবসায়ীদের পক্ষে একতরফাভাবে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। এজন্য উভয় পক্ষের সহযোগিতা চেয়েছেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি। ভোক্তাদের কথা বিবেচনা করে ও বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে আগামী ঈদ পর্যন্ত এফবিসিসিআই নিয়মিত রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট মনিটরিং ও সতর্কতামূলক সভা চালাবে বলে।   আমিন হেলালী বলেন, এফবিসিসিআইর অধীন সকল ব্যবসায়ী যাতে ট্রেড লাইসেন্সসহ যাবতীয় নিয়ম কানুন মেনে ব্যবসা পরিচালনা করে, সেদিকে আমরা আগাচ্ছি। একদিনে হয়ত সব সমস্যা সমাধান হবে না। কিন্তু এফবিসিসিআই এ ব্যাপারে কাজ করছে। ভোক্তা কিংবা ব্যবসায়ীদের ভোগান্তির বিষয়গুলো নিয়ে বাস্তবভিত্তিক সুপারিশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রদান করা হবে।  তিনি বলেন, শুধু ব্যবসায়ী নয়, সব ক্ষেত্রেই দুষ্কৃতকারী রয়েছে। তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। অসৎ উপায়ে ব্যবসা পরিচালনা করলে সরকারের কাছে তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করে শাস্তির আওতায় আনার হুঁশিয়ারি দেন মো. আমিন হেলালী।  রমজানে নিত্যপণ্যের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক থাকবে বলে আশ্বাস দেন ব্যবসায়ী ও বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন অর রশীদ, শহিদুল হক মোল্লা, কাওসার আহমেদ, নিয়াজ আলী চিশতী, সৈয়দ মো. বখতিয়ার, হাজী মো. আবুল হাসেমসহ নিউ সুপার মার্কেট (উঃ) ডি-ব্লক দোকান মালিক সমিতি ও বনলতা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা।
২৬ মার্চ, ২০২৪

অধিক মুনাফাকারী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এফবিসিসিআই থাকবে না
অধিক মুনাফাকারী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এফবিসিসিআই থাকবে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় এ কথা বলেন তিনি।  তিনি বলেন, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারি ও বেসরকারি খাতকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ করতে হলে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।  আমিন হেলালী বলেন, সময়কে কাজে লাগিয়ে অধিক মুনাফা করার লোভ থেকে বের হয়ে আসতে হবে। অধিক মুনাফাকারী এবং আইন অমান্যকারী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এফবিসিসিআই থাকবে না বলেও জানান তিনি। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান প্রমুখ। প্রসঙ্গত আজ (১৫ মার্চ) বাংলাদেশেও পালন করা হচ্ছে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি, ভোক্তার স্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করি।’
১৫ মার্চ, ২০২৪

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে এফবিসিসিআই
রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোকের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম। গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এ শোক জানিয়েছেন। বিবৃতিতে এফবিসিসিআই সভাপতি বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহত, হতাহত ব্যক্তিবর্গের পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং আহত ব্যক্তিদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। দুর্ঘটনায় নিহত, হতাহত ব্যক্তিবর্গের পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বলেও উল্লেখ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। এ ছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণ এবং অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের উদ্ধারে যথেষ্ট আন্তরিক ও দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য ফায়ার সার্ভিসসহ সাহায্যকারী সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। গত বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের যে ভবনে আগুন লেগেছে, সেটি সাততলা। ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের খাবারের দোকান রয়েছে। তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও রয়েছে বেশ কয়েকটি খাবারের দোকান। এসব দোকানের ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত নিহত মানুষের সংখ্যা ৪৬ জনে পৌঁছেছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
০২ মার্চ, ২০২৪

আমি মনে করি না কোনো স্যাংশন আসবে : এফবিসিসিআই সভাপতি
যুক্তরাষ্ট্র অর্থনীতি সংক্রান্ত কোনো নিষেধাজ্ঞা দেবে না বলে মনে করেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মাহবুবুল আলম।  সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় একটি বেসরকারি জুট মিলের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।  তিনি বলেন, রাজনীতি যার যার অর্থনীতি সবার। অর্থনীতি ঠিক থাকলে দেশ ঠিক থাকবে। অর্থনীতি ঠিক থাকলে আমরা ঠিক থাকব। আমাদের সাপ্লাই চেইন যদি ঠিক থাকে তাহলে ভালো থাকব। আমাদের অর্থনীতি যদি ধংস হয়ে যায় তাহলে আমাদের তো আর থাকার জাইগা নেই। আমি মনে করি আমাদের বাংলাদেশের মানুষ ব্যবসা বান্ধন মানুষ। আমাদের সরকারও ব্যবসা বান্ধব। আমি মনে করি না যে আমাদের ওপর কোনো স্যাংশন আসবে।  মাহবুবুল আলম আরও বলেন, আমি আশা করি একটি সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন যেন হয়। সবাই যখন ভোট দিতে আসবে তখন একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হবে।  দেশের বন্ধ হওয়া সরকারি পাটকল নিয়ে মাহবুবুল আলম বলেন, অলরেডি সব প্রাইভেট সেন্টারকে হাতে প্রধানমন্ত্রী দিচ্ছেন। সেহেতু প্রাইভেট সেক্টরের হাতে এলে দেশ কিন্তু এগিয়ে যাবে। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। আমরা মনে করি যেসমস্ত বন্ধ জুট মিল আছে সেগুলো প্রাইভেট সেক্টর করবে। এতে জুট এগিয়ে যাবে। শুধু জুট না, জুটের তৈরি সকল পণ্য বিদেশে রপ্তানি হবে।  এর আগে সকাল সাড়ে ১১ টায় হেলিকপ্টারে করে শৈলকুপার হড়রা গ্রামে আসেন তিনি। পরে দিগনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। অনুষ্ঠানে শিল্পপতি আসলাম সেরনিয়াবাত, বসুমতি গ্রুপের চেয়ারম্যান জেড এম গোলাম নবীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।  সংবর্ধনা শেষে বসুমতি জুট মিলের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন তিনি। পরে এফবিসিসিআই’র সভাপতি মাহবুবুল আলমের সঙ্গে বিশ্বাস বিলডার্স ও কালবেলার এমডি আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম  দুলাল এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৩

যুক্তরাজ্যে রপ্তানি বাড়াতে চায় এফবিসিসিআই
যুক্তরাজ্যের ক্রমবর্ধমান বাজার ধরতে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ও যুক্তরাজ্যে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন। চায়না প্লাস ওয়ানের সুযোগ কাজে লাগিয়ে যুক্তরাজ্যের ভোক্তা মার্কেট ধরতে রপ্তানি পণ্য বৈচিত্র্যকরণের ওপর জোর দিয়েছে দুপক্ষই। গতকাল রোববার রাতে যুক্তরাজ্যে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন ও দেশটিতে সফররত এফবিসিসিআই প্রতিনিধিদলের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক সংলাপে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম। এফবিসিসিআই সভাপতি অনুষ্ঠানে বলেন, আমরা শুধু তৈরি পোশাক খাতে নির্ভরশীল হয়ে আছি; কিন্তু বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণের বিকল্প নেই। পোশাক শিল্পের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে আরও কী ধরনের পণ্য রপ্তানি করা যায়, সেগুলো নিয়ে কাজ করছি আমরা। এ সময় তৈরি পোশাকের বাইরে কৃষিজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, ফুল ও ফল রপ্তানিতে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বাড়ানোর পাশাপাশি দেশে-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আনতে বাংলাদেশি হাইকমিশনের সহযোগিতা চান তিনি। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। সাইদা তাসনিম মুনা বলেন, বাংলাদেশ হাইকমিশন ও বেসরকারি খাতের উদ্যোগে গত বছর যুক্তরাজ্যে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। চায়না প্লাস ওয়ান নীতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে যুক্তরাজ্যে পণ্য রপ্তানি বাড়াতে বাংলাদেশ হাইকমিশন কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
২৮ নভেম্বর, ২০২৩

যুক্তরাজ্য সফরে এফবিসিসিআই প্রতিনিধিদল
যুক্তরাজ্য সফরে গেছেন দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)-এর একটি প্রতিনিধি দল। এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে এ প্রতিনিধিদল কমনওয়েলথ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দেবেন। এ সফরে বাংলাদেশের হয়ে আরও ৪৪ জন ব্যবসায়ী অংশ নেবেন।  সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকালে কমনওয়েলথ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্মেলনের প্রথম দিনের অধিবেশনে যোগ দেবেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। এর আগে গতকাল রোববার (২৬ নভেম্বর) রাতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের আমন্ত্রণে একটি নৈশভোজে যোগদান করেন ব্যবসায়ীরা। পূর্বনির্ধারিত সফরে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সর্ম্পক জোরদারের বিষয় আলোচনা হবে। যা কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ হবে।   কমনওয়েলথ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ‘টেক অ্যান্ড ইনোভেশন: অ্যানাব্লিং ট্রেড’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্যানেলিস্ট হিসেবে যোগদান করবেন এফবিসিসিআই সভাপতি। পরে ইউকে বাংলাদেশ ক্যাটালিস্টস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ইউকেবিসিসিআই)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং একটি সমঝোতা চুক্তি সই করবে এফবিসিসিআই। সফরে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) সভা, যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ী প্রতিনিধির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সবশেষ আগামী বৃহস্পতিবার (২৯ নভম্বর) লন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে এফবিসিসিআইর প্রতিনিধি দল।
২৭ নভেম্বর, ২০২৩

এফবিসিসিআই সৌদি বিনিয়োগকারীদের সহায়তা দেবে
সৌদি আরবের বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের সহায়তা দেবে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। গত বৃহস্পতিবার ফেডারেশন অব সৌদি চেম্বার অ্যান্ড কমার্সের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ সালেহ আল ফরিদির সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। গতকাল শুক্রবার এফবিসিসিআইর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ও সৌদির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আর্থিক সহযোগিতায় সৌদি সব সময় পাশে থেকেছে। আমাদের প্রায় ২৬ লাখ রেমিট্যান্স যোদ্ধা ভাই-বোন সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স পাঠানোর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির ভিত মজবুত করতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বেসরকারি খাতের পক্ষ থেকে এফবিসিসিআই সব সময় সৌদি আরবকে বাংলাদেশের অন্যতম বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদার হিসেবে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে সৌদি কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প, আসবাবপত্র শিল্প, সিরামিক, হিমায়িত খাদ্য, স্বচ্ছ পানির মাছ, হালাল খাবার, মসলা, চামড়াজাত পণ্য এবং পাট ও পাটজাত পণ্যের সুনাম বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। এই খাতগুলোতে বিনিয়োগের মাধ্যমে সৌদি আরবের ব্যবসায়ীরা দারুণভাবে লাভবান হতে পারেন। এ ছাড়া ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে বিনিয়োগের পাশাপাশি ক্লিন এনার্জি, অবকাঠামো, অটোপার্ট ম্যানুফ্যাকচারিং, আবাসন শিল্প, আইটিতে সৌদি ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান মাহবুবুল আলম। বাংলাদেশ থেকে আরও দক্ষ মানবসম্পদ নিতে সৌদি আরবকে উদ্যোগ নেওয়ারও আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি। এ সময় বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে ফেডারেশন অব সৌদি চেম্বার অ্যান্ড কমার্সের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ সালেহ আল ফরিদি বলেন, বাংলাদেশ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে। বাংলাদেশ ও সৌদি আরব উভয় দেশেরই ব্যবসা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির দারুণ সুযোগ রয়েছে। চলতি বছরের মার্চে সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল কাসাবির নেতৃত্বে সৌদি ব্যবসায়ী দলের বিজনেস সামিটে অংশগ্রহণ ফলপ্রসূ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন সৌদি চেম্বারের ভাইস চেয়ারম্যান। বৈঠকে আরও ছিলেন এফবিসিসিআইর সহসভাপতি রাশেদুল হোসেন চৌধুরী রনি, মো. খায়রুল হুদা চপল, মো. মুনির হোসেন, পরিচালক মো. হাবিব উল্লাহ ডন, হাসিনা নেওয়াজ, খন্দকার রুহুল আমিন, মূনাল মাহবুব, মো. আলী হোসেন শিশির, মো. এনায়েত উল্লাহ, বি এম সোহেব, সহিদুল হক মোল্লা, সৈয়দ মো আবু বক্কর, ফখরুস সালেহীন নাহিয়ান, সালমা হোসেন এশ, মো. আমীর হোসাইন নুরানী প্রমুখ।
০৪ নভেম্বর, ২০২৩
X