৭ উড়ালসড়ক উদ্বোধন করলেন ওবায়দুল কাদের
আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের (বিআরটি, গাজীপুর-এয়ারপোর্ট) সাতটি ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রোববার (২৪ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভিডিও কানফারেন্সের মাধ্যমে তিনি ফ্লাইওভারগুলোর উদ্বোধন করেন। মন্ত্রী বলেন, ঈদের ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য এই সাত ফ্লাইওভার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার। এই প্রকল্প নির্মাণে বিলম্ব হয়েছে। যথাসময়ে শেষ করা সম্ভব হয়নি। এটি বাস্তবায়নে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটেছে। দেরিতে হলেও কাজটি শেষ হওয়ার পথে।   ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আশা করছি— এই বছরেই এটি দিয়ে বাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে পারব। অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজগুলোও শেষ হয়ে গেছে। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯১ শতাংশ। ডিসেম্বর নাগাদ বাকি কাজ শেষ হবে। এরপর বিআরটি করিডোর দিয়ে বাস চলাচল করতে পারবে। এখন থেকে এই ফ্লাইওভারগুলো দিয়ে যান চলাচল করতে পারবে। যার মধ্যে রয়েছে ৩২৩ মিটার এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (বাঁ-পাশ), ৩২৩ মিটার এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (ডান-পাশ), ১৮০ মিটার জসীমউদ্‌দীন ফ্লাইওভার, ১৬৫ মিটার ইউ-টার্ন-১ গাজীপুরা ফ্লাইওভার, ১৬৫ মিটার ইউটার্ন-২ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ফ্লাইওভার, ২৪০ মিটার ভোগড়া ফ্লাইওভার এবং গাজীপুরের চৌরাস্তায় ৫৬৮ মিটার ফ্লাইওভার।   এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, এ বছরের জুনের মধ্যে বিআরটি প্রকল্প শেষ হবে। এখনই নিচের অংশে আর ভোগান্তি নেই। মাত্র ৪০ মিনিটে গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত যাতায়াত করা যাবে। যানজট কমিয়ে আনতে ‘গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট’ প্রকল্পের আওতায় উড়ালসড়ক তৈরি হচ্ছে গাজীপুর থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ উত্তরা হাউস বিল্ডিং থেকে টঙ্গী চেরাগ আলী মার্কেট পর্যন্ত এলাকার সড়কের কাজ করছে। বাকিটা হচ্ছে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন। ঢাকার সঙ্গে গাজীপুরের যোগাযোগে মানুষের ভোগান্তি দূর করতে শুরুতে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা ছিল চার বছরের মধ্যে, যদিও তা গড়িয়েছে ১২ বছরে। প্রকল্পের সময় আর অর্থ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে মানুষের ভোগান্তিও বেড়েছে অনেক। ২০১১ সালে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক প্রকল্পের প্রাথমিক সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করে। ২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর একনেকে বিআরটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। শুরুতে ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৩৯ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। এরপর কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছিল।   প্রকল্পের সবশেষ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি ৩২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। শুরুতে প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ছিল চান্দনা চৌরাস্তা থেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত। কিন্তু পরে সময় বাড়িয়ে প্রকল্প ব্যয় বাড়ানো হলেও পথ ছোট করে চান্দনা চৌরাস্তা থেকে কেরানীগঞ্জের পরিবর্তে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত করা হয়। বিআরটি প্রকল্পের সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, বিআরটি বাস্তবায়িত হলে ১০০টি আর্টিকুলেটেড বাসের মাধ্যমে প্রতি ঘণ্টায় ২৫ হাজার মানুষ যাতায়াত করবে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানজট অনেকটাই কমে যাবে।
২৪ মার্চ, ২০২৪

ওবায়দুল কাদের বিএনপির বিকল্প স্থায়ী কমিটির সদস্য: রিজভী
ওবায়দুল কাদের বিএনপির বিকল্প স্থায়ী কমিটির সদস্য বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। ‘বিএনপি বিদেশিদের কাছে শুধু নালিশ করে’- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন,    ২০০১ সাল থেকে তারা কী করেছেন? শুধু দেশে নয়, বিদেশেও গিয়ে নালিশ করেছেন তারা। আর আমরা যে নালিশ করেছি সেটি উনি কী করে জানলেন, উনি কি গোপন কোনো যন্ত্র ব্যবহার করেন নাকি? মনে হয়, ওবায়দুল কাদের বিএনপির বিকল্প স্থায়ী কমিটির সদস্য। রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীনরা বিতর্ক সৃষ্টি করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে বিএনপির দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তোলে। আওয়ামী লুটের চক্রের কারণে ডামি সরকার সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। আওয়ামী বাজার সিন্ডিকেটের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে ডামি সরকারের ডামি মন্ত্রীরা। অথচ ডামি সরকারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপির ওপর দায়ভার চাপিয়ে দেওয়ার পর নেত্রীর অনুসরণে ওবায়দুল কাদের এবং হাছান মাহমুদ সাহেবরা একই সুরে গান গাইছেন। সরকারের কাজ অভিযোগ তোলা নয়, বাজার সিন্ডিকেট করে যারা জনজীবনে দুর্বিষহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ১ মার্চ থেকে আবারও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, জনজীবনকে ভয়াবহ দুর্বিষহ করতেই গণবিরোধী সরকার সর্বনাশা পথে হাঁটছে। পবিত্র রমজান মাস সামনে। সিয়াম-সাধনার এই মাসে দেশের জনগণ একটু স্বস্তি চায়, কিন্তু প্রতিদিন রকেট গতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। তিনি আরও বলেন, অনাহার, অর্থকষ্ট আর ঋণের চাপ সহ্য করতে না পেরে মানুষ পরিবার নিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। গতকাল (সোমবার)  মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় সায়মা বেগম (৩৫) তার মেয়ে ৯ বছরের ছাইমুনা এবং সাত বছরের ছেলে তাওহীদকে নিয়ে ঋণের জ্বালা সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন। এই মৃত্যুর দায় সরকার এড়াতে পারে না। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাহিদা রফিক, তাহসিনা রুশদীর লুনা, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক ইমতিয়াজ বকুল, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত প্রমুখ।
২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নির্বাচন থেকে জাপার সরে যাওয়া নিয়ে কী বললেন ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই নির্বাচন প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমার মনে হয় না দলগতভাবে তারা (জাপা) নির্বাচন থেকে সরে যাবে। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা বিভিন্ন স্থানে নির্বাচন বর্জন করছেন। এ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, তারা কেন ভোট বর্জন করেছে এটা তাদের কাছে জিজ্ঞেস করলেই ভালো উত্তর পাবেন। তারা যদি বর্জনই করবে তাহলে আমরা কেন আলোচনা করলাম? ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি যে ৫টি আসনে নির্বাচন থেকে সরে গেছে সেগুলো তো কম্প্রোমাইজের সিট নয়। তারা ২৮৭ জন প্রার্থী দিয়েছে, এর মধ্যে ২/৪ জন সরে যেতেই পারে। জাতীয় পার্টির ইতিহাস কী বলে? এরশাদ সাহেবের সময় এবং পরে জাতীয় পার্টির আসন সংখ্যা কত ছিল ? মহাজোট ছেড়ে সরকার গঠনের মতো আসনের ধারে-কাছেও তারা নেই। সরকার গঠনের অনেক উপরে তারা প্রার্থী দিয়েছে। এখন কোনো অসুবিধার জন্য কেউ যদি নির্বাচন করতে না পারে, সেটা তাদের বিষয়। তিনি জানান, তাদের (জাপা) সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে আমার মনে হয় না দলগতভাবে তারা নির্বাচন থেকে সরে যাবে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ, আমরা অবিচল এবং অটল। আমাদের ওপর এই নির্বাচন ইতিহাস অর্পিত দায়িত্ব। আমরা যে কোনো মূল্যে ৭ জানুয়ারি নির্বাচন করব, সেই প্রস্তুতি আমরা নিয়ে রেখেছি। বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে তাদের যে ভূমিকা, যেভাবে তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছিল, নির্বাচন কেন্দ্র, সরকারি অফিস, বাসে-ট্রেনে আগুন, রাস্তা কেটে ফেলা, ৫ শতাধিক মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারা। এবারও তারা ব্যর্থতা নিয়ে অনেক কিছুই করতে পারে। তারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। তারা নিজেদের জনগণ থেকে যথেষ্ট বিচ্ছিন্ন করেছে, যা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন— আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
০২ জানুয়ারি, ২০২৪

সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে কোনো সংলাপ নয় : ওবায়দুল কাদের
বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল আখ্যা দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে কোনো সংলাপ নয়। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন উপলক্ষে ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।  ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ঘুরেফিরে তাদের পুরোনো নাশকতা, সন্ত্রাসের ধারায় ফিরে এসেছে। ফলে সন্ত্রাসের সঙ্গে কোনো সংলাপ হতে পারে না। তিনি বলেন, বিএনপি প্রমাণ করেছে তারা একটি সন্ত্রাসী দল। কাজেই আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে কোনো সংলাপ নয়।
০২ নভেম্বর, ২০২৩

হঠাৎ সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। হঠাৎ করেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে জানা গেছে।   শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই বৈঠক চলছে। বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র শেখ  ফজলে নূর তাপস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মেজবাউল হক সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান প্রমুখ।  এ ছাড়াও বৈঠকে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খানও উপস্থিত রয়েছেন।
১৩ অক্টোবর, ২০২৩

ভিসানীতির তোয়াক্কা করি না : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এই ভিসানীতির তোয়াক্কা করি না। বার্তা দিয়ে দিচ্ছি, কারও নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা আমরা করি না। বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি কারও নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করার জন্য নয়। রক্ত দিয়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে কারও নিষেধাজ্ঞা মানার জন্য নয়। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টঙ্গীর সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজ মাঠে শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গাজীপুর নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অ্যাড. আজমত উল্লাহ খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতাউল্ল্যাহ মন্ডলের সঞ্চালনায় সমাবেশ আয়োজিত হয়। সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, সিমিন হোসেন রিমি এমপি, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মাহবুবউল-আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি ও এসএম কামাল হোসেন। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ হাসান রাসেল, গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইকবাল হোসেন সবুজ, বেগম শামসুন্নাহার ভূঁইয়া এমপি ও রুমানা আলী টুসি। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে আগামী ৩৬ দিনের আলটিমেটাল দিলাম। এর মধ্যে ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। আর যদি বিএনপি এসব বন্ধ না করে সঠিক পথে না আসে তাহলে আমরা অপরাজনীতির কালো হাত ভেঙে দিব। আমাদের প্রতিটা নেতাকর্মী ষড়যন্ত্রকারীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়। তিনি বলেন, আমার নির্বাচন আমি করব। তুমি কে? সাত সমুদ্র তেরো নদীর পাড় আটলান্টিকের ওপার থেকে নিষেধাজ্ঞা দেবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খেলা হবে, হবে খেলা। আগামী মাসে খেলা হবে। আর আসল খেলা বা ফাইনাল খেলা হবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। ফাইনাল খেলার জন্য প্রস্তুত থাকুন।
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

নির্লজ্জ মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে লিপ্ত বিএনপি- ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতারা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর ঐতিহাসিক বাংলাদেশ সফর এবং ব্রিকস সম্মেলন ও জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশের অসাধারণ কূটনৈতিক সফলতা নিয়ে নির্লজ্জ মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছেন। গতকাল বুধবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। এতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘নির্লজ্জ মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের’ নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে দেশের বিরুদ্ধে লাগাতার কুৎসা ও মিথ্যাচারের মধ্য দিয়ে বিএনপি বাংলাদেশকে সবসময় বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করার গভীর ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কুশলতার কারণে বিএনপির সে চক্রান্ত ব্যর্থতায় পর্যবসিত হওয়ায় এখন তাদের গাত্রদাহ সৃষ্টি হয়েছে।’ তিনি বলেন, সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলন এবং ভারতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য অনন্য গৌরব ও মর্যাদা বয়ে এনেছেন। এ সম্মেলনগুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরব উপস্থিতি বিশ্বনেতাদের বিশেষ মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। যার মধ্য দিয়ে বিশ্বসভায় শেখ হাসিনার মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান এবং সুদক্ষ নেতৃত্বের স্বীকৃতি প্রতীয়মান হয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁসহ শক্তিধর দেশের রাষ্ট্রনায়করা শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।’ সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশ এবং অসাধারণ অগ্রগতি ও সাফল্য অর্জিত হচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বিশ্বনেতারা যখন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুপ্রসারিত করছে, ঠিক তখন বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি দেশবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নানামুখী অপপ্রচার চালাচ্ছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যে তারই প্রতিফলন ঘটেছে।’ বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনায় সততা, নিষ্ঠা, দক্ষতা ও কর্মপরিকল্পনায় বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন। একের পর এক বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্নের মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়েসহ সফলভাবে বাস্তবায়িত সব মেগা প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করছে জনগণ। জনগণের স্বপ্নের এসব প্রকল্পেও বিএনপির গাত্রদাহ। একটি রাজনৈতিক দল কতটা দেউলিয়া হলে, কতটা নীতিবিবর্জিত হলে, কতটা হীন মানসিকতায় আচ্ছন্ন হলে, জনগণের ভাগ্য বদলের এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় অন্তর্জ্বালায় ভুগতে পারে?’ ওবায়দুল কাদের বলেন, একদিকে বিএনপি তাদের চরম ব্যর্থতার অভিঘাতে পর্যুদস্ত, অন্যদিকে শেখ হাসিনার উন্নয়ন অভিযাত্রা ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তার নেতৃত্বের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রমেই হতাশার সাগরে নিমজ্জিত হচ্ছে। সেজন্য তারা জাতিকে বিভ্রান্ত করতে উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও বিকৃত তথ্য উপস্থাপন করছে। দেশবাসী ভুলে যায়নি, বিএনপিনেত্রী খালেদা জিয়া আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ওয়াশিংটন টাইমসে দেশবিরোধী কলাম লিখে পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছিলেন।’ বিএনপি দীর্ঘদিন রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল অথচ তখন তারা উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নয়ন করতে পারেনি, বরং দুর্নীতি ও লুটপাটতন্ত্র কায়েম করেছিল।’
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X